সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০০৭

ঈদ কাহিনী

৩টি মন্তব্য :
এবার উইকেন্ড থাকাতে অস্ট্রেলিয়ার আকাশে এবার একবারই চাঁদ দেখা গিয়েছে। ভাগ্য ভালো উইকডেইজ ছিলো না, নাহলে অস্ট্রেলিয়ার আকাশে ২ টি ঈদের চাঁদ উঠতো, আমরা ২ টি ঈদ করতাম, ২ বার ঈদের সেমাই খেতাম, ২ বার হাতে মেহেদী দিতাম।
আফসোস; সে স্বপ্ন পূরন হোলো না।

সকালে উঠে পান্জাবী পাইতো গেনজি পাই না, গেন্জি পাইতো অন্তর্বাস পাই না । সবকিছু যখন হাতের কাছে পাবার পর পরি-মরি করে লাচ্চা-সেমাই খেয়ে মসজিদের উদ্দেশ্য ছোঁটন। বউয়ের আদেশ ছিলো নামাজের আগে ঝাল কিছু , মানে পোলাও-মাংস স্পর্শ করা যাবে না। উনার চোখের আড়ালে সে আদেশও ভংগ করলাম। ঈদ বলে কথা!

নামাজ পড়তে গিয়ে দেখলাম আরেক ঘটনা। ১৩ তাকবীরের ঈদের নামাজ, দেশে থাকতে পড়তাম ৬ তাকবীরের নামাজ , ক্যানবেরা এসে ১২ তাকবীর, এবার ১৩ তাকবীর। আশা করছি আগামী ঈদে ১৪ তাকবীরের নামাজ পড়বো, সুম্মা আমীন।

মসজিদে সামনের দিকে ছেলেরা, পেছনের দিকে মেয়েরা। ঈদে মেয়েরা দারুন সেজেছিলো, আমি চাহিয়া চাহিয়া দেখি, সব হূর পরী। ঈদের নামাজ শেষে বউ বলে পেছন ফীরে কি দেখছিলে !! আমি উদাস নয়নে বল্লাম তোমাকে খুঁজছিলাম, ওতো সুন্দরীর মাঝে হাড়িয়ে ফেলেছিলাম তোমাকে । বউতো আমার পুরা টাসকী ।

নামাজ শেষে দারুন সব মিস্টি, টার্কিশ-পাকি-আরবী দারুন দারুন সব মিস্টি। টার্কিশ-লেবানিজ মেয়েদের মতোই ইয়াম্মি। কয়টা যে সাবরেছিলাম সে মনে নেই। ভাগ্য ভালো ছোট বেলার মতো মিস্টি খেয়ে পান্জাবীতে হাত মুছিনি। মহা কেলেংকারী হয়ে যেতো তাহলে। এমনিতে আমার নাকি দূর্নাম আছে, আমি নিজে খাই আবার পান্জাবীকেও খাওয়াই।

ঈদের নামাজের পর যথারীতি কোলাকুলি। ভাবছিলাম ঈদের দিন , সবাই ভাই-ভাই বোন বোন। পেছনের দিকে গিয়ে হুরদের সাথেও কোলাকুলি সেরে নেই, কথায় আছে না হেলায় সুযোগ হাড়াতে নেই। তবে লেবু পোলাদের স্বাস্থ্য দেখে সাহসে কুলোয়নি। আরেকটা দীর্ঘ নিঃশ্বাষ ।

এখানে বসন্ত উতসব হচ্চে, "ফ্লোরিয়েড"। ১২ লাখ টিউলিপের এক ঐতিহাসিক জলছা। বউ সহ সেখানে ঘুরে দো জাহানের অশেষ সোয়াব কামিয়াব করে, ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বাসায় প্রত্যাবর্তন। বাসায় এসে আবার পোলাও-মাংস-কোরমা। এবার নিজের রান্না করা ( আসলে বউ রান্না করেছে, আমি পেঁয়াজ কেটেছি, পোলাওয়ের চাল ভেজেছি। সেটাও কি কম কথা !! )।

ঈদ শেষে সিনেমা দেখা ( বাংলা সিনেমা ছাড়া কি ঈদ সম্পুর্ন হয় !! , সেই যে বিটিভিতে ঈদের সময়কার বাংলা সিনেমা)।

দারুন এক ঈদ করলাম। বউ সহ প্রথমবারের মতো। একটু বেশী পোলাও-কোরমা খাওয়া হয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে।
ভুঁড়ি কি আরেকটুকু বাড়লো ?

বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০০৭

আক্রান্ত আহত বাংলার অন্তর্জাল

কোন মন্তব্য নেই :

বাকস্বাধীনতা মানুষের গ্ররুত্বপূর্ণ একটি অধিকার। কথা বলার এবং কথা শোনার অধিকার এবং গোপনীয়তার নিশচ্য়তা দিয়েছে বাংলাদেশ সংবিধান তার ৪৩ ধারার মাধ্যমে। এ নিশ্চয়তাও এখন হুমকির মুখে।

বিটিআরসি বাংলাদেশের সব আইএসপির কাছে একটি চিঠি (BTRC/E&O/ISP-Gen.(302)/2007-1697) পাঠিয়েছে যেখানে তারা চেয়েছে:

* তারা কার কাছ থেকে কত ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছে, চুক্তির কপি সহ সেসব তথ্য।
* কর্পোরেট/ডেডিকেটেড/শেয়ার্ড ক্লায়েন্টদের নাম, ঠিকানা ও আইপি
* পুরো ব্যন্ডউইদথ এবং প্রতিটি ক্লায়েন্টের অনলাইন এমআরটিজি ইউসেজ গ্রাফ (যার মাধ্যমে কে কোন সাইটে ব্রাউজ করেছে সব তথ্য জানা যাবে), ইউআরএল এড্রেস এবং প্রতিটি ইউজারের আইডি এবং পাসওয়ার্ড ।
* সব ইউজারের জন্যে পরিপূর্ণ সাবস্ক্রিপশন ফর্ম।
* আইএসপিকে মানা করা হয়েছে এমন ইউজারদের কানেকশন না দিতে যারা ওই ব্যন্ডউইদ্থ অন্যান্য লোকেশনের ইউজারের কাছে অর্থের বিনিময়ে শেয়ার করে।
* আইএসপিকে বলা হয়েছে প্রতিটি ইউজারদের নাম ঠিকানা সংরক্ষন করতে (প্রি-পেইড স্ক্রাচ কার্ড বা সাইবার ক্যাফের ক্ষেত্রে কি হবে তারা তা বলেনি)।

উপরোক্ত বিষয়গুলো ১৫ দিনের মধ্যে না মানলে আইএসপির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

এ ব্যপারে বিটিআরসির কোনো ব্যাক্ষা নেই, আছে শুধু অর্ডার।

আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন কি ঘটতে যাচ্ছে ভবিষ্যতে !
তারা আইএসপির মাধ্যমে প্রতিটি উইজারদের তথ্য সংগ্রহ করবে, এমআরটিজি গ্রাফের ইআরএল, আইডি/পাসওয়ার্ড থাকলে যে কোন স্থান থেকে এইসব ইউজারদের ইন্টারনেট কার্যক্রম মনিটর করা যাবে। আপনার ঠিকানা থাকায় আপনি থাকবেন তাদের মনিটরিং এর মধ্যেই। আপনার ইমেইল পড়ে ব্যবসার গোপন তথ্য অন্যরা জেনে যাবে।

ই-বাংলাদেশে ই-বাংলাদেশের রিপোর্ট এক আইএসপি প্রভাইডার বলেছে এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হলে এবং বাসায় সার্চ হলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দেবে। আইএসপিদের ব্যবসা গুটাতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করাটাই যেন একটি অপরাধ হয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষের কাছে।

এটি একটি বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমেরিকা এবং জার্মানীতে ইন্টারনেট সার্ভেইল্যান্স নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক চলছে সংসদে। এটি হতে হলে অবশ্যই গনতান্ত্রিক সরকারের সংসদ থেকে আইন পাশ করে হতে হবে। কিন্তু বিটিআরসি কি ক্ষমতার বলে এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপরে হস্তক্ষেপ করছে এ প্রশ্ন নিশ্চয়ই সাধারন নাগরিক হিসেবে আমরা করতে পারি। অবশ্য তথাকথিত তত্বাবধায়ক ওরফে অনির্বাচিত অন্তর্বতীকালীন আদতে ছায়া সামরিক সরকারের কাছ থেকে মানবাধীকার বা বাক স্বাধীনতা আশা করা আর অরন্যে রোদন একই কথা।

১) আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ব্রাসেলস ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক আহমেদ জিয়াউদ্দিন বলেছেন "এটি বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৩ ধারার সুস্পস্ট লঙ্ঘন"।
২) ব্যারিস্টার সুলতানা কামাল, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও ভূতপুর্ব এডভাইজার, কেয়ারটেকার সরকার বলেছেন "এমনিতেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেলিট্যাপিং হয়, বিভিন্ন জনের উপর নজরদারী হয় কিন্তু সেটি করা হয় সৌজন্য রেখে সরাসরি নয় কারন সেটি তাহলে অগনতান্ত্রিক হবে। এখন তো এইভাবে এই সব অগনতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ন্যায্যতা দিয়ে দেয়া হচ্ছে।"

কিছুদিন আগে বিবিসি বাংলা প্রভাতী অনষ্ঠানে এভাবেই মত প্রকাশ করেন উপরোক্ত দুজন বিশিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।

