শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৩

আমি একজন ভোক্তা

কোন মন্তব্য নেই :

আমি একজন ভোক্তা, সস্তায় ভালো জিনিস কোথায় হতে পাওয়া যায় সেটা কেনার সময় মাথায় থাকে। আগে সস্তা "মেইড ইন চায়না" কিনতাম, হালে "মেইড ইন বাংলাদেশ"। বিদেশে বসে দেশী জিনিস পাচ্ছি, গর্ব বোধ হয়। এখনো দেশে তৈড়ি একটা টি শার্ট পড়ে আছি। বার বার চোখে ভেসে উঠছে আগুনে পোড়া মানুষটির মুখ, ধসে পড়া বিল্ডিং এর নিচে চাপা পরা মানুষটির পা। জীবনের দামে কেনা সস্তা কাপড় পড়ে এখন আর গর্ববোধ হচ্ছে না, ধীরে ধীরে বিবেকশুন্য রোবটে পরিনত হচ্ছি। 

রাতে ঘুম হয়নি, দুঃস্বপ্নে বার বার ঘুম ভেঙেছে। ইন্টানেটে খবরের কাগজগুলো পড়তে পারছি না। ফেসবুকে সবার স্ট্যাটাসগুলো বার বার বুকের মাঝে আঘাত হানছে। অক্ষম ক্রোধ - অসীম হতাশায় মনটা প্রচন্ড বিষন্য হয়ে আছে। মানুষের জীবন এখন সংখ্যায় মাপা হয়, সংখ্যাটা যত বড় হয় গুনগত মান ততই বেরে যায়। আর এই জীবনটা যদি হয় গরীব মানুষের তবে সেই জীবনের মূল্য শুন্য থেকে শুন্যতর হতে থাকে।

একদল পশুর লোভের বলি হয়ে আগুনে পোড়া - ভবন ধসে পড়া - পায়ের নিচে  চাপা পড়া মৃত্যুগুলো আমাদের হৃদয়ে আঘাত হানে, ঘটনা বহুল দেশে নিত্য নতুন ঘটনায় সেগুলো চাপাও পরে যায়। যে গার্মেন্টস মালিকের লোভের বলি হয়ে এসব মানুষ  মারা যায়, যে সরকারী কর্মচারীর ঘুষের লোভে মৃত্যুর মিছিলে সংখ্যা বারে , ক্ষমতার রাজনীতির নোংরা স্বার্থে বিচারের বাণী চাঙে বসে হাসে সে দেশ আমার না, এ দেশের স্বপ্ন আমি দেখি না। জীবনের দামে কেনা ডলার আমি চাই না।

আমি ভোক্তা ভোক্তাই রয়ে যাই, জিনিসটা কোথা হতে জীবনের মূল্যে কেনা হয়েছে সেগুলো নিয়ে মাথা ঘামাই না আর।  আমি শ্রমিক নই, স্বজন হারানোর কস্ট আমার হয় না। আমি গার্মেন্টস মালিক নই, লোভের পাপের ভাগীদার আমাকে হতে হয় না। আমি একজন ভোক্তা।

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৩

আমাদের ঠুনকো আভিজাত্য

কোন মন্তব্য নেই :

আমি বা আমরা অনেকেই নিজের অতীত লুকোতে পছন্দ করি, এতে হয়তো সাময়িক প্রশান্তি পাওয়া যায়। অনেকেই নিজের পূর্বপূরুষ আরব থেকে এসেছিলো বলে গর্ব বোধকরে। বড় গলায় যখন কেউ কেউ বলে তার দাদা - দাদার বাবা 'খান বাহাদুর ছিল তারা মনে হয় ভুলে যায় যে ,সারমেয় সুলভ বাধ্য অনুগত হয়ে ইংরেজদের আদেশ পালন করে অবসরে যাবার সময় ইংরেজ শাষকরা তাদের একান্ত বাধ্যগত চাকুরেদের খান বাহাদুর - রায় বাহাদুর উপাধী দিত এককালে।

