রবিবার, ১৭ জুন, ২০০৭

স্মোক ডিটেক্টর

৪টি মন্তব্য :
গত পরশু থেকে বেড রুমে স্কোক ডিটেক্টর লাগানো হয়েছে।
আমার অবস্থা কেরোসিন ।
রাতে ঘুমানোর আগে ছাদের দিকে তাকিয়া তাকিয়ে ধূমপানকে মনে হয় এবার জাদুঘরে পাঠাতে হবে !
কি জ্বালা ...প্রতি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে একখান বিড়ি ধরাই, তারপর হালকা একটা মিউজিক ছেড়ে ঘুমোতে যাই। মাঝে মাঝে কোরআন তেলাওয়াত শুনি । কিন্তু এবার সবই থাকবে , শুধুথাকবে না আমার শখের সিগারেট।

স্মোক ডিটেক্টর লাগাতে আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও আমার এপার্টমেন্ট সেটা থেকে মুক্ত, মানে অনুমতি নেয়া আছে।
কিন্তু আমার বসের অত্যাচারে আমি অতিষ্ট। তাকে আমি ভয় ও পাই , ভালোও বাসি।
বিদেশ বিভূয়ে মাতৃ স্নেহের অন্য রুপ। আমি যাতে সিগারেট কম খাই সেজন্য তার এরকম উৎপাত।
আর ভালো লাগে না। শালার চাকুরি ছেড়েই দেবো কন্ট্রাক্ট শেষ হবার পর।
-------------
সিরিয়াস পোস্ট না, অবশ্য আমি সিরিয়াস পোস্ট লিখতেও পারি না।
২০০৭-০৩-১১ ১০:০২:০২
____________________________________________________________

ক্যানবেরার দুটো গল্প

৩টি মন্তব্য :
গত রাত 10টা,বাহিরে দাড়িয়ে সিগারেট টানছি , হটাৎ পেছনে অতীব সুমিষ্ট এক গলার আওয়াজ।
চমকে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি অতীব সুন্দরী এক ললনা। বয়স 20-24, পারফেক্টো বয়স । পড়নে হাল ফ্যশনের কাপড়। পড়ে না চোখের পলক অবস্থা আমার । ললনা আমার কাছে তার রুমের খোঁজ চাচ্ছেন। সে দেখি আমার একসেন্ট বুঝে না। আমিও তার একসেন্ট বুঝতে পারছিলাম না ভালো ভাবে।

স্পেনিশ মেয়ে। একটা ফ্যাশন হাউজের হয়ে কাজ করছে। ক্যানবেরাতে প্রথম আসা। টানা 10 মিনিট কথা বলে সে বিদায় নিলো। রুমে আসতেই আবার ফোন কল। এবার ইন্টারকমে। এবারো সেই সিনোরিতা । টানা 20/25 মিনিট আলাপ চল্ল। অনেক কিছু জানতে চাইলো ললনা। আমিও বলে গেলাম। দেখতে যেমন সে সুন্দর গলার স্বরও সেরকম। মনে গেঁথে থাকার মতো !
এখনো কানে বাজছে সে সুর, আহা কি সে স্বর।

আজ সকালে অফিসে যেতেই বস বল্ল আমার জন্য একটা স্লিপ ! দেখি সেই মেয়ের স্লিপ । ধন্যবাদ জানিয়ে, সাথে তার টেলিফোন নাম্বার। আমাকে যোগাযোগ করতে বলেছে। আমার বস সে স্লিপ দেখেতো হেসেই মরে যায় যায়, সে শুধু নিজেই হাসে না সবাইকে দেখায় আর আমাকে নিয়ে মজা করে।

কি ভাবছেন , ফোন করব ?নাহ্...আদম হাওয়ার প্ররোচনায় আপেল খেয়ে স্বর্গথেকে মর্তে নির্বাসীত। আমি সেই ভুল করতে চাই না। শেষ মেশ আমার বউ কি আমাকে ঘর থেকে বের করে দিক সেটাই আপনার চান ? সিনোরিতা সাথে পরে আবার দেখা হলে বলবো, তার ফোন নাম্বার হারিয়ে ফেলেছি। নিঃদোষ মিথ্যা, কারন দেখা হবে আবার। আমি ভাবছি অন্য কথা। আমার মতো পৌড় যুবককে কি দেখে তার আগ্রহ জন্মালো !!!

------------------------

আজ কিছু কেনা-কাটার জন্য ক্যানবেরা সেন্টারে গিয়েছিলাম। 2 ঘন্টা ঘোরা ঘুরি করে একটা টুথ ব্রাস কিনে ফেল্লাম। কেনা কাটায় আমি মেয়েদের চাইতেও খুঁতখুঁতে। বাসায় এসে দেখি যা কিনতে গিয়েছিলাম সেটাই কেনা হয় নি।

ন্যান্ডোজ এ খেলাম আজ। ক্যানবেরার প্রথম ন্যান্ডোজ। আগুন ঝাল চারকোল চিকেন, পুতের্াগিজ রোল, ফ্রেনচ ফ্রাই ,কোক ও সালাদ। বিশাল এক মিল। আমি আসলে খেতে পারি ভালোই। ব্লগের যারা আমাকে খাবার দাওয়াত দিয়েছেন তারা দ্্ব ীতিয় বারের মতো ভেবে দেখেন।

বাসায় আসার জন্য যখন হেঁটে আসছিলাম তখন কিং ও'মেলিস আইরিস পাবের সামনে গিয়ে মনে পড়লো, আরে আজ না সেইন্ট পেটরিক্স ডে !! পাব পুরো টুই টুম্বর। আমার এক পরিচিত ছেলে কাজ করে সেখানে। ভাবলাম একটা ঢুঁ মেরে যাই।ঢুকতেই একপাল ছেলে-মেয়ের মাঝে পড়লাম। আমার মুখে তারা রাঙিয়ে দেবে। আমি রাজি না কোনোক্রমেই। তারা জোরাজুরি করে ছোট্ট একা আইরিশ ফ্লাগ এঁকে দিলো ডান গালে। ওখানে আর কি হয়েছিলো সেটা বলা যাচ্ছে না ( সেন্সরড )। সবাই বিয়ার টানে আর আমি টানি কোক(আমি ড্রিংলক করি না)।

ভালোই লাগছিলো আইরিশ লাইভ মিউজিকের সাথে সবার সংগ। অনেক দিন পর এরকম এক ভালো সময় কাটলো।

মাহবুব সুমন
ক্যানবেরা
২০০৭-০৩-১৭ ০৬:৫৩:০৩
____________________________________

এ.বি.সি.ডি : অস্ট্রেলিয়ান বোর্ন কনফিউজড দেশী

কোন মন্তব্য নেই :
এ.বি.সি.ডি দিয়ে অনেক কিছুই হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ান বোর্ন কনফিউজড দেশী বা আমেরিকান বোর্নকনফিউজড দেশী। দুটোই আসলে কনফিউজড একটা প্রজন্ম।

বাংলাদেশ থেকে যারা এসে এসব দেশে থিতু হয়েছেন তাদের জন্য মাঝে মাঝে বেশ মায়া হয়। তারা আপ্রান চেষ্টা চালান দেশের সব কিছুকে ধরে রাখতে। ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে অনেক সময় ইচ্ছে হলেও সেটা সম্ভব হয় না।

সবচেয়ে বড় একটা সমস্যা দেখা দেয় এসব দেশে জন্ম হওয়া ছেলে-মেয়েরা। তার না একুলের না ও কুলের। এসব ছেলে-মেয়েদের জন্যই অনেকের দেশে ফেরত চলে যাবার স্বপ্ন পূরন হয় না।

এ জন্য বাবা-মাদের যে দোষ একেবারেই নেই সেটা না। অনেকেই প্রথম থেকেই আপ্রান চেষ্টা চালান ছেলে -মেয়েদের এদেশের সাথে মিশ খাবার জন্য তৈরি করতে। এর জন্য শুরু করেন ইংলিশ শিখিয়ে সাহেব বানানোর চেষ্টায়। দেখা যায় ঘরে-বাহিরে ছোট্ট একটা বাচ্চার সাথে ইংলিশ কথা বলতে। এজন্যই মনে হয় অনেক এ.বি.সি.ডি কে দেখা যায় হাস্যকর আধো-বাংলা বলতে। এদিকে বাবা-মা কিন্তু অবলীলায় বাংলায় কথা বলছেন। এভাবেই আস্তে আস্তে স্মৃষ্টি হয় একটা বিশাল গ্যাপের , সেটা প্রজন্ম পার্থক্য থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক পার্থক্যে রূপ নেয় এক সময়।

এ দেশে জন্ম নেয়া ছেলে-মেয়েরা এ দেশকেই তাদের দেশ বলে মনে করে ও এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশকে তাদের মনে হয় বেড়ানোর জায়গা বা বাবা-মার দেশ। তাদের আচরনেও সেটা প্রকাশ পায়। স্বাভাবিক কারনেই এ সব ছেলে-মেয়েদের আচরন, কথা-বাতর্া, চাল-চলন সব কিছুতেই ভিন্নতা প্রকাশ পায় তাদের মা-বাবার চাইতে। বাবা-মা আপাদমস্তকে বাঙালি কিন্তু ছেলে-মেয়ে অজি।

আমি একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি। এরা জন্মসুত্রে অজি হলেও অস্ট্রেলিয়ার মুল স্রোতের সাথে মিশতে কোথায় যেনো একটা বাধা রয়েছে। পড়াশুনা , কর্মক্ষেত্রে অজিদের সাথে মিশতে গেলে সমস্যা না হলেও সামাজিক বন্ধনের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এজন্য এবিসিডি-অজি বিয়ে খুব একটা চোখে পড়া না। বাবা-মা দের দেখা যায় দেশী ছেলে বা মেয়ে খুঁজতে, সেটা দেশ থেকে আমদানি করাও হতে পারে বা আরেকজন এ.বি.সি.ডিও হতে পারে।

সাংস্কৃতিক পার্থক্যের জন্য বাবা-মার সাথে এদের একটা বিশাল গ্যাপের স্মৃষ্টি হয় যেটা আগেই বলেছি। অনেক এ.বি.সি.ডি কেই এজন্য ছোট বেলা থেকেই বাবা-মা ধর্ম শিক্ষা দিতে দেখা যায় আজ কাল। এজন্যই প্রতিটা শহরেই ইসলামিক স্কুল ও বাংলা শেখার স্কুলের অস্তিত্ত দেখা যায়। যার সংখা বাড়ছে কিন্তু ফলাফল অজানা এখনো।

ছেলে-মেয়েরা একটু বড় হলেই গার্লফ্রেন্ড বা বয় ফ্রেন্ড বানাচ্ছে, যা এখানে পুরোপুরি স্বাভাবিক। কিন্তু দেশ থেকে আসা বাব-মা দের পক্ষে সেটা মেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না । দেখা দেয় সংঘাত।

বাবা-মারা চান তাদের ছেলে-মেয়েরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি শিখুক বা জানুক । সেটা গান-বাজনা বা সাহিত্যের মতো ধারায় হতে পারে। এর জন্য তারা চেষ্টাও কম করেন না। তবে অনেক ক্ষেত্রই সেটা সম্ভব হয় না তেমন একটা। আসলে এটা ঠিক আশাও করা যায় না অনেক ক্ষেত্রে কারন ছোট বেলা থেকেই যদি সে শিক্ষা না দেয়া হয় তবে বড় হলে সেটা হয় জোর করে বড়ি গেলানোর মতো ঘটনা। এজন্য লুংগি পড়া বাবার সাথে নাকে , ভুড়ুতে পাইরেসিং করা ছেলের সংঘাত অথবা শাড়ি পড়া মায়ের সাথে লো-কাট জিন্স পড়া মেয়ের সংঘাত হতে থাকে।

আমি এটাও লক্ষ্য করেছি এদের সবকিছু অজিদের মতো হলেও সাদা অজিরা এখনো ইন্ডিয়ান বলে এদের, অজি বলে না। এতো কিছুর পরও কোথায় যেনো একটা পার্থক্য রয়ে যায়।

আমি একবার আমার এক অজি হাউজমেট কে নিয়ে বাংলাদেশীদের ইফতার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। বাহিরে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় কিছু ছোট্ট ছেলে নিজেদের মধ্য ইংলিশ কথা বলছিলো। সেটা দেখে আমার অজি হাউজমেট ব্যাংগাত্বক ভাবে বলেছিলো " যতোই ইংলিশ বলুক অজি হতে এদের শত বছর লাগবে ও শরীরের রং বদলাতে হবে " । আমার অজি বন্ধুকে দোষ দেয়া যাবে না, সে বিয়ে করেছে একজন মালয়েশিয়ান-ইন্ডিয়ান কে। সে আমার চাইতে বেশি জানে এ বিষয়ে।

ধমর্ীও পরিচয় একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁরাচ্ছে আজ কাল প্রবল ভাবে। ইসলামি নাম নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় এদের। যেটা সাদা অজিদের ক্ষেত্রে হয় না। এ জন্য অনেকে নাম পরিবর্তন করে ফেলে। নাদিয়া হয়ে যায় ন্যাড, সুমন হয়ে যায় স্যাম।

আরেক ব্যপার লক্ষ্য করেছি আমি। অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর মাইগ্রেট এসেছে ইউরোপ থেকে। কেউ কেউ বা 60/70 বছড় ধরে এখানে। এরা অজির মূল স্রোতের সাথে মিশে গেলেও নিজেদের ভাষা বা সংস্কৃতিকে হারায়নি। সেই প্রজন্ম বা এখানে জন্ম নেয়া পজন্মকে এখনো দেখা যায় নিজেদের মধ্য কথা বলতে গিয়ে নিজেদের ভাষায় কথা বলতে বা নিজেদের মতো করে সব উৎসব ঊদযাপন করতে। চায়নিজ দের ক্ষেত্রে দেখছি এরা অস্ট্রেলিয়ার সব কিছু গ্রহন করলেও নিজেদের সত্বাকে ধরে রাখতে।

এ সব এ.বি.সি.ডি নিয়ে অনেক সময় শংকা হয় আমার। হয়তো সবার ক্ষেত্রে সেটা হবে না তবে অনেকের ক্ষেত্রেই সেটা হবে। নিজেদের সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম পরিচয় হারিয়ে এক সময় তারা এমন এক প্রজন্ম হয়ে উঠবে যার আসলে কোনো নির্দিষ্ট পরিচয় নাই। তবে সমালোচোনা করলেও অনেক অনেক ব্যতিক্রম আছে এখানে। বাংলার বিভিন্ন ধমিয় বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বা উৎসবে এদের সাবলিল অংশগ্রহন আমার ধারনাকে মাঝে মাঝেই ভুল প্রমানিত করে। আশান্বিত হই।

২০০৭-০৩-১২ ২০:০৯:২৬

অস্ট্রেলিয়ায় আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন : ডর্ম 3 ( ক্রিকেট স্পেশাল )

কোন মন্তব্য নেই :
2005 এ বাংলাদেশ যখন অস্ট্রেলিয়াকে হারায় তখন আমি ডর্মে থাকি। খেলা শুরু হবার আগে অজিরা আমারে নিয়া হেভি মজা করলো। এইটা সেইটা বলে খেপানো আর কি। আমি আর কি করব....মুখ বুঝে সহ্য করা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।

রুমে বসে খেলা দেখি আমি একা। বাংলাদেশ যখন জিতে গেলো তখন প্রায় মধ্যরাত। সবাই ঘুমে। আহসান এসে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলো।

সকালে হলো আসল খেলা। সবাই জানতো আমি বাংলাদেশের এবং ওই ডর্মে আমিই ছিলাম একমাত্র বাংলাদেশী। সবাই দেখতে আসলো আমি আসলে কি দেখতে কি রকম ! যে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া কে হারিয়ে দিলো সেই বাংলাদেশ কি রকম ! আমি সুমন যেনো পুরো বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিলাম সে দিন। বিশেষ করে মেয়ে মহল থেকে আমাকে দেখার বেশি আগ্রহ ছিল। মেয়েদের ভালোলাগার প্রকাশ টা আবার অন্য রকম কি না। বেশ উপভোগ করেছিলাম সেই ভালো লাগাটা।

------------------
গতকাল বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ডকে হারানোতে মনে পরে গেলো সেই কথা আবার। আমার সাথে নিউজিল্যান্ডের মহিলা কাজ করে। তাকে রসিয়ে রসিয়ে কি ভাবে বাংলাদেশ হারালো নিউজিল্যান্ডকে সেটা বলার জন্য মুখিয়া আছি। এ সুযোগতো আর প্রতিদিন আসে না।

২০০৭-০৩-০৭ ০৪:৪১:৫৭

অস্ট্রেলিয়ায় আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন : ডর্ম 2

কোন মন্তব্য নেই :
ডর্মে ছোট্ট জীবনটা কিন্তু হেবি মজায় কেটেছিলো। বামে লিয়ান... ডানে জেস , মাঝে আমি বেচারা সুমন । জটিলস অবস্থা..........জোস একটা সময় ছিল সেটা।

সিমেস্টারের শুরুর দিকে প্রতি শনিবার রাতে ব্লকের লাউনজে একটা না একটা পার্টি লেগেই থাকতো। ফাটা ফাটি এক অবস্থা। ধুম-ধারাক্যা গান বাজনা এবং সাথে নাচা-নাচি। আশে পাশের ব্লক ও ডর্মের ছেলে-মেয়েরা আসতো কঠিন সব ড্রেস পরে।
আমি এমনিতেই একটু নারী প্রেমিক মানুষ , কি অবস্থা হতো সে আর বলতে ! প্রচুর ড্রিংক করতো সবাই। আমি নিজে ড্রিংক না করলে সবার সাথে যোগ দিতাম।
একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি , আমি যখনি বলতাম ড্রিংক আমি করি না, কেউ চাপা চাপি করতো না। কেউ কেউ অবশ্য কারন জানতে চাইতো , আমি ধমর্ীয় কারনটার কথা বলাতে তার স্বাভাবিক ভাবেই নিতো ।

বাংলাদেশের অনেককে দেখেছি ড্রিংক করাটাকে স্মার্টনেস এর অংশ মনে করে। না খেলে বলে "খ্যাত "। আজিব চিন্তাধারা পাবলিকের !

