বুধবার, ২০ মে, ২০০৯

তামিলরাও একটি স্বাধীন দেশ চেয়েছিলো

২টি মন্তব্য :
এলটিটিইর পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে একটি স্বপ্নের মৃত্য ঘটলো, স্বাধীনতার স্বপ্ন। স্বাধীন তামিল ইলম, এলটিটিই, প্রভাকরন - আজ সবটাই ইতিহাস । সব স্বাধীনতার প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখে না হয়তো, যেমনটি সফল হয়নি আশির দশকের শিখদের স্বাধীন খালিস্তান-রাস্ট্রের স্বপ্ন ।

"প্রভাকরন " একদলের কাছে সুর্যদেবতা - অন্য দলের কাছে হিংস্র দানব। একজন স্বাধীনতাকামী নেতা - একজন খুনী- একজন পিতা - একটি ইতিহাস।

তামিলরাও একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলো। সে স্বপ্ন নিয়ে হয়তো কোনো তামিল তরুন বুকে বোমা বেঁধে আত্মঘাতী হবে, কিছু নিস্পাপ মানুষ মেরে স্বাধীনতার স্বপ্ন আরেক তরুনের কাছে হস্তান্তর করে যাবে।  তবুও বেঁচে থাকবে স্বপ্ন ,একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন - সিংহলী বিষম্য থেকে মুক্ত একটি দেশ।

ইতিহাসে হয়তো অনেক কিছু লেখা হবে; কিছু সত্য- - কিছু মিথ্যা। হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতার স্বপ্ন সেটা কিন্তু মিথ্যে ছিলো না।
স্বপ্মের মৃত্য নেই।

বড্ড মাথা ব্যাথা

কোন মন্তব্য নেই :

বড্ড মাথা ব্যাথা। মাইগ্রেনের সমস্যাটা কি ফীরে আসছে? ওষুধ খেয়ে, ঘর আঁধার করে সারাটি দিন অচেতনের মতো শুয়েছিলাম। কখন যে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গিয়েছি টেরই পাইনি। ঘুম যখন ভাঙলো তখন ঘড়িতে সন্ধ্যে ৭ টা বাজবে বাজবে করছে।


কিচ্ছুই করা হলোটা সারা টি দিন, অথচ কতো কিছুই করার কথা ছিলো।

কবি মুজিব মেহেদী ভাইয়ের ফেসবুকে ঢুকেই উনার স্ট্যাটাস দেখে অবাক ! কি সুন্দর দুটো কবিতার লাইন তুলে রেখেছেন।

দেয়াল তুললেই ঘর ভেঙে ফেললেই পৃথিবী-- সুজিত সরকার
এইসব সারেগামা পেরিয়ে তোমার কাছে দু-ঘণ্টা বসতে ইচ্ছে করে : ভাস্কর চক্রবর্তী

নেটে কবিতাগুলো খুঁজে পাবার চেস্টা  করলাম। গুগুলে এতো কিছু পাওয়া যায় কিন্তু যা চাই তা পাই না কেনো ! কবিতা পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে।

উহ্‌ বিরক্তিকর।
মধ্যরাত।
চারদিকে অসহনীয়  নিস্তবদতা।
ঘড়ির টিক টিক শব্দ জানিয়ে দিচ্ছে জীবন থেকে একটি সেকেন্ড হারিয়ে গেলো।

রবিবার, ১৭ মে, ২০০৯

সপ্তাহ শেষের কড়চা

কোন মন্তব্য নেই :
সপ্তাহটি বেশ ঢিমে তালে কাটলো। কোনো কিছুতেই তেমন ব্যস্ততা ছিলো না। তবে অফুরন্ত অবসর বলতে যা বোঝায় সেটাও অবশ্য বলা যাবে না। ঝড় শুরু হবার আগে যেমনটি সবকিছু কেমন যেনো থম মেরে থাকে তেমনি, সামনের সপ্তাহগুলো দারুন ব্যস্ততায় যাবে।

