বুধবার, ২২ আগস্ট, ২০০৭

দেখা রাম দেখে যায় , খেলারাম খেলে যায়

কোন মন্তব্য নেই :
চলছে গুলি ,
চলবে গুলি,
আবারো ঝরছে রক্ত।
আবার মরবে মানুষ।
মানুষ মরলে কি এসে যায় ?

চলছে কাঁদোনো গ্যাস,
চলবে কাঁদানো গ্যাস,
আবারো কাঁদছে মানুষ।
আবারো কাঁদবে মানুষ।
মানুষ কাঁদলে কি এসে যায় ?

আবারো জ্বলবে আগুন,
ধ্বংস হবে কিছু।
কিচ্ছু এসে যায় না !!

আবারো আসবে জয় ,
সে জয় লুন্ঠিতও হবে।

কি এক নিরন্তন খেলা !!
এ এক আজব লীলা খেলা !!!
মামু, এ এক আজব লীলা খেলা।

দেখা রাম দেখে যায় , খেলারাম খেলে যায়।
আমরা শালা ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা,
দুই ছাগলে দুদু খায়,
আমরা দেখি,দেখেই খুশিতে নাচি।
খুশ হো খুশ হো।
তাক ধিনা ধিন।
শালার জীবন,
হায়রে বাংলাদেশ!!

মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০০৭

সিভিল মিলিটারি সংঘাত , প্রসংগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কোন মন্তব্য নেই :
সিভিল - মিলিটারি সংঘাতের আরেকটি বহিঃপ্রকাশ দেখা গেলো গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ক্লাস ৮ পাস করে ভর্তি হওয়া সৈনিক বা এইচ.এস. সি পাস করে মিলিটারি একাডেমিতে যাওয়া অফিসার ক্যাডেটরা সব সময়ই এক ধরনের হীনমন্যতায় ভোগে বলে আমার ধারনা।এই হীনমন্যতা দূর করার জন্য প্রশিক্ষনের সময় তাদের হাঁটুতে এমন এক ধারনা ঢুকিয়ে দেয়া হয় যেনো তারা সর্বশ্রেষ্ঠ, শ্রেষ্ঠতর তাদের ব্লাডি সিভিলিয়ান বাবা-ভাইয়ের চাইতে।

ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেবার ছাগলীয় পন্থায় বিশ্বাষী করে তোলা হয় তাদের।

অন্ধ ভাবে অর্ডার মানার শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা হয় তাদের।

ক্যান্টনমেন্ট নামক ছাগলের খোয়ারে যুধবদ্ধভাবে বেড়ে ওঠা জলপাইওলাদের ব্লাডি সিভিলিয়ানদের হতে দূরে রাখা হয় যাতে তার যুদ্ধে চরম নৃষংশতা দেখাতে পারে। এই এরাই যখন নিজের দেশকে যুদ্ধক্ষেত্র ভেবে নিজের মানুষদেরকেই শত্রু ভেবে ঝাঁপিয়ে পরে তখন এদের আসল চেহারা ও চরিত্র বের হয়ে পরে। যার উদাহরন আবারো দেখা গেলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বাংলাদেশের অতীতের সামরিক শাষনের সাথে বর্তমান সামরিক শাষনের তুলনা করকেই অনেক অনেক মিল বের হয়ে আসে।

দেশ বাঁচাবার মিস্টি মিস্টি কথা বলে ক্ষমতায় আসা ,
দেশ বাঁচাবার কথা বলে সংবিধাননে ধর্ষন করা,
গনতন্ত্র বাঁচাবার কথা বলে গনতন্ত্রকেই গলা টিপে মারা,
দেশের রাজনৈতিক নেতাদের দূর্নীতিবাজ বলে জেলে ঢোকাবার ছেলে ভোলানো খেলা খেলা ,
আবার সেই রাজনৈতিকদের নিয়েই দলগঠন করে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহন করা,
অর্থনীতির বারটা বাজিয়ে দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন কাজ চালিয়ে মানুষকে ধোঁকা বানানো,
সবই তো চলছে।

তবে ভবিষ্যতই বলে দেবে বাংলাদেশের ভাগ্যে কি আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ঘটনা একটি ছোট্ট সূচনা বলেই মনে করছি আমি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে যতো বিশাল আন্দোলন গড়ে উঠেছিলো তার সূতিকাগার ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জলপাইওলাদের দাঁত- নখ বের হবার সূচনা হলো সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। আফসোস !!