একবারের কথা বলছি.....
রুমে আমার এক বড়ভাই এসেছে। তার ধারনা ডর্মের পরিবেশ খুবি নিড়িবিলি, পড়াশুনার জন্য খুবি আদর্শ জায়গা। কপাল খারাপ বেচারার। সেই দিন ছিলো পাশের ব্লকের এক মেয়ের জন্মদিনের পার্টি। আমিও ছিলাম পার্টিতে। খানা-পিনা তুমুল ভাবে চলছিল। যাই হোক ভদ্্রলোক আসাতে আমি আমার রুমে আসলাম। দুজন গল্প করছি, হঠাৎ দরজা খুলে এক দংগল মেয়ের অনুপ্রবেশ। বড়ভাই মেয়েদের দেখেই কাইত। উনার আবার একটু আলুর দোষ ছিল। মেয়ে সকল চলে যাবার পর উনি বলেন " রুমে কি মেয়েরা আসে? " আমি একটা হাসি দিলাম , হাসির অর্থ ' না' বা 'হাঁ' যেকোন একটা হতে পারে। এমন সময় হটাৎ বাহিরে গোলমাল। বাহির হয়ে দেখি, পাশের রুমের লিয়ান ড্রিংক করে ঠিক আমার রুমের সামনে চিৎ পটাং হয়ে শুয়ে আছে, বেসমাল পোষাক। এই দেখে বড় ভাইয়ের অবস্থা খারাপ। ওটাই ছিলো আমার রুমে উনার শেষ আগমন।

বাংলাদেশের অনেক কেই যখন বলেছি একি সাথে ছেলে-মেয়ে থাকে। প্রথমেই জিগ্যেস করেছিলো " মামা কিছু কর নাই তো ! " কি ভাবে বোঝাবো একি সাথে একি ছাদের নিচে থাকলেও অনেক কিছু করা যায় না বা করা উচিৎ না। অনেক কিছুই হয় তবে ভালো থাকতে চাইলে থাকা যায়। অন্য কিছু করার জন্য বদ-খাসলতই যথেষ্ট।

আমি সবার সাথেই মিশতাম। ছেলে -মেয়ে হিসেব না করেই। ক্যাজুয়ালি মিশলে অজিদের অনেক কিছুই বোঝা যায়। আমি আমার মতো করে মিশতাম। বিভিন্ন দেশের ছেলে-মেয়েদের সাথে মেশাতে দৃষ্টির অনেক প্রসার ঘটেছিলো।
২০০৭-০৩-০৩ ০৭:২২:৩৭

অস্ট্রেলিয়ায় আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন : ডর্ম 1

কোন মন্তব্য নেই :
গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট হিসেবে গ্রাজুয়েট হাউসে থাকার কথা থাকলেও টাকার সমস্যার কারনে থাকতে পারিনি। তবে গ্রাজুয়েট হাউসের ভাব সাবি আলাদা, পুরো ফানির্সড স্টুডিও এপার্টমেন্ট।
আমি ছিলাম ওলড রেসিডেন্স নামের একটা ডর্মে। সবাই বলে "ওলড রেসি"।

প্রথম দিন রুম দেখতে গিয়ে পরিচয় হলো ব্লক মেটদের সাথে। দেখি সবাই মেয়ে !! কি আজিব অবস্থা ! মনে মনে মহা খুশি হলেও বাহিরে ভেজা বেড়াল, কারন সাথে এক বড় ভাই ছিল। সবার সাথে হান্ড শেক করে বিদায় নিলাম, তবে কারো সাথে কোলাকুলি হয়েছিল কিনা সেটা বলা যাবে না। সাথের বড়ভাই বলে " এখনি এ অবস্থা , পরে কি জানি হয় !! " পরে কিছুহয়েছিলো কিনা সেটাও বলা যাবে না (সেন্সরড)।

ব্লক F
রুম 17।

আমার ব্লকে রুম ছিল 12 টা। এর মধ্যে ছেলে 5 জন , মেয়ে 7 জন। আমার রুমের দুই পাশে দুই মেয়ে, একজন জেসিকা " জেস " আরেকজন লিয়ানা। জেস পড়তো সাইকোলোজিতে ও লিয়ানা মেডিক্যাল সায়েন্স। জেস আমাকে বেশ পছন্দও করত। কিন্তুতখন বুঝতে পারি নাই। আফসোস !!

ব্লকে আমি ও জেরেমি, এ দুজন ছিলাম গ্রাড স্টুডেন্ট। বাকীরা সবাই আন্ডার গ্রাড। 'আহসান' নামে একটা পাকিস্তানি ছেলে ছিল ব্লকে। 1970-71 এ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এডমিরাল আহসানের কথা মনে হয় অনেকে জানেন। এই আহসান ছিল তার ভাতিজা। পাকিস্তানী যে 2/1 টাকে ভালো পেয়েছি সারা জীবনে আহসান এর মধ্যে অন্যতম। আহসানের রুমের পাশেই ছিল প্লে-বয় বেনজামিন 'বেনি'র রুম । দারুন একটা ছেলে।স্কটিশ 'টমের" রুমে ছিলো হুইস্কির বিশাল কালেকশন। প্রচন্ড বন্ধুত্বপরায়ন একটা ছেলে।মাথর্া, এলিজ, থাই একটা মেয়ে ( নাম ভুলে গিয়েছি ), আনিটা, বারবারা আমার বাকি সব ব্লক মেট।

ব্লকে ডায়নিং , কিচেন একি সাথে। বাথরুম , লন্ডী্র কমন । লাউনজে গিয়ে দেখি বিশাল এক সাইনবোর্ড, সেখানে নাকি সবার বার্থডে লিখতে হবে! লিখলাম,আমারটা ছিল 3 নাম্বার সিরিয়ালে। আমার রুমে ছিল বেড, কাবার্ড, রিডিং টেবিল, একটা বার ফ্রিজ, হা্যন্ড বেসিন, ফাটা ফাটি স্পিডের ইন্টারনেট কানেকশন ও টেলিফোন। সব দেখে আমিতো মুগ্ধ। দেশে তো ওই সব চিন্তাও করতে পারিনি।

একটাই বিশাল সমস্যা, " রুমে সিগারেট খাওয়া যাবে না "।

প্রথম রাতে বাকি সবার সাথে পরিচয় হোলো।সবাই মিলে ঠিক করলাম বাহিরে ডিনার করবো। একটা ইটালিয়ান রেস্টুরেন্টে গেলাম সবাই মিলে। আমি আর আহসান চিকেন-ভেজি পিজা, বাকিরা যে যার মতো। সে বার দেখলাম অজিরা কি রকম ড্রিংক করতে পারে। বেনি 15 মিনিটের মধ্যেই মাতাল।

প্রথম দিনটা এভাবেই গেলো। শুরু হলো দারুন স্মৃতিময় একটা অধ্যায়ের।
২০০৭-০৩-০২ ০৫:৪০:০৩

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০০৭

হাজির বিরিয়ানী

২টি মন্তব্য :
বিরিয়ানী বল্লেও আসলে সেটা তেহারী। সরিষার তেলে রান্না করা, ছোটো ছোটো মাংসের টুকরা, কাঁঠাল পাতায় প্যাকেট করা অসাধারন এক সৃষ্টি।বংগ বাজার থেকে কাজি আলাউদ্দিন রোড ধরে 100 গজ আগালে হাতের ডানে টিনের ছোট্ট একটি দোকানে বিক্রি হয় হাজির বিরিয়ানী।

সকাল ও সন্ধা, এ দুবেলা বিক্রি করা হয় বিরিয়ানী। মনে পড়ছে না ঠিক কয় হাড়ি বিরিয়ানী রান্না করা হয় প্রতিবেলা। 3 কি 4 ! এর একটুকুও বেশি না কমও না।
বিরিয়ানী পেতে হলে দেরী করা চলবে না। লাইন ধরতে হয় কেনার জন্য।

একসময় আগা মাসিহ লেনে থাকতাম, হাজির বিরিয়ানীর খুব কাছেই ছিল বাসা।বাসা যখন নেয়া হয় তখন খুব খুশি ছিলাম যে বাসা নেয়া হচ্ছে হাজির বিরিয়ানীর কাছে,সকাল বিকাল যখন ইচ্ছা বিরিয়ানী খাওয়া যাবে।যদিও 1 বছরের আগা মাসিহ লেনের জীবনে একবারই খাওয়া হয়েছিল।কথায় বলে না মককার লোক হজ্ব পায় না! তখন এক প্লেটের দাম ছিল 60 টাকা, এখন মনে হয় বেড়েছে দাম।

হাজির বিরিয়ানী নিয়ে একটা মজার অভিগ্যতা আছে আমার।বাবা তখন পুলিশে কাজ করতেন। যেহেতু পুরান ঢাকার ও ই অংশের দ্্বায়িত্বে ছিলেন পুলিশের বিভিন্নঅনুষ্ঠানে হাজির বিরিয়ানী সাপ্লাই দেবার গুরু দ্্বায়িত্ব এসে পড়তো বাবার উপর।একবার এরকমই একটা অনুষ্ঠানে বিরিয়ানী দেয়া হোলো।বাবা যখন নিজের অংশ নিয়ে বাসায় আসলেন তখন কাঁঠাল পাতার প্যাকেট খুলে দেখা গেলো শুধুই মরিচ !
২০০৭-০১-২৬ ০৪:৩৫:৫৮

শীতের পিঠা

কোন মন্তব্য নেই :
খবরের কাগজে শীতের পিঠার কথা পড়ছি আর অনেক কিছু মনে পড়ে যাচ্ছে ।
চোখ বন্ধ ,ভাবছি....ভাবছি...শীতের সন্ধ্যা,রাস্তার পাশে ছোট্ট ছোট্ট দোকান,কুপির আলোতে গরম গরম ভাঁপা, চিতই , তেলে ভাজা হরেক রকম পিঠা ভাজা হচ্ছে,চিতই; সাথে শুটকি বা ধনিয়া র্ভতা!!
আহ্ ..সে কি স্বাদ!
ভাবছি কিভাবে চিতই পিঠা বানানো যায়, এ আনাড়ি কতো কিছু শিখে গেল আর এটা পারবে না ! সমস্যা হলো সেই মাটির হাঁড়িই বা পাবো কোথায় ?
ঠিক এখনি যদি কেউ চিতই , সাথে শুটকি র্ভতা এনে দিতো তাকে ভালোবাসায় ভড়ি য়ে দিতাম।
২০০৭-০১-০৫ ০৬:০৯:১০

ভাবনায় মুক্তিযুদ্ধ "জামাত -ই-ইসলামী ও অন্যান্য ধর্মজীবি দল"( উৎসর্গ ঃ হাসান মোরশেদ)

কোন মন্তব্য নেই :
ব্লগে আমার অন্যতম প্রিয় লেখক হাসান মোরশেদ কে উৎসর্গকরে আমার এ পোষ্ট, যার প্রতিটি লেখা আমাকে ভাবতে শেখায় ।
আমার সামপ্রতিক পোষ্টে হাসান ভাইয়ের কমেন্ট আমাকে কিছু লিখতে অনুপ্রানিত করেছে ।

71 এ বাংগালির মুক্তি সংগ্রাম আমি দেখিনি , যা কিছু জেনেছি তা অন্যের মুখ থেকে শোনা বা বই পড়ে । এ ক্ষেত্রে আমার সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে নিচ্ছি প্রথমেই ।

মুক্তিযুদ্ধ এক চিরন্তন সত্য এবং এ সত্যকে অস্বীকার করার ক্ষমতা কারো আছে বলে আমি মনে করি না ।71 এবং 71 পরবর্তিসময়ে জামাত এবং অন্যান্য ধর্মজীবি দলগুলোর ভুমিকা নোতুন করে বলার কিছু নাই । জামাত তাদের স্বাধীনতা বিরোধী ভুমিকার কথা যতই অস্বীকার করুক বা এড়িয়ে যাক না কেনো ইতিহাস কি বলে তা আমরা সবাই জানি ।

এ প্রসংগে ওয়ালির পোষ্ট পড়লে ভালো ধারনা পাওয়া যায় । ওয়ালি তার পোষ্টে চতুরতার সাথে 71 এ জামাতের স্বাধিনতা বিরোধী ভুমিকার কথা এড়িয়ে গেছেন যা লক্ষ্য করার মতো । এরকম আরো অনেক উদাহরন দেয়া যায় যেখানে জামাত এবং তার পাপের দোসররা ধর্মকে ব্য ব হার করেছ পাপ ঢাকার জন্য । ইতিহাস এর স্বাক্ষি ।

হাসান ভাইকে বলতে চাই জামাত যে স্বাধিনতা বিরোধী অপশক্তি এবং ধর্মকে ব্য ব হার করে তাদের পাপ ঢাকতে চায় তা অবশ্যই স্বীকার এবং বিশ্বাস করি । যে খানে বিশ্বাস করি সেখানে স্বীকার ক রার প্রশ্ন কি ভাবে আসছে ? মুক্তিযুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে ছিল না কখনই , ইসলাম রক্ষ্যা করার নামে হত্যা, লুট, ধর্ষনে অংশগ্রহন এবং স হায়তা দান ইসলাম কেই অবমাননা করা হয়। ধর্মকে ব্য ব হার করে জামাতের মিথ্যাচার অতীতে ও ছিল বর্তমানেও চলছে। ভবিষ্যতেও থাকবে যতদিন পর্যন্ত তাদের র্নিমুল করা না যায় । আজ যদি কেউ এসে বলে 71 এ সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল তাই জামাত স্বাধিনতার বিরোধীতা করেছিল বা ওটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তছিল বা পাকিসা্তনের অখন্ডতায় বিশ্বাস করে মুক্তি সংগ্রামের বিরোধীতা করেছিল বা হত্যা , ধর্ষনের সাথে তার জড়িত ছিল না ,আমি তা মেনে নেব না।
জামাতকে জিগ্যেস করতে ইচ্ছে হয় ইসলামে কোথায় হত্যা, ধর্ষনকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
জামাতকে জিগ্যেস করতে ইচ্ছে হয় যুদ্ধোপরাধ কি জিনিস।
এর উত্তর তারা এড়িয়ে যাবেই সব সময়। টেনে আনবে ইসলামকে মিথ্যা রক্ষা কবচ হিসাবে।

হাসান ভাইয়ের আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় , আর প্রতিক্রিয়া যদি জানতে চান তা হলে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের যে প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত সেটাই হবে ।

আমি যুক্তিতে বিশ্বাস করি। ফ্যাক্ট এবং ডকুমেন্টে বিশ্বাস করি , কেউ একজন এসে বল্ল আরে সেটা বিশ্বাস করে ফেলবো সেরকম নাবালক আমি না ।

আমি ধর্মে বিশ্বাস করি কিন্তু ধমর্ান্ধ না ।

আমি মনে করি সত্য ইতিহাস কখনো চেপে রাখা যায় না, পৃথিবীর ইতিহাসের প্রতি লক্ষ্য করলেই তার প্রমান আমরা পাই। অনেকেইতো চেষ্টা করেছে ইতিহাসকে নিজের মতো করে লেখার জন্য , তাই বলে কি সত্য ইতিহাস কে কেউ চেপে রাখতে পেরেছে ? জামাতও পারবে না ।এটাই আমার বিশ্বাস।

আজ এত বছর পর স্বাধিনতা শক্তির পক্ষ্য না বিপক্ষে আমার অবস্তান কোথায় তার পরীক্ষা দিতে কষ্ট লাগছে , কষ্টটা যেনো স্বাধিনতা র 36 বছর পর মুক্তিযোদ্ধা না অমুক্তিযোদ্ধা তার লিস্ট দেবার মতো। তবুও দি চ্ছি ! কারন না দিলে কেউ কেউ কালই আমাকে রাজাকার বলে ডাকা শুরু করবে।

খুব ব্যস্ততার মাঝে লেখা, লেখায় পরিমার্জন বা পরিবর্ধন করা হবে ভবিষ্যতে ।অনেক ভুল রয়ে গিয়েছে বা যা বলতে চেয়েছি তা বলতে পারিনি। আড্ডাবাজ ভাইয়ের অনুমতি ছাড়াই তার ব্লগ থেকে একটা ইমেজ ফাইল ব্যব হার করলাম।
২০০৭-০১-০৪ ০৯:৪৯:৩৯

আমার কিছু বলার ছিল ..