অতীতের পূর্ব বাংলা - আজকের বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত - উচ্চ বিত্তদের শ্রেনী উত্তরনের যাত্রা শুরু হয়েছিলো মুলত বিংশ শতাব্দীর শুরুতে। লেখাপড়া শিখতে কৃষক পিতার সন্তানরা হাঁটা শুরু করেছিলো শহরের দিকে, লেখাপড়া শিখে সরকারী চাকুরির স্বপ্নে। ৪৭ এ দেশভাগের পর মুসলমান বাঙালির সামনে বিশাল সম্ভাবনা খুলে যায়, শিক্ষিত হিন্দু বাঙালিদের দেশ ‌ত্যাগে তাদের সামনে চাকুরির বাজার । সৎ - অসৎ পন্থায় শ্রেণী উত্তরন ঘটতে থাকে। কৃষক সন্তান শহুড়ে মধ্যবিত্ত হিসেবে স্থান করে নেয়। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধিন দেশে মধ্যবিত্তের আবারো বিশাল উত্থান ঘটে। বৈধ অবৈধ পথে অনেক মধ্যবিত্তই উচ্চবিত্ত পরিনত হয়। নিজেদের সন্তানদের বিজাতী শিক্ষায় শিক্ষিত করে জাতে তুলবার আপ্রান চেস্টা থাকে এই শ্রেণীর। আচার আচরন ও প্রকাশে অতীত লুকিয়ে নিজেকে অন্যভাবে দেখানোর আপ্রান চেস্টা থাকে এই শ্রেণীটির। অথচ জমির দলিল ঘাঁটলে বা একটু পেছনে তাকালেই খুঁজে পাওয়া যাবে এই মানুষগুলোর পূর্বপূরুষ ছিলেন ভূমিপূত্র কৃষক। আমি আমার দাদাকেই দেখেছি হাল চাষ করতে, এজন্য গর্ব বোধ হয় সবসময়ই।

ঢাকার বারিধারায় ধনি মানুষগুলো আদেশ জারি করেছে যে বারিদারা এলাকায় রিকশাচালকরা লুঙি পড়ে রিকশা চালাতে পারবে না, লুঙিতে নাকি শালিনতা নস্ট হয় - দেখতে খারাপ লাগে ! গরিব রিকশা চালকদের বাধ্য করা হয়েছে ট্রাউজার পড়ে রিকশা চালাতে। নিজের বাসায় কে লুঙি পড়বে কে আন্ডি পড়বে সেটা স্বীদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা সবার আছে। কিন্তু সরকারী রাস্তায় বা পাবলিক প্লেসে লুঙি পড়ার নিষেধ করবার কোনো অধিকার যে বারিধারার নব্য ধনিদের নেই সেটা বোঝার ক্ষমতা তাদের হয়নি। হাইকোর্ট স্যুয়োমোটো জারি করেছে, দেখি এই ঠুনকো আভিজাত্যে ভোগা মানুষগুলো কি উত্তর দেয়। বারিধারায় মূলত অবসর প্রাপ্ত সরকারী আমলারা থাকে। চাকুরিকালীন অবস্থায় তারা যেমন দেশকে নিজের সম্পত্তি মনে করতো - অবসর নেবার পরও তাদের সেই মানোভাব পরিবর্তন হয়নি। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে নিজের অতীতকে অস্বীকার করার মতো হিনমন্যোতা।

শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৩

নাস্তিক কার্ড

1 টি মন্তব্য :
যুদ্ধকে যদি তাস খেলার সাথে তুলনা করা যায় তবে প্রতিপক্ষের হাতে কি ধরনের কার্ড আছে এবং সে কখন কোন কার্ডটা টেবিলে ফেলবে তার সম্পর্কে খুবই ভালো ধারনা থাকতে হয়, নচেৎ পরাজয় নিশ্চিৎ।  আন্দোলনের এক পর্যায়ে জামাত ই ইসলামী আর তার দোসর বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি )যখন 'নাস্তিক' কার্ডটা টেবিলে ফেলেছিলো তখন অনেকেই এর সম্ভাব্য ভয়াবহতা আন্দাজ করতে পারেন নাই। অনেকেই এটাকে মজা করেছিলো , আবার অনেকেই নিজেকে আস্তিক প্রমানে ব্যস্ত ছিলো। শাহবাগ আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে যারা আছেন/ছিলেন তারাও ব‌্যস্ত ছিলো তাদের "আস্তিকতার" প্রমানে।

