বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০০৯

বছর গড়াতে চল্লো, এখন একটি নতুন সূর্যের অপেক্ষায়

1 টি মন্তব্য :


খুব দ্রুত বছরটি শেষ হয়ে গেলো। আর মাত্র ১ সপ্তাহ পরেই T10। কি দ্রুত বছরটি শেষ হয়ে গেলো টেরই পেলাম না। বলার মতো কিছুই ঘটলো না এ বছরটিতে। কোনো অর্জন নেই, ব্যর্থতাও অনেক। সব কিছু যেনো ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, এগুতে চাইলেও পারছে না। কাঁচা মিঠা আমের মতো  বছরটি কেটে গেলো।  সালতামামী লেখার মতো কিছুই নেই। দেশে পরিবারের সমস্যা,ব্যক্তিগত ব‌্যর্থতা থেকেই হয়তো নতুন বছরে কিছু করার প্রেরণা পাবো।

বছরের এ সময়টুকু বড্ড অলস কাটে। তেমন কিছু করার থাকে না। চারদিকে সুনসান নিরবতা। শুয়ে বসে খেতে খেতে ওজন বেড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০০৯

মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আসলে কতো ??

কোন মন্তব্য নেই :
খুব সম্ভবত বদরুদ্দিন উমরের একটা লেখা পড়েছিলাম। উনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন " দেশে সৈনিকের সংখ্যা বেরে যাচ্ছে "। হয়তো এ জন্যই পত্রিকার পাতায় আজ কাল হড়েক রকমের সৈনিকের নাম চোখে পরে। ৫২য় ফিডার খাওয়া শিশুও অনেক সময় ভাষা সৈনিক হয়ে যায়, একাত্তরে ঘরের নিরাপদ পরিবেশ আকাশবাণী বা স্বাধীন বাঙলা বেতার কেন্দ্র শোনা যুবাও হয়ে যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা। আসলে মুক্তিযোদ্ধা সংখ্যা কতো ? আজকের ( ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ) দৈনিক প্রথম আলোতে ( http://www.prothom-alo.com/detail/date/2009-12-17/news/25785) মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত? আর্টিকেলটা পড়ে মনে হলো আসলেই প্রকৃত সংখ্যাটুকু কত ? এক লাখ, দুই লাখ না আরো বেশী !!

প্রত্যেক সরকারের সময়েই মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে জড়িপ চালানো হয়েছে, তালিকা করা হয়েছে। এর সবগুলোই দলীয় দৃস্টিভংগি থেকেই। আওয়ামী লিগ করা মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়েছে বিএনপি, একই কাজ করেছে আওয়ামী লিগ; যেনো দলীয় রাজনীতি করলে কারো মুক্তিযোদ্ধাত্ব খারিজ হয়ে যায়। সাধারন নির্দলীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অবশ্য তালিকায় নাম উঠা দূরের কথা জড়িপের সময় কেউ খোঁজও নেয় না।

জানা যায়, চারটি খসরা ও একটি চুড়ান্ত তালিকা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যার শুরু সামরিক শাষক এরশাদের সময়ে ১৯৮৬-৮৭ সালে। সে সময়ের খসড়া তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১,০২,৪৫৮ বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে ৬৯,৮৩৩ জন মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আমিন আহম্মদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, " ভারতে যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের ছবিসংবলিত নাম-ঠিকানা তাঁরা ভারত সরকারের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন এবং এখনো তা সংরক্ষিত আছে।" তিনি জানান, ’৭৪-৭৫ সালে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রসঙ্গত, সেনা সদর দপ্তর থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে ’৮৬ সালে ওই তালিকা আমিন আহম্মদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে। কল্যাণ ট্রাস্টে এ তালিকার ফটোকপি আছে। আর মূল তালিকা রয়েছে চট্টগ্রামে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারে। তবে এ তালিকায় মুজিব বাহিনী ও বিএলএফ সদস্যদের নাম নেই। ওই সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি হবে না বলে আমিন আহম্মদ জানান। এছাড়া কাদেরীয়া বাহিনী, হেমেয়েত বাহিনী, আফসার বাহিনীর মতো স্বীকৃত বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সংখ্যা ও তালিকাও পাওয়া যায় না। এ ব্যপারে জেনারেল আমিন বলেন, " স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বারবার এভাবে কাটাছেঁড়া করা আসলেই হাস্যকর। ভারত সরকারের হিসাব বিভাগে খোঁজ নিলেই প্রকৃত তালিকা পাওয়া যাবে। কারণ, মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেওয়া সবাই ভারত সরকার থেকে কম-বেশি ভাতা পেতেন।"

