আমরার কিশুরগন্জের মানুষ 'আলো' বলতে গিয়ে আলু বলি, তার মানে এই না যে আমাদের আলুর দোষ আছে। কিন্চিৎ থাকিলেও থাকিতেও পারে, কে জানে! কিশোরগন্জ শহরে 'আলোর মেলা' বলে একটি পাড়ার আছে, রিকসাওয়ালেকে আলোর মেলায় যেতে বল্লে সে অবশ্যই বলিতে হইবে "আলুর মেলায় যাইবাইন ?"
যাই হোক, লেখার বিষয় কিশুরগন্জের আলুর মেলা নয়।
আশির দশকে গ্রামে গ্রামে ঘুড়তে হতো বাবার চাকরির সুবাদে। তখন এরশাদ আমল। বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে লেখা " বেশী করা আলু খান, ভাতের উপর চাপ কমান"। সে সময় উপজেলা সদরে কৃষি মেলা, কখনোবা মিনাবাজার হতো। সেখানে আলুর তৈড়ি হরেক রকমের খাবার নিয়ে উপজেলার অফিসারদের বউদের সুপ্ত প্রতিভা প্রকাশের প্রতিযোগীতা দেখাতে হতো। মনে পরে, কোন এক আন্টির আলুর পায়েস ও খেয়েছিলাম! ওয়াক....মানুষের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন করার জন্য সে কি চেস্টা !!
দেশে এবার নাকি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে, মানুষ কোল্ড স্টোরেজে রাখার জায়গা পাচ্ছে না। সেনাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য জেনারেল সাহেব সবাইকে বেশী করে আলু খাবার পরামর্শ দিয়েছেন। উনার অমৃত সম বাণী মাটিতে ফেলার দুঃসাহস আমাদের নেই। আমরা বেশী করে আলু খাচ্ছি। আলুর কেক- আলুর রেজালা- আলুর পোলাও- আর কত কি !
চালের দাম আকাশছোঁয়া। বছর আগের ২৫ টাকার চাল এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এজন্য আসুন আমরা বেশী করে আলু খাই, ভুট্টার আটার রুটি খাই, খাদ্যাভ্যাস বদলাই, ভাতের উপর চাপ কমাই।
জেনারেল সাহেব বলেছেন আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করছেন। আসুন চোখে সুরমা লাগিয়ে হেলে দুলে জেনারেল সাহেবের জন্য জলপাই দুরুদ পড়ি, দোজাহানের অশেষ ছোয়াব হাসিল করি।
আম্মাআ বাদ.......
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।