শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০১৪

পুলিশ ও পদোন্নতি

৮টি মন্তব্য :
কোম্পানি আমলে স্থানীয়দের সেপাই পদে নিয়োগ করা হতো , একটু লেখাপড়া জানলে দারোগা । এএসপি পদে সাদা ছোকড়া আসতো বিলেত থেকে, এসেই সবার দন্ড মুন্ডের মালিক বলে যেতো । পরবর্তীতে নবাব /রাজা /মহা রাজাদের ছেলেরা ঈন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের মাধ্যমে বড় পদে আসতে শুরু করে কিন্তু উঁচু পদ্গুলো ছিল রাজার জাত সাদাদের জন্য বরাদ্দ । সে সময় সেপাইরা স্বপ্ন দেখতো দারোগা হবার - দারোগারা স্বপ্ন দেখতো ডিএসপি হবার ।

কোম্পানি আমল - পাকিস্থান আমল শেষ করে বাংলাদেশ আমল শুরু হয়েছে ; কিন্তু সেই আচার এখনো রয়ে গেছে ।
এখন গ্রামের এসএসসি মায় বিএ পাশ করা ছেলেরা পুলিশ লাইনে খালি গায়ে দাঁড়ায় কনস্টেবলের চাকুরির জন্য। একটু পড়াশোনা করা ছেলেরা যার এসআই পদের জন্য । বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করারা বিসিএস দিয়ে এএসপি হয় । এখনো সেপাইরা স্বপ্ন দেখে এসআই হবার জন্য , এসআই রা স্বপ্ন দেখে এএসপি হবার জন্য । বাস্তবে সেপাইরা কখনোই ইন্সপেক্টর পদের পর যেতে পারে না , এসআইরা হতে পারে বড় জোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সে যতই যোগ্যতা থাকুক না কেন । উঁচু পদ গুলো বরাদ্দ থাকে বিসিএস দিয়ে আসাদের জন্য ।এ ব্যপারে আমাদের বাংলাদেশ পড়ে আছে সেই কোম্পানির আমলে ।

পিয়ারপি এর নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে পুলিশের আধুনিকায়নের নামে কিন্তু পদোন্নতির এ ব্যপারে আধুনিকায়নের ব্যপারে সবাই ইচ্ছে করেই যেন ঊদাসীন । কোম্পানির আমলে যখন পুলিশের এ ৩ স্তরের নিয়োগ ব্যবস্থা ছিল , তাদের নিজের দেশ বিলাতেই ছিল অন্য ব্যবস্থা । সেখানে কনস্টেবল পদে সবাই যোগ দিত , নিজ যোগ্যতা অনুসারে পদোন্নতি পেয়ে সবাই সামনে এগুতো । নিজের দেশে এক স্তর রেখে কলোনিগুলোতে ৩ স্তর !

উদাহরণ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে আনছি , এখানে সবাই কনস্টেবল পদে যোগ দেয় । ইন্সপেক্টর পদে যখন পৌঁছয় তখন তাদের চাকুরির বয়স সবারই ১৫/২০ বছর হয়ে যায় , পুলিশ সুপার থেকে কমিশনারদের চাকুরির বয়স ৩০ হয়ে যায় । বাংলাদেশে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা এক ছেলে বা মেয়ে চাকুরির ৩/৪ বছরের মাথায় যে পদ ও দ্বায়িত্বে আসে অস্ট্রেলিয়ার একজন অফিসার সে পদে আসে ১৫/২০ বছর চাকুরি করবার পর । এখানে একজন কন্সটবেল যোগ্যতা বলে পুলিশ কমিশনার হতে পারে কিন্তু বাংলাদেশে বড় জোড় ইন্সপেক্টর !

আধুনিকায়ন কি এখানে আসতে পারে না ?