ক্যানবেরায় এসে স্কুল জীবনের এক বন্ধুর (?) বাসায় উঠবার সৌভাগ্য (?) হয়েছিলো। বিদেশ বিভূঁয়ে একলা থাকতে হবে না ভেবে মনটা বেশ হালকা ছিলো। ও'কোনোর নামে এক সাবার্বের ৩ বেডরুমের একটা পুরাতন ছিমছাম বাসা। আমার জন্য বরাদ্দ করা ছোট্ট রুমটিতে কোনো বিছানা ছিলো না। ঘরের এককোনে পাতা একটা ম্যাট্রেস, একটা পড়ার টেবিল আর একটা কাবার্ড। কথা ছিলো সপ্তা শেষে ৭০ ডলার, বিদ্যুত, গ্যাসের বিল আর খাওয়া দাওয়ায় যা খরচ আসে তার ভাগ দিতে হবে। এতে আপত্তি থাকবার কথা না, যেখানে যে নিয়ম। বাসায় বন্ধু,বন্ধু পত্নী আর একটা বাংলেদেশি ছেলে। ছেলেটি বাদে সবার পড়াশোনা শেষ। বন্ধু আমার পড়াশোনা শেষ না করেই ডলারের নেশায় উদয় অস্ত ম্যাকডোনাল্ডসে কামলা দেয়, সেই সাথে তার বউ। সবারই গাড়ি আছে আমি ছাড়া।
প্রথম হপ্তাটা ভালোই গেলো। ব্যাংকে গিয়ে ইউ এস ডলার ভাঙানো, ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া, ওরিয়েন্টশন উইকের নানা কিছুতে যোগ দেয়া আর ইউনির এখান সেখানে ঘুড়ে বেড়ানো। ক্লাস তখনো শুরু হতে সপ্তাহ খানেক বাকি ছিলো। হাতে তেমন কিছু করার ছিলো না ঘুমোনো ছাড়া। আশে পাশে এমন কেউ ছিলো না যে এখানে সেখানে ঘুড়িয়ে কিছু দেখাবে। বাসের টিকেট কিনে যেখানে যাবার কথা সেখানে না গিয়ে ভুল করে কতযে অন্য জায়গার চলে গিয়েছিলাম সেটা মনে পরে বেশ মজা লাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য ৫০% ডিসকাউন্টে সে সময় টিকিট কেনা যেতো। টার্ম টিকিট ছিলো ৫৫ ডলার, উইক ডেজ এ যত খুশি ইচ্ছা ততবার ব্যবহার করা যেতো। উইক এন্ডের জন্য আরেকটা টিকিট কিনেছিলাম ১০ কি ১২ ডলার দিয়ে।
প্রথম যেবার শপিং করতে মলে গেলাম তখন বিশাল মল দেখে অনেক অবাক হয়েছিলো। ঢাকায় তখনো বড়সরো কোনো শপিং সেন্টার হয়নি। আমার কাছে নইু মার্কেট বা চাঁদনি চকই বিশাল কিছু। মলের সব কিছু ঝকমকে তকতকে। একটা সস্তা মোবাইল কেনার দরকার ছিলো। অপটাসের মোটোরলা সেট সহ একটা প্রিপেইড কালেনশন নিয়েছিলাম। দাম পড়েছিলো ৬০ কি ৭০ ডলার, সাথে ৩০ ডলারের ক্রেডিট। বাসায় এসে দেখি দোকানদার ৩০ ডলার চার্জ করেছে। ইচ্ছে হচ্ছিলো দোকানে গিয়ে বাকি টাকাটুকু দিয়ে আসে কিন্তু অচেনা শহরে কিছুই যে চিনি না। পরে একটা ম্যাপ কিনে নেয়ায় বেশ কাজে লেগেছিলো। ম্যাপ রিডিং জানায় ক্যানবেরায় কোথায় কি আছে বা কোন জায়গা কত দূর তা জানতে বেশ সহজ হয়েছিলো। যেখানেই যেতাম সাথে ম্যাপ থাকতো।
হোস্টেলে জীবনের অনেকটা সময় থাকার পরো মনটা খুব খারাপ লাগতো সে সময়। খুব ইচ্ছে করতো দেশে কথা বলতে। বাংলাদেশী এক ভদ্রলোকের দওকান থেকে ফোন কার্ড কিনে প্রথম যখন ফোন করি দেশে সে সময় টুকুর কথা এখনো মনে আছে। মন হচ্ছিলো কত যোগ কথা বলি না। কতকিছু বলার ছিলো কিন্তু অনেক কিছুই যেনো বলা হলো না। মাঝে তো একবার সরাসুরি ফোন করে বসেছিলাম দেশে। ৫/৭ মিনিট কথা বলার পর যখন মাসের শেষে বিল পেয়েছি তখনতো আক্কেল গুরুম অবস্থা। পুরো ১২ ডলার বিল এসেছে আমার নামে।