আগামী শুক্রবার সিডনী যেতে হবে, বউ - ছেলে দেশ হতে আসছে। সন্ধ্যায় যাবো রাতের শেষ বিমানে ফেরত আসবো। গত ৫ সম্তাহের নিঃসংতা কাটবে। ছেলেটা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে কত দিন দেখিনা। এখানে থাকতে হামাগুড়ি দিতো না এখন হামাগুড়ি দিচ্ছে। দাঁড়াতে পারতো না, এখন ধরে ধরে দাঁড়াতে পারছে। দাঁত উঠি উঠি করতে করতে এখন আমার দিব্যসোনার ৩ টা দাঁত।

সপ্তাহে খবরের কাগজ ছাড়া কিছুই পড়া হলো না। কোনো মুভিও দেখা হলো না। ইউরোভিশন ২০০৯ দেখা হলো। সেটাও মনোযোগ দিয়ে দেখা হলো না। নর‌ওয়ের Alexander Rybak এবারের বিজয়ী যদিও আমার ফেভারিট ছিলো আজারবাইজান।

ফেসবুকে বেশ গুঁতোগুঁতি করেছি। মানুষ তার প্রাইভেসী সম্পর্কে কতো উদাসীন সেটা ফেসবুক না দেখলে বোঝা হতো না। অনেক পুরোনো প্রিয় বন্ধুকে ফেসবুকে পাচ্ছি। এ কারনেই মনে হয় ফেসবুকে ঝুলে আছি। মন্দ লাগে না এই অপরবাস্তব পৃথিবী।

সিগারেট ছেড়ে দেবার স্বীদ্ধান্ত নিয়েছি তবে ছাড়তে পারছি না। প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তির অভাব।


শুক্রবার, ১৫ মে, ২০০৯

অনেক খারাপ খবরের মাঝে "একটি খবর" যা আশাবাদী করেছে

কোন মন্তব্য নেই :
বাংলাদশের হাইকোর্টকে মাঝে মাঝে একদল বৃদ্ধ মেরুদন্ডহীন চাটুকারদের আড্ডাখানার কথা মনে হয়। আজকের খবরটি পড়ে মনে হচ্ছে হাইকোর্ট এখনো তার দ্বায়িত্ব পালন করতে ভুলে যায়নি। আজকের রায়টি সেটার কথাই মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছে।

সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টের দেওয়া দিকনির্দেশনামূলক রায় পালন করা বাধ্যতামূলক তবে এ দিকনির্দেশনাকে আইনে পরিনত না করতে পারলে এ দিকনির্দেশনা কাগুজেই রয়ে যাবে। সংসদে এটাকে শুধু আইনে পরিনত করলেই হবে না এটার যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।

কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক, নিপীড়নবাদী মানসিককতার পরিবর্তন কে করবে ? মুল সমস্যাটা কিন্তু এখানেই। দরকার মননে পরিবর্তন - দরকার আচরনে পরিবর্তন - দরকার মানুষের মতো আচরন। মনটাকে ফর্সা করতে হবে।

এ মুহুর্তে মাজদার হোসেন রায়ের কথা মনে পরে যাচ্ছে " নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকীকরন"। কিন্তু এ রায় মানতেও সরকার ও নির্বাহী বিভাগের কত খোঁড়া অজুহাত, পদে পদে রায় অমান্য করে হাইকোর্টের রায়ের প্রতি মধ্যমাংগুলি প্রদর্শন। ঘড় পোড়া গরু সিঁদুর দেখেও ডরায়, আমি ডরাই। সরকার কি নারীর পক্ষে হাইকোর্টের দেয়া এ রায়কে আইনে পরিনত করে সেটার যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে ! ?

অনেকেই দেখছি এ রায়টি নিয়ে বিভিন্নভাবে রংগ রসিকতা করছেন কিন্তু তাদের প্রতি অনুরোধ দয়া করে রায়টি ভালো ভাবে পড়ে দেখুন।