কোন মন্তব্য নেই :
বাংগালীর আর সব দোষের মধ্যে দলাদলি অন্যতম , আমি নিজেও এর বাহিরে নই এবং ব্লগেও এর ব্যতিক্রম দেখতে পাই নি ।
অসাধারন অনেক গল্প , কবিতা , অনুবাদ, স্মৃতিচারন এর মাঝে রাজনৈতিক আলাপ, বাক বিতন্ডাও চলে আসে । মাঝে মাঝে তা তীব্র রূপও নেয় ।

মতভেদের ভিন্নতা থাকাটাই স্বাভাবিক , মতের আদান প্রদান, যুক্তি প্রদান ও খন্ডনের মাধ্যমে একজন সুশিল মানুষ গড়ে উঠে ।
ব্লগে অনেক সুচিন্তিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পোষ্ট দেখতে পাই , অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে ও পারছি । এ প্রসংগে হাসান মোরশেদের কথা বলতে হয় , গতানুগতিকায় গা না ভাসিয়ে উনি উনার মতো লিখে যান । প্রথমে তার অনেক কিছুর সাথে একমত না হতে পারলেও যুক্তি এবং আলাপের মাধ্যমে তা কাটিয়ে উঠি ।

আরো কিছু কিছু ব্লগারও সুন্দর সুচিন্তিত পোষ্ট লেখেন , সেখানে তাদের যুক্তি বা তথ্যের সাথে আরেকজনের মিল নাও হতে পারে , আর সেটাই কি স্বাভাবিক নয় ? সেক্ষেত্রে যুক্তি তর্ক, তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভুলটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব। আর সেটা না করে কমেন্টা নিয়ে মজা করা বা ব্যক্তিগত ভাবে হেয় করার কোনো মানে হয় না বলে মনে করি।

অতীতে ( বর্তমানে ও) ইতিহাসের ভুল ব্যাক্ষা দেয়া হয়েছে অনেক, ভুল ইতিহাস বা বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হয় এখনো স্কুল কলেজে । এ ক্ষেত্রে অনেকেই ভুল বলতে পারেন বা বুঝতে পারেন, সেখানে সে মানুষটাকে লেভেল লাগিয়ে দেয়া ঠিক বলে মনে করি না।

আর এটাও মনে রাখা ভালো যে বাংলাদেশ আমাদের সবার , মুক্তিযুদ্ধ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি না যে এর বিষয়ে অন্য কেউ কিছু বলতে পারবে না ।মুক্তিযুদ্ধে আমার পরিবার যা হারিয়েছে তা অনেকেই হারান নি , এজন্য মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো কটু কথা আমাকে কষ্ট দেয় অনেক , রাগিয়ে দেয় পাগলের মতো।

একজন ইসলাম ধর্ম নিয়ে লিখলে তাকে সরাসুরি রাজাকার লেভেল লাগিয়ে দেয়া হয় , যা আমার কাছে যুক্তি সংগত মনে হয় না । কেউ যদি সরাসুরি বা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে তা হলে তাকে তার মতের জন্য যুক্তি দ্্বারা আক্রমন করা যায় বা তাকে সেই প্রসংগে স্বাধীনতা বিরোধী বলা যাবে ।

মুক্তিযুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধ ছিল না এটা প্রমানিত সত্য, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামাত ও অন্যান্য ধর্ম ব্যবসায়ী দল গুলো মুক্তিযুদ্ধের সাথে ইসলামকে গুলিয়ে ফেলে তাদের পাপ ঢাকতে চায় , এটাও আমরা জানি । এক্ষেত্রে কেউ যদি ইসলামকে ব্য ব হার করে নিজের পাপ বা অপকর্মঢাকতে চায় তা হলে তাকে অবশ্য ই রাজাকার বলে আক্ষায়িত করা যাবে ।

কিন্তুআজ আমি ইসলামের কথা বল্লাম , ইসলামি অনুশাসনের কথা বল্লাম আর সাথে সাথে আমাকে রাজাকার বলে দেয়া বা তাদের তল্পিবাহক বলে দেয়া হবে তা আমি মানতে রাজি নই।

আমার মতের সাথে মিল্লেই তুমি সাধু আর না মিল্লেতুমি শয়তান অথবা হয় তুমি আমার পক্ষে না হয় শত্রু পক্ষে ,এটা কি ধরনের কথা !? আমি কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে বলছি না কারন এরকম কোনো কিছু আমার ক্ষেত্রে ঘটেনি এখনো ।
কিন্তু কিছু মানুষের আচরনে এর ব হিঃ প্রকাশ দেখা যায় ।

প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব চিন্তা চেতনা , ভাবনা থাকে, কারো কম কারো বেশি। নিজেকে বুদ্ধিমান ভেবে অন্যকে বোকা ভাবার মতো বোকামি আর কিছু হতে পারে না । কিছু মানুষের মধ্যে এ রকম প্রবনতা দেখা যায় । যা মজা দেয় অনেক।

এখানে যা কিছু বল্লাম তার সবকিছুই আমার ব্যক্তিগত চিন্তাপ্রসুত,কাউকে আঘাত করে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
সময়ের সাথে মানুষের ভাবনার পরিবর্তন হয়, আমারো হবে, শিখছি এখনো ।

মাহবুব সুমন
ক্যানবেরা
4 জানুয়ারি 2007
২০০৭-০১-০৩ ১৫:১৪:২৩

বাংলাদেশ ও রাজনীতি " বর্তমান ও ভবিষ্যত " আমার ভাবনা

কোন মন্তব্য নেই :
রাগ ইমনের আপাত রাগী লেখা দেখে আমারো কিছু লেখার ইচ্ছে হোলো।
কোনোরকম তাতি্বকতা ছেড়েই এলেবেলে এ লেখা এবং একান্তই আমার চিন্তা - চেতনা প্রসুত।

বর্তমানে যে তত্বাবধায়ক সরকারের শাসন চলছে তার স্বপক্ষে আমি পুরোপরি। যে অচলাবস্থা চলছিল তার নিরসন দরকার ছিল আশু এবং তার ফল হিসেবেই ড. ফখরুদ্দীন ের নেতৃত্বধীন সরকার। দিস্তার পর দিস্তার কাগজতো খরচ করেছিলেন তো কলাম লেখকরা বা আমরা সামহোয়ারইন সাভর্ারের মেগা বাইটের পর মেগাবাইট তো ব্যব হার করেছি , কোনো সমাধান তো দিতে পারিনি। আমি মনে করছি এ তত্বাবধায়ক সরকার অনেক দিনই থাকবে এবং তা থাকা দরকার।

অবশ্য এর কার্যকর্মের উপরও নির্ভর করবে এর মেয়াদকাল। আপাদ দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এ সরকার সময় নেবে , তবে সময়কাল এ মুহুতেই বলা সম্ভব না।

আর জলপাই ওলাদের প্রভাব? সেটা সব সময়ই ছিল।ভবিষ্যতেও থাকবে যতদিন না পর্যন্ত আমাদের অর্থনীতি ও গনতন্ত্র সবল না হয়।

বিউটি আপা ও আনু ভাইদের প্রভাব ? সেটাও একি ভাবে বলা যায়।সটা সব সময়ই ছিল।ভবিষ্যতেও থাকবে যতদিন না পর্যন্ত আমাদের অর্থনীতি ও গনতন্ত্র সবল না হয়।

সাধারন মানুষ তত্ব বিশ্বাস করে না ম করে প্রয়োগে। দেশের রাজননৈতিক দক গুলোর যারাই ক্ষমতায় ছিল তারা সবাই তা পূরন করতে ব্যার্থ হয়েছে।

মানুষ তো বিকল্প খুঁহবেই , আর এটাই স্বাভাবিক।
মানুষ শান্তি চায় আর সে শান্তি যে ভাবেও আসুক না কেনো সেটা তাদের মাথা ব্যাথা না।
মানুষ চায় 3 বেলা পেট পুরে খেয়া ছেলে পুলে নিয়ে শান্তিতে ঘুমুতে ।তবে পাবলিকে এতো বোকা ভাবা ঠিক না,
ইতি হাস প্রমান করে যে বাংলার মানুষ বোকা না।
২০০৭-০১-২১ ০৪:৩৬:১০

বাংলাদেশও বর্তমান রাজনৈতিক ধারা > পরিবর্তন ? না চলবেই ...

কোন মন্তব্য নেই :
একজন সাধারন মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ধারা আমাকে প্রচন্ড হতাশ করে।
সারা পৃথিবী যখন প্রচন্ড গতিতে সামনে এগিয়ে যা েচ্ছ আমরা দিন কে দিন শুধুই পিছিয়ে যাচ্ছি।
কিন্তুদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভুমিকাই অগ্রগন্য। দেশ কি ভাবে চলবে, কি ভাবে উন্নতি করবে, দেশের মানুষ কিভাবে শান্তিতে দুমুঠো খেয়ে ঘুমুতে যাবে তা নিশ্চিত করাই রাজনৈতিক দলহুলোরই দ্্বায়িত্ব।

1972 - 1975 আওয়ামি লীগ।
1975 - 1981 জেনারেল জিয়া তথা আজকের বি.এন.পি
1981 - 1990 এরশাদ তথা জাতীয় পার্টি
1991 - 1996 খালেদা জিয়া তথা বি.এন.পি
1996 - 2001 শেখ হাসিনা তথা আওয়ামি লীগ
2001 - 2006 খালেদা জিয়া তথা বি.এন.পি

স্বাধীনতার পর 35 বছরে বাংলাদেশের প্রধান দলগুলো প্রত্যকেকই ক্ষমতার পরশ পেতে দেখা গিয়েছে । কিন্তুকারো কাছ থেকেই দেশের মানুষ যা আশা করে তার কোনোকিছুই পাওয়া যায় নি।প্রত্যকেকেই দেখা গিয়েছে নিজের আখের গুছাতে।দেশের মানুষ যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে। উন্নতি হয়েছে দল গুলোর নেতাদের, আর ছাগলের 3 নাম্বার বাচ্চা হিসেবে আমরা যা ছিলাম সেই আছি।বোকার মতো দল গুলোর লেজুর বৃত্তি করছি।রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে কিছু আশা করাই এখন বোকামি , চরম ভুল।

35 বছর আগের পৃথিবীর দিকে একবার তাকালে কি দেখা যায় !35 বছর আগে পৃথিবীর অনেক দেশই আগে আমাদের পেছনে ছিল আর কোথায় তারা আজ ?আর আমরা কোথায় ?

রাজনৈতিক দল গুলো আসলে এমন কি কিছু করেছে যা দ্্বারা দেশের আমুল পরিবর্তন আসতে পারত ?হয়ত তারা নিয়েছে কাগজে কলমে কিন্তু তার বাস্তবায়ন কি তারা করেছে ?আজ সব কিছুর পুনমুল্যায়ন করার সময় এসেছে।
আজ যদি আমরা না করি তা হলে যা ছিলাম তাতেই রয়ে যাবো।
দেশের ভালো মানুষগুলো আসলে অনেক ভীতু হয়ে গিয়েছে খারাপ মানুষের দৌরত্ব্যে।
কেউ কি একজন আসবেন আমাদেরকে সামনে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ? সেদিন কি অনেক দূরে ?
২০০৭-০১-০৮ ০৮:১৩:৫৭

মুক্তিযুদ্ধ : " বাবার চিঠি "

1 টি মন্তব্য :
প্রিয় আব্বু,

আশা করি ভালো আছো, এখানে আমরা সবাই ভালো।
তোমার চিঠি পেলাম দুই দিন আগে, তুমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার ভাবনা এবং অভিগ্যতা জানতে চেয়েছ।
35 টা বছর যে কিভাবে কেটে গেলো বুঝতেই পারলাম না , মনে হয় এইতো সেই দিন।
সোনালী সব দিন ছিল সব।

25 শে মার্চের ক্রাকডাউনের পর সবকিছু যেনো পালটে গেল, এ রকম যে কিছু একটা হবে তা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, প্রস্তুতিও ছিল। রাজনৈতিক নেতাদের দিক নির্দেশনা ছিল কিন্তু কিছুটা সিদ্ধান্ত হীনতা আমাদের কিছুটা আশাহত করেছিল।

ভাবছিলাম কি ভাবে যুদ্ধে যাওয়া যায় , ভারত সীমান্ত কাছে থাকাতে যুদ্ধে যোগ দেওয়া টা স হজ ছিল আমার জন্য । শিলিগুড়ির কাছে একটা ইয়থ ক্যাম্পে রিপোর্টকরলাম এপ্রিলের শেষের দিকে। শারিরীক পরিক্ষাতেও উতরে গেলেও সমস্যা হলো পরবর্তিধাপে। বামপন্থি মতবাদের অনুসারী হওয়াতে যোগ দিতে পারলাম না, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নেও অবাক হয়ে দেখতে পেলাম রাজনীতি র নোংরা খেলা । মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে পারলাম না।

ভাবছিলাম কি করা যায়, চলে গেলাম রৌমারিতে। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় একমাত্র রৌমারিতে ই পাকিস্তানি রা পা রাখতে পারেনি। স্বপ্ন পূরন হলো। যুদ্ধে যোগ দিলাম। প্রবাসি সরকার স্বীকৃত ক্যাম্প না হওয়াতে মুলত সেক্টর কমান্ডারের আওতায় মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমরা যুদ্ধ করতাম।

এর অনেক পর সেক্টর 2 এ যোগ দিলাম। মেজর খালেদ মোশাররফ ছিলেন সেক্টর কমান্ডার। আসাধারন একজন মানুষ ছিলেনতিনি।সেক্টর 2 তে এসে বামপন্থি অনেক বন্ধু ও সতীর্থপেলাম। সেক্টর 2 তেই কোনো পন্থি না দেখে মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট করা হতো।

অনেক কষ্টের দিন ছিল সে সব। এতো কষ্টের মাঝেও হাসি মুখে যুদ্ধ করে যেতাম, দিন গুনতাম কবে দেশ স্বাধীন হবে। টানা 8 মাস বাবা-মাকে দেখতে পাইনি , যোগাযোগও করতে পারি নি , অনেক ইচ্ছে হতো, কিন্তু পারতাম না। তখন তো আর এখনকার মতো মোবাইল বা টেলিফোন ছিল না।

যুদ্ধের সময় এমনও হয়েছে টানা 2/3 দিন আধ পেট বা না খেয়ে থেকেছি , ঠান্ডায় গরম কাপড় ছিল না, বৃষ্টিতে ভিজেছি অনেক দিন, মাইলের পর মাইল হেঁটেছি, ক্নান্ত লাগলেও পরোয়া করিনি ।যুদ্ধের গল্প না হয় আরেক দিন বলব তোমাকে।

17ই ডিসেম্বরে ঢাকায় প্রবেশ করলাম আমরা , সে এক অন্যরকম অনুভুতি।

তোমার আব্বু
ঢাকা
------------------------------
চিঠিটা অনেক সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে কিছু পারিবারিক কথা থাকাতে।মুল সুরটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।
২০০৭-০১-০৫ ০৭:৪৭:২৯

ক্যানবেরার গল্প : আমার দিনকাল

কোন মন্তব্য নেই :
সপ্তাহে দুদিন আমার টোটাল অফ থাকে , মানে কোনোই কাজ থাকে না , বাকি 5 দিন তমুল ব্যস্ততা।

সপ্তাহের এ দুদিনের প্রথম দিনটা আমি বাসাতেই কাটিয়ে দেই। আমি একাই থাকি পুরো বাসায়। দূপুর পর্যন্তনাক ডেকে ঘুমাই, ঘর - বাড়ি পরিস্কার করি, কাপড় ধুই, বাজার করি , রান্না করি ভালো-মন্দ কিছু, অফিসিয়াল কিছুকাজ থাকলে তা শেষ করি।

দ্্বিতীয় দিন টা ঘুরে বেড়াতে চেষ্টা করি , সব সময় যে হয় তা না, তারপরো চেষ্টা করি। এই যেমন মুভি দেখতে যাওয়া, বাহিরে কোথাও খাওয়া - দাওয়া করা বা যা ইচ্ছা করা বা মাঝে মাঝে কিছু পুরোনো অজি বন্ধু- বান্ধবীদের সাথে দেখা করার জন্য ক্লাবে যাই। আমার পানের অভ্যাস না থাকাতে কোক পান করেই সংগ দিতে হয় তাদের, মজা করে এজন্য কেউ কেউ আমাকে কোক ম্যান ও বলে থাকে।

কাল আমার প্রথম অফ ডে ছিল।প্রচন্ড মাথা ব্যাথা নিয়ে রাতে ঘুমাতে গিয়েছিলাম। সাত সকালে ফোন! মেজাজ টাই বিলা হয়ে গিয়েছিল। দুপুরে দাওয়াত ছিল এক সিনিয়র বন্ধুর সাথে। তিনিই ফোন করে বিকেলে সিফট করলেন প্রোগর্যাম। আমাকে নিতে আমার বাসালেন 5 টার , আগেই সব ঠিক করা ছিল। সবাই মিলে বোলিং খেলতে গেলাম, মজার খেলা কিন্তু বাসায় এসে বুঝতে পেরেছিলাম যে খবর আছে! এখন হাত ও কাঁধ ব্যাথা করছে সামান্য, অনেক দিন পর খেলাতেই মনে হয় এরকম হ েচ্ছ।ভালোই খেলতে পারি বোলিং নামের বিজাতীয় খেলাটা, মজাও লাগে অনেক।বোলিং শেষে সবাই মিলে রেস্টুরে ন্টে খেতে গেলাম। মেক্সিকান রেস্টুরেন্ট। মেক্সিকান খাবার আমার বেশ লাগে। ঝাল ঝাল, অন্য সব বিজাতীয় খাবারের মতো "পানসে বা শুধুই সিদ্ধ বা হালকা ভাজা " না, ভেতো বাংগালি আমি, ঝাল ছাড়া আমার চলে না।

দু এক জন কে দেখলাম হালাল হারাম নিয়ে মাথা ঘামাতে! আমি পর্কখাই না , ব্যাস। খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই যার যার বাড়ির উদ্যেশে রওনা , সেই দুএকজন কে দেখলাম একটু টলতে , মনে হয় একটু বেশিই টেনে ফেলেছিলেন, হায়রে হারাম- হালাল !