আগেই বলা হয়েছে বিটিআরসির মেমোর কথা যেখানে আইএসপিদের কাছ থেকে ইন্টারনেট ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী (যেমন নাম-ঠিকানা, ইন্টারনেট ব্যবহার লগ, আইডি-পাসওয়ার্ড) চেয়েছে। কিছুদিন আগে বিবিসি বাংলায় পরিক্রমায় অনুষ্ঠানেএ খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়। আইএসপি এসোসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয় যে সরকার দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ডাটাবেজ তৈরি এবং আইএসপির মাধ্যমে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার মনিটরের উদ্যোগ নিয়েছে।

বিটিআরসি এক্ট ২০০১ এর ২০০৬ সালের একটি সংশোধনী (৯৭ ধারা) অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহীনিকে সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয় আড়িপাতার জন্যে। এই সংশোধনীটি অবশ্য বিটিআরসির মুল উদ্দেশ্য টেলিযোগাযোগের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার নিশ্চয়তা প্রদানের অঙীকারকে লঙ্ঘন করে (বিটিআরসি এযাক্ট ২০০১ প্যারা ৩০(১)(f))। কিন্তু এজন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আলাদা সেল না বসিয়ে আইএসপিদের বাধ্য করা হচ্ছে এই মনিটরিংয়ে। ফলে এইসব ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে চলে গিয়ে সাধারন ব্যবহারকারীরা হয়রানীর স্বীকার হবেন কিনা সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই আড়িপাতার আইন রয়েছে কিন্তু সেটি করা হয় সন্দেহভাজন ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে, অনেক সময় কোর্ট অর্ডারের মাধ্যমে। কিন্তু এভাবে ঢালাও ভাবে সবার ব্যাক্তিগত আইডি পাসওয়ার্ড জানতে চাওয়ার পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা সেটি ক্ষতিয়ে দেখার অবকাশ রয়েছে।

আইএসপি যে মনিটরিং করে সেটাকে ইউসেজ এবং এবিউজ মনিটরিং বলা যায়। ইন্টারনেট স্পীডের কতখানি ব্যবহার করল, অর্থাৎ কতখানি ডাউনলোড এবং আপলোড করল এই তথ্য গুলো ইউসেজ তথ্য বলা যায়। আর এবিউজ হল, আপনি পর্ণো সাইটগুলোতে যাচ্ছেন কিনা, পি২পি ব্যবহার করে কোন ইল্লিগাল গান বা মুভি ডাউনলোড করছেন কিনা এগুলো।
পুরো ব্যন্ডউইদথ এবং প্রতিটি ক্লায়েন্টের অনলাইন এমআরটিজি ইউসেজ গ্রাফ (যার মাধ্যমে কে কোন সাইটে ব্রাউজ করেছে সব তথ্য জানা যাবে), ইউআরএল এড্রেস এবং প্রতিটি ইউজারের আইডি এবং পাসওয়ার্ড।

মনিটরিং নতুন কিছু না। সব ISPই এই কাজ করে। সরকার করলে কেন তাহলে প্রতিবাদ?
প্রধান কারন এর রাজনৈতিক ব্যবহার।

ISP মনিটরিং ডেটা দিয়ে বিলিং করে। সরকার এই ডেটা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা বা নিয়ন্ত্রনে ব্যবহার করতেই পারে, যেটা আমাদের দেশে মনে হয় অস্বাভাবিক নয় (সব চ্যানেল যখন বিটিভি হয়ে গেছে তখন আমাদের শেষ ভরসাটা কিন্তু ইন্টারনেট)।

কনটেন্ট মনিটরিং হল আপনি কোথায় কি লিখছেন। কাকে কি ইমেইল করছেন। এইসব মনিটরিং করা। এগুলো কোন আইএসপি করে না। আর সরকারের এইটাই উদ্দেশ্য বলে আন্দাজ করা হচ্ছে।

তাছাড়া প্রাইভেসীও এরসাথে জড়িত। আপনার ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, ব্যক্তিগত তথ্য, আপনার প্রেম ভালোবাসার কথা এসব কেন সরকার হাতাবে?

সরকার যদি বলে, যে তারা কনটেন্ট মনিটরিং করবে না। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় তাহলে কেন তারা ব্যক্তিগত তথ্যের এক্সেস চাইবে? তথ্যগুলো দিয়ে কি করবে তাও কোথাও স্পষ্ট নয়।
এখানেই লংঘিত হয় ব্যক্তি স্বাধীনতা, এভাবেই ধর্ষিত হয় গণতন্ত্র।

আরেক ভাবে তুলনা করা যায়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সাথে তুলনা করলে মিলটা স্পষ্টতর হয়।

মনে করেন সংবাদপত্রে সাংবাদিক একটা লেখা লেখেন। সাংবাদিককে এক্ষেত্রে ইন্টারেনেটে একজন ব্লগার বা ইমেইল কারী সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