রায় টি নিয়ে প্রথম আলোর রিপোর্টটি নিচে যোগ করে দিলাম।

"যৌন হয়রানি বন্ধে নীতিমালা ঘোষণা হাইকোর্টের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না"
নিজস্ব প্রতিবেদক ( দৈনিক প্রথম আলো ১৫/০৫/২০০৯ )
যৌন হয়রানি রোধে কয়েকটি দিকনির্দেশনা উল্লেখ করে একটি নীতিমালা করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের এক রায়ে যৌন হয়রানির সংজ্ঞা নির্ধারণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে এ বিষয়ে অভিযোগকেন্দ্র গঠন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতিত ও অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ না করার কথা বলা হয়।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনাগুলো পালনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টের দেওয়া দিকনির্দেশনামূলক রায় পালন করা বাধ্যতামূলক।
২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট করা হয়। বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। আদালত ওই দিন শুনানি শেষে কেন নতুন আইন বা বিধিমালা প্রণয়ন করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন।
রুলে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে জবাব দিতে বলা হয়।
রায়ে বলা হয়, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে অভিযোগকেন্দ্র থাকবে। এই অভিযোগকেন্দ্র পরিচালনার জন্য ন্যুনতম পাঁচ সদস্যের কমিটি থাকবে। কমিটির প্রধান হবেন একজন নারী। এ ছাড়া কমিটিতে একাধিক নারী সদস্যও থাকবেন। কমিটি কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষে পুলিশের কাছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাঠাবেন। এরপর দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধের ধরন ও মাত্রা অনুযায়ী বিচার বিভাগ যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। নির্যাতন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া এবং পুলিশের কাছে অভিযুক্তকে সোপর্দ করার আগে নির্যাতিত ও অভিযুক্ত ব্যক্তির কোনো পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না।
যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় আদালত বলেন, শারীরিক ও মানসিক যেকোনো ধরনের নির্যাতন যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে। ই-মেইল, এসএমএস, টেলিফোনে বিড়ম্বনা, পর্নোগ্রাফি যেকোনো ধরনের চিত্র, অশালীন উক্তিসহ কাউকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সুন্দরী বলাও যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে। শুধু কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই হয়রানির ঘটনা ঘটে না। রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অশালীন উক্তি, কটুক্তি করা, কারও দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো প্রভৃতি যৌন হয়রানি হিসেবে গণ্য হবে।
আদালত চার দিন শুনানি করেন। শুনানিতে যৌন হয়রানির ওপর ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রায় তুলে ধরা হয়। ভারতের রাজস্থান বনাম বিশাখা মামলায় আদালতের দেওয়া রায় এ ক্ষেত্রে গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, যৌন হয়রানির ওপর ভারতে এখনো কোনো আইন করা হয়নি। তার পরও বিশাখা মামলায় আদালতের দেওয়া রায়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ভারতে যৌন নিপীড়ন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রায়ে আরও বলা হয়, কোনো নারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, যেকোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করা, অশালীন চিত্র, দেয়াললিখন ও আপত্তিকর কোনো ধরনের কিছু করা যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া রায় ইতিবাচক। সংসদকেই আইন প্রণয়নের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যত দিন এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা না হয়, তত দিন দিকনির্দেশনাগুলো কার্যকর থাকবে। এর ফলে আইন প্রণয়নের সময় হাইকোর্টের রায়ে কোনো ধরনের দুর্বলতা থাকলে তা বেরিয়ে আসবে, যা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করবে।
রিট আবেদনকারী সালমা আলী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। এর ফলে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত হবে। নারীর সার্বিক ক্ষমতায়নে এই রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ফৌজিয়া করিম বলেন, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে পালন করতে হবে।
রায়ে যৌন নিপীড়ন ও শাস্তি সম্পর্কে সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করা এবং কার্যকর শাস্তির বিধান করে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নে তাগিদ দেওয়া হয়।
মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে ফৌজিয়া করিম রিটের শুনানিতে অংশ নেন। তাঁকে সহযোগিতা করেন ফাহিমা নাসরীন, রেবেকা সুলতানা, রেহানা সুলতানা প্রমুখ।
সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজিক আল জলিল জানান, আইনগত কোনো সমস্যা তৈরি না হলে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে না।
এদিকে ব্যারিস্টার সারা হোসেন জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানির ঘটনায় দায়ের করা পৃথক রিট মামলার শুনানিও শুরু হয়েছে।

