বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০০৯

নিজেকেই সবচাইতে বেশী ভালোবাসী

২টি মন্তব্য :
উত্তর দিয়েই প্রশ্নের শুরু।
বহুকাল আগে কোথায় যেনো একটি ইন্টারভিউ দেখেছিলাম। খুব সম্ভবত জাদুকর জুয়েল আইচের। উনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো " কাকে সবচাইতে বেশী ভালোবাসেন ?" কোনোরকম ভনিতা না করেই উনার উত্তর ছিলো " নিজেকেই সবচাইতে বেশী ভালোবাসী"। কথাটা মাথায় সেই যে গেঁথে গেলো, এখনো মাজে সাজেই সেটা বের হয়ে আসতে চায়। অনেক ভেবেছি এটা নিয়ে। সবশেষে এটাই মনে হয়েছে , 'আমায় আমি সবচাইতে বেশী ভালোবাসী'। এর জন্যই হয়তো বা অন্যের কস্টের চাইতে নিজের কস্টকেই বেশী প্রাধান্য দেই, নিজের ভালোটাকে বেশী করে দেখবার চেস্টা করি। হয়তো অনেকে বলবেন এটা বড্ড বেশী স্বার্থপরের মতো আত্নকেন্দ্রীক আচরন। কিন্তু গল্পের শেষে সবাই নিজেরটাই বেশী করে ভাবে, নিজেকেই বেশী ভালোবাসে।। পৃথিবীর খুব কম মানুষই এটা হতে বের হয়ে আসতে পারে। সেই সাধুপুরুষদের দলভুক্ত হতে রাজি নই, অন্তত এ মুহুর্তে।

নিত্যকার অভ্যেস মতো ল্যাপ্পির মনিটরের পাতায় দেশের সংবাদপত্র গুলোতে চোখ বুলোনো হয়। মন ভালো করবার চাইতে মন খারাপ করা খবরই বেশী থাকে। মন খারাপের রেশ অবশ্য বেশীক্ষন থাকেও না। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। একটা নতুন গাড়ী কেনা , একটা নতুন বাড়ী, একটা হোম থিয়েটার, একটা দ্বীপ ভ্রমনের পরিকল্পনায় হাড়িয়ে যায় দেশের খবর। বোকার মতো দেশে ফোন করে বাবা-মায়ের খোঁজ নেয়াও হয়।
- জিনিস পত্রের দাম যে হারে বারছে সেহারে আয়তো বারে না
- তোমার বাবাকে ডাক্তার দেখাতে হবে
- আগামী মাস থেকে বাড়ী ভাড়া বাড়বে বলেছে বাড়ীওয়ালা

নির্বিকার মুখে সবকিছু শুনে বলা হয় সামনের মাসে ১০০ ডলার বেশী পাঠাবো। দ্বায়িত্ব শেষ করে তৃপ্তির নিশ্বাঃষ ফেলি। মাকে জিগেস করা হয় না অন্যকিছুর কথা, অনেকটা ইচ্ছে করেই। করলেই বাড়তি কটা টাকা বের হয়ে যাবে, নিজের সুখ একটু কমবে।

সবশেষে নিজেকেই ভালোবাসী। নিজের ভালোবাসা রক্ষা করবার জন্য যা দরকার তাই করি। বসকে খুশী রাখা, কলিগকে খুশী রাখা, বউকে খুশী রাখা, সবাইকে খুশী রেখে নিজেকে খুশী রাখা। সব নিজের জন্যই। নিজেকেই আমি সবচাইতে ভালোবাসী।