১৯৯৪ সালে বিএনপি সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভোটার তালিকায় ৮৬,০০০ ; ১৯৯৮ - ২০০১ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের খসড়া তালিকায় ১৮৬,০০০ জন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাকে মুক্তিবার্তা তালিকা বলা হয়। আর ওই সময়ে পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে যায় প্রায় এক লাখ।

সর্বশেষ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে (২০০১-২০০৬) গেজেটে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৯। তবে জোট সরকারের গঠিত জাতীয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ ১০ হাজার ৫৮১ জন। অর্থাৎ জোট আমলে সংখ্যাটি আবার বেড়ে যায়। আশা করা যায়, আওয়ামী সরকারের সময় এ সংখ্যা আবারো বেরে যাবে।

এ ব্যাপরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক এ এস এম শামসুল আরেফিন বলেন, "মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ করা সবার আগে জরুরি। আর সেটি না থাকায় ঢালাওভাবে যে খুশি সে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাচ্ছে তালিকায় নাম লিখিয়ে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। " অস্ত্র হাতে যিনি সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে যুদ্ধে গিয়েছিলেন আর যিনি তাদের সহায়তা করেছিলেন তাদের সম্মান কি সমান হতে পারে ? যদিও একজন শব্দ সৈনিক, একজন কলম সৈনিক, একজন সাহায্য কারী, একজন অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধা-- সবার চেস্টায়ই মুক্তিযুদ্ধ সফল হয়েছিলো।

ব্যক্তিগত ভাবে আমি ইবিআরসিতে সংরক্ষিত তালিকাকেই একমাত্র ও নির্ভরযোগ্য তালিকা মনে করি। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা একটি নির্দিস্ট প্রকৃয়ার মাঝ দিয়ে যেতেন। যুব ক্যাম্প হয়ে প্রশিক্ষন শিবির। এ সময়ে সবার নাম ছবি সহ তালিকা করা হয়। এ তালিকা সরকারের কাছে আছে। এ ছাড়া ২ নম্বর সেক্টরের বামপন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই আছেন যাদের নাম সরকারী তালিকায় নাও পাওয়া যেতে পারে। অন্যান্য বাহিনীর জন্য একই কথা প্রযোজ্য। এরকম একটি তালিকা করা কি একদমই অসম্ভব ? এ না হলে দেখা যাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বদনা আগিয়ে দেয়া কিশোরও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সুবিধা নিতে ব্যস্ত, আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যথারীতি সুবিধাবন্চিত।

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০০৯

কিওয়ার্ডের কেচ্ছা

৪টি মন্তব্য :

অন্তর্জালে নামে স্বনামে - বেনামে লেখালেখি করার চেস্টা করি। নিজের নামে একটা সাইটও আছে। যেখানেই যা কিছু লিখি তার একটা ব্যাকআপ রেখে দেই। একান্তই ব্যক্তিগত ও সংবেদশীল তথ্য ছাড়া এ সাইটে মুলত সব কিছুই লিখি। নিয়মিত Google Analytics থেকে সার্চ ট্রেন্ড লক্ষ্য করে মজা লাগে, বেশ অবাকও হই। অন্তর্জালে যারা ঘোরাঘুরি করে তারাকি শুধু সেক্সেই আসক্ত !!! কত কিছুইতো নিয়ে লিখি কিন্তু "সেক্স, সেক্সুয়াল,চটি, কিস, চুম্বন,বাসর রাত, ভাবীর সাথে, যৌন, যৌন গল্প, সহবাস, সেক্সি মেয়ে,গাড়ির ভেতর" ইত্যাদি শব্দ গুলোই কেনো এতো হিট বারায় আমার সাইটের ? অনেক দিন ধরেই এটা লক্ষ্য করছি। আজ অলৌকিক হাসানের পোস্ট পড়ে মনে হলো, আমি একা নই। এজন্যই মনে হয় বাংলাদেশে দেবোনএয়ারব্লগ এতো জনপ্রিয়। অলৌকিকের মতো আমারও মনে হচ্ছে  " একটা হাত কী-বোর্ডের নীচে রেখে এরেই বলে আন্তর্জাল পরিভ্রমণ"

শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০০৯

বিজয় দেখেছি - বিজয় পাইনি

কোন মন্তব্য নেই :
বিজয়ের মাস চলছে। ৪ দিন পরই ১৬ ডিসেম্বর।
দেখতে দেখতে ৩৮ টি বছর পার হয়ে গেলো,১৯৭১ -২০০৯। সে দিনের কিশোর ছেলেটি আজ বৃদ্ধ, সেদিনের বৃদ্ধরা সব আকাশের তারা। পত্রিকাতে গৎ বাঁধা লেখা পড়া যাচ্ছে। অনেকেই বিশেষ সংখ্যাও বের করবেন। সেখানে অনেকেই কলমবাজই সেরকম আবেগ নিয়ে লিখবেন, ৭১ এ যাদের অনেকেই ছিলো গর্তের অধিবাসী। কথায় আছে 'মায়ের চাইতে মাসির দরদ বেশী'। অথচ যাদের লেখা উচিৎ তারা লেখেন না, লেখতে চান না , লেখার সুযোগ পানও না। পত্রিকাগুলোর মাঝ পাতায় দয়া করে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের কথা লেখা হয় দয়া করে। কে কোথায় না খেয়ে আছে, কে রিকশা চালাচ্ছেন, কার মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে, কে অর্থ কস্টে আত্মহত্যা করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি সব মন খারাপ করা খবর। কিন্তু তাঁদের ভাগ্য বদলে দেবার জন্য, তাঁদের পাশে দাঁড়াবার জন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানে সব আবেগেই দেখানো আবেগ, যেখানে সব কিছুই ফাঁকা আওয়াজ। দেশে এখনো স্বাধীনতা বিরোধী দালাল রাজাকাররা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আওয়ামী সরকার যুদ্ধাপোরাধীদের বিচার করবার প্রতিশ্রূতি দিয়ে ক্ষমতায় আসলেই বিচার কাজ শুরু করবার জন্য কাজের কাজ কিছুই করছে না। জামাত আমির নিজামীর মতো যুদ্ধাপোরাধীও যুদ্ধাপোরাধকে মিমাংসীত বিষয় বলে এটাকে ইসলাম বিরোধী কাজ বলে সরকারকে হুশিয়ার করে দেয়। সরকার দেখে, সুশীল সমাজ দেখে , আমরাও চেয়ে চেয়ে দেখি। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৩৮ বছর হলো পাকিস্তানীদের জায়গায় বাঙালীরা এসেছে। আগে শাষন-শোষন করতো পরদেশীরা, এখন স্বদেশী। দেশ এগুচ্ছে ধীর লয়ে , যেভাবে এগুবার কথা ছিলো সেভাবে এগুতে পারছে না। গরীব গরীবই রয়ে গিয়েছে, মধ্য বিত্তদের মাঝে যারা সুবিধাবাদী তারা উচ্চ মধ্য বিত্ত বা উচ্চ বিত্তে পরিণত হয়েছে। সারা পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে , আমরা এগুতে পারছি না। আর্থিক ভাবে, পররাস্ট্র নীতিতে সবকিছুতেই আমরা স্বাধীন কিন্তু পরাধীন। হতাশ হতে না চাইলেও হতাশ হতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। ধুর, লিখতেই ইচ্ছে হচ্ছে না। লিখতে লিখতেতো রাত পার হয়ে যাবে, লেখা শেষ হবে না।

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০০৯

এবতাদুলের তেলেসমাতী

২টি মন্তব্য :
কি জাদু দেখাইলোরে এবতাদুল মিয়া ! ঢাকা - সৈয়দপুরে বিমানের সার্ভিস বন্ধ ৩ বছর হতে চল্লো। বেসরকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সও বন্ধ করেছে প্রায় ৭ মাস হলো। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোঃ এবতাদুল ইসলাম এখনও বিমানে সৈয়দপুর থেকে ঢাকা ও রাজশাহী বিমানে যাতায়াতের কাল্পনিক বিল দাখিল করেছেন। তার যুক্তি, "এই রুটে বিমান না চলুক, বিমানে যাতায়াতের জন্য তো তিনি এনটাইটেল্ড।" সমকালের প্রতিবেদনে এসেছে ' বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার পরও বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর শাখার জিএম মোঃ এবতাদুল ইসলাম এ বছরের ২৭ এপ্রিল থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ বার সৈয়দপুর থেকে ঢাকা ও রাজশাহী যাতায়াত বাবদ বিমান ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক ভ্রমণ ভাতা হিসেবে ৯০ হাজার ১৭৭ টাকার বিল উত্তোলন করেছেন "। এবতাদুলের মতে সবাই নাকি এটা করে, তাই উনিও করেছেন।