আমার ধারনা বর্তমান সামরিক সমর্থিত তথাকথিত তত্বাবধায়ক সরকার এটা সামলিয়ে উঠতে পারবে।
তবে মানুষের মনে যে ডাগ রেখে গেলো সেটা কি দূর করতে পারবে আদৌ??

বাংলার মানুষ বেত হাতে জেনেরেল দেখেছে অনেক, সেই জেনেরালদের পশ্চাতদেশে বাঁশ প্রবেশ করাতেও ভুল করেনি বাংলার মানুষ।

মানুষ খুব কম সময়ই ইতিহাস হতে শিক্ষা গ্রহন করে, এবারের উর্দিওলারাও শিক্ষা গ্রহন না করেই সেই একি পথ হাঁটছে।
মাঝখানে দেশ ও সাধারন মানুষের অবস্থা খারাপ।
এটা চলতেই আছে, ১৯৭১ , ১৬ ডিসেম্বর - ২০০৭ , ২১ অগাস্ট।
সময়তো কম হোলো না। আর কতো !!

বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০০৭

বঙ্গবন্ধুর কিছু ছবি

কোন মন্তব্য নেই :




এখন শুধুই কি স্মৃতি ??
অন্তরে চির জাগরুক রবে তুমি ,
স্বাধীনতার স্বপ্ন মানব ,
জাতির পিতা,
তোমার হত্যার প্রতিশোধ নেবেই একদিন বীর বাঙালী।।






সোমবার, ১৩ আগস্ট, ২০০৭

ভাবনা

কোন মন্তব্য নেই :
"একজন রাজাকার সবসময়ই একজন রাজাকার "
"একজন মুক্তিযোদ্ধা সবসময়ই একজন মুক্তিযোদ্ধা নয়"

বাক্য দুটো মনে ধরেছে। ভাবছি........................

১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা কবি আল মাহমুদের আজকের ভূমিকা আর ৭১ এ নিরাপদ অবস্থানে থেকে পায়ের আওয়াজ মার্কা লেখা সৈয়দ হক বা ঢাকায় বসে দৈনিক পাকিস্তানে চাকুরি করা প্রয়াত কবি শামসুর রাহমান এর বর্তমান ভূমিকা।
মানুষের কতো পরিবর্তন !!

৭১ এ যে মানুষ অস্ত্র হাতে পাকি পশু মারতে গিয়েছিলেন সেই মানুষই আজ জামাত-শিবিরের কথা বলেন,
শিবিরের জলশায় কবিতা পড়েন ,
নিহত শিবির কর্মির উদ্দেশ্যে কবিতা লেখেন,
তাকে শহীদ বলে আক্ষ্যা দেন।

আজ সৈয়দ হক স্বাধীনতার কবিতা লেখেন ,
জয়বাংলা বলে শ্লোগান দেন ,
গনআদালতের উদ্যোক্তা হয়ে রাস্ট্রদ্রোহীর আসামী হন।

সময়ের পরিক্রমায় আর কতো যে দেখবো ।

এটা কি মানুষের পরিবর্তন ?
এটা কি সুবিধাবাদী নীতি ?
এটা কি উপলব্ধি?
না অভিজোযন ?

বর্তমান ভুমিকার জন্য কি অতীত মুছে যাবে ?
নাকি অতীতের জন্য বর্তমান?

রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০০৭

মাথা ব্যাথা

কোন মন্তব্য নেই :
মানুষ বলিয়া থাকে , মাথা থাকিলেই নাকি মাথা ব্যাথা হইয়া থাকে।
কিন্তু আমার তো মাথাই নেই ,
তবে মাথা ব্যাথা কেনো ?
গলার সামান্য উপরে বিরল কেশ মুন্ডিত মাথা নামক এক বস্তু আছে বটে তবে সেটাকে মাথা বলিতেই লজ্জা লাগে।