ও'কোনোরের বাসায় থেকেছিলাম মাস ২ কি আড়াই। সে এক ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা। আমার শত্রুরও যাতে এমনি না হয়।
প্রথম হপ্তাটা ভালোই গেলো। ব্যাংকে গিয়ে ইউ এস ডলার ভাঙানো, ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া, ওরিয়েন্টশন উইকের নানা কিছুতে যোগ দেয়া আর ইউনির এখান সেখানে ঘুড়ে বেড়ানো। ক্লাস তখনো শুরু হতে সপ্তাহ খানেক বাকি ছিলো। হাতে তেমন কিছু করার ছিলো না ঘুমোনো ছাড়া। আশে পাশে এমন কেউ ছিলো না যে এখানে সেখানে ঘুড়িয়ে কিছু দেখাবে। বাসের টিকেট কিনে যেখানে যাবার কথা সেখানে না গিয়ে ভুল করে কতযে অন্য জায়গার চলে গিয়েছিলাম সেটা মনে পরে বেশ মজা লাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য ৫০% ডিসকাউন্টে সে সময় টিকিট কেনা যেতো। টার্ম টিকিট ছিলো ৫৫ ডলার, উইক ডেজ এ যত খুশি ইচ্ছা ততবার ব্যবহার করা যেতো। উইক এন্ডের জন্য আরেকটা টিকিট কিনেছিলাম ১০ কি ১২ ডলার দিয়ে।
প্রথম যেবার শপিং করতে মলে গেলাম তখন বিশাল মল দেখে অনেক অবাক হয়েছিলো। ঢাকায় তখনো বড়সরো কোনো শপিং সেন্টার হয়নি। আমার কাছে নইু মার্কেট বা চাঁদনি চকই বিশাল কিছু। মলের সব কিছু ঝকমকে তকতকে। একটা সস্তা মোবাইল কেনার দরকার ছিলো। অপটাসের মোটোরলা সেট সহ একটা প্রিপেইড কালেনশন নিয়েছিলাম। দাম পড়েছিলো ৬০ কি ৭০ ডলার, সাথে ৩০ ডলারের ক্রেডিট। বাসায় এসে দেখি দোকানদার ৩০ ডলার চার্জ করেছে। ইচ্ছে হচ্ছিলো দোকানে গিয়ে বাকি টাকাটুকু দিয়ে আসে কিন্তু অচেনা শহরে কিছুই যে চিনি না। পরে একটা ম্যাপ কিনে নেয়ায় বেশ কাজে লেগেছিলো। ম্যাপ রিডিং জানায় ক্যানবেরায় কোথায় কি আছে বা কোন জায়গা কত দূর তা জানতে বেশ সহজ হয়েছিলো। যেখানেই যেতাম সাথে ম্যাপ থাকতো।
হোস্টেলে জীবনের অনেকটা সময় থাকার পরো মনটা খুব খারাপ লাগতো সে সময়। খুব ইচ্ছে করতো দেশে কথা বলতে। বাংলাদেশী এক ভদ্রলোকের দওকান থেকে ফোন কার্ড কিনে প্রথম যখন ফোন করি দেশে সে সময় টুকুর কথা এখনো মনে আছে। মন হচ্ছিলো কত যোগ কথা বলি না। কতকিছু বলার ছিলো কিন্তু অনেক কিছুই যেনো বলা হলো না। মাঝে তো একবার সরাসুরি ফোন করে বসেছিলাম দেশে। ৫/৭ মিনিট কথা বলার পর যখন মাসের শেষে বিল পেয়েছি তখনতো আক্কেল গুরুম অবস্থা। পুরো ১২ ডলার বিল এসেছে আমার নামে।
ও'কোনোরের বাসায় থেকেছিলাম মাস ২ কি আড়াই। সে এক ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা। আমার শত্রুরও যাতে এমনি না হয়।