সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০০৭

বিবাহিত পূরুষদের জন্য সামান্য কয়েকটা টিপস

কোন মন্তব্য নেই :
বিবাহিত পূরুষদের জন্য সামান্য কয়েকটা টিপস
১) মশারি টাঙাতে শিখে ফেলুন এক্ষুনি।
২) বউয়ের শাড়ির ভাঁজ ঠিক করতে হলে মাটিতে বসতে হবে, সে সেজন্য মাটিতে বসার অনুশীলন করুন ।
৩) প্রতিটি কথায় " ইয়েস ডার্লিং " বলতে শিখুন, ভুলেও না বলা যাবে না কোনো কথায়।
৪) হাসি না আসলেও দাঁত কেলিয়ে হাসার প্রাকটিস করুন।
৫) পিঠে কুলা বাঁধার প্রাকটিস করন।
৬) নিজের ইচ্ছা বা শখ বিসর্জন দিতে শুরু করুন।
৭) শশুড়-শাশুড়ির প্রিয় মিস্টির তালিকা প্রস্তূত করুন।
৮).....................

******************
রম্য লেখার চেষ্টা,

অভিগ্যতা লব্ধ নহে,
লেখকের জীবনের সাথে মেলাবার চেষ্টা করবেন না,
আরো টিপস আসবে, আপনারাও যোগ করতে পারেন।

বুধবার, ২৫ এপ্রিল, ২০০৭

টোটাল রাজনৈতিক পোস্ট

কোন মন্তব্য নেই :
বিদেশে বসে দৈনিক পত্রিকা , ব্লগ , ফোরাম বা অন্যান্য মিডিয়া পড়ে বা দেখে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরিরা বিশাল বিশাল লেখা লিখে ফেলতে পারলেও আমার মতো চুনো পূঁটিরা লিখতে পারি না, আমাদের মাঠে নামতে হয়।

দেশে আসার পর থেকেই মানুষের মন বোঝার চেষ্টা করছি। সকল শ্রেনীর মানুষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। জানতে চেষ্টা করছি তাদের মনোভাব।
আপাত খুশি সাধারন মানুষ। বিশেষ করে চির চেনা মধ্যবিত্য শ্রেনী।

নিম্নবিত্য শ্রেনীর কোন পরিবর্তন নেই। তাদেরতো দিন আনে দিন খেতে হয়। আগে ১৫ টাকা দিয়ে চাল কিনতে হতো এখন না হয় ২০ টা দিয়ে কিনতে হয়। এদের কথা ভাবার সময় বা ইচ্ছে তথাকথিত সামরিক সমর্থিত সরকারের নেই। দেশকে শান্ত দেখাতে হবে যেকোন মূল্যে। সমস্যা? চালাও গুলি, লাগাও পিটন । উদাঃ খুলনার শ্রমিক বিদ্রোহ। তবে এদের রক্ত খুবি সস্তা। প্রতিটি সংগ্রামে এদের সস্তা রক্তে অর্জিত হয় বিজয়, আবার যথাসময়ে ভুলেও যাই আমরা।

মধ্যবিত্যের বিকার নেই বল্লে ভুল হবে। নব্য ধনী, কালো টাকার মালিকরা কিছুটা আতংকে থাকলে তা সামলে উঠছে। হাজার হলেও তাদেরই প্রতিনিধি ক্ষমতায় । বস্তি গুড়িয়ে শহরের সৌন্দর্য বর্ধন করা হলেও ঘুষের টাকা তোলা অবৈধ ৬ তলা বিল্ডিং ভাঙতে দেখা যায় না। মাঝে কিছু ধরপাকর হলেও এখন তা অনেকটুকুই শান্ত। রাত জেগে ৩০ পয়সার তরুনের নৈশ ফোন মৈথুনে রত ডিজুস তরুনের বিকার না থাকলেও সবাই তো আর সেই তরুন না। আশাবাদী মানুষ আছে, দিন গুনছে তারা, আবার জেগে উঠার প্রস্তুতি চলছে , দেশকে জারজ জলপাই ওলাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে। স্বার্থে আঘাত না লাগা পর্যন্ত মধ্যবিত্য শ্রেনী হোলো পা-চাটা শ্রেনী।

উচ্চবিত্যদের অবস্থা যা ছিলো তাই আছে। রাজনীতিতে যুক্ত কিছু লোকের ঠিকানা নাজিমুদ্দিন রোড হলেও বাকি সবাই বহাল তবিয়তেই আছে। সুযোগে তারা আবার ফুলে ফেঁপে উঠছে। শত কোটি টাকার সুদ মওকুফ করে তার চিয়ার্স বলে হেঁকে উঠছে ঢাকা ক্লাবের বারে। এরা সব সময়ই ভালো । এদের নাদুস নুদুস ছেলে-মেয়েরা ঠিকি কে.এফ.সি তে ভিড় জমায় বা গাড়ির ভেতরে কার সেক্সে মেতে উঠে। বেশি সমস্যা হলে স্টেটস এ আংকেলতো আছেই।

এতো কিছু পরও প্রচুর মর্ষকামী মানুষের দেখা পেয়েছি। ধর্ষিত হতে এদের আপত্যি নেই। তবে কতোদিন তারা ধর্ষি্ত হতে রাজী সেটাই দেখার বিষয়। জলপাই ধর্ষন কিছু মানুষের প্রিয় জিনিস। তবে তাতে বোরড হয়ে গেলেই নতুন কাউকে খোঁজা শুরু হবে। সেদিন প্রতিবাদকারীর সংখ্যাটা একটু বাড়বে।রক্ত ঝড়েছে অতীতে প্রচুর, জয় এসেছে । আমরা ভুলেও গিয়েছি। এবারো না হয় রক্ত ঝড়বে, জয় আসবে, আবার ভুলেও যাবো। দেশতো আমাদের একটাই। হয়তো ১০ বছরের বদলে তা ১৫ বছর। আমি আশাবাদী মানুষ। হয়তো বোকাও। তবুও আশাবাদি আর দশটা সাধারন মানুষের সাথে।
--------------
এলোমেলো ভাবনা। হঠাত যা মনে আসলো তাই লিখলাম।
( লেখটা শহীদ বসুনিয়াকে স্বরন করে , তার স্মৃতিতে গড়া মুর্তির সামনে যখনই যাই তখনই বিবেকের দংশনে কষ্ট পাই। চরম অযত্মে নোংরা মুর্তির দেখলে মনে হয় বসুনিয়া তুমি বড়ই বোকা ছিলে। তোমার রক্তে অর্জিত গনতন্ত্র আজ বিক্রিত বহু বছর ধরে, তুমি আসলেই বোকা )

বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০০৭

অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ

কোন মন্তব্য নেই :
বাবা পুলিশে চাকরি করাতে পুলিশের প্রতি এক ধরনের আকর্ষন সব সময়ই ছিলো, এখনো আছে। দেশের পুলিশকে খুব কাছ থেকে দেখাতে ভালো-মন্দ মিশিয়ে অন্ন এক ধরনের অনুভূতি কাজ করে নিজের মাঝে। কখনোই ইচ্ছে হয়নি বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করতে, বাবাও সেটা চান নি কখনো। তবে ইচ্ছে আছে অস্ট্রেলিয়ায় যদি থাকি তবে পুলিশে যোগদান করতে। এখানকার পুলিশকে দেখলে এদের সাথে কাজ করতে ইচ্ছে হয় খুব।
বাসার খুব কাছেই অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ কলেজ। হোটেলে প্রায় সব সময়ই কোনো না কোনো পুলিশ অফিসারকে দেখি। সারা অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা পুলিশ। কেউ বা স্টেট পুলিশ , কেউবা ফেডারেল পুলিশ। মাঝে মাঝে অন্য দেশ থেকে আসা পুলিশও আমাদের এখানে উঠে থাকে। আমিও বেশ আগ্রহ ভরে তাদের সাথে পরিচিত হই ও আলাপ করি। একজন পুলিশের সন্তান হিসেবে তাদের কাছে বেশ সমাদরও পাই। খুব কাছ থেকে তাদের দেখা , মেশা ও বোঝার চেষ্টা করি।
অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের মাঝে। সব চেয়ে বড় যেটা লক্ষ্য করি সেটা হোলো যোগ্যতা। এখানকার পুলিশ বিশেষ করে ফেডারেল পুলিশের নুন্যতম যোগ্যতা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট। ওয়ান টায়ার রিক্রুটনমেন্ট বলে কারো মাঝে আলগা বড়মানুষি নেই যা আমাদের পুলিশে ন গ্নভাবে বিদ্যমান। আজ যে কমিশনার সেও কন্সটেবল হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেছিলো। এখানে সবাই কন্সটেবল হিসেবে যোগ দেয়, যোগ্যতা ও আগ্রহ থাকলে আস্তে আস্তে তারা উপরে উঠে যায়। বিভিন্নবিষয়ে তারা স্পেসালাইজেশন নেয় এবং সেটাতেই তারা কাজ করে। বাংলাদেশের মতো 3 স্তর বিশিষ্ট রিক্রুটমেন্ট না থাকাতে ফালতু ও বাজে শ্রেনী বৈষম্য এখানে দেখা যায় না। বয়স কোনো বাধা নয় এখানে। নুন্যতাম শারিরীক যোগ্যতা , শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে যে কেউ পুলিশ যোগ দিতে পারে। যে কারনে নতুন রিক্রুটে 20 বয়সী তরুন যেমন দেখা যায় তেমনি দেখা যায় 40 বছরের প্রায়-পৌড়কে।আমি একজন কন্সটেবলকে দেখেছিলাম আর্মির মেজরের চাকরি ছেড়ে পুলিশে যোগ দিতে।তবে বেতন খুব বেশী না হলেও এখানে পুলিশকে এমন এক বেতন দেয়া হয় যাতে তাকে অন্য চিন্তা না করতে হয়। চাকরির উন্নতি ও বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেতনও বাড়ে। আচার ব্যবহারে অনেকটুকুই ক্যাজুয়াল ও ভদ্্রএরা।
সাধারন নাগরিকের সাথে কথা বলার সময় 'স্যার' বলে সম্ভাষন করে সম্মান হিসেবে। পুরোপুরি উলটা আমাদের দেশ থেকে। বাংলাদেশে স্যার না বল্লে পারলে হাজতে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ।নিজেদের মাঝে কাজ করার সময়ও এরা অনেকটুজুই ক্যাজুয়াল। সিনিয়র আফিসারকে সম্মান দেখালেও ফালতু তৈলামী নাই এখানে।
ডিউটি অফ থাকলে বন্ধুর মতো আচরন। ক্যানবেরার ড্রাগ স্কোয়াডের পার্টিতে গিয়েছিলাম একবার । সেখানে কন্সটেবল থেকে শুরু করে পুলিশ কমিশনার পর্যন্ত অফিসার ছিলেন। খুবি ক্যাজুয়াল ভাবে সবাইকে মিশতে দেখেছি সবাইকে। বোঝাই যায় নি কে কমিশনার আর কে কন্সটেবল। বাংলাদেশ পুলিশের ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলাম একবার। আই.জি কে দেখে মনে হয়েছিলো যেনো সে দেশের রাজা ! সামন্তসুলভ আচরন ও সম্মান সে পেয়েছিলো।
বাংলাদেশ পুলিশে ইউনিয়ন করার কোনো সুযোগ নাই। তবে এখানে পুলিশ ইউনিয়ন আছে। তারা প্রতিবাদ মিছিলও করে, আবার পুলিশই সেই প্রতিবাদ মিছিল পাহাড়া দেয়।
আমি আমাদের দেশের পুলিশে সাথে তুলনা করতে চাই না। প্রচন্ড সীমাবদ্ধতার মাঝে কাজ করতে হয় বাংলাদেশ পুলিশকে। সাথে যুক্ত হয়েছে নোংরা , অ শ্লীল দূনর্ীতি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। এ ছাড়া রয়েছে রাজনৈতিক নিয়োগ, শতাব্দি প্রাচিন ট্রেনিং, মন-মানসীকতা ইত্যাদি ইত্যাদি। বলে শেষ করা যাবে না ।
এখানে এতো সুযোগ সুবিধার মাঝেও পুলিশ দূনর্ীতি করে , তবে বাংলাদেশের মতো রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে টাকা নেবার মতো না। তবে ধরাও পরে ও বিচারও হয়। মূলত ড্রাগ স্কোয়াডের মাঝেই দূনর্ীতি বেশী দেখা যায়।
মাঝে মাঝে অযাচিত আচরন ও ব্যবহারের জন্য এদের সমালোচীতও হতে দেখা যায়। আমার মনে হয় ক্ষমতা মানুষকে পরিবর্তন করে দেয় সব দেশেই। কোথায় বা সেটা বেশী, কোথায় বা সেটা কম।
ক্যানবেরায় বেশ ক মাস আগে পুলিশের একজন সিনিয়র সুপারেনডেন্ট ড্রাংক অবস্থায় ধরা পরে। লিমিট থেকে সামান্য উপরে ছিলো সে। তাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং চাকরি থাকে বরখাস্ত করা হয়।এতো কিছুর পরও এখানে পুলিশকে পোলা পাইন " পিগ" বলে গালী দেয়। সাধারন মানুষ পুলিশকে বন্ধু বল্লেও অপছন্দও করে।
********
একটা মজার গল্প বলে পোস্ট শেষ করি,ড্রাগ স্কোয়াডের পার্টির কথা আগেই বলেছি। সেখানে একজনের সাথে বেশ অনেক ক্ষন কথা হয়েছিলো। বাংলাদেশ পুলিশের সাথে সে কাজও করেছিলো পূর্ব তিমুরে। যাই হোক, এক দিন রাস্তায় হেঁটে আসছিলাম। হঠাৎ শুনি , আমার নাম ধরে কে জানি ডাকছে। পেছন ফীরে দেখি এক পুলিশ। আমি বেশ ভয়ই পেয়েছিলাম । ভেবেছিলাম কি দোষ করলাম যে আমাকে ডাকছে পুলিশ। পরে দেখি সেই পুলিশ। আমি তার নাম ভুলে গেলেও সে আমাকে ভুলে নাই।--------
বিঃ দ্্র ঃ
পুলিশ পছন্দ করেলেও ভয় পাই।
বাংলাদেশের পুলিশ হতে 303 হাত দূরে থাকি।
অজানা কারনে এখানকার মেয়ে পুলিশরা খুব সুন্দরি হয় ( পুলিশে যোগ দেবার ইচ্ছা হবার এটাও একটা কারন )।
এটা কোনো গবেষনা পত্র বা সাহিত্য না।

বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০০৭

মফিজের ভারত ভ্রমন - 6 ( শেষ পর্ব)

কোন মন্তব্য নেই :



দিল্লি থাকে আলিগড়ে এসে 2 দিন থাকলাম। এর মধ্যেই আলিগড়-মালদা ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলা হয়েছিল। রাত 8 টায় ট্রেন ছিল, সেই ফারাককা এক্সপ্রেস। স্টেশনে অনেকে বিদায় দিতে এসেছিল। আমাকে না, আরেকজন বাংলাদেশী ছাত্র যে পড়া শেষ করে দেশে ফেরত যাচ্ছিল। আলিগড়ে একটা বাজে জিনিস আছে। " র্যাগিং " । আমি বুঝতে পারিনি যে সেটা আমার উপরও কিছুটা আসবে। স্টেশনে সবাই গল্প করছি, এমন সময় ঢাকার একটা ছেলে এসে বল্ল ' চলো চা খেয়ে আসি ' আমি মফিজ তার সাথে কিছুদূর যেতেই 10/12 টা বাংলাদেশী ছেলে আমাকে ঘীরে ধরল। গায়ে পরেই যেনো ঝগড়া শুরু করে দিল ওরা। আমি বুঝতে পারছিলাম কি হতে যাচ্ছে। নিয়মিত জিম ও বক্সিং করা পেটা শরীর আমার তখন। তারপরো ঘাবড়ে গিয়েছিলাম কিছুটা। 3/4 জনের সাথে পারা যায় , কিন্তু 12 জন ! ওরা ঠিক করে এসেছিল আমাকে সাইজ করবে। এতদিন সুযোগ পায় নি , শেষ বারের চেষ্টা। ভাগ্য ভালো , এটা আন্দাজ করে সিনিয়র কিছু ছেলে এসে আমাকে বাঁচালো। তারপরো কিছুটা হয়েছিল, আমার মুখে কয়েকটা পানচিং আর আরেক ছেলের 2 দাঁত হাওয়া।


ট্রেন 8 টার সময় আসার কথা থাকলে আসলো পরদিন সকাল 6 টায়। কি আর করা।ট্রেনে বলার মতো তেমন কিছু হয়নি। সাথে অনেক বাংলাদেশী ছেলে থাকাতে সারা পথ গল্প করেই কিভাবে যে সময় কেটে গিয়েছিল বুঝতেই পারিনি।বিকেল 3 টার দিকে মালদা পৌঁছুলাম ।চেকপোস্ট বন্ধ হবার সময় ছিল 4 টা।


পরিমরি করে ট্যাক্সি নিয়ে সোজা মাহদিপুর, তাড়াতাড়ি করে সব কিছু সেরে বাংলাদেশে প্রবেশ, সে এক অন্যরকম শান্তি।


যতবারই দেশের বাহির থেকে বাংলাদেশে ফিরেছি একি রকম শান্তি পেয়েছি। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে সমস্যা হবার কথা ছিল না, হয়ও নি।কাস্টমসে এসে সেই পুরোনো কাহিনী, 'বকশিস '। রাজী না হওয়াতে সব কিছু চেক করলো। চেক করা শেষ হবার পর বাবার পরিচয় দিলাম , ব্যাটা বলে আমার বাবা নাকি তার বন্ধু, শালা চুতিয়া।


সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে গেলো সোনা মসজিদ থেকে রাজশাহী কি ভাবে জাবো তা নিয়ে। কোনো বাস ছিল না, বাবাকেও বলিনি যে গাড়ি পাঠাবে। মহা সমস্যা। সব কিছু বন্ধ, এমনি একটা হোটেলও খোলা ছিল না যে কিছু খেতে পারবো।


এমন সময় স হায় হয়ে আসলো এক সি এন্ড এফ এজেন্ট, সে তার ট্রাকে রাজশাহী পৌছুবার ব্যবস্থা করে দিলো, পাথরের ট্রাক। ট্রাকের পেচনে আমি আর আমার বন্ধুবসা। সে এক অন্যরকম অভিগ্যতা।


