রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১০

বুদ্ধিজীবিয় বেশ্যাবৃত্তি আর কত দেখবো ?

1 টি মন্তব্য :
বুদ্ধিজীবিদের সংক্ষেপে "বুজী" বলে ডাকলে মুল্যবান সময় ও ক্যালরি দুটোই বাঁচে। । ইনারা বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখেন, উপসম্পাদকীয় লিখে পত্রিকার পাতায় পাতায় বুদ্ধির নহর বইয়ে দেন। এহেন কোনো বিষয় নেই যা নিয়ে উনারা লিখতে পছন্দ করেন না। আদার ব্যপারি অর্থনৈতিক চুক্তি নিয়ে লেখেন, এক কালের কুখ্যাত দূর্নীতিবাজ আমলা লেখেন সুশাষন নিয়ে, রাজনীতি করা কুখ্যাত ব্যক্তিও বাদ যাবেন কেনো ? উনিও লেখেন গনতন্ত্র ও  মানবাধিকার নিয়ে ! আমরা গিলতে বাধ্য হই।

এক সময় জানতাম অমুক লেখক তমুক ঘরানার, ওখান ছাড়া লেখনই না। কেউবা আওয়ামী ঘরানার, কেউবা বাম ঘরানার, কেউবা জামাত ঘেঁষা কলামিস্ট। যাই হোক, মেঘনায় অনেক পানি গড়িয়েছে, ভৈরবের আড়তে অনেক শুটকি বিক্রিও হয়েছে। কালের বিবর্তনে সেই ধারনাও বদলেছে। এখন একজন অনেক জায়গায় লিখছেন। আজ প্রথম আলোতে তো কাল ভোরের কাগজে, পরশু যুগান্তরে তো তরশু হালের  "কালের কন্ঠে"। সুযোগে নয়া দিগন্তের মতো রাজাকারী পত্রিকাও বাদ যায় না । সে উনারা লিখতেই পারেন। কে কোথায় লিখবেন সেটা ধরিয়া দেবার আমি কে ! লিখে দুটা টাকা পান, পত্রিকার পাতায় নিজের নাম ছাপা হয়। উনাদের পেটে লাথি মারার চিন্তা করাই বেসম্ভব ব্যপার।

বেশ কদিন হলো মহা ধুমধাম করে "কালের কন্ঠ", তাদের শ্লোগান ' আংশিক নয় পুরো সত্য'।  সত্য জিনিসটাকেই এরা খেলো করে ফেলছে কিনা সেটা পরে আসবে, হয়তো অন্য লেখায়। বিখ‌্যাত - কুখ্যাত  সব "বুজী" সেখানে লেখা দিয়ে কালের কন্ঠকে ধন্য করেছেন।  এক সময় রাজাকার মওলানা আবদুল মান্নানের ইনকিলাবকে লেখা দিয়ে ধন্য করেছিলেন হুমায়ুন আহমেদ , এখন দিয়েছেন খুনী -দর্নীতির হোতা- ভূমিদস্যু শাহ আলমের কালের কন্ঠকে। উনার মতো আরো অনেক রথি - মহারথিরাই সেখানে লিখছেন, এখানে তাদের কিছু তালিকা পাওয়া যাবে কালের কন্ঠ বনাম মুড়ির ঘন্ট (আলী মাহমেদ)

বেশ্যা যেমন টাকার বিনিময়ে দেহ বিক্রি করে তেমন এই সব বুদ্ধিজীবি টাকার কাছে লেখা বিক্রি করছেন। বিবেক এখানে বিবেচ্য নয়। বিক্রয় যোগ্য পণ‌্যের মতো এরা প্রতিনিয়ত বিক্রি হচ্ছেন। প্রয়োজন বোধ করছেন না দেখার কোথায় - কার কাছে বিক্রি হচ্ছেন। বেশ্যাও একটা নীতি মেনে চলে, এই সব 'বুজীর' সেই নীতিবোধও নাই। এরাই হয়তো অন্য পত্রিকার কলাম ভড়বেন দূর্নীতির বিরুদ্ধে, ভূমি দস্যুতার বিরুদ্ধে , দূর্নীতির বিরুদ্ধে, খুনের বিচার নিয়ে গরম গরম বুলি কপচিয়ে। এরাই নাকি আমাদের জাতির বিবেক হিসেবে গণ্য !!! ???

ধিক এই সব বুদ্ধিবৃত্তিক বেশ্যার প্রতি। রাজাকার কাশেমের নয়া দিগন্তে লিখলে যদি রাজাকার- হিডেনে জামাতি হতে হয় তবে খুনী- দূর্নীতির দোসর- ভূমি দস্যু- চিহ্নিত অপরাধী শাহ আলমের কালের কন্ঠে বা বাবুলের মতো চিহ্নিত ভূমিদস্যুর যুগান্তরে লিখলে তাদের কি বলা যাবে ??
মন্তব্য কাম্য।