এই জাতীয় মানুষকে নৈতিকতা দেখিয়ে লাভ নেই। হাইকোর্ট দেখিয়েও লাভ নেই। যুগে যুগে এরা এসবই করেই সমাজে সম্মান নিয়ে চলছে। সমাজও এদের সম্মান দেয়,কারন এখনকার সমাজে টাকাও সম্মান লাভের অন্যতম মাপকাঠি। দূর্নীতি কি জিনিস সেটাও এরা জানে না কারন দূর্নীতিই এদের নীতি। এদের এসব বোধই নেই।মাঝ খান থাকে দেশের বারোটা বাজে। হুহ, এক সময় দেখা যাবে এই ব্যাটাই দূর্নীতি দমনের পন্থা নিয়ে টকশোতে মহা ব্যাস্ত। বয়সকালে হজ্বও করে ফেলতে পারে এবতাদুল মিয়া। সফেদ দাঁড়ির আড়ালে কালো টাকা হাসবে। আমরা তাকিয়ে দেখবো। ভালো ভালো। ভাবছি পিতার অসৎ টাকা নিয়ে সন্তানরা কি ভাবে !!

সমকালের খবরটি নিচে যোগ করে দিলাম, পারলে পড়ুন

-------------

বিমানে যাননি তবুবিমান ভ্রমণের বিল লাখ টাকা!