রাত 9:30 এ বাসায় আসলাম, আকাশে তখনও আলোর ছোঁয়া। সন্ধ্যা হয় 8 টায় এখন, কিন্তু সর্ূয্য মামাকে খেলা করতে দেখা যায় 9 টার আগ পর্যন্ত।

দিনটা ভালোই গেলো।আজ সারাটা দিন বাসাতেই, কিছুই করার নাই, অলস দিন । সন্ধ্যায় একটু বের হতে পারি, সবার সাথে যোগাযোগ করছি, আবার নাও পারি। মুডের উপর নির্ভর করছে।

মাহবুব সুমন
11 জানুয়া ির 2007
ক্যানবেরা।
২০০৭-০১-১১ ০২:৪১:৪৪

ব্লগ ও বাংলাদেশ

কোন মন্তব্য নেই :
সামহোয়ারইন ব্লগের মাত্র 3 মাসের শিশুআমি। বিচিত্র বিষয় নিয়ে লেখা পড়ছি এখানে। দিন লিপি, কবিতা, ছোট গল্প , রেসিপি, ভ্রমন কাহিনী,অনুবাদ , ছবি ব্লগ, সিনেমা, ব্যক্তিগত অনুভূতি,সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি , মুক্তিযুদ্ধ, কি নেই এতে।

তাৎক্ষনিক মন্তব্য , তর্ক- বিতর্কে জমে উঠে আলোচনা , উপভোগ্যও হয়ে উঠে তা।
মাঝে মাঝে তা বিরক্তের উ েদৃক ঘটালেও বাংলায় পড়া ও লেখার আনন্দ তা ভুলিয়ে দেয়।

ব্লগে অনেক কিছু নিয়ে লেখা থাকলেও বাংলাদেশ ও তার সমস্যা কিছু দিন লেখার অনুপস্তিথি লক্ষ্য করেছি।
আমরা কি লিখতে পারি না এই সব সমস্যা নিয়ে , কি ভাবে এই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে তা নিয়ে?
রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা যেমন আমরা করি তেমনি কি আমরা করতে পারি না কি ভাবে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার পরি বর্তন ঘটতে পারে !

আমরা কি পারি না বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি সাধন কি ভাবে করা যায় !অনেক কিছু নিয়েই তো আলোচনা করা যায়,যেমন : স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, আইন - শৃংখলা , খাদ্য , মানবিক মূল্যবোধ ইত্যাদি।

আরো অনেক অনেক কিছুই আসতে পারে আমাদের আলোচনায়।71 এ মুক্তিসংগ্রাম যেমন ছিল স্বাধীন দেশ গড়ার সংগ্রাম ঠিক তেমনি এখন দরকার অর্থনৈতিক সংগ্রাম। সারা পৃথিবী যে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সে ভাবে আমরা কিন্তু এগিয়ে যেতে পারছি না। বরনচ পিছিয়ে যাচ্ছি অনেক ক্ষেত্রেই।

ব্লগে অনেক শিক্ষিত -প্রগ্যাবান মানুষ আছেন যারা শুরু করতে পারেন এ নিয়ে, আমরা যারা সাধারন পাঠক আছি তা পড়ে যেমন শিখতে পারব তেমনি আলোচনায় অংশগ্রহনও করতে পারবো।কিছুদিন থেকে বাংলাদেশ সমর্্পকে ভাবছি, এ ভাবনা থেকেই এ লেখা।

** ঠিক এই মুহূর্তে খবর পেলাম দেশে জরুরী অবস্থ ঘোষনা করা হয়েছে। চরম উৎবিগ্ন আমি ।
২০০৭-০১-১১ ০৮:৩১:২১

আমার সিগারেট ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক

কোন মন্তব্য নেই :
আজ দুপূরে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন সম্পর্কেজানতে চেয়েছিলাম সবার কাছে।

সুনির্দিষ্ট কোনো ধারনা না পেলেও বুঝতে পেরেছি তা এতই ন গন্য যে এই আকালের বাজারে তা বলতে অনেকেই কষ্ট বা লজ্জা পান।

ধরে নিলাম তা সর্বসাকুল্যে 5,000/ মাস।
5000 * 12 = 60,000/বছর।
আমার সিগারেটের পেছনে খরচ টাকার হিসেবে 5,500/মাস5500 * 12 = 66,000/বছর।
তার মানে দারাচ্ছে ,আমি যে টাকা বাতাসে উ ড়িয়ে দেই বছরে তা দিয়ে একজন শিক্ষক সংসার চালান সারা বছর।

হঠাৎ কেনো জানি ছোটবেলায় পড়া পন্ডিত মশাই ও লাট সাহেবের কুকুরের গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো।যে মানুষগুলো কষ্ট করে সারাটা জীবন দিয়ে দেন আমাদের মানুষ ( ! ) করার জন্য তার কষ্টের উপার্জনের সম পরিমান টাকার সিগারেট আমি ফুকে উড়িয়ে দেই।
ভাবতেই লজ্জা ও কষ্ট লাগছে। নিজেকে কেমন জানি মনে হচ্ছে।

আপনারা কি ভাবছেন এত সব ভেবে আমি সিগারেট ফুঁকা ছেড়ে দেব!নাহ্ !! এসবই হলো অলস মস্তিস্কের ভাবনা, টিপিক্যাল মধ্যবিত্ত সুলভ কথা।
এখন হয়ত ভাবছি , কষ্ট লাগছে , কিছু ক্ষন পরে সবি ভুলে যাবো।
আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে অন্যকিছুনিয়ে ভাববো।
কিন্তু বিবেক? সেও কি ভুলে যাবে?
২০০৭-০১-০৯ ০৬:০৪:৩২

ছোট গল্পের প্লট : বড় দারোগা

কোন মন্তব্য নেই :
থানার ছোট্ট অফিস ঘরে বসে বসে বড় দারোগা ঘামছেন, চার খলিফার এক খলিফা এসে হুমকি ধামকি দিয়ে গেল।
মনটাই খেঁচে আছে,
শালা...বয়স মাত্র 24 , সদ্য সারদা শেষ করেই ও.সি হিসাবে সরাসুরি পোষ্টিং।
মনে পড়ছে মুক্তিযুদ্ধের দিন গুলোর কথা, চার খলিফার 3 খলিফাই তার সাথে ফ্রন্টে ছিল, আরেকজন পার্কস্ট্রিটের ফ্রিডম ফাইটার।
এই 3 বছরে কি পরিবর্তনই না সবার মাঝে।
ক্ষমতাই কি পরিবর্তন করে দেয় সবাইকে ? কি জানি।
বিকালে রক্ষি বাহিনীর ক্যাম্পে যেতে হবে একটু।ক্যাম্প কমান্ডারের তলব।
এদিকে আবার সর্বহারাদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে খুব। কোন দিন যে থানা অ্যাটাক হয় বলা যায় না। সেই দিন গুরুদাসপুর থানা লুট হয়ে গেলো দিনে দুপুরে। ঘুমানোর সময়ও সাথে স্টেন গান নিয়ে ঘুমাতে হয়।কি যে দিন কাল পড়েছে !
মাঝে মাঝে মন টাই খারাপ হয়ে যায়। কি সব আগুন ছেলে সব, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষিত সব ছেলে।
সেই দিন রক্ষি বাহিনীর ক্যাম্পে গুলি খাওয়া ছেলেটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বলেছে ক্রসফায়ার, কিন্তুসারা শরীরে টর্চারের দাগ।
------------
মাহবুব সুমন
12 জানুয়ারি
ক্যানবেরা।
২০০৭-০১-১২ ০৬:৩৯:৩৬

সেক্সুয়াল এবিউসিং : নারী

1 টি মন্তব্য :
২০০৭-০১-২৫ ০৯:১৫:৫৮

জীবনের সর্বক্ষেত্রে মেয়েদের যে সব সমস্যার সমু্যক্ষিন হতে হয় তার মধ্যে সেক্সুয়াল এবিয়সিং অন্যতম।

সেটা অনেক জায়গাতেই হতে পারে। নিজ পরিবারের মধ্য থেকে যেমন হতে পারে ঠিক তেমনি হতে পারে কর্মক্ষেত্রে। নিজ পরিবারের খুব আপন জনের কাছ থেকে তা হলে সেই নিস্পাপ মেয়েটাকে বয়ে বেড়াতে হয় সারাটা জীবন। শারীরিক ও মানসিক যে আঘাত সে পায় তার রেশ রয়ে যায় সারাটা জীবন কারন অনেক সময়ই এটা ঘটে খুব অল্প বয়সে। এ সময় মেয়েটা পারে না কউকে বলতে , না পারে সইতে।

কৈশরে এসে মেয়েদের সমস্যাটা আরো বেড়ে যায়। এ সময় পড়াশুনা ও অন্যান্য কাজে তাকে বাহিরে বেরুতে হয়। ইভ টিজিং এর সমু্যক্ষিন হতে হয় সে সময়।এটা যে সব সময় শুধুই অল্প বয়স্ক ছেলেদের কাছ থেকেই তা নয় অনেক সময় মধ্যবয়স্ক লোকদের কাছ থেকেও চলে আসে।বাসে উঠার সময় বাসের স হকারীর অযাচিত স্পর্শ , বাসে বসা বা দাঁরানো অবস্থায় বাজে স্প র্শের মতো সেক্সুয়াল এবিউসিং এর মুখোমুখি হতে হয় মেয়েদের প্রতিনিয়ত।এ ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করলেও শুনতে হয় ' এতই যদি সূচিবায়ুতা তখন নিজের গাড়িতে চড়েন না কেনো ?' এ সময় সে মেয়েটার চুপ করে থাকা ছাড়া আর করার কিছু থাকে না।

স্কুল -কলেজে স্নেহের নামেও অনেক পুরুষ শিক্ষকের শারীরিক স্পর্শস হ্য করতে হয়, অনেক সময় প্রতিবাদ করলে মেয়েটাকেই খারাপ বেয়াদব মেয়ের লেবেল লাগিয়ে দেয়া হয়।

অফিসে কাজ করার সময় ও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। বস বা স হ কর্মির বাজে কথা ও স্পর্শস হ্য করতে হয়। অনেক কথাই আছে যে গুলো মেয়েদের সামনে বলা যায় না বা বলা উচিৎ না, সে কথাগুলোই উদ্দেশ্যমুলক বলা হয় মেয়েদের সামনে । এক ধরনের মর্ষকামীতা কাজ করে এ সময়।

সেক্সুয়াল এবিউসিং যে শারিরীক বা ভারবাল ভাবে হয় তা না, সেটা মানসিক ভাবেও হতে পারে।

দেশে আইন আছে এর প্রতিকারে কিন্তু এর সফল প্রয়োগ কি দেখা যায়?
এর জন্য দরকার সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা ও শিক্ষা।

রেটিং:০.০/০
১৬টি মন্তব্য
২৩১বার পঠিত
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৫:১৮:১৪
আপনার বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত.....পর্্রেয়াজনীয় লেখা... আমাদের এসব ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার...
ভাসমান বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৫:৪৫:০৪
ভালো পোষ্ট। আইন দিয়ে হবেনা যদিনা আমরা নিজেদের মানসিকতা ন িবদলাই।
হারাধন বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৫:৫৯:৪৮
ব্যান আনব্যানে জীবন শ্যাষ
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৬:০১:৪১
এরশাদ, আপনার কমেন্ট আমার পোস্টের মূল সুরের সাথে খাপ না খাওয়াতে ও আমার কাছে নোংরা মনে হওয়াতে মুছে দিয়েছি। আবারো মুছবো।আর পোস্ট প্রথম পাতায় আসবে কি অন্য পাতায় আসবে সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। ব্যান করছি না।
হারাধন বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৬:০২:৩৯
Sexual Abuse not Sexual Abusing
মোহাম্মদ এরশাদ বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৬:০৬:০৯
হ বইসা বইসা কমেন্ট মুছেন.........পুরা আউলা......................
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৬:১০:৫৮
ধন্যবাদ @ হারাধন, সংশোধন করছি।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৬:১৩:৩৭
পোস্ট ভালৈছে।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৬:৪৬:০১
হ পোস্ট ভালৈছে, কিন্ত অনেক কিছুই মনে হৈলো বুঝলাম না!
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৭:০৮:৫২
হুমম।ভাল ভাল!!! (ক্লেজআপহাসি)
রাকিব হাসনাত সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৭:১১:২৬
হুমম
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৭:১৩:২৫
সমস্যা সমাধানের পথ কি?
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৭:১৭:২৪
কর্পরেট অ্যাফিলিয়েশন বেড়ে যাওয়া কী অ্যাবিউজ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারন?
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৮:০৮:৫৫
একমত মাহবুব ভাইয়ের লগে কিন্তু একটু কথা আছিল কিছু মাইয়া নিজের কারনেই এইসবের স্বীকার হয় এইডা মানেন?
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-২৫ ১৮:৩১:০৬
ওহ!! নো!! এগুলাও সম্ভব? (চামহাসি)
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-২৬ ০১:৩৯:০১
কেউ খুন হলে, সেই ক্রাইমটার কোন জাস্টিফিকেশন নেই। যে খুন হয়েছে সে কোন ভাবে খুনীর রাগকে উসকে দিয়েছে, কিন্তু তারপরও একজন প্রাপ্তবয়স্ক খুনীর খুনের দায় সম্পূর্ণ তারই।শিশুদের তো উসকে দেয়ার কোন উপায় নেই। তারপরেও তো শিশুরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।কলিগদের সামনে তাদের হজম ক্ষমতার বেশি ডোজের এক্সপ্লিসিট কথা বলে শক থেরাপীর মাধ্যমে যেই মর্ষকামী আনন্দ পায় কিছু পুরুষ, তার ভার্চুয়াল প্রমান ব্লগে পেয়েছি। কোন মেয়েকে হ্যারাস করার ইচ্ছা থাকলে, ইহা একটা ভালো অস্ত্র। :)

বুধবার, ১৩ জুন, ২০০৭

রিপ্পি : আমার হারিয়ে যাওয়া বন্ধু

কোন মন্তব্য নেই :
২০০৭-০১-১৪ ০০:১৭:২৯

( আমার হারিয়ে যাওয়া বন্ধু" রিপ্পিকে " উৎসর্গকরে )

রিপ্পি , আমার দেখা অন্যতম প্রতিভাবান একজন মানুষ। খুব ঘনিষ্টতা ছিল না ওর সাথে, আমি সায়েন্স আর ও আর্টস। তারপরো কেনো জানি পছন্দ অপছন্দ দুটাই করতাম।

পড়াশুনায় চরম অমনোযোগী কিন্তু প্রতিভাবান একটা ছেলে। দারুন রেজালট।স্কুলে আমার সাথে থাকলেও কলেজ ছিল ঢাকা কলেজ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক এডমিনে পড়তো। গিটারে অসাধারন হাত, মিউজিকে আসীম আগ্রহ।জেমস দার সাথে গিটার বাজাতো সেই সাথে মদ-গাঁজার সাথি।

হঠাৎ হারিয়ে গেলো আমাদের কাছ থেকে কোনো এক ডিসেম্বরের শীতের রাতে। ব্রেন হেমোরেজ বল্লেও মৃত্যুর পেছনে ছিল মদ খেয়ে মাতাল হয়ে মেঝেতে পড়ে মাথায় আঘাত।
ইত্যাদিতে " রিপ্পিকে মনে পড়ে " গানের মাধ্যমে পথ চলা শুরু।মৃত্যুর কিছুদিন আগেই বের হয়ে ছিল ওর প্রথম অ্যালবাম " রিপ্পি কে মনে পড়ে "।
কিছু উদ্দাম দিন ও রাত কেটেছিল ওর সাথে।
খুব রাগ করত যখন বলতাম কেনো ও জেমসদা কে কপি করে। বলত গুরুকে করব না তো কাকে করব?

আজ কেনো জানি রিপ্পিকে মনে পড়ছে খুব।

স্টিভ ওয়া ও আমি

কোন মন্তব্য নেই :
২০০৭-০১-১২ ১১:১৭:৪০

ক্যানবেরাতে তখন প্রায় নতুন।

একদিন দুপূরে ক্যানবেরা সিটি সেন্টারের ফুড কোর্টেম্যাকডোনালডের কিউয়ে দাঁড়িয়ে আছি। প্রচন্ড খিদা,অন্যান্য ফাস্ট ফুড চেইনের মধ্যে ম্যাককেই সবচেয়ে সস্তা বলা যায়।
বেশ ভিড় আশে পাশে।
সামনে তাকিয়ে দেখি স্টিভ ওয়া, আমিতো অবাক, সেও কিউয়ে !!
তেমন জটলা নেই তাকে ঘীরে, সবাই তাকিয়ে দেখছে কিন্তু অহেতুক কোনো বাড়াবাড়ি নেই যা বাংলাদেশে হতে পারতো।
কোনো বিদেশী ক্রিকেট স্টারকে সামনা সামনি দেখেছিলাম প্রথম বারের মতো।
পরে না চোখের পলক, এ রকম অবস্থা আমার।
ভাবছিলাম বাংলাদেশে এরকম হলে কি রকম হতো!
স্টিভ ওয়াকে কি কিউয়ে দাঁড়াতে হতো ?নাকি তাকে নিয়ে ঠেলাঠেলি পড়ে যেতো?কি জানি।

রুটি এবং কষ্ট

কোন মন্তব্য নেই :
২০০৭-০১-০২ ০০:১৫:২২

রুটি বানানো শিখছি মহা উৎসাহে , আকৃতি যাই হোক না কেনো ,নিজের সৃষ্টিতে নিজেই মুগ্ধ ।

রুটি খাবার সময় হঠাৎ মনটা খারাপ হয়ে গেল।বেশ অনেক বছর আগের কথা ।
আরিচা ঘাট ,ঈদ করার জন্য গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি সবাই, অনেক সংগ্রামের পর ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাওয়া গেল , সে এক অন্যরকম অনুভূতি , যুদ্ধ জয়ের মতো কিছুটা ।
ফেরিতে উঠে সবাই মিলে ম হা আনন্দে চালের আটার রুটি ও মুরগির রান চিবুচ্ছি ।

গাড়ির পাশে দেখতে পেলাম একজন মানুষকে, সাথে একটা পুটুলি , সে খানে হয়তো আছে মেয়ের জন্য কেনা লাল জামা বা বউ য়ের জন্য কেনা একটা শাড়ি । শক্ত লাল আটার রুটি খাচ্ছে সে, শুধুই রুটি , সাথে কিছুই না! খুবি সাধারন একজন মানুষ , সেই মানূষদের একজন যাদের আমরা মফিজ বলে উপ হাস করে মজা পাই । সেও ঈদ করার জন্য বাড়ি যাচ্ছে আমাদের মতো , সারাটা বছর হাড় ভাংগা খাটুনি খেটে বাড়ি যাচ্ছে ।রুটি খাবার সময় হঠাৎ করে মনে পরে গেল আজ তাঁর কথা।

নিজেকে নিজের কাছে কি রকম জানি মনে হচ্ছে এখন, কতো আরামে আছি , বড় বড় কথা বলে বাহাবা নিচ্ছি , দেশের কথা ভেবে ভেবে ক্লান্ত হচ্ছি ।
কদিন ধরে কি জানি হয়েছে আমার, বুঝতে পারি না , অলস মস্তিস্কে র আলাপন ? নাকি শেকড়ের সাথে সাথে যুদ্ধ !