মানুষের মাথার ভেতরে গ্রে ম্যাটার নামক কি এক বস্তু আছে বলে শুনেছি,
আমার মাথায়ও সেটা আছে নিশ্চয়ই।
তবে তা হতে এমন কিছু এ ধরাধাম এমন কিছু পায়নি যে তাহাকে মাথা বলিয়া কেনোইবা নিজেকে নিজেই লজ্জা দেবো !!
মাথা না বলিয়া মস্তকই বলি তাহা হইলে !!
মস্তক বলিতেই আমার বৃদ্ধ নানীর কথা মনে আসিলো,
উনি মস্তক বলেন।
এই যেমন গরুর মস্তক, মুরগীর মস্তক।
এখন যুক্ত করিতে হইবে মাহবুব সুমনের মস্তক।

মানুষের মস্তক হইতে কতোইনা স্মৃষ্টিশীল জিনিস আবিষ্কৃত হয়।
আমার মস্তক হইতে যতোসব ফালতু জিনিস।
সেই ফালতু মস্তকেই ব্যাথা অনুভব করিতেছি বিগত কদিন যাবৎ।

বড্ড পেরেশানীতে রহিয়াছি।
প্রচন্ড ব্যাথা হইলে কথা ছিলো, কেমন যেনো ঝিম ধরা ব্যাথা।
মাঝে মাঝে মনে হইতেছে সারা পৃথিবী ঘুড়িতেছে।
ভাগ্য ভালো বমি বমি ভাবের উদ্রেক হইতেছে না।
নইলে জনগন বলিতে থাকিতো " মাহবুব সুমন গর্ববতী "।

আসলেই মাথা ব্যাথা।
চরম বিরক্তিকর।
কিছুই ভালো লাগিতেছে না।

সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০০৭

শেকড়

৪টি মন্তব্য :
কথায় কথায় My Country বলি দেখি দেখে একবার আমার এক হাউসমেট বলেছিলো, কেনো বলি !

অনেক ইন্ডিয়ানকেই বলতে দেখেছি " ইন্ডিয়া " বা চায়নিজকে কথায় কথায় " চায়না " বলতে।
তাহলে আমি শুধুই " বাংলাদেশ " না বলে কেনোই বা My Country বলি বার বার !!

আসলই কেনো বলি ?
মাঝে মাঝে ভাবী, কেনো ?

অনেক অনেক দিন আগের কথা , অস্ট্রেলিয়ান আর্মির এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের সাথে আলাপ হচ্ছিলো। আমার দেশ জানতে চাইলে যখন বলেছিলাম বাংলাদেশ তখন উনি বলেছিলেন আমি কি অস্ট্রেলিয়াকে ভালোবেসে এখানে থাকতে চাই ?
আমি ইতস্ততা করে বলেছিলাম; আসলে ভালোবাসা নয় , অর্থনৈতিক কারনই মুখ্য।

উনি উনার ইংলিশ বাবার কথা বলছিলেন। সেই ইংলিশ বাবা ৫০ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া , তবুও ইংলেন্ডকেই My Country বলেন সব সময়। সেই অস্ট্রেলিয়ান আর্মি অফিসার হেসে হেসে বলেছিলেন তার Old dad ইংলিশ হলেও উনি পাক্কা অজি। উনি এটাও বলেছিলেন আমার পক্ষে কোনোদিনই অস্ট্রেলিয়াকে My Country বলা হবে না। My Country বাংলাদেশই রয়ে যাবে।
হয়তো আমার পরবর্তি প্রজন্ম বলবে তারা "অজি "।

শেকড়, শেকড়।
শুভ ভাই এজন্যই বলেন " শেকড় পোঁতা রয়েছে বাংলা মায়ের নরম মাটিতে "। এ শেকড় কচুরিপানার শেকড় নয় যে পানিতে ভেসে বেড়াবে।

বাংলার শেকড় থেকে একদিন শাখা শেকড় বেরুবে। সে শেকড় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রসারিত হবে।
আর আমি পিতৃ শেকড় এ মাটিতে প্রসারিত হতে পারবো না।
এটাই পরম সত্য।

চিরটাকাল স্বপ্নই দেখে যাবো পেছনে রেখে আসা বাংলা মাকে।
হয়তো ফেরত যাবো , হয়তো না।
সে স্বপ্ন কি পূরন হবে না ?
হবে।

আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি

কোন মন্তব্য নেই :

আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি
নির্মলেন্দু গুণ

সমবেত সকলের মতো আমিও গোলাপ ফুল খুব ভালোবাসি,
রেসকোর্স পার হ’য়ে যেতে সেইসব গোলাপের একটি গোলাপগতকাল আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