সোমবার, ১১ মে, ২০০৯

ক্যানবেরার খেরোখাতা ১১

কোন মন্তব্য নেই :
ব্লগের পাতা উল্টোতে উল্টোতে আবিস্কার করলাম গত বছরের নভেম্বরে শেষ খেরোখাতা লিখেছি। এর মাঝে বুড়িগংগা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে, গ্রীষ্ম শেষে শীত এসেছে, নিজেও জীবনের নড়বড়ে সাঁকোতে দুলতে দুলতে আরেক কদম এগিয়েছি । এক মুঠো ঝাল মুড়ির মতো মুচমুচে জীবন। তাকিয়ে দেখি- পৃথিবীতে সেই আগের মতোই সুর্য উঠছে, পুর্নিমার রাতে পদ্য রচনা হচ্ছে, ৬০০ কোটি মানুষের ৬০০ কোটি গল্পের সাথে প্রতি মুহুর্তে একেকটি নতুন গল্প লেখা হচ্ছে।

মা দিবস যে আসছে সেটা টিভিতে এড দেখলেই বোঝা যায়। একটা এড দেখে মজা লাগলো, কেউ কি কোনোদিন দেখেছে মা চেইন সো দিয়ে গাছ কাটছে ? এডে বলছে তারা এবারের মাদার্স ডে স্পেশাল হিসেবে চেইন সো সেল দিয়েছে যাতে মা আরাম করে গাছ কাঠতে পারে। সবকিছুতেই বানিজ্য, বানিজ্যেই সুখের বসতি। বছরের প্রতিটা দিনই আমার কাছে মা দিবস। তবে আজকের দিনে আমি আমার সন্তানের মা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছি, আমার মাকে মা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছি, আমার জীবনসংগীনির মাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। মার কাছ হতে হাজারো মাইল দূরে থেকে মার কথা মনে পরছে খুব। যদি পাখি হতাম তবে উড়াল দিয়ে মার কাছে চলে যেতাম।

বেশ শীত পরেছে। আজকের দিনটা কেমন যেনো বিষন্নভরা। আকাশে মেঘ - কনকনে ঠান্ডা, গুমোট এক মন খারাপ করা দিন। অলস একটি দিন কাটলো।ছুটির দিনে কম্বল মুড়ি দিয়ে দুটি মুভি দেখা হলো। পোলিশ ফিল্ম "Katyń" , বাংলা ভাষায় জার্মান মুভি "Shadows of Time" ।

"Katyń" দেখে খুব একটি ভালো লাগলো না, বিশেষ করে এটার নির্মানশৈলী। কেমন যেনো খাপছাড়া , গল্পের গভীরে না গিয়ে তাড়াহুড়ো করে সবকিছু শেষ করে দেবার চেস্টা। উইকিতে গিয়ে গুঁতো মেরে দেখা যেতে পারে এটার সম্পর্কে জানতে।   পোলান্ডের Katyn ম্যাসাকার নিয়ে মুভি।

"Shadows of Time" গতানুগুতিক ভালোবাসা - বিচ্ছেদের গল্প তবে একটু ভিন্নভাবে দেখবার চেস্টা। পরিচালকের পরিচালনা চোখে লাগার মতো। অভিনেতা -অভিনেত্রীদের অভিনয়ও ভালো লেগেছে। মুল চরিত্র ' রবির' ভুমিকায় প্রশান্তের সাবলিল অভিনয়ের সাথে সাথে 'মাশার' ভুমিকায় তন্নিস্ঠার অভিনয় ভালো লেগেছে তবে মাঝে মাঝে অতি নাটকীয়তা চোখে লেগেছে। কিছু কিছু মুভি মনের মাঝে আঁচর রেখে যায়। এটাও সেরকম একটি। আর ইরফান খানের অভিনয় সব সময়ই ভালো লাগে। উইকিতে এর বিস্তারিত পাওয়া যাবে।  
দারিদ্র- ভালোবাসা- প্রেম- বাস্তবতা- পিছুটান- ত্যাগ - স্বপ্ন - প্রতিশ্রুতী ; সব কিছু নিয়েই জীব। আর জীবন নিয়েই মানুষ তৈড়ি করে এসব সিনেমা। shadows of time দেখতে পারেন । ভালো লাগবে অবশ্যই।

মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০০৯

হাবিজাবি ৪

২টি মন্তব্য :
তুমুল ব্যস্ত একটি সপ্তাহ পার করে আরেকটি ব্যস্ত সপ্তাহ শুরু করছি। ঘটা করে বলার মতো আহামরি কিছু ঘটেনি। পুরনো সেই গানটিই এক ঘেয়ে সুরে বেজে চলছে।