অলস মনে জাবর কাটা..

কোন মন্তব্য নেই :
মাঝে মাঝে খুব ক্লান্ত লাগে এই যান্ত্রিক জীবনে।
সেই একি রুটিন চলে আসছে গত 3 টা বছর ধরে। মোবাইলে এলার্মসেট করে দিন চলা, ঘড়ির কাঁটার সাথে নৃত্য।

মাঝে মাঝে মনে হয় কেনো এ স্বেচ্ছা নির্বাসন ! কিন্তুআবার এ ও মনে হয় আমিতো স্বইচ্ছায়ই বেছে নিয়েছি এ জীবন। ইচ্ছে হয় সব ছেড়ে ছুড়ে ফীরে যাই দেশে,কিন্তু বাস্তবতা চোখ রাঙায়। সোনার চামচ মুখে নিয়েতো আর জন্মাইনি যে জীবনকে নিয়ে জাগলিং করবো।

পড়াশোনার করচ যোগাবার জন্য পাশবিক কষ্ট ই না করতে হয়েছে।

পড়াশোনা শেষ করবার পরও নিশ্চিন্তে নিঃশ্বাস যে ফেলবো তারও যো নেই। জীবনের ইঁদুর দৌড়ে পিছিয়ে পড়বো যে!কত মজার মজার গল্প করেছি সবার কাছে , প্রবাস জীবনটাকে রঙিন করে তুলেছি।

বলিনি ঠান্ডায় কষ্ট করার কথা , বলিনি একবেলা খেয়ে টাকা বাঁচাবার কথা।

লাল টুকটুকে একটা গাড়ি কিনেছি বলে মিথ্যে বলেছিলাম মাকে , কিন্তু বলিনি সেই রাতেই কন কনে ঠান্ডায় 5 কিলোমিটার হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফেরার কথা।ছোট ভাই-বোনের আব্দার, বাবা-মার আশা, বউয়ের স্বপ্ন; সবকিছুই আটকে রাখে এই কষ্টের জীবনে।খুব অস হায় লাগে মাঝে মাঝে। হতাশ বোধ করি। কিন্তু স্বপ্ন ও বাস্তবতা সব কিছু ভুলিয়ে দেয় সব।

কে জানি একবার বলেছিল কেমন লাগে প্রবাস জীবন, বলেছিলাম গলার কাঁটা। বের করতেও পরি না , গিলতেও পারি না।তাই বলে আামি ফীরে যাবো এখনি ? নাহ্..সেতো পরাজয়, হারতে আমি শিখি নি। হারতে আমি চাইও না।কিন্তু ফীরে আমি যাবোই একদিন।

সে কবে ? না
কি আর সবার মতো তা স্বপ্ন হয়েই থাকবে!

২০০৭-০১-১৫ ০৬:০৬:১২

এলোমেলো কথা

কোন মন্তব্য নেই :
দেশে থাকতেও দেখেছি, এ খানে এসেও দেখতে হচ্ছে।মনে হয় আমার মতো সাধারন পরিবার থেকে আসে সব ছেলে মেয়েদেরই এ রকম অভিগ্যতা কম বেশী আছে।

স্কুলে যখন পড়তাম তখন কিছুই বুঝতাম না। না বুঝেই মনে হয় ভালো ছিল। কলেজে পড়ার সময় আস্তে আস্তেবুঝতে শুরু করলাম, আর কষ্টটা তখন থেকেই শুরু ।একি সাথে পড়া -থাকা , কিন্তুজীবন যাপনের কতো পার্থক্য ! এডিডাস বা পিউমা কেডস চেনার আগেই বন্ধুর পায়ে দেখে মুগ্ধ হয়ে বাবার কাছে আবদার করলাম আমারো চাই। বাজারে কিনতে গিয়ে দাম শুনে মনে হয়েছিল সে টাকা দিয়ে তো সারা মাসের বাজার হয়ে যাবে।তার পরো বোকার কতো জেদ ধরেছি কেডস কেনার জন্য। কষ্ট হলেও বাবা কিনে দিয়েছিল। আজ এতো বছর বুঝতে পারি কত কষ্ট করতে হয়েছিল বাবা কে আমার সেই এক জোড়া কেডস কিনে দেবার জন্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে 3 নাম্বার বাসে ঠেলা ঠেলি করে যখন যেতাম ক্লাসে যাবার সময় দেখতাম দামী গাড়ি হাঁকিয়ে যাচ্ছে আমারই কোনো স হ পাঠী।কেমন যেনো কষ্ট লাগতো। সে কি হিংসা ? না সেটা না।যখন দেখতাম ফাস্টফুডের দোকানে বাগর্ার খেতে আমারো যে খেতে ইচ্ছে হতো না সেটা না। ইচ্ছে হতো, কিন্তুসেই এক বাগার্রের টাকা দিয়ে আমার সারা মাসের বাসের ভাড়া হয়ে যেতো।কষ্ট হলেও চুপ করে থাকতাম।দেখতাম দামী জুতো, কাপড়ের গল্প করতে।অংশগ্রহনও করতাম , কিন্তু কেনা আর হোতো না।অনেক কিছইু তো ইচ্ছে হতো ,কিন্তু সেটা আর পূরন হতো না।

বিদেশে এসে দেখলাম আমার মতো আরো সব মধ্যবিত্ত ছেলের অনেক ছেলের মাঝেও সে একি ভূত।কামলা খেটে বাড়ি যাবার জন্য বাসের জন্য স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকার সময় দেখতাম দামী গাড়ি হাঁকিয়ে সোঁ করে চলে যেতে তাদের।কষ্ট লাগতো যখন দেখতাম আমি কাজ করছি আর আমারই কোনো দেশী বন্ধুসংগিনী নিয়ে খেতে বসেছে , আর আমি তাকে সার্ভকরছি।দেশ থেকে তার টাকা আসে আর আমার সে জো নেই।

কাজ করে পড়াশুনা করার যে কি কষ্ট যে না করেছে সে ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারবে না।কাজ না করে পুরোপরি পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে পারলে রেজালটও ভালো হতো অনেক।আজ কেনো জানি এ সব আজে বাজে কথা মনে পড়ছে।
২০০৭-০১-২৪ ০৮:৫৮:৩২

ভালোবাসার চিঠি

কোন মন্তব্য নেই :
প্রিয়তা আমার,
আজ আমায় তোমাকে লিখতেই হবে।
মহাসমুদ্্রসম দুরত্বেতুমি আমি, এইতো আমি।
দেখতে কি পাচ্ছো না তুমি?
তুমি মিশে আছ আমার শরীরের রন্ধ্রেরন্ধ্রে,
কল্পনার খাঁজে খাঁজে, হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে তুমি।
জানো কি এ কথা?
কল্পনায় তুমি,
ভাবনায় তুমি।
অনন্তচেষ্টা আমার , তোমায় ভুলে থাকার, পারি না,
আজ আমায় তোমাকে লিখতেই হবে। ।
আমার প্রানেশ্বরী , আমার লক্ষ্যি বউ,
তোমার মায়াময় মুখের সেই হাসি আমার সব কষ্ট ভুলিয়ে দেবে,
ভুলিয়ে দেবে সব বিচ্ছেদের বেদনা।
তোমার হাতের স্পর্শআমায় জাগিয়ে তুলবে, তোমার ঠোঁটের স্পর্শআমায় উদ্্বেলিত করবে।
কতদিন দেখিনা তোমায়!
ইতি তোমারই প্রিয়

২০০৭-০১-২৮ ০২:২২:৩২

অসহায় অনুভব

1 টি মন্তব্য :
:আমি তোমার সাথে সামনা সামনি কথা বলতে চাই।
::উহু সম্ভব না।
:কেনো সম্ভব না ?
::বাসা থেকে বের হতে দেবে না।
:আমি হাজার মাইল পারি দিয়ে তোমার কাছে চলে আসতে পারি আর তুমি পারবে না 10 মিনিটের জন্য বের হতে ? এইকি তোমার ভালোবাসা ?
::ভালোবাসা কি সেটা তোমাকে আমায় শিক্ষা দিতে হবে না।
:শেষ বারের মতো বলছি , পারবে কি পারবে না। আমার হাতে সময় খুবি কম।
::দেখি ।
: দেখি না , বলো কখন ও কোথায় ?
::বল্লামতো দেখি।
:কি শুরু করলে ?
::আচ্ছা বিকেলে রাইফেল স্কোয়ারের সামনে আসবো আন্টির বাসায় যাবার নাম করে।
:একা ?
::নাহ্, পাগল! সোমা কে নিয়ে আসবো।
:ওকে , তোমার ইচ্ছা, সবিতো তোমার ইচ্ছা তে চলছে , এটাইবা বাদ রইবে কেনো।

:বলো এখন কি করবে?
::জানি না।
:জানি না মানে ?
::বল্লামতো জানি না।
:সবকিছুই তো হয়ে গেলো, বিয়ে করবে কি করবে না?
::সম্ভব না।
:কেনো না ?
::সম্ভব না।
:কি বলছো ?
::হা বলছি , বাসায় কেউ রাজি না, আমি সবার মতের বিরুদ্ধে কিছু করতে চাই না।
:আমি সব কিছু বুঝতে পারছি। কোর্টম্যারেজ ?
::পাগল হয়েছো নাকি ?
:পাগল কেনো ?
::এটা সম্ভব না কোনোমতেই।
:আচ্ছা , এটা সেরে রাখি, পরে সব কিছু স্বাভাবিক হলে আনুষ্ঠানিক ভাবে করা যাবে।
::বল্লামতো সম্ভব না।
:এটাই কি তোমার শেষ কথা?
::হাঁ।
::হাত ধরছো কেনো ?
:এমনি।
:কিছু খাবে?
:: নাহ্, খিদে নেই।
:শেষবারের মতো কিছু ?
::বল্লামতো না।
:তা হলে উঠা যাক।
::হাঁ চলো, সন্ধা হয়ে যাচ্ছে।

এটাই ছিল ছেলেটার সাথে মেয়েটার শেষ দেখা। শেষ কথা সামনা সামনি।মেয়েটা চলে যাচ্ছে, ছেলেটা করুন দৃষ্টিতে শুধুই চেয়ে।বুকের ভেতরে কি হচ্ছে সে শুধু সেই জানে।

২০০৭-০১-২৬ ১০:১১:০৫

ফাঁসীতে মৃত আমার এক স হপাঠীর কথা

1 টি মন্তব্য :
তখন আমার ক্লাস 8 , পড়ছি ঢাকার খুব কাছেই একটি শতবষর্ী স্কুলে। শীতলক্ষা নদীর পারে পুরোনো স্কুল বিলডিং।
হাসান নামে আমার এক স হপাঠী ছিল, বয়সে আমার চাইতে বেশ বড়। খুব একটা খাতির না থাকলেও বেশ কথা বাতর্াহতো ওর সাথে মাঝে মধ্যেই।
একদিন হঠাৎ শুনতে পারলাম হাসানকে পুলিশে ধরেছে।অপরাধ, একটি মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা।

হাসান ডেইজি নামের একটা মেয়েকে খুবি পছন্দ করত, কিন্তু মেয়েটা হাসানকে একদমই পাত্তা দিত না। হাসান ছিল গরীব ঘরের সন্তান আর ডেইজি ছিল ধনী।প্রচন্ড শ্রেনী বিভেদ।একদিন হাসানকে ডেইজি প্রচন্ড অপমান করে বসে সবার সামনেই। হাসান কিছুনা বলে চলে আসে সামনে থেকে।সেই রাতেই হাসান এক টিন পেট্রোল জোগাড় করে। রাতে ডেইজি যখন ঘর থেকে বের হয় ঠিক তখনি শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় হাসান।হাসান ধরা পড়ে পরের দিন সকালেই।
আর ডেইজি ? টানা 1 সপ্তাহের যুদ্ধের পর মারা যায়।সে সময় এ ঘটনাটা বেশ আলোরন সৃষ্টি করেছিল।

2 বছর পর হাসানের ফাঁসি হয়ে যায়।হাসান একাই ছিল ডেইজির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেবার সময়। আমার বাবা তখন পুলিশে।সম্ভবত আমার স হপাঠী জানার জন্যই হাসানকে কোনোরকম টচর্ার করা হয়নি।আমি হাসানকে সমর্থন করছি না।
সব সময়ই চেষ্টা করেছি কেনো হাসান যাকে সে ভালোবাসতো সেই ডেইজির শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল সেই রহস্য বের করার জন্য।
সে কি প্রত্যাখান হবার অপমান?
সে কি প্রতিহিংসা ?
নাকি পশুপ্রবৃত্তি?
দোষ কি শুধুই হাসানের ছিল?আজো এ রহস্যের সমাধান করতে পারি নাই।
-------------
গল্পটা সত্য ও জীবন থেকে নেয়া।
২০০৭-০১-৩০ ০৬:৫৫:২৯

মফিজের ভারত ভ্রমন - 2 ( মালদা টু আলিগড় ট্রেন জার্নি)

কোন মন্তব্য নেই :
২০০৭-০১-১৮ ০৮:৪৬:৩০

সন্ধা 6 টায় ট্রেনে চেপে বসলাম আমি ও আমার সেই বন্ধু। দুজনেরই উপরের বাংকে সিট পড়েছে। কি আর করা, আশা ছিল নিচে পড়বে , দৃশ্য দেখতে দেখতে চলে যাবে দীর্ঘপথ।
প্রথমেই ঝামেলা হোলো এক বিহারীর সাথে।বিহারীরা এমনিতেই কেমন যেনো অসভ্য টাইপের হয়।
যাই হোক ট্রেন চলা শুরু হলো। বিহার আসতেই সাবধান হয়ে গেলাম, শুনেছিলাম বিহারীরা চোর,অসভ্য ও আক্রমনাত্মক হয়। সিট নিয়ে গ্যানজাম করে।অনেক রাতে টের পেলাম কে জানি আমার পায়ের উপর শোয়া। দেখি এক ব্যাটা। আমি সরতে বল্লাম, সে এমন এক দৃষ্টিতে তাকালো যে আর সাহস পেলাম না কিছু বলার।আর সেই বন্ধু আমার অবস্থা দেখে আর হাসে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি টয়লেটের সামনে বিশাল কিউ।সেই 2 রাত 3 দিনের লম্বা জার্নিতে আর টয়লেটে যাওয়া হয়নি । অবাক হচ্ছেন ? জনাব কথা সত্য।
বিহার আসতেই ভাষাও বদলে গেলো, বিচিত্র উচ্চারনে হিন্দি।হিন্দি এমনিতেই কম বুঝি ,তার উপর বিচিত্র উচ্চারন ! ট্রেন কোনো স্টেশনে থামতেই যেই জিগ্যেস করে " এ ট্রেইন কাঁহা যায়া " আমি বলি " মুঝে নেহি জানতা " , উত্তরে যে অবাক করা দৃষ্টি পেয়েছিলাম তা এখনও ভুলতে পারি না।
বলতে পারবেন ' মংফুলি ' কি ? মংফুলি শুনেই দিলাম ডাক , দেখি বাদাম !
আরেকটা জিনিস খেয়েছিলাম ' কাকড়ি' শসার মতো খেতে , গরমে অসাধারন।
দীর্ঘ রাস্তায় কত বার যে মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়া হয়েছিল তা মনে নেই, অসাধারন ছিল চা, সাথে সিগারেট। আমি আমার বাংক থেকে আমার বন্ধুর সাথে সিগারেট শেয়ার করি আর সবাই চেয়ে চেয়ে দেখে।
পথে পরিচয় হোলো বি.এস.এফ এর অফিসারের সাথে, পানজাবি । তার খুব আগ্রহ বি.ডি.আর এর ব্যপারে। মনে যা আসলো তাই বলে গেলাম, সে তো অবাক।
কিছু বাংগালী ছেলের সাথে পরিচয় হয়ে গেলো, মজার সব ছেলে। দিল্লিতে কাজ করে সবাই।সারা পথে তারা অনেক সাহায্য করেছিল।ট্রেনে খাবার অডর্ার নিয়ে যায় একবার।প্রথম বার মিস করেছিলাম । তাই পথে লুচি আর আলু ভাজি খেতে হয়েছিল। দ্্বিতীয় দিন আর ভুল করিনি। খাবার আসার পর দেখি বিশাল পাতে প্রচুর ভাত, যেনো আমরা সবাই খাদক, তবে রান্না ভালো ছিল।পথে কত জায়গা যে পড়েছিল মনে নেই।
লৌখনও, একাহাবাদ, পাটনা; ঐতিহাসিক সব জায়গা।মোগল সরাই এ ট্রেন অনেক ক্ষন থেমেছিল। মথুরা আসার পর রাধা-কৃষনের কথা মনে পরা গিয়েছিল।
পুরি- বেনারস আসার পর দেখলাম জটাধারি সাধু। ট্রেন থেকে দেখা যাচ্ছিল বিখ্যাত সব ঘাটগুলোকে।অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছিলাম আর খুবি ইচ্ছা হচ্ছিল নেমে যেতে। কিন্তু হয়নি। বেটার নেক্সট টাইম বলে নিজেকে শান্ত করেছিলাম।
যেখানেই ট্রেন থামছিল আমরা দুই বন্ধু নেমে হাঁটছিলাম, যেনো দুই শিশু।
খুব সকালে আমরা আলিগড় পৌছুলাম। জানালা দিয়ে তাকাতেই দেখি আবাক করা দৃশ্য। লাইন ধরে মানুষ প্রাতকৃত সারছে। আমরা যে তাকিয়ে আছি তার কোনো ভৃুক্ষেপই নেই, যেনো সবি স্বাভাবিক ব্যপার।ট্রেন থেকে যখন নামলাম তখন বিদ্ধস্থ অবস্থা দুজনেরই। রিকসা নিয়ে রওয়ানা হলাম স্যার সৈয়দ নগরের দিকে। ওখানেই হবে আমাদের সমায়িক নিবাস।
------
ছবি ঃ মালদা টু আলিগড় ট্রেন রুট।
আমার বন্ধুর নাম ঃ বলা যাবে না, বর্তমানে সে প্রধান উপদেষ্টার মনিটরিং অফিসার।