চাঁপাই নওয়াব গনজে গিয়ে পেট পুরে ভাত খেলাম, সে আরেক রকম শান্তি।


রাত 11 টায় রাজশাহী পৌছুলাম।


শেষ হোলো 11 দিনের ভারত ভ্রমন।


--------------


ছবি :ছোট সোনা মসজিদ।

মফিজের ভারত ভ্রমন - 5 ( দিল্লি )

কোন মন্তব্য নেই :

টানা 2 ঘন্টা ট্রেন জার্নিকরে দিল্লি যখন পৌছুলাম তখন রাত প্রায় 8 টা।পশ্চিম আকাশে তখনও গোধুলি।স্টেশনের কাছেই পাহাড়গনজের এক হোটেলে মাথা গোঁজার ঠাঁই মিল্ল। পাশের এক রেস্টুরেন্টে আলু পরোটা ও সবজি দিয়ে ডিনার সেরে একটু হাটতে বেরুলাম দু বন্ধু। তবে বেশিদূর যেতে ইচ্ছে করেনি, একেতো রাত তার উপর আবার ক্লান্ত। রাতেই টু্যর অপরাটরের সাথে সিটি সাইট সিয়িং এর কন্টরাক্ট করলাম, 125 রুপি, এসি বাস।

গরমে এসি বাস খুবই আরামদায়ক, বিশেষ করে 40 - 45 ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হাতে সময় কম থাকাতে প্যাকেজ টু্যরটাই বেছে নিয়েছিলাম যদিও ব্যক্তিগত ভাবে আমি এরকম প্যাকেট বন্দি বেড়ানো একদমই পছন্দ করি না।
মরিশাসের তৈরি এক প্যাকেট বেনসন কিনেছিলাম সে রাতে, মাগার ও ই বেনসনের মতো জঘন্য বেনসন আরো কোনোদিন দেখিনি।ওয়াক্... সকাল 7:30 টা টু্যর শুরু হোলো , মাঝে আরো কিছু হোটেল থেকে টু্যরিস্ট নিয়েছিল। কিছু ক্ষনের মধ্যে বাসটা একটা মালটি কালচারাল বাসে পরিনত হলো।আশ পাশ থেকে বিচিত্র সব ভাষা।
বাস প্রথম থামালো দিল্লি লাল কেল্লা। সেখানেও 10 মিনিটের জন্য ভারতীয় হয়ে গেলাম আমরা। শানেনজুল ভারতীয় দের জন্য টিকিট 5 রুপি আর ফরেনারদের জন্য ডলারে অনেক। লাল কেল্লার ভেতরে প্রায় 1 ঘন্টা ঘুরে দেখলাম।
এর পর সোজা কুতুব মিনার। ওখানে আমরা সবাই দূপুরের খাবার সারলাম। মজার একটা অভিগ্যতা হয়েছিল সেখানে। আমাদের টেবিলের পাশেই এক ক্যালকেশিয়ান পুরো পরিবার নিয়ে বসেছিল, সে এতো মজার একসেন্টে কথা বলছিল যে তা শুনে আমার বন্ধুও ওব্যাটার নকল কর শুরু করলো। ওব্যাটা না পারে সইতে না পারে কইতে।
কুতব মিনার থেকে আমরা গেলাম রাজঘাটে, যেখানে মাহাত্মা গান্ধীর শেষকৃত্য করা হয়েছিল, অন্যরকম পবিত্র একটা পরিবেশ সেখানে।
রাজঘাট থেকে গেলাম ইন্ডিয়া গেট ও প্রেসিডেন্ট প্যালেস, ওখানে বেশ কিছু ক্ষন ছিলাম আমরা, বিকেল হয়ে গিয়েছিল তখন। ছবি টবি তুল্লাম সেখানে কিছু। সেখান থেকে কি একটা মন্দিরে গেলো সবাই, আমি অবশ্য যাইনি।
মন্দির থেকে কনাট প্লেস, সস্তায় কেনা কাটার জন্য বিখ্যাত।
এর পর ইন্দিরা গান্ধীর বাড়ি, দিল্লি জামে মসজিদ ঘুরে সেই পাহাড়গনজ, যেখান থেকে শুরু করেছিলাম যাত্রা।
আমরা সকালেই হোটেল থেকে চেক আউট করেছিলাম।
এর পর শুরুহোলো দিল্লি সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে আলিগড়ের টিকিট কাটার প্রানান্ত চেষ্টা তখন। 1 ঘন্টা যুদ্ধ শেষ করে ফিরে দেখি আমার বন্ধু এক স্পেনিয়ার্ডের সাথে মহা খাতিরে গল্প করছে। দেখে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমরা তাকে দিলাম গোলড লিফ তার বদলে সে দিল কুট কুটে স্বাদের স্পেনিশ সিগারেট। শালা দেখি মহা চালাক। যখন বল্লাম দিল্লি হোলো বাটপারে ভর্তি, পকেটকাটা যেতে পারে তখন দেখি সে ট্রাউজার খুলে দেখায় এমন জায়গায় টাকা-পাসপোর্ট যে ওগুলো নিতে হলে বিশেষ জায়গায় হাত বুলিয়ে নিতে হবে।চিড়িয়া একটা ছিল ব্যাটা।
ট্রেনে উঠে দেখি টোটাল ফিল আপ। দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত নেই। খুব কষ্ট হয়েছিল দিল্লি থেকে আলিগড় যেতে সে বার, আর দেখলাম আমরা ছাড়া আর কেউ টিকিট কাটেনি। রাত 10 টার দিকে আলিগড় পৌছুলাম।

--------------------

ছবি : ইন্ডিয়া গেট।

মফিজের ভারত ভ্রমন - 4 ( আগ্রা ও ফতেপুর সিক্রি )

কোন মন্তব্য নেই :

কোন এক উচ্ছল সকালে আগ্রার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলাম আমরা।

