কোম্পানি
আমলে স্থানীয়দের সেপাই পদে নিয়োগ করা হতো , একটু লেখাপড়া জানলে দারোগা ।
এএসপি পদে সাদা ছোকড়া আসতো বিলেত থেকে, এসেই সবার দন্ড মুন্ডের মালিক বলে
যেতো । পরবর্তীতে নবাব /রাজা /মহা রাজাদের ছেলেরা ঈন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের
মাধ্যমে বড় পদে আসতে শুরু করে কিন্তু উঁচু পদ্গুলো ছিল রাজার জাত সাদাদের
জন্য বরাদ্দ । সে সময় সেপাইরা স্বপ্ন দেখতো দারোগা হবার - দারোগারা স্বপ্ন
দেখতো ডিএসপি হবার ।
কোম্পানি আমল - পাকিস্থান আমল শেষ করে বাংলাদেশ আমল শুরু হয়েছে ; কিন্তু সেই আচার এখনো রয়ে গেছে ।
এখন গ্রামের এসএসসি মায় বিএ পাশ করা ছেলেরা পুলিশ লাইনে খালি গায়ে দাঁড়ায়
কনস্টেবলের চাকুরির জন্য। একটু পড়াশোনা করা ছেলেরা যার এসআই পদের জন্য ।
বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করারা বিসিএস দিয়ে এএসপি হয় । এখনো সেপাইরা স্বপ্ন দেখে
এসআই হবার জন্য , এসআই রা স্বপ্ন দেখে এএসপি হবার জন্য । বাস্তবে
সেপাইরা কখনোই ইন্সপেক্টর পদের পর যেতে পারে না , এসআইরা হতে পারে বড় জোর
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সে যতই যোগ্যতা থাকুক না কেন । উঁচু পদ গুলো বরাদ্দ
থাকে বিসিএস দিয়ে আসাদের জন্য ।এ ব্যপারে আমাদের বাংলাদেশ পড়ে আছে সেই কোম্পানির আমলে ।
পিয়ারপি এর নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে পুলিশের আধুনিকায়নের নামে
কিন্তু পদোন্নতির এ ব্যপারে আধুনিকায়নের ব্যপারে সবাই ইচ্ছে করেই যেন
ঊদাসীন । কোম্পানির আমলে যখন পুলিশের এ ৩ স্তরের নিয়োগ ব্যবস্থা ছিল ,
তাদের নিজের দেশ বিলাতেই ছিল অন্য ব্যবস্থা । সেখানে কনস্টেবল পদে সবাই যোগ
দিত , নিজ যোগ্যতা অনুসারে পদোন্নতি পেয়ে সবাই সামনে এগুতো । নিজের দেশে
এক স্তর রেখে কলোনিগুলোতে ৩ স্তর !
উদাহরণ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে আনছি
, এখানে সবাই কনস্টেবল পদে যোগ দেয় । ইন্সপেক্টর পদে যখন পৌঁছয় তখন তাদের
চাকুরির বয়স সবারই ১৫/২০ বছর হয়ে যায় , পুলিশ সুপার থেকে কমিশনারদের
চাকুরির বয়স ৩০ হয়ে যায় । বাংলাদেশে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা এক ছেলে বা
মেয়ে চাকুরির ৩/৪ বছরের মাথায় যে পদ ও দ্বায়িত্বে আসে অস্ট্রেলিয়ার একজন
অফিসার সে পদে আসে ১৫/২০ বছর চাকুরি করবার পর । এখানে একজন কন্সটবেল
যোগ্যতা বলে পুলিশ কমিশনার হতে পারে কিন্তু বাংলাদেশে বড় জোড় ইন্সপেক্টর !
আধুনিকায়ন কি এখানে আসতে পারে না ?