রেটিং:০.০/০
৩টি মন্তব্য
৬৭বার পঠিত

অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১৫:১০:১৬
ভালই লাগতেসে পড়তে। চালাইয়া যান।
ভাসমান বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১৬:৪৪:১৬
আমারও এইরকম একটা অভিজ্ঞতা হইছিলো।ভালে িলিখছেন
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৯ ০৯:৩৪:০১
(চামহাসি)

মফিজের ভারত ভ্রমন - 1 ( রাজশাহি টু মালদা )

কোন মন্তব্য নেই :

২০০৭-০১-১৮ ০৪:১৫:০২

1996 , এইচ.এস.সি পাস করে মহা উৎসাহে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি।তখন ভারতে পড়াশোনা করবার একরকম হিরিক ছিল। ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের মাধ্যমে আমিওএকটা স্কলারশিপের এপ্লাই করে ফেল্লাম। যা আছে ভাগ্যে এ রকম একটা ভাব। আই.আই.টি তে ভর্তিহবার মার্কস আসে নাই, তাই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিল সম্বল।
অনেক দিন কেটে গেলো খবর আসে না, ভাবলাম আর হবে না। একদিন হঠাৎ চিঠি আসলো, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সুযোগ হয়েছে।সময় নাই হাতে একদম তখন একদম। রাজশাহিতে ছিলাম তখন আমি বাবার কাছে। তড়িঘড়ি করে রাজশাহি ইন্ডিয়ান ডিপুটি হাইকমিশন থেকে ভিসা নিলাম।

মিশন : আলিগড়।
পথ : অজানা।
সংগি : কেউ না।

খুব সকালে সোনা মসজিদের দিকে যাত্রা, সাথে বাবার বডিগার্ড।পথে মনে হোলো সিগারেট কেন হয় নি। কানসাটে গাড়ি থামাতে বল্লাম চা খাবার জন্য। চা খাবার ফাঁকে 4 প্যাকেট বাংলা 5 কিনে ফেল্লাম।

সোনা মসজিদ চেক পোষ্টে কোনো রকম সমস্যা হয়নি।চা খেতে খেতে সব কিছু শেষ করে ভারতের উদ্দেশ্য হাঁটা দিলাম।ঢোকা মাত্র বি.এস.এফ । পাসপোর্ট দেখানোর পর গেলাম কাস্টমস এ। সাথে তেমন কিছুনা, তবুও হয়রানি করে চেক করলো সব, কথা বলার ফাঁকে জানতে পারলাম কাস্টমস অফিসারের বাড়ি ছিল আমাদের ওদিকে, সাথে সাথে চা চলে এলো। নাড়ির টান কি জিনিস সেটা টের পেলাম আরেকবার সে দিন।ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে শুনতে পেলাম বাস ধর্মঘট ! ম হা সমস্যা, সরকারি বাস ছাড়া আর কিছু নাকি চলবে না। 2 ঘন্টা অপেক্ষা করার পর একটা টাটা বাস আসলো , দেখে মনে হলো 2 য় মহাযুদ্ধের আমলের।বাসে চড়ে বসলাম।
টিকিট 5 রুপি, গন্তব্য মালদা টাউন।
বাসে উঠেই সিগারেট ধরালাম, দেখি 2 জন আবার বলে ঊঠলো " দাদা কি হচ্ছে ? " আমি নিরাসক্ত মুখে বল্লাম "সিগারেট খাই" এবার তারা বলে " ওপারের ছেলে ছোকরারা আদব লেহাজ একদমি শেখে নি " আমি বলি " ঠিকই কইসেন" বলে এক গাল ধোঁয়া ছাড়লাম।আসলেই বেয়াদব।
রাস্তায় আরেক সমস্যা , কিছুদূর যাবার পর পর বাস বন্ধ হয়ে যায়। সবাই মিলে ঠেলি, চালু হয়।এভাবে ঠেলা ধাককার পর মালদা পোঁছুলাম 1 ঘন্টা পর। মালদা গিয়েই শুনি স্টেট বাস ছাড়া সব বন্ধ, টিকিট পাওয়া অসম্ভব।
এদিকে পেটে চামচিকা বুকডন দিচ্ছে, শুনেছিলাম হিন্দু হোটেলে খাবার নাকি অসাধারন হয়। গেলাম এক রেস্টুরেন্টে খেতে।'মহা মায়া হিন্দু হোটেল', মেনুঃ মুড়ো ঘন্টো ও ভাত। ওপার বাংলায় আবার আমাদের মতো নিয়ম না, যত বারি ভাত নিচ্ছি ততবারি দেখি ওয়েটার জোরে জোরে বলছে এক হাতা ভাত ! আর ম্যানেজার সাথে সাথে খাতায় লিখে নিচ্ছে। আজিব ব্যাপার সব।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে সোজা মালদা ট্রেন ষ্টেশনে, উদ্দেশ্য আলিগড়ের টিকিট কাটা। লাইনে দাড়িয়া আছি তো আছিই, লাইন আর আগায় না। সামনে দেখি একটা ছেলে দাঁড়িয়ে । হেবি মানজা মারা। হাতে দেখি ইকোনো বলপেন। বুঝলাম বাংলা আদমি। পরিচিত হলাম। সেও আলিগড় যাচ্ছে। লারে লাপ্পা। পুরো ভ্রমনে সে ছিল আমার সাথী।
অনেক কষ্ট করে মালদা - আলিগড় এর টিকিট পেলাম। খরচ হলো 330 রুপি (প্রায়) ফারাককা এক্সপেস, স্লিপিং ক্লাস,দুরত্ব1356 কিলোমিটার, 2 দিন 3 রাতের বিশাল জার্নি, সন্ধা 6 টায় ট্রেন ।
-------------
মফিজ নামকরনের মাজেজা ঃ
দেশের যে অংশ থেকে এসেছি সেখানকার মানুষদের অন্যরা মজা করে মফিজ বলে, তাই আমিও মফিজ।ছবি ঃ মালদা জেলার ম্যাপ।

রেটিং:০.০/০
১৮টি মন্তব্য
১১৫বার পঠিত

মামু বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১০:২৯:১৭
মফিজেরে একটা কমেন্ট দেনভারতে গিয়া সে আবুল হইলো কেন
তিমুর বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১০:৩৩:২৪
কয় হাতা খাইসিলেন?(বাসে বিড়ি খাওয়া কিন্তু ঠিক না !)
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১০:৩৮:১০
পড়লাম বলে রেটিং দিলাম,কমেন্ট দিলাম না।
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১০:৩৯:০৪
তিমুর , কয় হাতা খেয়েছিলাম মনে নেই, তবে 25 রুপি বিল উঠেছি। ওহ্, রসগোল্লাও খেয়েছিলাম, লিখতে মনে ছিল না।বাসে বিড়ি খাই না আর।মামু,আবুল কেঠা? আপনার দুলাভাই নি ?
মামু বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১০:৪১:৫২
আমার দুলাভাই সে সুমন মাহবুবআসলে সে বোকা তাই ভালো খুব
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১০:৪২:১২
আরিফ ভাই,রেটিংয়ের গুল্লি মারি, কমেন্ট করে ভুল ধরাইয়াও দিবেন না ! মফিজ বলে উপ হ াস ?
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১০:৪৪:১৩
আমি আরেকটা শালা পাইলাম, মুঝে বাহুত মহাখুশ হু!
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১১:১০:৫২
97 এর শেষের দিকে আলীগড় বেড়াতে গিয়েছিলাম । ছিলাম প্রায় 20 দিন আপনি তখন কই ছিলেন সুমন দা?
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১১:১৬:১৯
আমি আলিগড় এ আর ভর্তি হইনি, 97 এর শেষে আমি ঢাকাতেই ছিলাম মনে হয়, আলিগড় এ আমি সোলায়মান হো নে কি যেনো হলের পেছনে এক বাসায় ছিলাম , আর আমার বন্ধু ছিল স্যার সৈয়দ নগরের এক বাসায়।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১১:২৭:৫৮
ওঃ । আলীগড়ের কথা মনে করাইয়া দিছেন রে ভাই....তৎকালীন আলীগড়ের সব বাংগালী স্টুডেন্টদের সাথে ধুমাইয়া আড্ডা দিছি ঐ সময়ে ।এনিওয়ে , নষ্টালজিক বানানোর জন্য ধন্যবাদ
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১১:৫২:৩৬
তা হলে আপনি কিছু ছেলেকে চিনবেন অবশ্যই ? মামুন ভাইকে চিনেন ? বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোর প্রেসিডেন্ট ছিলেন সে সময় ?
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১২:০৮:৩৩
মামুন , সাইফুল,সুমন,পলাশ এরাই ছিল তখনকার ষ্টুডেন্ট লিডার
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১২:১১:১৫
আরও ছিল বিপ্ললব, দেবী, ববি,আসিফ, বাবু, রাসেল
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১২:১৭:৩০
আমার আাসলে খুব একটা মনে নাই, অনেক দিন আগের কথা,অনেক কিছুই মনে নাই।তবে মামুন ভাই বল্লেও বাস্তব জীবনে তাকে কাকা বলি, উনি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১২:২৭:১২
সাইফুল = বিজিআইসিতেসুমন = ইংল্যান্ডপলাশ = ব্যবসা ( ঢাকা)বিপ্লব সরকার =বাপের সাথে রাজনিতিদেবী = ম্যাজিষ্ট্রেটববি = জানিনা কোথায় ....আসিফ = জানিনা কোথায়...বাবু = ব্যবসা ( ঢাকা)রাসেল = ব্যবসা ( ঢাকা - অনেক দিন যোগাযোগ নাই )
অরুনাভ বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১২:২৭:৩৬
ইংলিশে লিখলাম তো লেখা উঠেনাই কেন। আমি খেলবো না।
অরুনাভ বলেছেন :
২০০৭-০১-১৮ ১২:৩৮:৫০
ইংলিশে লিখতে পারছি না কেন।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৯ ০৯:১৬:২২
মফিজ তো দেখি জটিল লিখেন

মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০০৭

আমার হোস্টেল জীবন - 3

1 টি মন্তব্য :
২০০৭-০১-১৪ ০৬:২৬:৩৯


কিছু দিনের মধ্যেই বুঝে গেলাম হোস্টেলের হাল হকিকত।
কিভাবে, কতপ্রকারে ,কি কি করতে হয়,সব।নতুন পরিবেশ। একটু সময় লাগছিলো সব কিছু মানিয়ে নিতে। পুরোনো ছেলেরাও কেমন জানি বেশি রকম বন্ধুভাবাপন্ন।
পড়াশুনার চাপ ও ছিল বেশ। মন্দ যাচ্ছিলো না দিন গুলো।
দুদিনের মধ্যেই খবর পেয়ে গেলাম কলেজের পেছনের জেনেভা ক্যাম্পের কাবাব পোরোটার কথা।
পাশের নজরুল ইসলাম হাউসের পেছনের দেয়াল টপকিয়ে যাওয়া যায়। বিকালে দেখে আসলাম জায়গাটা। মসৃন , যেনো ঘি মাখানো হয় প্রতিদিন!! ব হুবছর ব্য ব হারের ফসল।
রাত 9 টার সময় সবাই মিলে দেয়াল টপকালাম, সে এক অন্যরকম অনুভূতি, কিছুটা লুকিয়া প্রেমিকার সাথে দেখা করার মতো।সেই রাত থেকে ক্যাম্পের রেগুলার কাস্টমার বনে গেলাম আমরা। প্রতি সপ্তাহে অন্তত না গেলেই নয়। কাবাবের দোকানে গিয়ে খাওয়া যে শুরু হতো তা আর থামার নাম ছিল না। ম্যানুঃ গরুর চাপ, টিকিয়া,মুরগির চাপ, পোরোটা, আবার কখনও বা স্যুপ। কখনই হিসেব থাকতো না কতটুকু খাওয়া হোলো ।খাওয়া শেষ হলে বিল দিতাম সবাই মিলে, কখনো বেশি কখনও বা কম ।

একবার নজরুল ইসলাম হাউস এবং লালন শাহ হাউসের মাঝখানে বিশাল দেয়াল ঝড়ে ভেংগে গেলো। শুনেছি সে রাতে নাকি 3 হাউসে গণ মোনাজাত হয়েছিল খুশিতে।
অনেক রাতে পাশের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বিশ্রামাগারে গিয়ে সবাই মিলে টিভি দেখতাম। হাউসে প্রতি বৃহস্পতিবার কি শুক্রবার শুধু টিভি দেখতে দিত।সিগারেট খেতে শিখে গেলাম এ সময়ই। নিজেকে কেমন জানি বড় বড় মনে হচ্ছিল তখন।
1 টা সিগারেট 3/4 জন মিলে শেয়ার। ফার্স্ট বুক, সেকেন্ড বুক....চলতেই থাকতো।
তার পর শুরু হোলো গাবতলীর পবর্ত সিনেমা হলে 1 টিকিটে 2 সিনেমার নেশা। প্রাপ্ত বয়স্ক দের সিনেমা। লোকাল বাসে 10/15 জন মিলে সিনেমা দেখতে যাওয়া, সিনেমা শেষ করে টয়লেটে ছুটাছুটি।
হাহাহাহা...সোনালী স্মৃতি সব এখন।

রেটিং:০.০/০
৮টি মন্তব্য
৮১বার পঠিত

ইমটি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৪ ১৩:২৩:৩৫
আপনার লেখা পড়ে তো এখন আমার চাপ খেতে ইচ্ছা করছে। (কিমজা)
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৪ ১৩:২৯:০৭
তাইলে এখনি চইলা যান , শীতের সন্ধ্যা , আলো আঁধারে মজাই লাগবে।
ইমটি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৪ ১৩:৫৭:৫৬
আর বইলেন না। সত্যি যেতে ইছা করছে। শেষবার খেয়েছি আবাহনি মাঠের কাদের ভাইএর চাপ। তাও প্রায় ৬/৭ মাস আগের কথা।
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৪ ১৪:০২:১৮
চাপ খাই না 2 বছর ! তাইলে বুঝেন , 6/7 মাস তো সেই দিন । কষ্ট।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৪ ১৬:০৮:১৮
ডরাইসি(চামহাসি)ভাল হইতাসে।
ভাসমান বলেছেন :
২০০৭-০১-১৪ ১৬:২৩:৪৭
বলি গাড কি ঘুমায় নাকি?
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৪ ১৯:১৩:০৫
ভাই, আপনি হোস্টেলের লাইফের কথা বল্লেন । আর আপনার প্রফাইলে দেখি কেনরেরা, অষ্ট্রলিয়া লেখা।আপনার এত উন্নতি হয়েছে ওই রকম জীবনে।Thanks for a lotআমিও রকম অভ্যস্ত। তবে এতো বেশি নয়।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৫ ০৫:০৫:৩৮
পড়লাম ... বড় ভালো ছেলে (কিমজা)

আমার হোস্টেল জীবন - 2

কোন মন্তব্য নেই :
২০০৭-০১-১৩ ০৫:৪০:০৭

ফজলুল হক হাউস যে কেনো কুখ্যাত ছিল সেটা যারা ওখানে ছিল শুধু তারাই জানে। আমি দেখতে শুনতে ভালোই ছিলাম কিন্তু কেনো যে আমাকে ও ই হাউসে দিল বুঝতে পারিনি। মনে হয় আমার চেহারায় অন্যরকম কিছু একটা ছিল।

যাই হোক ,রাতে তেমন কিছু হয়নি, মানে র্যাগিং। মডেল কলেজে র্যাগিং ক্যাডেট কলেজের মতো হয় না, হলেও আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।

