রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০০৭

নতুন গল্প ঃ ক্যানবেরা

কোন মন্তব্য নেই :
গত রাত 10টা,বাহিরে দাড়িয়ে সিগারেট টানছি , হটাত্‍ পেছনে অতীব সুমিষ্ট এক গলার আওয়াজ। চমকে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি অতীব সুন্দরী এক ললনা। বয়স 20-24, পারফেক্টো বয়স । পড়নে হাল ফ্যশনের কাপড়। পড়ে না চোখের পলক অবস্থা আমার ।

ললনা আমার কাছে তার রুমের খোঁজ চাচ্ছেন। সে দেখি আমার একসেন্ট বুঝে না। আমিও তার একসেন্ট বুঝতে পারছিলাম না ভালো ভাবে। স্পেনিশ মেয়ে। একটা ফ্যাশন হাউজের হয়ে কাজ করছে। ক্যানবেরাতে প্রথম আসা। টানা 10 মিনিট কথা বলে সে বিদায় নিলো।

রুমে আসতেই আবার ফোন কল। এবার ইন্টারকমে। এবারো সেই সিনোরিতা । টানা 20/25 মিনিট আলাপ চল্ল। অনেক কিছু জানতে চাইলো ললনা। আমিও বলে গেলাম। দেখতে যেমন সে সুন্দর গলার স্বরও সেরকম। মনে গেঁথে থাকার মতো ! এখনো কানে বাজছে সে সুর, আহা কি সে স্বর।

আজ সকালে অফিসে যেতেই বস বল্ল আমার জন্য একটা স্লিপ ! দেখি সেই মেয়ের স্লিপ । ধন্যবাদ জানিয়ে, সাথে তার টেলিফোন নাম্বার। আমাকে যোগাযোগ করতে বলেছে। আমার বস সে স্লিপ দেখেতো হেসেই মরে যায় যায়, সে শুধু নিজেই হাসে না সবাইকে দেখায় আর আমাকে নিয়ে মজা করে। কি ভাবছেন , ফোন করব ?

নাহ্...আদম হাওয়ার প্ররোচনায় আপেল খেয়ে স্বর্গথেকে মর্তে নির্বাসীত। আমি সেই ভুল করতে চাই না। শেষ মেশ আমার বউ কি আমাকে ঘর থেকে বের করে দিক সেটাই আপনার চান ?
সিনোরিতা সাথে পরে আবার দেখা হলে বলবো, তার ফোন নাম্বার হারিয়ে ফেলেছি। নিঃদোষ মিথ্যা, কারন দেখা হবে আবার। আমি ভাবছি অন্য কথা। আমার মতো পৌড় যুবককে কি দেখে তার আগ্রহ জন্মালো !!!

------------------------

আজ কিছু কেনা-কাটার জন্য ক্যানবেরা সেন্টারে গিয়েছিলাম। 2 ঘন্টা ঘোরা ঘুরি করে একটা টুথ ব্রাস কিনে ফেল্লাম। কেনা কাটায় আমি মেয়েদের চাইতেও খুঁতখুঁতে। বাসায় এসে দেখি যা কিনতে গিয়েছিলাম সেটাই কেনা হয় নি।

ন্যান্ডোজ এ খেলাম আজ। ক্যানবেরার প্রথম ন্যান্ডোজ।

আগুন ঝাল চারকোল চিকেন, পুতের্াগিজ রোল, ফ্রেনচ ফ্রাই ,কোক ও সালাদ। বিশাল এক মিল। আমি আসলে খেতে পারি ভালোই। ব্লগের যারা আমাকে খাবার দাওয়াত দিয়েছেন তারা দ্্ব ীতিয় বারের মতো ভেবে দেখেন।

বাসায় আসার জন্য যখন হেঁটে আসছিলাম তখন কিং ও'মেলিস আইরিস পাবের সামনে গিয়ে মনে পড়লো, আরে আজ না সেইন্ট পেটরিক্স ডে !! পাব পুরো টুই টুম্বর। আমার এক পরিচিত ছেলে কাজ করে সেখানে। ভাবলাম একটা ঢুঁ মেরে যাই।

ঢুকতেই একপাল ছেলে-মেয়ের মাঝে পড়লাম। আমার মুখে তারা রাঙিয়ে দেবে। আমি রাজি না কোনোক্রমেই। তারা জোরাজুরি করে ছোট্ট একা আইরিশ ফ্লাগ এঁকে দিলো ডান গালে। ওখানে আর কি হয়েছিলো সেটা বলা যাচ্ছে না ( সেন্সরড )।
সবাই বিয়ার টানে আর আমি টানি কোক(আমি ড্রিংক করি না)।
ভালোই লাগছিলো আইরিশ লাইভ মিউজিকের সাথে সবার সংগ। অনেক দিন পর এরকম এক ভালো সময় কাটলো।

মাহবুব সুমন
ক্যানবেরা