গন্তব্য : আগ্রা বাসাড্ডি ( হিন্দিতে বাস স্ট্যান্ড ) ,
বাহনঃ কদাকার রিকসা। বাসাড্ডিতে এসেই লেগে গেলো ভয়াবহ খুদা। তাকিয়ে দেখি পুরির মতো বিশাল কি যেনো ভাজছে! গরম গরম খেয়ে নিলাম বেশ কটা। বলে রাখা ভালো আমি আবার খেতে বেশ পছন্দ করি।
দৌড়ে বাসে উঠে গেলাম দু বন্ধু, অনেক দূর যাবার পর বুঝতে পারলাম ভূল বাসে উঠে পরেছি ! আগ্রা শুনতে আমরা উঠে পরেছি হাতরাস এর বাসে। কি আর করা, আগ্রার বাসে র জন্য আপক্ষা কাঠ ফাটা রোদে দাঁড়িয়ে।
আগ্রা বিজলী বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে ঠিক করলাম ফতেপুর যাবো। সম্রাট আকবরের রাজধানী মিস করা যাবেই না ! লোকাল এক লককর ঝককর বাসে চড়ে চল্লাম ফতেপুর সিক্রি । বাসে বেশ মজা হয়েছিল, সুন্দর এক মেয়ের সাথে টাংকি মারতে মারতে কখন যে পৌছে গেলাম ফতেপুর সিক্রি টেরই পেলাম না।
একটা জিনিস লক্ষ্য করেছিলাম , বাসের কন্ডাক্টর সামনে বসে থাকেন আর সবাই টিকিট কাটে তার কাছে গিয়ে, কাউকে ফাঁকি দিতে দেখিনি। ফতেপুর পৌছিতে পৌছুতে প্রায় সন্ধ্যা। সরাসুরি একটা মোটেলে উঠে পড়লাম দুজন, পুরো মোটেল গেস্ট বলতে আমরা দুজন।
সেখান থেকে আমরা ফতেপুর ফোর্ট দেখতে গেলাম।বিশাল দূর্গ ! সেলিম শাহ্ চিশতির মাজার, রানী যোধাবাঈের মহল, তানসেনের গানের জলসা, খাস মহল, আম মহল , মনে হচ্ছিল আমরা যেনো সেই মুঘল আমলে চলে গিয়েছি, কেমন যেনো নস্টালজিকতা।

ফতেপুর ও সিক্রি দুটো ভিন্ন শহর, সিক্রিতে অবশ্য যেতে পারিনি সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায়।
একটা রেস্টুরেন্টে কিছু খেয়েই দু বোতল হুইস্কি , সোডা ও বরফ নিয়ে সোজা মোটেল, গিয়েই সেই যে শুরু হোলো পান ! মাতাল কাকে বলে।

সকালে মজার উটের দুধের দই খেয়েছিলাম, কেমন যেনো গন্ধ, তবে মন্দ না।
সেখান থেকে জীপে করে সোজা আগ্রা।আগ্রায় একটা বেবি রিজার্ভ করলাম সারা দিনের জন্য, 200 রুপি।
প্রথমে গেলাম আগ্রা ফোর্টে, বিশাল এক দূর্গ, সাথে গাইড থাকাতে দেখতে সুবিধা হয়েছিল। গাইড যখন সম্রাট শাহজাহান যে ঘরে বন্দি ছিলেনএবং যে খান থেকে তাজমহল দেখতে পেতেন সেই ঘরে নিয়ে গিয়েছিল তখন কেমন জানি মন টা আমারও খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
আগ্রা ফোর্ট থেকে গেলাম " তাজ মহল " । যা দেখার জন্যই আগ্রায় আসা। বেবিওয়ালার বদ পরামর্শে 10 মিনিটের জন্য ভারতীয় হয়ে গেলাম আমরা। ভারতীয়দের জন্য 5/7 রুপি টিকিট আর ফরেনারদের জন্য ডলার, মনে নেই কত, তবে অনেকে হবে হয়ত।

তাজের সদর দরজা দিয়ে যখন ঢুকলাম তখন অন্য রকম এক অনুভূতি, কি রকম যে সেটা বলে বোঝাতে পারছি না। ছবিতে দেখা আর চর্মচোখে দেখা! দুটো দু রকম। তাজমহল পুরোটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম, অসাধারন, সত্যিই অসাধারন । তাজমহলে উঠার সময় জুতা পরে উঠে যায় না, জুতার উপরে কাপড়ের মোজার মতো একটা পড়তে হয়। 10 রুপি ভাড়া, এখানেও ব্যবসা।
তাজ দেখে কিছু কে না কাটা করলাম আমরা , আমরা মানে আমার বন্ধু। আমার পকেটের অবস্থ ভালো ছিল না তেমন একটা।
আরো অনেক জায়গায় যেতে ইচ্ছে করেছিল কিন্তু সময়ের অভাবে যেতে পারিনি, সেই বেটার নেক্সট টাইমের মুলা!

আগ্রা ক্যান্ট থেকে দিল্লির ট্রেনের টিকিট কাটলাম। কাটলাল লোকাল ট্রেনের টিকিট মাগার উঠে পরলাম এক্সপ্রেস ট্রেনে।
আসলো টিটি, দিলাম বকশিস! সব ফকফকা।
এবার গন্তব্য দিল্লি, 2 ঘন্টার জার্নি।

মফিজের ভারত ভ্রমন- 3 (আলিগড়)

কোন মন্তব্য নেই :

মহা সমস্যায় পড়ে গেলাম আলিগড় এসেই। আমার বন্ধু যে ঠিকানা নিয়ে এসেছিল তা ছিল ভুল ! কি আর করা, এ বাসা সে বাসা করে করে অবশেষে তার ঠিকানা খুঁজে পেলাম 2 ঘন্টা পর।আমারটা অবশ্য পেতে তেমন সমস্যা হয়নি।


বেশি দিন অবশ্য থাকিনি আলিগড় এ। প্রথম দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে ভর্তির জন্য গেলাম, আমার ভর্তির সুযোগ মিলেছিল ফিজিক্সে এবং আমার কোনো আগ্রহই ছিল না ফিজিক্সে পড়াশোনা করার। তাই ভর্তি না হয়ে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। তবে আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিটা বেশ লেগেছিল। কেমন যেনো মুঘল মুঘল ভাব আছে, সব কিছুতেই প্রাচীনত্ব। বিলডিং গুলোতে ইসলামিক স্তাপত্যেকলার ছাপ।

প্রচন্ড গরম ছিল সে সময়। তাপমাত্রা 40-45 এ নাচা নাচি করছিল।

ম্যাংগো শেক ছিল শায়েস্তে খাঁর আমলের মতো সস্তা ! 5 রুপিতে বিশাল এক গ্লাস ! চিন্তা করলে এখনো অবাক লাগে। প্রচন্ড গরমে বরফ শীতল ম্যাংগো শেক ছিল আসাধারন।


আলিগড়েই জীবনে প্রথম বড় পদর্ায় হিন্দি মুভি দেখি, "বডর্ার " । শেষ দৃশ্যে ইন্ডিয়ান ফাইটারের আক্রমনে যখন পাকিস্তানীদের ট্যাংকগুলো উড়ে যাচ্ছিল তখন সে কি হাত তালি , যেনো দর্শক পারলে তখনি যুদ্ধে চলে যায় !