সকাল 5 টার সময় আবার পাগলা ঘন্টি, হোস্টেল লাইফে প্রথম ও শেষ বারের মতো ও ই ঘন্টি শুনেছিলাম।
আধা অন্ধকারে হাফ প্যান্ট ও টি-শার্টপরে হাউসের সামনে ফল ইন করলাম। তারপর মাঠের চারপাশে 2 বার ডাবল মার্চ। এরপর বাস্কেটবল কোর্টে পিটি। সেইদিন থেকে শেখা শুরু করলাম কি ভাবে ফাঁকি দিতে হয় । কিভাবে ডাবল মার্চনা করেই ভাব নিতে হয় , কি ভাবে পি টি ফাঁকি দিতে হয়।

কঠিন রুটিন ঃ
8 :00 ব্রেকফাস্ট ।
9 - 1 ক্লাস।
1:30 লানচ।
2- 4 রেস্ট।
4-5 গেমস।
5:30 চা।
6- 8:30 নাইট ক্লাস।
8:30 ডিনার।
9:30 - 10:30 যার যা খুশি।
11:00 ঘুম।

এই সব হোলো নিয়ম। মাগার , দুদিন পরই বের করে ফেল্লাম নিয়ম কিভাবে ভাংতে হয়।

সারা দিন সাদা ইউনিফরম পড়ে থাকতে থাকতে এমন বিরক্ত চলে এসেছিল যে এখন সাদা কিছুই আর পড়ি না।
পরের পর্বে লিখব কি ভাবে জেনেভা ক্যাম্পের চাপ -লুচি- কাবাবের রেগুলার কাস্টমার বনে গেলাম।

রেটিং:০.০/০
৬টি মন্তব্য
৭৯বার পঠিত

অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ১২:৩০:৪০
নাইট ক্লাশে কি হইতো ??
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ১২:৪২:২৭
নাইট ক্লাসে পড়াশুনা হইতো, প্রথমে নিজ নিজ হাউসেই পড়া শুনা হতো , পরে টা পরিবর্তন করে কলেজ বিলডিং এ যার যার ক্লাস রুমে।হাউসে একজন টিচার থাকতেন আর কলেজ বিলডিং এ প্রতি ক্লাসে একজন করে টিচার।সাইলেন্ট রিডিং, মাগার বইয়ের মধ্যে মাসুদ রানা বা গেেল্পর বইও থাকতো।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ১৩:৫১:০১
ফাঁকি দিয়া কি কি করতেন তার লিস্ট টা দিলেন না যে(চামাহসি)
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ১৩:৫১:২৮
(চামহাসি)
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ১৩:৫৬:৪৩
আসবে বৎস আসবে....উতলা হন কেন বাহে !?
ইমটি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ১৪:০১:১১
কঠিন জীবন।

আমার হোস্টেল জীবন - 1

কোন মন্তব্য নেই :
২০০৭-০১-১৩ ০১:৩৪:৩৮


বাল্য কালের অনেকটা সময়ই কাটাতে হয়েছে হোস্টেলে।ভাবছি তার কিছুটা শেয়ার করি সবার সাথে।

ক্লাস 6 থেকেই হোস্টেল জীবন শুরু বলা যায়। মাঝ খানে ক্লাস 7, 8 আবার বাসায় ,বাবা-মার সাথে।
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হয়েও হলাম না। কষ্টের কাহিনী শুনে আগেই পিছুটান।

ক্লাস 9 এ এসে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ভতির্ হলাম।হোস্টেল জীবনের দ্্বিতীয় চাপ্টার শুরু হোলো। এখনো মনে আছে ভর্তির দিনটার কথা, লিখিত পরীক্ষ্যা ও ভায়বা ভালোই হয়েছিল। লজ্জার দিন আসলো মেডিক্যাল টেস্টের বেলা। কাপড় খুলে নাংগা বাবা করে এটা সেটা নাড়িয়ে কি যে পরীক্ষ্যা করলো ডাক্তার আজো বুঝে উঠতে পারি নাই। চরম শরমের কথা।

কলেজ নাম্বার 5554।
ঠিকানা কুখ্যাত " ফজলুল হক হাউস "।
শুরু হোলো হোস্টেল জীবন।

হোস্টেলে যাবার আগে ট্রাংক , ,বালিশ- তোষক, সাদা ড্রেস 4 জোড়া, নেভি ব্লু ব্লেজার , কালো জুতা , সুই -সুতা আরো কত কি যে কিনতে হয়েছিল, যেনো পুরো সংসার।জামা-প্যান্টে আবার নামে ইনিশিয়াল করাতে হোলো, যদি হাড়িয়ে যায়!

সব কিছু নিয়ে কোনো এক শনিবার হোস্টেলে হাজির হলাম। তখন বিকেল বা সন্ধ্যা হয় হয়।

আমাকে রেখে বাবা-মা চলে গেলেন। দেখলাম আমার মতো আরো কিছু এতিম দাঁড়িয়ে।দিলে একটু শান্তি পেলাম। পুরোনো ছেলেরা চিড়িয়া খানার জন্তুদেখার মতো তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে।

যে রুমে উঠিয়ে দিল সেখানে যেই মাত্র সব কিছু সাজিয়ে বসেছি তখনি ওয়ার্ডবয় এসে বল্ল রুম চেনজ, তড়ি ঘড়ি করে গাট্টি বোচকা নিয়ে আরেক রুমে।রুম নাম্বার 16, সাথে আরো 3 জন।
কিছু ক্ষন পর আসলেন হাউস মাস্টার। বল্লেন কলেজ ড্রেস পড়তে, রাতে নাকি তাই পড়ে থাকতে হবে।কি আর করা, সাদা ড্রেস - কালো জুতা।
রাত ঠিক 8 টায় ঘন্টা , পাগলা ঘন্টির মতো আওয়াজ। বুঝতে পারছিলাম নে কিসের জন্য ।

পুরোনো ছেলেরা এসে বল্ল ডিনার কল । গেলাম ডাইনিং হলে ,30 বছরের পুরোনো ডালের চামচ দিয়ে টেবিলে আঘাত করে ' হাউস বিসমিল্লাহ্হির রাহমানির রাহিম" বলে খাওয়া শুরু করলাম।এর আগে অবশ্য বসা নিষেধ ছিল। সে দিনের মেনু ছিল পোলাও-খাসির মাংস-আলুর চপ -পুডিং।ভেবেছিলাম আমরা নতুন বলে মনে হয় রাজকীয় আয়োজন !

খাওয়া শেষ করে রুমে গেলাম, 10 টায় নাকি লাইট নিভিয়ে দেবার নিয়ম ( ! ) লাইট লিভিয়ে দিয়ে শুয়ে থাকলাম।
ভাবছিলাম কখন র্যাগিং শুরু হবে।

রেটিং:০.০/০
৭টি মন্তব্য
৯৮বার পঠিত

অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ০৭:৪৮:২৪
মাহবুব, অতীত স্মৃতিতে বেশ নাড়া দিলেন। একটা ব্যাপার বুঝলাম না, আমাদের সময় কিন্তু কালচারাল ব্যাপারগুলো বেশ পোক্ত ছিল। আপনাদের সময় থেকেই কি মৌলবাদীরা আস্তানা বাধা শুরু করলো। আপনার assessment কি?
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ০৮:০১:০২
আমাদের সময় আমরা 21 শে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দিতে যেতাম কলেজ ভবনের সামনের শহীদ মিনারে, সপ্তাহ জুড়ে কালচারাল উইক করতাম বট তলায়, সব কিছুই করা হতো। কিন্তু কর্নেল কায়সার আহমেদ আসার পর তা বন্ধই হয়ে যায় একদম।প্রিফেক্টেরিয়াল বোর্ডও তুলে দেয়া হয়, বৃ হস্পতিবারের এসেম্বলিও বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পেছনে কলেজের কিছু স্যারেরও ইন্ধন ছিল। তবে কর্নেল মোশাররফ আসার পর আবার প্রায় চালু করা হয় সব কিছু।এসবই আমাদের পাসিং আউটের পর, বর্তমান অবস্থ কি জানি না। খুব খারাপ লাগে এ জন্য।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ০৮:০৬:০৩
শিবির কি লুকিয়ে চুড়িয়ে ছিল?
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ০৮:১৭:০৭
আমার হোষ্টেল লাইফ নাই :(
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ০৮:১৯:১৬
কলেজে কখনো কোনো ছাত্র সংগঠন ছিল না, তবে শিক্ষকদের মাঝে কি রকম জানি একটা ছিল , এটা আমাদের সময়ও টের পেতাম, হাউস ফাংশান এর সময় অনেক ফাইট করতে হতো, আমাদের আগের ব্যাচের বিদায়ের সময় তারা কোনো মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ব্যব হার করতে দেন নাই, টেবিল চাপড়িয়েই কফি হাউজের আড্ডা গানটা গেয়েছিল রাজা বাংগালী ভাই।তেেব সমস্যা ছিল, আর এ জন্যই তো দেখতে পাচ্ছেন কলেজ থেকে কারা বের হচ্ছে। আমরা কতো কিছু করতাম। পড়াশুনা, খেলা, গান, দেয়াল পত্রিকা, ক্রাফটস, বাঁদরামি। আর এখন ? পড়া শুনা ছাড়া আর কি আছে ?
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ১০:১৯:২৮
বড় ভাই, এই পর্বটা ভালো উদ্যোগ। যত বাঁদরামি করেছেন, সব অসংকোচে লিখে যান।
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০১-১৩ ১১:১৮:৩৪
চোর, এট্টু আধটু সেন্সর করতে হবে যে, নাইলে সমস্যা আছে! 25 এর আগে জীবন অন্যরকম ছিল, এখন অন্যরকম। তয় মোটামুটি সবি লিখব, সোনালী সময় ছিল সেটা।

আস্তমেয়েকে বলছি ..

কোন মন্তব্য নেই :
২০০৬-১২-২১ ০১:৪২:৫৮

আস্তমেয়েকে বলছি ..
সামহোয়ারইনে আমি এখনো আনকোরা নতুন ।লেখার চাইতে পড়ার চেষ্টা করছি বেশি।
দেশের বাহিরে থাকায় মনে হয় বাংলার প্রতি মমতা বেড়ে গিয়াছে বেশি , সে মমতা থেকেই এখানে ঢুঁ মারা।
অনেক সুন্দর মনের সুন্দর লেখার পড়শ যেমন পাই তেমন অসুন্দর মনের আভাস পাই।তর্ক বিতর্কের ঝাঁজটা উপভোগ করি।
সুন্দর কবিতা , অসমান্য গল্প বা নিজেদের এলোমেলো কথাবানী পড়ি , অনুভব করার চেস্টা করি ।

আপনার সব লেখার সাথে বা মতামতের সাথে আমি একমত হতে না পারলেও আপনার লেখার ক্ষমতা, সাহস, যুক্তি দানের উচ্ছলতা আমাকে মুগ্ধ করে।
আপনার ধর্ম চিন্তা বা স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি দষ্টিভংগি আমি সমর্থন না করলেও আপনার মতামতের প্রতি আমি সম্মান প্রদর্শন করছি।

অনেক ব্যক্তিগত আক্রমন , প্রতিআক্রমন এখানে লক্ষ্য করেছি , কিন্তুআজ যে নোংরামি আমি দেখলাম তা আমাকে মমর্াহত করেছে ।

ঠিক করেছিলাম ও ই নোংরা পোষ্ট মুছে ফেলা না হওয়া পর্যন্ত কিছু লিখব না , কিন্তু চুপ করে থাকার মানে হল পরাজয় মেনে নেয়া, নোংরামি কে প্রশয় দেয়া, তাই লিখছি ..

আস্তমেয়ে ,আপনি মন খারাপ করবেন না , মনে আছে তো কি আপনাকে বলেছি ?? সামনে এগিয়া যান , আপনার যুক্তি কে প্রতিষ্ঠিত করুন , এসব জীবনের চলার পথে আসবেই , হাতের ময়লার মত ঝেড়ে ফেলুন এসব কে।

আর যে নোংরা জারজটা এসব করছেন তার প্রতি ঘেন্না ছাড়া আর কিছু বলার নাই , এর প্রতি বাক্য ব্যয় করা মানে সময় নষ্ট , সময় নষ্ট করার ইচ্ছা আমার নাই।
কুকুর কামড়ালে তো আর তাকে কামড়ানো যায় না , কিন্তু কুকুর পাগল হলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না ।যদি আপনি মায়ের সন্তান হন, তা হলে সামনে আসুন ?

মাহবুব সুমন
ক্যানবেরা
21 ডিসেম্বর 2006

রেটিং:০.০/০
৪টি মন্তব্য
১৬১বার পঠিত

অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২১ ০৮:০১:৩৯
গুড পোস্ট। আমিও সকালে এসেই এ ধরনের একটা পোস্ট দিয়েছি। চুপ থাকা কোন সমাধান নয়।
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২১ ০৮:০১:৪২
চমৎকার খোলা চিঠি।আপনার জীবন বোধ, মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন থেকে শিখার অনেক কিছু আছে।আমিও কিছু শিখলাম এটা থেকে।শুভ কামনায়।
অনিক বলেছেন :
২০০৬-১২-২১ ০৮:১৭:৩৩
ভাল লিখেছেন।
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২১ ০৯:১৬:৩৮
আমি এমনিই ইমোশনাল মেয়ে। এই ধরণের ইমোশনাল লেখা পড়ে নাটক করি কিন্তু! অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব প্রয়োজনীয় কথাগুলো বলার জন্য, আমার সাথে একটু হাসার জন্য, যখন প্রয়োজন ছিল। থ্যাঙ্ক য়ু। :)

একজন মহান,বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ব্লগারের প্রতি মানপত্র

কোন মন্তব্য নেই :
২০০৬-১২-২৫ ০৮:৩০:৫৩

আজ একজন অতি প্রগ্যা বান ( ? ) এবং বিশিষ্ট চিনতাবিদের ( ?) পোষ্টে আমার নাম উল্লেখ করে কিছু মহা মুল্যবান উপদেশবানী পড়ে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি ।আসলেই তিনি অনেক মহা মুল্যবান কিছু কথা বলেছেন যা আমি আগে বুঝতে বা উপল িব্ধ করতে পরিনি । নিজেকে জানা বা বোঝার এ সুযোগ কয়জনি বা পায় ? আামি পেয়েছি এবং এ জন্য তার প্রতি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, আশা করি এই নাদান মানুষের ধন্যবাদ গ্রহন করে আমাকে বাধিত করবেন ।

আমি তার পোষ্টে কিছু কমেন্ট করেছিলাম যা একান্তই আমার ব্যক্তিগত চিন্তা প্রসুত বা বিশ্বাস । আামি তাকে নিয়ে ব্লগের প্রথম পাতায় তার মতো গল্ল ফাঁদতে পারতাম , কিন্তু তা না করে আমি তার পোষ্টে কিছু কমেন্ট করেছিলাম , যা তার ভালো লাগেনি এবং তার সে ভালো না লাগা তিনি উদগারন করেছেন ব্লগের প্রথম পাতায় আমার প্রতি বিশেদাগার করে । এটা তার রুচি বোধের প্রকাশ হতে পারে কিন্তুএতে আমি মমর্া হত । আমার চিন্তা চেতনার মান আসলেই অনেক নিচে এবং তা ধরিয়ে দেবার জন্য তাকে ধন্যবাদ।

আপনার চিন্তা চেতনার মানে আমি যে দিন পৌছুতে পারব সে দিনই তার পোষ্টে আমি কমেন্টে করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারব এ ধরনের অতি বিগ্য কথা বলার জন্য তাকে ধন্যবাদ। আমি গর্বিত ! উনি ঠিকি বলেছেন..

হে মহান মানুষ, আপনার সাথে সংযোগ স্তাপন করতে যাবেন কেনো আপনি ! আপনি কত মহান ! কত জানেন ! কত বড় বড় কথা আপনি বলতে পারেন ! আর আপনার ও ই সব কথার মাঝে আমি বাগরা দেবার কে ? আমি ক্ষমা চা িচ্ছ হে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ।

আপনার যদি মনে হয় আমার মাথার চাইতে মধ্যপ্রদেশ বেশি কাজ করে তাহলে আপনিই সই , আপনার মত গ্যানি মানুষের কথা তো আর মাটিতে পড়তে পারে না , জানি না আপনার কোনটা কাজ করে, এ অধমকে ক্ষমা করে দিবেন, আমার মনে হয় আপনার নিচেরটাই বেশি কাজ করে, আর সে তারনা থেকেই আপনি 'চ' জাতীয় শব্দ উচ্চারন করে শান্তি পান , এটা একধরনের মানসিক রোগ । অধমকে ক্ষমা করে দিবেন ।

আমার মতো আবালকে সময় দেবার সময় তো থাকার কথা না , আপনি এত ব্যাস্ত মানুষ , সময় করে আমাদের কিছু বলতে আসেন এ জন্যই আমি বা আমরা ধন্য ।

আমি আপনাকে ঘেন্না , ভালোবাসা , অনুপ্রানিত বোধ, কোনোটাই করতে পারি না। কি ভাবে করি ?আপনার চিন্তা চেতনা কত উঁচু মানের ! সেখানে পৌছানোর সাধ্যকি আমার আছে ? এত সাহস ই বা কোথায় ?

আপনাকে নিয়ে ভাবার সময়ই বা কোথায় আমার ? আপনার স্তরে আগে পৌছেঁ েনই, তখন না হয় ভাবা যাবে ? তা ছাড়া আপনাকে বা আপনার লেখা কে নিয়ে ভাবার মতো অফুরন্ত সময় বা কই আমার ?