লেখার প্রথমেই যা বলেছিলাম, সেই কার্ড সম্পর্কে ধারনা থাকা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে যখন এই নাস্তিকতার কার্ড ফেলা হয় তখন জামাত গ্রামে - মফস্বলে এমনকি বড় বড় শহরগুলোতে তথাকথিত নাস্তিক ব্লগারদের লেখা কপি করে বিলি করেছিলো, যার প্রভাব পরবর্তিতে দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশে 'আমার দেশ বা নয়া দিগন্ত' পত্রিকাগুলো দেশের মানুষ যতটুকু পড়ে , ইন্টারনেটের সুযোগ থেকে দূরে থাকা সাধারন মানুষ ব্লগ পড়বার সুযোগ পায় না। ব্লগে যেমন অনেক ভালো লেখা হয় তমেনি অনেক ফালতু বস্তাপঁচা লেখাও হয়। এজন্যই আমার দেশ/নয়া দিগন্তের মিথ্যা প্রচারনা মানুষ যেমন গিলেছে ঠিক তেমনি ব্লগারদের সম্পর্কে ভালো কথা গুলো মানুষের কাছে পৌঁছুতে পারেনি তেমন ভাবে। গোয়েবলস এর কথা মতো " একটি মিথ্যা শত বার বল্লে সেটা সত্যের মতো শোনায়" । আরেকটি ব্যপার, শাহবাগ আন্দোলন শহুড়ে মধ্যবিত্তের মাঝে যেমন সারা জাগিয়েছে তেমনিভাবে গ্রাম - মফস্বলে সেভাবে সারা জাগাতে পারে নি।

নিজের বাংলা ব্লগের ৭ বছরের অভিগ্যতা থেকে নাস্তিকতা চর্চা সম্পর্কে অনেক কিছুই বলা যায়। এমন অনেক অনেক লেখা এসেছে যেখানে লেখক তার মতাদর্শ কারো উপরে না চাপিয়ে তুলনামূলক ধর্মতত্ব আলোচনা করেছেন, ধর্মের অনেক কিছু নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। এসব পোস্টে সুন্দর আলোচনা - প্রতি আলোচনা হয়েছে। আবার অনেক পোস্ট এসেছে যেখানে নাস্তিকতার নামে নোংরামীই হয়েছে, হয়েছে অন্যের বিশ্বাসে আঘাত হানা। এসব লেখা যতটুকু নাস্তিকতার প্রচার তার চাইতে ছিলো অন্যের ধর্ম বিশ্বাসকে অশ্লীল ভাবে আঘাত হানা। আর এর সবই হয়েছে বাক স্বাধীনতার নামে। আর এই সব আক্রমনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিলো ইসলাম ধর্মকে আক্রমন করে, যাকে সোজা বাংলায়  উগ্র ইসলাম বিদ্বেষ ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। এখন এই লেখা গুলোই কিন্ত জামাত ফটো কপি করে বিলি করে সাধারন মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। অনেক শহুড়ে মানুষের কাছে ধর্ম একটি ফ্যাক্টর না হলেও গাঁ-গেরামের মানুষের কাছে ধর্ম একটি বিশাল ফ্যাক্টর।

বাংলা ব্লগিং এ রিভার্স নিক বলে একটা টার্ম চালু আছে। হয়তো হিন্দু নাম দিয়ে এমন লেখা যাতে মনে হয় একজন সনাতন ধর্মালম্বী ইসলাম ধর্মকে আক্রমন করছে। আবার মুসলিম নাম নিয়ে এমনভাবে লেখা যাতে নাস্তিকতার নামে ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ পায়। রিভার্স নিকে মুক্তিযুদ্ধে পোস্ট লিখে তার মাঝে এমন সব তথ্য ঢুকিয়ে দেয়া যাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। নাস্তিকতার নামে এই সব বিদ্বেষী লেখা হয়েছে বাক স্বাধিনতা নামে, এক সময় আমরা এসবে সায়ও দিয়েছে - সমর্থনও করেছি। অনেক সময় ভাবিনি এসবই এক সময় আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হতে পারে, যা হয়েছে এবং হচ্ছে । এর মাধ্যমে আন্দোলনের দিক ও উদ্দেশ্যকে অনেকটুকুই ঘুড়িয়ে দেয়া গেছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, এই সব উগ্র নাস্তিক যাকে ব্লগাররা ছাগ নাস্তিক বলে তারা কি জামাতের পেইড এজেন্ট ছিলো ? দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায় জামাত কি ব্লগ ও ব্লগার যারা সব সময়ই জামাত বিরোধীতায় সোচ্চার তাদের বিতর্কিত করার জন্য এসব করেছিলো ! সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
Self-Censorship is the most effective to practice Freedom of Speech everyday - Micheal Anti 

মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৩

আতংক

কোন মন্তব্য নেই :
অনেকই খোঁটা দেয় " মিয়া বিদেশে থাকেন, দেশে কি হচ্ছে সেটাতো জানেন না - বুঝেন না", তেমন গায়ে মাখি না, পাল্টা বলিও না যে' আপনে দেশে থাইকা কি করতেছেন?"। এইটা সত্য যে বিদেশে আমরা যারা থাকি তারা নিরাপদেই থাকি। জামাতি বা হেফাজতীরা ইচ্ছা করলেই আমাদের কোপাইতে পারবে না - গুলি করতে পারবে না - রাস্তায় শোয়াইয়া জবাইও করতে পারবে না। কিন্তু দেশে আমরা শেকড় রাইখা আসছি, দেশে থাকা অনেক মানুষই এইটা বুঝতে চায় না যে শেকড় ছেড়ার কস্ট বড় কস্টের। দেশে আমাদেরও পরিবার আছে - স্বজন আছে - বন্ধু আছে। আমি বা আমরা নিরাপদে থাকলেও তারা কিন্তু নিরাপদে নাই। বলা যায় না শয়তানের দল কখন কোথা হতে আইসা কারে মাইরা ফেলায়। আজ কাল অনেক আতংকে থাকি। রাতে ফোন আসলেই কাঁপা হাতে ফোন ধরি, এই বুঝি কোনো খারাপ খবর। এইটা কিন্তু ঠিক যে বিদেশে নিরাপদে বইসা অনেক বড় কথা বলি - ছাগু কার্টুন আইঁকা হিন্দি চুল ফেলি আর মজা লই -স্যাটায়ার লিখি। কিন্তু দেশে আমার যেই ভাইরা জানটাকে বুক পকেটে নিয়া লড়াইয়ে তারা কিন্তু নিরাপদে নাই। যেকোনো মুহুর্তেই কিছু একটা হয়ে যাইতে পারে। সময়টা খুবই খারাপ, সামনে আরো আসছে। সাবধানে থাইকেন। অহিংস হোন আর সহিংস হোন, হাতের কাছে কিছু রাইখেন, সাপ মারতে লাঠি লাগে। নাইলে সেই আপনারে কামড়াবে। 

মন যা দেখতে চায়, চোখ তাই দেখে

কোন মন্তব্য নেই :
বেকুবের একটা বৈশিষ্ঠ হলো তারা আশে পাশের সবাইকেই বেকুব ভাবে, শুধু নিজেকে ছাড়া। ফেসবুকে ঘুরতে ঘুরতে 'ফাহামআবদুস সালাম' নামে এক লোকের স্ট্যাটাস চোখে পড়লো। ভদ্রলোকের ফেসবুকে একটু নজর বুলাতেই উপরের বেকুবের কথা মনে পড়লো।