সন্ধ্যায় রাস্তার পাশে ধাবায় বসে হেবি আড্ডা দিয়েছি যে কদিন ছিলাম আলিগড়ে। চায়ের পর চা, সিগারেটের পর সিগারেট , সে এক অন্যরকম মজা।খাবার দাবারের দাম বেশ সস্তাই মনে হয়েছিল।আলিগড়ে তেমন একটা ঘুরে বেড়াইনি।

পুরোনো আলিগড় ফোর্ট আলিগড় আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি আর পুরোনো শহর,এই যা।

আলিগড়ের মানুষ দের কিছুটা রক্ষনশীল মনে হয়েছিল। ইউনিভার্সিটি তেও বেশ রক্ষনশীলতা দেখতে পেয়েছিলাম। একটা মজার কথা বল্লে সবাই বুঝতে পারবে, যতই বৃষ্টি হোক আর যতই রোদ উঠুক ছেলেদের ছাতা মাথায় দেয়া যাবে না !!মজার না ?

বাংলাদেশী ছাত্রদের মধ্যে দেশের মতো দলাদলি দেখেছি ওখানেও। ঢাকার ছেলে বনাম উত্তরবংগ গ্রপিং ছিল চরম। একবার নাকি তা পুলিশ কেসে গড়িয়ে ছিল। প্রচুর ছেলেকে ফেনসিডিলে আসক্ত দেখে খারাপ লেগেছিল । তবে বাংলাদেশর অনেক ছেলেই রেজালট ভালো করতো। আলিগড়েই প্রথম 24 ঘন্টা লাইব্ররী খোলা থাকতে দেখে অবাক হয়েছিলাম।

আলিগড়ের স্থানীয় কারো সাথে মেশার সুযোগ হয়নি। মোটের উপর আলিগড়ে ছিলাম 5/6 দিন।

নেক্সট ডেসটিনেশন ঃ আগ্রা ।

--------------

ছবি ঃ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট।

নির্বাসন ও রাজনীতি

কোন মন্তব্য নেই :
নির্বাসন ও রাজনীতিবর্তমান নির্বাসনমূখী রাজনীতি পাকিস্তানের জেনারেল মোশারফের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের পার্থক্য হলো সেখানে উর্দিধারীরা ক্ষমতার দৃশ্যপটে ছিলো আর এখানে তা পর্দার আড়ালে ।

অন্তবর্তিকালীন সরকার নামক নপুংসক সরকারের পেছনে সামরিক বাহিনীর ক্ষেমটা নাচ আমরা গত কমাস ধরে বেশ মজার সাথেই দেখে আসছি । গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের নামে দেশ আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে সিভিলায়ীত সামরিক শাসনে। সুষ্ঠ নির্বাচন ও গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে ক্ষমতা দখল করলেও সেই প্রতিস্রুতির ধারে কাছে এখন তাদের দেখা যাচ্ছে না। দূর্নীতি দমনের নামে শুরু হয়েছে ধরপাকরের খেলা। পর্দার আড়ালে শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক দক গঠন না জাতীয় সরকার নামক জনমানুষ সমর্থন হীন সরকার প্রতিষ্ঠার নোংরা খেলা।

" সংবিধান " আছে কি সেটাই এখন প্রশ্ন । সেটা হয়তো কাগজে-কলমে রয়েছে, বাস্তবে তার প্রতি সম্মান আদৌ দেখানো হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। অবশ্য সামরিক শাসনে ( সে সে রূপেই আসুক না কেনো ) এটা আশা করা বেকুবি।

এখনে দেখা যাচ্ছে নির্রবাসনে পাঠানোর খেলা। শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়াকে দেশ থেকে ওমরাহর নামে সৌদি বাদশাহর অতিথি বাননোর বন্দোবস্ত প্রায় চুড়ান্ত। খালেদার অবস্থা ঠিক জেনো নওয়াজ শরীফ আর শেখ হাসিনা বেনজির ভুট্টা ।

দূর্নীতি দমনের নামে যে সকল রাজনৈতিক নেতাকে জেলে পোরা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন বিশাল বড় কোনো অভিযোগ আনতে দেখা যাচ্ছে না । দেয়া হচ্ছে ১ মাসের আটকাদেশ। দেশ থেকে পাচার হওয়া লক্ষ কোটি টাকা ফেরত আনার কোনো চেষ্টা চোখে পড়ছে না।

আদালত কেনা যায় আজকাল। সেটা নিম্ন হোক আর উচ্চ আদালত । এ কেনা বেচার দাস হয়ে বিচারকের আত্মাও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এখন। তাদের কাজ এখন উত্তর পাড়ায় লেখা আদেশে সই করা।

আজ খবরের কাগজে দেখা গেলো তারেক জিয়ার আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে রায় ঘোষনা করা হবে। সেটা অবৈধ ঘোষিত ( আত্মা বিক্রি ) হলে বেগক খালেদা তাকে নিয়ে ওমরাহ করতে সৌদি আরবে চলে যাবেন এবং পরবর্তিতে চিকিৎসা নেবার উসিলায় সেখানে থেকে যাবেন। এখানে যে বিচার কার্য চলছিলো সেটার কি হবে ? তা হলে দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা কি ফেরত আসবে?