আমার কমেন্টে আপনার কি করা উচিত তা বলে যদি আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকি তা হলে আমি ক্ষমা চাই , আপনাকে উপদেশ দেবার আমি বা কে ? আপনি এত জানেন , বুঝেন !!

আপনার ভাবনা আপনার , আমার টা আমার , আপনার মুখে যা আসে তা আমার আসে না । আপনার সাথে এটাই আমার পার্থক্য , আমি চাই সব কিছু ছাঁপিয়ে আপনার মত মুখে যা আসে তাই বলে এ সমাজ এবং দেশের তথাকথিত প্রগতিশীল মানুষদের কাতারে দাঁড়াই , এ সুযোগ কি আপনি আমাকে করে দেবে ন না ? আসলেই আপনার চিন্তা চেতনার লেভেলে কেউ নাই ! ?

হে মহান ,আপনি আমি কোথা হতে উদ্ভুত সেটা নিয়ে কথা তুলেছেন ! আমার রুচিতে বাঁধে তাই আপনার ব্যপারে আমি কিছু বলতে পারছি না, আর সেটার সাহসই বা কোথায় আমার ?

জন্মদাতা বা দাত্রিকে নিয়ে বাজে কথা বলার মতো নিম্নরুচি আমার নাই ।আর আমি বিশ্বাস করি ' কুকুর কামড়াতে পারে , কিন্তু মানুষ হয়ে আমি কি কুকুরকে কামড়ারাতে পারি ?"।

হে মহান মানুষ, আপনাকে লেখা এটাই আমার প্রথম এবং শেষ মানপত্র, আপনার কোনো প্রশ্নের উত্তর আমি সে দিনই দিব যে দিন আপনার রুচি এবং প্রতিভার স্ত রে পৌছুতে পারব ।

মাহবুব সুমন
ক্যানবেরা,
26 ডিসেম্বর 2006

রেটিং:০.০/০
৫১টি মন্তব্য
৪৩০বার পঠিত

অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৪:৩৬:১৮
লিখাটা গতিময়, সাবলীল। কিছু কিছু টাইপিং মিসটেক থাকলেও আপনার লিখার হাত যে আছে, বুঝা যায়।
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৪:৪৯:৩১
আমিও টাইপ করতে গিয়ে অনেক জানা বানান ভুল করি। (মনখারাপ)
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৪:৫১:৫৩
চোর ভাই,আমি বাংলা টাইপ শুরু করেছি মাত্র 2 মাস , অনেক অনেক ভুল করছি ।ক্ষমা করে দিবেন সবাই।
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৫:৪৪:১৪
টাইপ কর‡ত ‡গ‡ল মিস‡টক হ‡বই, ব্যাপার না।ম্যান ইজ মরটাল!
রাগ ইমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৫:৪৭:১২
সংশোধন করে ফেলেন, ব্যাপারস না!
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৫:৫১:৪৫
মিতা কেমন আছেন?যে মহান ব্যক্তিকে মানপত্র দিলেন তার নামটা খুঁজে পেলাম না।
শাহানা বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৫:৫১:৪৫
আপনার প্রতিবাদের ধরণ পছন্দ হয়েছে। আপনিও যে নিচে নামেননি এটা দেখে ভালো লেগেছে।
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৫:৫৭:৫৩
@স.মু.সুমননাম উল্লেখ করাটা ব্যক্তিগত পযর্া েয় চলে যায় যায় , যা আমার নীতিবিরুদ্ধে ।তার সাথে আমার মতে এবং লেখার প্রকাশ ভংগিতে পাথক্য থাকলেও তার লেখা আমি পছন্দ করি ।
তিমুর বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৬:১৪:২৭
মাহবুব, আপনার সাথে হাত মেলাতে পারি ?
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৬:২০:৪৪
তিমুর,অবশ্যই , সবার জন্য আমার দরজা খোলা
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৬:২৩:৪৬
হাই সুমন!অনেক ভিআইপি ব্লগার আপনার পক্ষ নিয়েছে দেখছি। ডোন্ট বি ওরিড।গালি হাওয়ায় ভাইসা যাবে।
তিমুর বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৬:২৫:২৫
কী আর বলব সুমনভাই, সাহস হারাবেন না এইটুকুই বলতে পারি ।
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৬:৩০:৫৬
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে ....ভয় ? তা কি জিনিস ? আর সাহ স ? ...ইনশাল্লাহ
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৬:৩২:১৭
রাগ ইমনের উপস্থিতিটা খুব মজার হয়েছে দু' যায়গায়!
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৬:৫০:৩৮
স হমত@শাহানাপু@মাহবুব ভাই, আপনার পিছে থাকতে পারব না তবে সাথে আছিঅভিনব প্রতিবাদ। চলুক।হরতাল ধর্মঘট ছাড়াওযে আন্দোলনের অনেক পথ আছে আপনি আবার তা প্রমাণ করলেন............
রাগ ইমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৭:৫৪:১৯
মজা পাওয়া ভালো।
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৮:০১:৩৫
ভালো হইছে।টাইপের মিসটেক হইলেও যা কইতে চাইছেন সেইটা বেশ ভালো মত বুঝাইতে পারছেন...আপনে নিশ্চয় পেশাদারী/জ্ঞানী লেখক হওনের লেইগা পাতা ভরান না।
পাগলা দাশু বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৮:০৯:০৯
টাইপো কাকা এডা ঠিক হয়া যাবে সময়ে, এই যে দাশুর পুরা এক মাঘ লাগলো টাইপো মিস্টেক দূর করতি।
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৫ ১৮:১১:৫৮
রুচিতে বাধলে হজমি খান, কামে দিবো। মানপত্র-টানপত্রে কাম হইবো না। এরম মানপত্র আগেও বহুতবার বহুজন দিছে, বান্দাকে সোজা করন যায় নাই। তাই এমতাবস্থায়, নতুন যেহেতু আসিয়াছেন, তার উইকপয়েন্ট খুজার ট্রাই করেন, এজন্য আপনাকে তার প্রতিটি পোষ্ট পড়ার উপদেশ দেয়া গেল। আপনার মানপত্রটি যথাযথভাবে মূল্যায়ন করিলে- বয়সের অংকটায় গলদ ধরা পড়িবে (চামহাসি)
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৬ ০২:৪৬:৫৯
সবাইকে ধন্যবাদ ।আমি শিখতে চাই এবং ভালো কিছুই শিখতে চাই , তথাকথিত প্রগতিশীলদের অনুসরন নাকরেই শিখতে চাই । যাদের জন্ম ড্রেনের পাশে তাদের কাছ থেকে ভালো কিছুই আশা আমি করি না । মানুষের শিক্ষা , রু চি , মনুষত্ম তার ব্যবাহার, লেখা , কথা, মননের মাধ্যমেই বের হয়ে আসে । প্রেম এবং পঁচা ইদুর ের গন্ধ যেমন ঢেকে রাখা যায় না , তেমনি মানুষের কদকার রুপ তা সেই যতই ভদ্্রতা বা স্পস্টবাদির মতো আচরন করুক না কেন ঢেকে রাখা যায় না! এ সব ভন্ডদের থেকে দুরে থাকা যায় ততই মংগল ।
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৬ ০২:৫৬:৫০
মাহবুব সুমন আমি যেটা মনে করি সেটা হচ্ছে, এভাবে একজন স্বাধীনতার ধারক বাহকের বিরূদ্ধাচারণ করা আপনার ঠিক হয় নাই। আপনাকে যেটা বুঝতে হবে সেটা হচ্ছে কোন স্বাধীনতার ধারক বাহক যদি ধর্ষণও করে সেটা ধর্ষণ নয় সেটা স্বাধীনতা রক্ষার একটি পদক্ষেপ মাত্র। সেটা অপরাধ বলে গন্য হবে না।
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৬ ০৩:১২:৫২
@ মুক্তি ,ধর্ষন সে যে পরিস্তিতেই হোক না কেন মানবতার বিরুদ্ধে চরমঅপরাধ এবং একজন নারীর জন্য চরম আপমান । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ?
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৬ ০৩:১৬:১২
হরে ভাই আমগো কত কিছু জাইনাও না জানার ভান করতে হয়। ঠিকাছে...
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৬ ০৩:২১:০৮
মাহবুব সুমন, ব্লগে মাঝখানে এক রামবেকুবের আগমন হয়েছিল। তিনি তার ব্লগে দাবী করেছিলেন, যে সব নারীরা ধর্ষিতা হয়, সেটায় কিছুটা হলেও তাদের নিজেদের দোষ থাকে। http://www.somewhereinblog.net/blood_fuelledblog/post/16759#commentএইটা এবং আশে পাশের পোস্টে মন্তব্যগুলা দেখেন, মানুষগুলারে দেখেন আর হাসেন। কারণ দুই মুখের মানুষ দেখতে, শুনতে, পড়তে হাস্যকর।
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৬ ০৩:৩৩:৩৯
রাসেল(.......) সাহেব সম্ভবত এই পোষ্টের জবাবে একটি পোষ্টে অনেক উপদেশ ঝাড়লেন.... এই পোষ্টটি আগে পড়া হয়নি....মাহবুব সুমন... আপনি অযথাই চেষ্টা করছেন.... তারচেয়ে সম্ভবত কুকুরের লেজ সোজা করা সহজ.....যাই হোক... লেখাটার ষ্টাইল ভাল লেগেছে....
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৬ ০৩:৩৭:৩৯
আসলেই অযথা , ত্রিভুজ, অপেক্ষা করছি গালি শোনার জন্য ! হাহাহাহাা...
তিমুর বলেছেন :
২০০৬-১২-২৬ ০৩:৪৮:৫৬
মাহবুব, ঞ+জ =ঞ্জ, জ +ঞ=জ্ঞ, ঞ+চ=ঞ্চ ওকে?
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৬ ০৩:৫৫:৪১
ধন্যবাদ তিমুর ,আমি আসলে ব্লগে ফোনেটিক ব্যব হার করি ,একানে কি ও টা করা সম্ভব?
তিমুর বলেছেন :
২০০৬-১২-২৬ ০৩:৫৮:২৭
সেটা জানি না!বিজয় বা ইউনিতে (অভ্র বা অক্ষরে) এই নিয়ম । অভ্রটা ডাউনলোড করে নিন ফ্রি omicronlab.com...কাজে আসবে
অনিক বলেছেন :
২০০৬-১২-২৬ ০৪:২৫:১৮
সুন্দর বক্তব্য। প্রশংসাযোগ্য, রুচিশীল।
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৯ ০৭:২৫:৫৭
@ চোর, ্লব্লগের সেরা কমেন্টার , 2006 এর সেরা। তার প্রতিটা বুদ্ধিদীপ্ত কমেন্ট আমাকে ভালো লেখতে সাহায্য করে ।@ ধুসর, 2য় সেরা কমেন্টার , জানি উনি আমার প্রতিটে লেখা পড়েন , এজন্য ধন্যবাদ অনেক। @ রাগ ইমন ,ধন্যবাদ " ধরি মাছ ম না ছুই মর্াকা কমেন্টের জন্য , ইমন আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগার ।@ ভাস্কর দা,আপনে এমনি এমনি আমার বস না ! কমেন্টের মাধ্যমে তা বুঝিয়ে দিলেন ।@ তিমুর ,আমাকে সাহস দেবার জন্য এবং সাথে থাকার জন্য ।@ অণৃণ্য ,ধন্যবাদ অনেক ।@ পাগলা দাশ, মুক্তি এবং তেলাপোকা ।@অনিক , ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টের জন্য ।@ আস্তমেয়ে এবং ত্রিভুজ , কুকুর কামড়েলে তাকে কি কামড়ানো যায় ? আপনাদের স হমতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । @ শাহানা , আপনি মানুষ টা যে র কম , কমেন্ট ও করেন সে রকম , সুন্দর মনের সুন্দর কমেন্ট।
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৯ ০৮:৩০:২১
সামহোয়্যার ইনের প্রথম মানপত্র মনে হয়। ঐতিহাসিকতার মূল্য বাদ দিলেও, এমনিতেও খুব ভালা হইছে।
আমার নাম মফিজ বলেছেন :
২০০৬-১২-২৯ ০৮:৫৩:০৭
মামু, একটা আকাইম্যা কোশ্চেন, মাইন্ড খাইয়েন না। আপনে কি কুত্তা পালেন?
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৯ ০৮:৫৩:৪৪
সাদিক ধন্যবাদ , হাতে টাইম ছিল , তাই আজাইরা কামে লাগাইছিলাম সেইটা। কাম নাই তো ভেন্ডা ভাজা।
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৯ ০৮:৫৫:১৯
গুডিশ। ঈদে ব্লগারের দাওয়াতটা কবুল কইরা লইয়েন। পরে জানাইতে ভুইলেন না কেমন হইলো ঈদ।
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৯ ০৮:৫৯:৫৫
কাইল ঈদ ,1 দিন আগেও জানতাম রোববারে ঈদ , সে ভাবেই ছুটি নিয়েছিলাম , সকালে উঠে দেখি কাল, শনিবার ঈদ । মোল্লাগো নিয়ে পারা মুশকিল,এইখানে 2 দিন ঈদ ,(2 পার্টি2 দিন ঈদ করে )আমারো 2 দিন। 2 দিনই সেমাই খামু
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৯ ০৯:০৩:৪৮
সুমন,দুনিয়ায় আর কাজ কাম নাই মিয়া?কে কী কয় না কয় সেটা নিয়া ফালতু লাফালাফির কী আছে??
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১২-২৯ ০৯:১৬:১৭
আরিফ ভাই ,আজাইরা কামে আমি আর নাই , কে কি বল্ল আরে কি করল সেইটা নিয়া সময় নষ্ট না কইরা ভালো কামে টাইম দিতাছি ,দোয়া কইরেন ,আর ঈদ মোবারক আপনারে আর ভাবি রে । দোয়া কইরেন । সালামি ঢাকায় আইসা নিমুনে , খেলাপি হইলে ক্রসফায়ার ।
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১২-২৯ ০৯:২২:৫২
ঈদ মোবারক।ওকে,সালামি বাকী থাকলো।
হিজিবিজি হিজিবিজি বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৫:৫৭:১৮
আয় হায়.. বানান ভুল নিয়া চোরের মন্তব্য আগে দেখি নাই.... সবাই অনিচ্ছাকৃত বানান ভুল করলে সমস্যা নাই.. কারন ম্যান ইজ মরটাল... কিন্তু [গাঢ়]ত্রিভুজ[/গাঢ়] করলেই সমস্যা... (কিমজা)সুমন ভাই.. আপনার পুরান পোষ্টগুলার দিকে চোখ যেতে হটাৎ মনে হলো মানপত্রটা যেন কাকে লক্ষ করে... :)
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৬:০০:৩৫
মানপত্রটা আপনার প্রিয় দুলাভাই ডটু রাসেল কে লক্ষ্য করে @ ত্রিভুজ।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৬:০৬:৪৪
বস, কি বলেন!রাসেল কি দেশে গিয়া ছাগী বিয়া করেছে? (অবাক)
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৬:১৬:০৯
নাহ্, এই স্বরহীন মানুষটাকে চিনি না তবে কেনো জানি পছন্দ করি। আর চোর ভ্রাতা, অপ্রাসংগিক মন্তব্য না করার জন্য অনুরোধ করছি।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৬:২৩:৫০
ওকেলা! মিয়া ব্যানের ডর দেখাইয়েন না আবার। (চামহাসি)আমি অবশ্য স্বরহীনের কথা কই নাই। স্বরহীন তো আমরিকায়। (ধরাখাইছে)
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৬:২৬:২৬
ডটু একটাই বিয়ে করেছে ও সেটা স্বরহীন।ব্যান করার ডর দেখাই না, আমি এখন পর্যন্ত 2 টারে ব্যান করেছি সে 2 জন আমারে ব্যান করছে বলে, আশরাফ রাজাকার কে ব্যান করব আজ।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৬:৪৫:৫১
মাথা মন্ডু কিছুই বুঝি নাকাকে নিয়ে মানপত্র করছেন?আর সুমন সাহেবের সাথে দেখি সবাই রসিকতা ...ভাগ্যবান মি. সুমন সাহেব।আর হা, কেউ যদি জানেন কাকে উদ্দেশ্য করে লেখছে, জানাতে ভুরবেন না কিন্তু, কারন সুমন সাবে তো জানাইবে না, আপনারা তো আছেন!
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৬:৫১:৪৩
যাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলাম সেটা লেখায় উল্লেখ করি নাই , কিন্তু সে সেটা বুঝেছিলো ভালো ভাবেই, তবে সেটা অনেক পুরান ঘটনা। এ রকম ঘটেই থাকে, ব্যাপার না। @ অতন্দ্্র প্রহরি।
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৬:৫৭:০২
পুরান ঘঠনা যদি হয়েই থাকে তাহলে সেটা নিয়ে ঘষা মজা করছেন কেন, ছেড়ে দিলেই তো পারেন।আর তাছাড়া এক পক্ষকে অন্তত সংযমী হতে হবে। দই পক্ষ যদি আক্রোশ হয় তাহলে তো কখনই মীমাংশা হবে না।আপনার মাধ্যমে বাহার সাহেবকে শুভেচ্ছা....এমনিতেই
অতিথি বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৭:০৬:৫৫
এতো পুরানা পোস্ট হঠাৎ জাগলো কেমনে?
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৭:১৭:০৬
ক্ষান্ত দেয়া হোলো এ পোস্টের ও কমেন্ট সকলের। ওম শান্তি।
তিমুর বলেছেন :
২০০৭-০৩-২৭ ১৭:২৪:৫৮
জি.ফা আর লিটনের পরিচয় না দিলে আবার জাগামু!