প্রচন্ড ঠান্ডা পরেছে, যদিও শীতকুমারের হাঁক ডাক সেভাবে শুরুই হয়নি। রাতে গাড়ির উপরে জমে থাকা শিশির দেখে ঠান্ডার আমেজটুকু আন্দাজ করা যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। ঘরে হিটার থাকাতে ঠান্ডা বোঝা না গেলেও বাহিরে গেলে বোঝা যায় ঠান্ডা কাকে বলে।

রাঁধতে করা মনে হয় ভুলেই গিয়েছি। গত ৩ সপ্তাহ ১ দিন রেঁধে ২ দিন খাবারের সেই পুরোনো অভ্যাসে ফিরে গিয়েছি। গতকাল রাঁধলাম মুরগি, ভেবেছিলাম খেতে খুব একটা সুবিধের হবে না। কিন্তু রান্না ভালোই হয়েছিলো, ঝাল একটু বেশী এই যা। কাজ শেষে বাসায় এসে দূপুরের খাবার বিকেলে খাই, তরকারী শেষ হয়ে গেলে রাঁধি সন্ধে বেলা, সাদাদের মতো ৮ টার মধ্যেই রাতে খাবার শেষ করে ফেলি। সমস্যা হয় মধ্য রাতে, ক্ষিদে পেয়ে যায়। ওজন বেশ কমেছে বোঝা যাচ্ছে। নিজেকে বেশ ঝরঝরে লাগে। আজ কাল ঘাস - লতা - পাতা খাবার অভ্যাস করছি, ভদ্রলোকেরা যাকে সালাদ বলে। ভালোই লাগে খেতে।

হাতের ব্যথাটা আবার একটু দেখা দিয়েছে। তেমন সমস্যা করছে না, সেরে যাবে। ব্যান্ডেজ বেঁধে রেখেছি।

গত শনিবার ক্যানবেরায় বৈশাখী মেলা হয়ে গেলো যদিও বৈশাখ শেষ হতে হতে জৈষ্ঠ মাস আসছে আসছে। যাওয়া হলো না, যদিও ইচ্ছে ছিলো অনেক। কাজ পরে গিয়েছিলো। একজন ক্ষুধার্ত মানুষকে যদি 'ফুল নেবে না খাদ্য নেবে' বলে গান শোনানো হয় তবে সে খাবারকেই বেছে নেবে। পেটে ভাত থাকলে গান গেতে ইচ্ছে করে, ছবি আঁকতে ইচ্ছে করে, আকাশে ঘুড়ি উড়াতে ইচ্ছে করে। পেটে ভাত না থাকলে সব কিছুই দুঃস্বপ্নের মতো মনে হয়, থালা ভরা গরম ভাতের সাথে ধোঁয়া উড়ানো সোনা মুগের ডালই তার কাছে পরম আরাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। সামনে অনেক খরচ, ওসব বিলাসীতা আমাকে মানায় না। সময় হলে সবই করা যাবে। এখন যুদ্ধের সময়, বাঁশি বাজাবার নয়।

সন্ধ্যায় অল্প স্বল্প পড়াশোনা করি, মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে পড়াশোনা করতে। মনে হয় আর কতো! কিন্তু পড়াশোনা যে আমাকে ছাড়বে না, আমৃত্যু তাড়া করে যাবে। বিরক্তিকর একটা জিনিস।

ব্লগে লেখা লেখি বন্ধ। টুকটাক কমেন্ট করি পছন্দের মানুষগুলোর ব্লগে। ব্লগের কুরুক্ষেত্র হতে ৩০৩ হাতে দূরে থাকতে ভালো লাগে। মানুষ কেনো যে পর্দার আড়ালে থেকে রাজা উজির মেরে সেপাইয়ের শান্তি নস্ট করে বুঝতে পারি না।

প্রথম আলোর জন্য একটা লেখার জন্য বড় ভাই কতবার বলছেন, উনার ভয়ে উনার মেইল পড়তেই ভয় হয়, মেসেন্জারে অদৃশ্য হয়ে থাকি। ভাবছি লিখেই ফেলবো - আজকালের মাঝে। টপিক ঠিক করে ফেলেছি, এখন শুধু শব্দগুলোকে ইটের মতো একটির পর আরেকটি করে সাজিয়ে নেবার পালা।