দেশের অর্থনীতির আদৌ কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে না কোনো পরিবর্তন। দেশ আল্লাহ চালায় এ কথাই বার বার মনে হয়।

পুরান লোকেরা একসময় দেশে বিপ্লবি হয়ে ফেরত আসবে যখন নতুন লোকেরা পুরান মাল হয়ে যাবে। এ ধরনের রাজনৈতিক খেলা তো অতীতকাল থেকেই চলে আসছে। সে দিনের অপেক্ষায় রইলাম।

লাস্ট বেনচ

কোন মন্তব্য নেই :
সেই ছোট্ট বেলা থেকেই লাস্ট বেনচে বসার অভ্যাস।
এই বয়সেও এসে সেই অভ্যাস ছাড়তে পারলাম না।
স্কুল -কলেজে যে অভ্যাস গড়ে উঠেছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও সে অভ্যাস ছাড়তে পারি নাই।
দুই দুইটা বিশ্ববিদ্যালয় পার করলাম। অভ্যাস আর যায় নি। তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যদি জীবনে আসে , তখনো মনে হয় পেছনের চেয়ার ছাড়তে পারবো না।
এমন না যে ছাত্র হিসেবে খারাপ আমি !! পেছনের চেয়ার/ বেনচ এ কি যেনো আছে , বার বার চুম্বকের মতো টেনে নিয়ে যায়।
কলেজে পড়তে শহিদুল ইসলাম স্যার একবার বলেছিলেন " তুই পেছনের চেয়ার থেকে কি সামনে আর কি আসবি না ? " আমি হেসে বলেছিলাম " না স্যার, পেছনের চেয়ারে অনেক সুবিধা । সেই সুবিধা হারাতে চাই না"
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিয় কামরুল স্যার বলেছিলেন " পেছনের চেয়ার গুলোতে কতোগুলো বাঁদর বসে আছে , এখন বাঁদরামী করলেও আগামী 10 বছর পর দেখতে পাবো তারা সামনে চলে এসেছে"।
কলেজ ছেড়েছি 12 বছর , বিশ্ববিদ্যালয়ও সেই অনেক বছর আগে। হিসেব করে দেখি পেছনের বাঁদর গুলো আমরা আসলেই সামনে চলে এসেছি। বন্ধুরা প্রত্যকেই ভালো অবস্থানে।
আমরা আসলে জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিক ছিলাম।
লাস্ট বেনচ্, আমার প্রিয় লাস্ট বেনচ

বিমানবালার প্রতি প্রেমাসক্ত

কোন মন্তব্য নেই :
বিমানে ( বিমান বাংলাদেশ নহে) ওঠার পর প্রথমেই যে কাজটা করি সেইটা হইলো বিমানবালাদের প্রতি দৃষ্টি বর্ষন।
বেছে নাও.........আমিও বাইছা লই ( নারীবাদীরা ক্ষেইপেন না দয়া করে )।
ভাগ্য ভালো আমার , প্রতিবারই ভালো একজনরে পাই।
প্রথম বার অস্ট্রেলিয়া আসার সময় সিংগাপুর থেইকা একজন বিমান বালারে খুবি পছন্দ হইছিলো। আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছিলাম যেন আমার সেকশনে পড়ে। ভাগ্য সু প্রসন্ন ছিলো। তিনি আমার সেকশনেই পড়ছিলেন। অসাধারন সুন্দরি। আমি প্রেমে পইড়া গেছিলাম লগে লগে। সারাটা রাস্তা শুধু দেখছি। এখনো ভুলি নাই।
তয় বাংলাদেশ বিমানে যতোবার উঠছি ,কাউরেই পছন্দ হয় নাই। আফসোস...
তয় প্লেনে উঠলে এখোনো প্রেমে পড়ি ।

মৃত্যু মূল্য

কোন মন্তব্য নেই :
আজকের প্রথম আলোর একটা রিপের্াট পড়ে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। এ ধরনের খবর প্রতিনিয়ত পড়লেও আজকে মনে কেনো যে দাগ কাটলো সেটাই বুঝতে পারছি না।
ময়না হোসেন নামে 17 বছরের ছোট্ট এক ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিমর্ান কাজ করবার সময় দূর্ঘটনায় নির্মমভাবে মারা যায়।
প্রতিদিন কতো ময়নাই যে এভাবে মারা যায় কে তার খবর রাখে।
হয়তো ময়নার মা এখন কাঁদছে ,
হয়তো ময়নার লাশ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে বেওয়ারিশ ভাবে পরে রয়েছে।
কে তার খবর রাখে ! !
ময়না যখন মারা যায় তখন নিরাপত্তামূলক কিছুই তার পড়নে ছিলো না।
ছিলো না কোনো শ্রমিক নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থা।
এটা আশাও করা যায় না।
ময়নারা মরলে কি আসে যায় দেশের।তাদের আবার নিরাপত্তা !!

বেশ ক বছর আগে বেনিনে বিমান দূর্ঘটনায় বেশ জাতিসংঘে কাজ করা কিছু আর্মি অফিসার মারা যায়। তখন সারা দেশে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছিলো, পতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হয়েছিলো। মৃত্যুপরবতর্ী প্রচুর আর্থিক সুবিধা পেয়েছিলো তাদের পরিবার।
অর্থ মূল্যে তা নাকি অর্ধকোটির বেশী।
এর কিছু দিন পরই চাঁদপুরে ভয়াবহ লনচ দূর্ঘটনায় মারা যায় প্রায় 400 এর বেশী যাত্রী। তাদের অনেকের ভাগ্যেই জুটেনি কোনো জানাজা, কবর। অনেককেই গনকবর দেয়া হয়েছিলো। জুটেনি জাতীয় শোক দিবস বা জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মতো সম্মান।
ক্ষতিপূরন হিসেবে তাদের পরিবারকে দেয়া হয়েছিলো বিশ্ব বিখ্যাত ব্ল্যাক বেংগল ছাগল।

কি নিষ্ঠুর পরিহাস !!ময়নারা মরলে কি আসে যায় ?
তাদের জীবনের মুল্য মুল্যহীন।
একি দেশে জন্ম নিয়ে কতোই না ভেদাভেদ।
এটাই নাকি গনতন্ত্র!