তার স্ট্যাটাসের প্রতিটা প্যাড়ার উত্তর দিতে ইচ্ছে করছে,
"হাজেরানে শাহবাগ: আপনাদের অন্তত এখন বোঝার কথা যে বিচারকে রাজনীতি বানানোর বিপদটা কোথায়? বিচার যে একটা প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়ার প্রতিটা পর্বে পাথরের মতো dispassionately বিশ্লেষণ করাটা কেন জরুরী সেটাও হয়তো বুঝতে শুরু করেছেন।"
ভদ্রলোক মনে করছেন, কিন্তু যারা শাহবাগের আন্দোলন শারিরীক ও মানসিক ভাবে যুক্ত তারাভালো ভাবেই  জানেন যে বিচার একটি প্রক্রিয়া। আর ভালো ভাবেই জানে বলেই  এই প্রক্রিয়া যাতে ত্রুটিমুক্ত ও যথাযথ বিচার  হয় তা নিয়েই আন্দোলন শুরু  এবং আন্দোলনের প্রথম ও মূল লক্ষ্যই ছিলো এটা, এখনো আছে। এবং এটা অরাজনৈতিক আন্দোলন ছিলো, সেটা ফাহামরা যতোই রাজনৈতিক রঙ চড়ানোর চেস্টা করুক না কেনো। আর বিশ্লেষন কি হচ্ছে না ? ভদ্রলোক মনে হয় ICSF এর কথা ইচ্ছে করেই জানেন না !!
আমি একটা ছোট্ট ভবিষ্যতবাণী করতে চাই ভাই সভয়ে, ভেরি মাচ নট এজ আ সায়েনটিস্ট। ৫ বছর পর আপনারা এই সময়টাকে কীভাবে দেখবেন? আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে আপনাদের বুকে একটা বোঝা থাকবে। মনে হবে আমরা ঠকেছিলাম কিন্তু স্বীকার করবেন না যে নিজের দোষে ঠকেছিলাম, বলবেন যে আমাদের স্বপ্নখানি ছিলো অমলিন - অমন স্বপ্নের জন্য দশবারও ঠকতে রাজি (এইসব ন্যাকামি হোলো বাংলায় macho শব্দটির প্রতিশব্দ ও machismo কালচার না থাকার উপসর্গ এবং অলস "ভদ্রলোকদের" দ্বারা সংস্কৃতি নির্মাণ প্রজেক্টের প্রত্যক্ষ ফলাফল)।
প্রাচীন ইজিপশিয়ান একটা প্রবাদ আছে, পুরোপুরি মনে করতে পারছি না, তবে এটা মনে আছে ' মন যা দেখতে চায়, চোখ তাই দেখে'। এই 'ভদ্রলোকের; অবস্থা হয়েছে সেরকমই। তার মন চায়, শাহবাগ আন্দোলনের বিফলতা। কিন্তু এ জাতীয় মানুষকে কে বোঝাবে যে আন্দোলনের সফলতা একদিনে আসে না। শাহবাগ আন্দোলন লাখ লাখ মানুষের মনে যে স্বপ্ন তৈড়ি করেছে, সাহস জাগিয়েছে, চেতনাকে শানিত ও নতুন করে তাদের জাগিয়েছে তা একদিন বিশাল সফলতার দ্বার উন্মোচন করেছে যার সুফল দেশ পাবেই। এই মানুষগুলো কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের আহবানে মাঠে নামেনি, বা টাকার বিনিময়ে কারো ভাড়া খাটতে নামেনি।  হাঁ আমরা ঠকছি, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ঠকছি।  রাজনৈতিক দলগুলোর চরিত্র প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের শঠতার প্রকাশ, জামাতে ইসলামে বিএনপির বিলীন হয়ে যাওয়া শাহবাগ আন্দলনের কারনেই এসেছে। আপনি ভবিষ্যত বাণী করতে থাকুন, সময়েই বলে দেবে সব কিছু। মানুষের স্বপ্নকে ন্যাকামি বলে কটাক্ষ আর আন্দোলনকে অলস "ভদ্রলোকদের" দ্বারা সংস্কৃতি নির্মাণ প্রজেক্টের প্রত্যক্ষ ফলাফল বলুন আর যাই করুন, নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন নিজে কি করেছেন।

বিচারকে শুধুমাত্র রায় না, একটা প্রক্রিয়া হিশেবে recognize করুন। এই প্রক্রিয়া যদি প্রতিটা পর্বে শুদ্ধ থাকে ফলাফলও শুদ্ধ হবে আর যদি অনিয়ম নিজের পক্ষে যায় দেখে চুপচাপ বসে মজা দেখেন (যথা: স্কাইপি কেলেঙ্কারি), নিশ্চিত জানবেন আপনি নিজের নৌকা নিজে ফুটা করছেন, কিছুদিন যাক আরো ভালো করে বুঝবেন।
উত্তর আগেই দেয়া হয়েছে।

৫ বছর পর মানুষের মনের বোঝার কথা বলছেন। হাঁ, একটা বোঝা থাকবে। জামাতি ধারি শুকরগুলোর বিচার করা সম্ভব হলেও কেনো লেখা পড়া শিখে ডিগ্রী নেয়া মুখোশ পড়া শুকরগুলোকে বিনাশ করা যাচ্ছে না সেটা নিয়ে একটা আফসোস থাকতেই পারে।


আমি একটা ছোট্ট ভবিষ্যতবাণী করতে চাই ভাই সভয়ে,  ভেরি মাচ  এজ আ অরডিরানারী হিউম্যান বিয়িং। ২০১৩ সালে যেই সব শুকড়গুলো লেজ প্যান্টের ফাঁকে লুকিয়ে আছে তা বের হয়ে আসবে, ২০১৩ সালে যে ধারালো দাঁত লালচে জ্বিবার আড়ালে লুকিয়ে আছে তা বের হয়ে আসবে। ছবিতে শুকর আর মানুষরূপি শুকরের ফারাকটা আর চোখে পড়বে না।