আবার সম্পাদক আইএসপিদের মত একটা ভুমিকা পালন করেন। লেখাতে খারাপ কিছু যাচ্ছে কিনা, ম্যাটারের আকৃতি বা কোয়ালিটি কেমন হচ্ছে এসব সম্পাদক দেখেন।

এখন সরকার বলল সংবাদ প্রকাশের আগে তাদের পক্ষের একজনের কাছ থেকে পরীক্ষা করিয়ে সাইন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে সম্পাদক সম্পাদনার পর তাদের কাছে পাঠায় এবং তারা বলে দেয় কোনটা তাদের বিপক্ষে যাচ্ছে এবং বাদ দিতে হবে। ঠিক একই ভাবে ইন্টারনেট মনিটরিং করলে একই ব্যাপার ঘটে।

সংবাদ পত্রে তারা যে রেস্ট্রিকশন দিয়েছে এটা তারই সমতুল্য।

বেশ কিছু উদ্বেগজনক সংবাদ আসছে দেশ থেকে। অনেকের বাড়ীতেই RAB যাচ্ছে চেক করতে সে ভিওআইপির ব্যবসা করে কিনা তাই। আমার খটকা লেগেছিল কারন যে একজন সাধারন ইউজার, তার সাথে কেন এমন হবে?
সাধারন ইউজারের বাসায় ভিওআইপি সংক্রান্ত কিছু না পেয়ে কম্পিউটার চেক করেছে -এম এস এন মেসেন্জার ও স্কাইপের কন্টাক্ট লিস্ট চেক করেছে। সন্দেহ হচ্ছে তারা নিজেও কি নিশ্চিত কিনা তারা কোথায় কি খুঁজতে এসেছে।

উর্ধতন এক বিটিআরসির কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে বিটিআরসি সাহায্য করছে RAB কে অবৈধ ভিওআইপি অপারেটরদের ধরতে। কিন্তু সাধারন ইউজারদের বাসায় কেন যাচ্ছে তারা তা সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেন নি।

কিন্তু ব্যাপারটি আসলে এত সহজ কিছু নয়। আসলে ভিওআইপির কথা বলে হয়ত ইন্টারনেট ইউজারদের কার্যকলাপ মনিটর করা হচ্ছে।

দেশের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এখন এক ক্রান্তিকালের মাঝ দিয়ে যাচ্ছে। দৈনিক আজকের কাগজ বন্ধ হয়ে গেলো, দৈনিক সমকাল চরম অর্থনৈতিক সংকটে, দৈনিক যায় যায় দিন বন্ধ হয় হয় অবস্থা, দেশের সর্বপ্রথম নিউজ
চ্যানেল সিএসবি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আচমকা, একুশে টিভি ও এনটিভিকে নোটিশ দিয়ে মুখে তালা দিতে বলা হয়েছে। সংবাদপত্রগুলো সংবাদ ছাপাতে বাধ্য হচ্ছে আইএসপিআর এর প্রেসক্রিপশনমতো, টিভি চ্যানেলগুলো সংবাদপ্রচার করছে আর্মি হেডকোয়ার্টারের নির্দেশমতো।
বাংলাদেশের সব সব টিভি চ্যানেলই এখন বিটিভি, সব সংবাদপত্রই সরকারের প্রেসনোট। একমাত্র বাকী ছিলো ইন্টারনেট, সেখানেই নজরদারী !! এ যেনো কফিনে শেষ পেরেক ঠোকা।

আমার প্রায়ই মনে হয় আমরা কি নেংটা হওয়া এবং নেংটা করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি?

যদিও আমাদের পোশাকের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে গেছে
কিন্তু কিছু কিছু জায়গা কিছু মেশিন বসানো আছে সিকিউরিটির নামে যেটার পেছনে বসলে কাপড় পরা মানুষকে কাপড় ছাড়াই দেখা যায়।
সেইসব জায়গায় আমাদেরও যেতে হয় মাঝেমাঝে।
জেনে কিংবা না জেনে।

শুধু কারো না দেখার জায়গায় ছিল কানে কানে কথা... বলা
কিন্তু...
মোবাইলের কথা এখন অন্যরা শুনতে পায়,
কুরিয়ারের চিঠি খুলে চেক করে,
ইমেইল....

জয় গোস্বামীর কবিতাটা মনে আছে সবার?

'ততক্ষণই কলংক ভয় মুখে ঝেঁটার বাড়ি
যতক্ষণ না সবার সামনে নেংটো হতে পারি...'
_____________________________
সংকলিত,মৌলিক নয়।
রেজওয়ান ভাই ও মাহবুব লীলেনের কাছে ক্ষমা প্রার্থী তাদের লেখা থেকে আইডিয়া ও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই টুকলিফাই করাতে।