ভাষা বিভ্রম

কোন মন্তব্য নেই :
জন্ম বগুড়ায়। বগুড়ার ভাষা বুঝলেও বলতে পারি না।
বেড়ে ওঠা উত্তরবংগে, বিশেষ করে বৃহত্তর রংপুর অনচলে। সেখান কার ভাষা কিছুটা বলতে পারি তবে বুঝতে পারি পুরোটাই।
বৃহত্তর দিনাজপুরে বাড়ি হওয়াতে সেখানকার ভাষা বুঝতে পারি , বলতে গেলে হোঁচট খেতে হয়। তবে 2/1 দিন সেখানে থাকলে কিভাবে যেনো দিনাজপুরি টান চলে আসে কথায়।
আবার বাবা-মার আদি বাড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহ হওয়াতে সেখানকার ভাষায় ভালোভাবে বুঝতে পারি , বলতেও পারি, তবে ভালোভাবে না।
কিশোরবেলার কিছু অংশ পুরান ঢাকায় থাকাতে কুট্টি ভাষা ভালোভাবেই বুঝতে পারি, কিছুটা বলতেও পারি। একসময়তো কথায় বেশ টানও চলে এসেছিলো।আবার ঢাকায় অনেকদিন থাকাতে ঢাকার আনচলিক ভাষার বেশ টান চলে আসে কথায়।
ইংলিশের বেলাতেও একি অবস্থাা। একসময় আমেরিকান এক্সেন্ট চেষ্টা করলেও গত বেশ ক বছর অস্ট্রেলিয়ায় থাকাতে অজি টান চলে এসেছে। ইংলিশে এখন আমেরিকান-অজি-বাংলাদেশী এক্সেন্ট। খিচুরি ইংলিশ।
হিন্দি বুঝি, তবে বলতে তেমন পারি না। বলতে গেলে বাংলা-হিন্দি-ইংলিশ মিশিয়ে হাস্যকার ভাবে বলি।
উদর্ু বুঝি , তবে কখনোই বলি না। ছোটবেলায় একসময় সামান্য উদর্ু শিখেছিলাম।
আরবী একসময় পড়তে পারলেও চচার্ না থাকাতে এখন আর পারি না।জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত এতো জায়গা ঘুরেছি যে নিজস্ব ভাষা সত্বা বলে কিছু আমার নাই এখন আর।
জটিল অবস্থা আমার ।
----------
বাঙলা বানান ভুল হলে মাইন্ড কইরেন না ।

বাংলাদেশ বিমান " আকাশে মুড়ির টিন "

কোন মন্তব্য নেই :
বেশ অনেক বছর আগের কথা। রাজশাহী থেকে ঢাকা আসছি। রাজশাহী বিমানবন্দর শহর থেকে কিছুটা দূরেই। বিদায় দিতে সাথে আমার বাবা ছিলেন ।সিকিউরিটি চেকিং শেষ করে ভেতরে ঢুকলাম। ঢুকতেই আমার বাবা ও তার সাথের আরেকজনের প্রচন্ড হাসী। সবাইতো অবাক !! আমার বাবা পকেট থেকে তার পিস্তলটা বের করে সবাইকে দেখালেন, আর্চ ওয়েতে ধরা পরে নাই। হায়রে নিরাপত্তা মুলক সতর্কতা !

বিমানে উঠেই মনে হোলো মিনিবাসে উঠেছি। সিটে সেই আদি অকৃত্রিম সিট কভার।

আকাশে বিমান এমন ভাবে দূলতে থাকলো মনে হোলো নৌকায় বসে আছি, আকাশে নৌকা ভ্রমন !
কিছুক্ষন পর গোঁমড়া মুখো এয়ারহোস্টেসের আগমন , হাতের ট্রেতে ছোট্ট ট্রাসপারেন্ট গ্লাসে ফলের রস । ভেবে চিন্তেএকটা নিলাম। ফ্রি বলে কথা ! আবারো সেই চিরচেনা ভুল, অখাদ্য ফলের রস আস্বাদন। এদিকে এয়ার পকেটে বিমানে নাচানাচি, পেটে ফলের রস। আমার তেরটা বাজার অবস্থা।
দুলতে দুলতে ঢাকায় পৌছুলাম। সে দুলন এখনো ভুলিনাই।

মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০০৭

পুলিশ মরলে কাঁদে শুধু স্ত্রী- সন্তান

কোন মন্তব্য নেই :
পুলিশ সপ্তাহ শরু হয়েছে।
রাজারবাগে প্যারেড হবে,দরবার হবে,
ফকরুদ্দিন বিশাল বাণি বর্ষন করবেন,
ইয়েসউদ্দিনের সাথে ডিনার করবে পুলিশ অফিসাররা।
ডিনার স্যুট , লাউনজ স্যুট ............টিউনিকের সমাবেশ।

হল রুমে বোরখা পরা বিধবার হাতে তুলে দেয়া হবে নীলক্ষেত থেকে বানানো স্বীকৃতি স্বারক " ক্রেস্ট " , সাথে একটা ছোট্ট চেক।

কিছুক্ষন পরে হাতে তুলে দেয়া হবে বিরিয়ানী র প্যাকেট।
অসহায় বিধবা স্ত্রী সন্তানের হাত ধরে ফীরে যাবে গ্রামে।
বৃদ্ধ মা হয়তো ছেলের ছবি ধরে নিরবে কাঁদবে।
সন্তান তার আঁধার ভবিষ্যতের কথা ভেবে সব কিছু ভুলে যাবে।
--------------
সড়ক দূর্ঘটনায় 3 পুলিশ, 1 টি গরু ও 3 জন মানুষ নিহত।পুলিশ কি মানুষ ??

ছিনতাইকারীর গুলিতে পুলিশ সার্জেন্ট নিহত।ক্ষতিপূরন ঃ ৳100,000 ।

বোমায় পুলিশ কন্সটেবলের দুই চোখ অন্ধ।ক্ষতিপূরন ঃ ৳ 50,000 ।

জীবনের মুল্য লাখ টাকারো বেশি নয় পুলিশের। পুলিশ কি মানুষ ?
--------------
চাকুরির বয়স 25 বছর হলে পেনশন পেতে পারো ,
চাকুরির বয়স 24 বছর 11 মাস !! কিছছু না ........খালি হাত।


পুলিশ মরলে কাঁদে শুধু স্ত্রী- সন্তান, আর কেউ না।
পুলিশ কি মানুষ ?

দেশে যাচ্ছি

কোন মন্তব্য নেই :
আগামি ২০ এপ্রিল দেশে যাচ্ছি। সকাল ৭টায় ক্যানবেরা থেকে বাস ধরবো, ১০ টায় সিডনি এয়ারপোর্ট , ১১:৩০ এ সিনডনি থেকে যাত্রা শুরু। রাত ১০:৩০ ঢাকায় পৌছুবো ইনশাল্লাহ।
২ মাস থাকছি এবার।
স্বাতিকে নিয়ে ইনশাল্লাহ ফেরত আসবো ২০ জুন।
নতুন জীবন শুরু হবে। এক স্বপ্নময় জীবন।