শহীদ মিনার থেকে খ’সে পড়া একটি রক্তাক্ত ইট গতকাল আমাকে বলেছে
আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

সমবেত সকলের মতো আমিও পলাশ ফুল খুব ভালোবাসি,
‘সমকাল’ পার হয়ে যেতে যেতে সদ্যফোটা একটি পলাশ গতকাল কানে কানে আমাকে বলেছে,
আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

শাহবাগ এ্যভিন্যুর ঘূর্ণায়িত জলের ঝর্ণাটি আর্তস্বরে আমাকে বলেছে
আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

সমবেত সকলের মতো আমারো স্বপ্নের প্রতি পক্ষপাত আছে,
ভালোবাসা আছে শেষ রাতে দেখা একটি সাহসী স্বপ্ন গতকাল আমাকে বলেছে,
আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।

এই বসন্তের বটমূলে সমবেত ব্যথিত মানুষগুলো সাক্ষী থাকুক,
না-ফোটা কৃষ্ণচূড়ার শুষ্কভগ্ন অপ্রস্তুত প্রাণের ঐ গোপন মঞ্জরীগুলো কান পেতে শুনুক,
আসন্ন সন্ধ্যায় এই কালো কোকিলটি জেনে যাক -
আমার পায়ের তলার পুণ্য মাটি ছুঁয়ে
আমি আজ সেই গোলাপের কথা রাখলাম, আজ সেই পলাশের কথা রাখলাম,
আজ সে স্বপ্নের কথা রাখলাম।

আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি,
আমি আমার ভালোবাসার কথা বলতে এসেছিলাম।

বুধবার, ১ আগস্ট, ২০০৭

আজরাইলের ডাকে ইস্রাফিলের শিঙা

২টি মন্তব্য :
০০ ঘন্টা , ১ জুলাই ২০০৭
তীব্র আর্তনাদ করে উঠলো খুলনার পিপলস জুট মিলের হুইসেল,
পুরো একঘন্টা জুড়ে বাজবে এ হুইসেল,
এটা সিফট চ্যাব্জের হুইসেল ছিলা না,
এটা ছিলো মিলের মৃত্যু নিশ্চিত করে দেয়া চিরাচরিত রীতি।
আজরাইলের ডাকে ইস্রাফিলের শিঙা।

আজ থেকে পুরোপুরি বেকার হয়ে গেলো ৩৩৩৯ জন শ্রমিক।
পাওনা পরিশোধের পর শ্রমিকদের ছেড়ে চলে যেতে হবে মিল কোয়ার্টার থেকে। শুরু হবে আরেকটি অনিশ্চিত জীবন।
শীগ্রই বন্ধ হয়ে যাবে মিল স্কুল।
পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যাবে ১৫০০ ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনা।

কি আর হবে এসব অসহায় শ্রমিকের !
কি আর হবে স্কুলের ছেলে-মেয়েদের !

৩০ বছরে হাড় ভাঙা পরিশ্রমের পর হুতো চলে যেতে হবে রিক্ত হাতে সেই চির চেনা গাঁয়ে,
নয়তো রিকশা চালানো,
হয়তো ভিক্ষে করা,
নয়তো ছিনতাই-ডাকাতিতে নেমে পড়া।

কেউ দেখার নেই এদের ?
কেউ না।

ধনিক শ্রেনীর সুশিল প্রতিনিধি গীতি আরা বলেছেন " আল্লাহ দেখবেন এদের"
গরিবের আল্লায়ই ভরসা। আজকাল আল্লাহও দেখেন না এদের।
মোল্লারা বলে , আল্লাহ নাকি পরীক্ষায় ফেলেছেন এসব মানুষদের ঈমান পরীক্ষার জন্য "।
নেতারা বলেন "দুনিয়ার মজদুর এক হও "।

গীতি আরারা বলবেন আর এরা শুনবেন,
গীতি আরারা মিল প্রশাষনের নামে লুটবেন অর্ধশতাব্দি ধরে আর এরা সেই লুটের নিরব সাক্ষি হবেন,
গীতি আরারা আইএমএফ এর কথায় নাচবেন আর এরা চাকুরি হতে ছাঁটাই হবেন।
অথচ এদের ঘামে-রক্তেই গীতি আরাদের সমৃদ্ধি। এখন এরাই আল্লাহর মাল।

দেখারাম দেখে যায় খেলারাম খেলে যায়।