মোহন আখন্দ, বগুড়া ব্যুরো ( ৭ ডিসেম্বর , শেষের পাতা)
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রায় ৩ বছর আগে উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর বন্দর থেকে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। লোকসানের মুখে সেখানে বেসরকারি কোম্পানির বিমান সার্ভিসও ৭ মাস আগে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোঃ এবতাদুল ইসলাম এখনও বিমানে সৈয়দপুর থেকে ঢাকা ও রাজশাহী বিমানে যাতায়াতের কাল্পনিক বিল দাখিল করেছেন। তার যুক্তি, এই রুটে বিমান না চলুক, বিমানে যাতায়াতের জন্য তো তিনি এনটাইটেল্ড।
চলাচল বন্ধ থাকার পরও ওই কর্মকর্তার বিমানে সৈয়দপুর-ঢাকা, সৈয়দপুর-রাজশাহী যাতায়াতের এমন অবাক করা তথ্য ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ এবং সরকারের বাণিজ্যিক অডিট অধিদফতরের পৃথক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর শাখার জিএম
এবতাদুল ইসলাম বিমানে ঢাকা ও রাজশাহীতে যাতায়াতের কাল্পনিক বিল দাখিল করে প্রায় ১ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অডিট বিভাগের পক্ষ থেকে এ ধরনের বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েও ফল হয়নি কোনো।
সূত্র জানায়, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাংক চত্বরে সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিনের লাগানো মেহগনি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগও উঠেছে। বর্তমান গভর্নর ড. আতিউর রহমান গত ২০ অক্টোবর ব্যাংকের রংপুর শাখা পরিদর্শনে যাওয়ার আগেই গাছটি কেটে ফেলা হয়।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৬ সালের মাঝামাঝিতে সেখানে তাদের সার্ভিস বন্ধ করে দেয়। পরে বেসরকারি একটি বিমান কোম্পানি যাত্রী পরিবহন শুরু করে। কিন্তু অব্যাহত লোকসানের মুখে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। ওই বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক শহীদুল আলম চৌধুরী সমকালকে বলেন, 'এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে সৈয়দপুর থেকে আর কোনো বিমান চলাচল করে না।'
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার পরও বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর শাখার জিএম মোঃ এবতাদুল ইসলাম এ বছরের ২৭ এপ্রিল থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ বার সৈয়দপুর থেকে ঢাকা ও রাজশাহী যাতায়াত বাবদ বিমান ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক ভ্রমণ ভাতা হিসেবে ৯০ হাজার ১৭৭ টাকার বিল উত্তোলন করেছেন। এসবের মধ্যে চলতি বছরের ১১ আগস্ট দাখিল করা ভ্রমণ ভাতার একটি বিলে (নং-৫৩) তার সৈয়দপুর থেকে ঢাকা যাওয়া-আসার বিবরণ সমকালের হাতে এসে পড়েছে।
ওই বিলটির বিবরণীতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপকের ৫ আগস্টের আদেশ অনুযায়ী তিনি ৮ আগস্ট রংপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। তিনি প্রথমে রেলপথে রংপুর থেকে পার্বতীপুর হয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত ট্রেনে যাওয়া-আসার ভাড়া দেখান ৬০০ টাকা। আর সৈয়দপুর থেকে বিমান পথে যাওয়া-আসার ভাড়া দেখানো হয় ১৩ হাজার ১৮৮ টাকা। ওই বিবরণীতে আনুষঙ্গিক খরচসহ মোট ১৬ হাজার ৫৬৩ টাকার বিল দাখিল করা হয়। একইভাবে ২৭ এপ্রিল ১৭ হাজার ২৪৮ টাকা, ৭ জুন (সৈয়দপুর-রাজশাহী) ৬ হাজার ৩১৫, ১০ নভেম্বর ১৬ হাজার টাকা এবং ওই সময়ের মধ্যে আরও দু'দফায় পৃথকভাবে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, জিএমের দাখিল করা ভ্রমণ বিলে বিমান ভাড়া পরিশোধের ক্ষেত্রে আপত্তি জানানোর কারণে ব্যাংকের সংশিল্গষ্ট অডিট শাখার কর্মকর্তারা তার রোষানলের শিকার হন। পরে উত্তোলন করা ভ্রমণ বিলের সবগুলো বিবরণী সংশিল্গষ্ট শাখা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এর পর ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বাণিজ্যিক অডিট অধিদফতরের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের নিরীক্ষা ও হিসাব রক্ষণ বিভাগের অডিটকালেও সেগুলো উপস্থাপন করা হয়নি।
বাণিজ্যিক অডিট অধিদফতর রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের নিরীক্ষা ও হিসাব রক্ষণ অফিসার বীরেন্দ্র নাথ প্রামাণিক সমকালকে বলেন, অডিটকালে ২১টি বিষয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে, তাতে বিমান সার্ভিস বন্ধ থাকার পরও সৈয়দপুর থেকে ঢাকা যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিমান ভাড়ার বিল নেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।'
সার্ভিস বন্ধ থাকার পরও বিমান ভাড়া উত্তোলন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর শাখার জিএম এবতাদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, 'বিমান কবে বন্ধ হয়েছে সেটা আমি জানি না। আমি শুধু জানি বিমানে যাতায়াতের জন্য আমি এনটাইটেল্ড। তাছাড়া আমাদের আরও অনেকেই এভাবে বিল দাখিল করে থাকেন।'

বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০০৯

ভুলোমনা

২টি মন্তব্য :
ন্ধ্যে ৬ টার দিকে কোলসে গিয়েছিলাম সম্তাহের বাজার সদাই করতে। ঘুড়ে ফীরে অনেক কিছুই কেনা হলো। হঠাৎ মনে পড়লো সিগারেট শেষ। কি আর করা, সিগারেটও কেনা হলো ১ প্যাকেট। টাকা দিলাম, রিসিটও নিলাম, সবশেষে সিগারেট ।

ভাবলাম অনেকদিন বাহিরে কিছু খাওয়া হয় না। কাছে পিঠেই ছিলো একটা ম্যাকডোনাল্ডসের রেস্তোরা। সস্তায় খাবার জন্য ম‌্যাক মামার উপরে জিনিস নাই। মাইটি এংগাস মিল আর বউয়ের জন্য ক্রিসপী চিকেন বার্গার কিনে বাহিরে বসলাম। 'না গরম - না ঠান্ডা 'এরকম এক সুন্দর আবহাওয়া ছোলো আজ। খাবার শেষে সিগারেটের কথা মনে পড়লো। খোঁজার চেস্টা করার সময় বউ বল্লো হয়তো কোনো ব্যাগে ভুল করে ঢুকিয়ে দিয়েছি।
বাসায় এসে বুঝতে পারলাম, সিগারেট হাত থেকে কাউন্টারে রেখে চলে এসেছি। বড্ড ভুলোমনা হয়ে যাচ্ছি। মাঝ খান থেকে ১২.৪৫ ডলার গচ্চা গেলো।
ধ্যাত।।