বুধবার, ২৫ এপ্রিল, ২০০৭

টোটাল রাজনৈতিক পোস্ট

বিদেশে বসে দৈনিক পত্রিকা , ব্লগ , ফোরাম বা অন্যান্য মিডিয়া পড়ে বা দেখে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরিরা বিশাল বিশাল লেখা লিখে ফেলতে পারলেও আমার মতো চুনো পূঁটিরা লিখতে পারি না, আমাদের মাঠে নামতে হয়।

দেশে আসার পর থেকেই মানুষের মন বোঝার চেষ্টা করছি। সকল শ্রেনীর মানুষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। জানতে চেষ্টা করছি তাদের মনোভাব।
আপাত খুশি সাধারন মানুষ। বিশেষ করে চির চেনা মধ্যবিত্য শ্রেনী।

নিম্নবিত্য শ্রেনীর কোন পরিবর্তন নেই। তাদেরতো দিন আনে দিন খেতে হয়। আগে ১৫ টাকা দিয়ে চাল কিনতে হতো এখন না হয় ২০ টা দিয়ে কিনতে হয়। এদের কথা ভাবার সময় বা ইচ্ছে তথাকথিত সামরিক সমর্থিত সরকারের নেই। দেশকে শান্ত দেখাতে হবে যেকোন মূল্যে। সমস্যা? চালাও গুলি, লাগাও পিটন । উদাঃ খুলনার শ্রমিক বিদ্রোহ। তবে এদের রক্ত খুবি সস্তা। প্রতিটি সংগ্রামে এদের সস্তা রক্তে অর্জিত হয় বিজয়, আবার যথাসময়ে ভুলেও যাই আমরা।

মধ্যবিত্যের বিকার নেই বল্লে ভুল হবে। নব্য ধনী, কালো টাকার মালিকরা কিছুটা আতংকে থাকলে তা সামলে উঠছে। হাজার হলেও তাদেরই প্রতিনিধি ক্ষমতায় । বস্তি গুড়িয়ে শহরের সৌন্দর্য বর্ধন করা হলেও ঘুষের টাকা তোলা অবৈধ ৬ তলা বিল্ডিং ভাঙতে দেখা যায় না। মাঝে কিছু ধরপাকর হলেও এখন তা অনেকটুকুই শান্ত। রাত জেগে ৩০ পয়সার তরুনের নৈশ ফোন মৈথুনে রত ডিজুস তরুনের বিকার না থাকলেও সবাই তো আর সেই তরুন না। আশাবাদী মানুষ আছে, দিন গুনছে তারা, আবার জেগে উঠার প্রস্তুতি চলছে , দেশকে জারজ জলপাই ওলাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে। স্বার্থে আঘাত না লাগা পর্যন্ত মধ্যবিত্য শ্রেনী হোলো পা-চাটা শ্রেনী।

উচ্চবিত্যদের অবস্থা যা ছিলো তাই আছে। রাজনীতিতে যুক্ত কিছু লোকের ঠিকানা নাজিমুদ্দিন রোড হলেও বাকি সবাই বহাল তবিয়তেই আছে। সুযোগে তারা আবার ফুলে ফেঁপে উঠছে। শত কোটি টাকার সুদ মওকুফ করে তার চিয়ার্স বলে হেঁকে উঠছে ঢাকা ক্লাবের বারে। এরা সব সময়ই ভালো । এদের নাদুস নুদুস ছেলে-মেয়েরা ঠিকি কে.এফ.সি তে ভিড় জমায় বা গাড়ির ভেতরে কার সেক্সে মেতে উঠে। বেশি সমস্যা হলে স্টেটস এ আংকেলতো আছেই।

এতো কিছু পরও প্রচুর মর্ষকামী মানুষের দেখা পেয়েছি। ধর্ষিত হতে এদের আপত্যি নেই। তবে কতোদিন তারা ধর্ষি্ত হতে রাজী সেটাই দেখার বিষয়। জলপাই ধর্ষন কিছু মানুষের প্রিয় জিনিস। তবে তাতে বোরড হয়ে গেলেই নতুন কাউকে খোঁজা শুরু হবে। সেদিন প্রতিবাদকারীর সংখ্যাটা একটু বাড়বে।রক্ত ঝড়েছে অতীতে প্রচুর, জয় এসেছে । আমরা ভুলেও গিয়েছি। এবারো না হয় রক্ত ঝড়বে, জয় আসবে, আবার ভুলেও যাবো। দেশতো আমাদের একটাই। হয়তো ১০ বছরের বদলে তা ১৫ বছর। আমি আশাবাদী মানুষ। হয়তো বোকাও। তবুও আশাবাদি আর দশটা সাধারন মানুষের সাথে।
--------------
এলোমেলো ভাবনা। হঠাত যা মনে আসলো তাই লিখলাম।
( লেখটা শহীদ বসুনিয়াকে স্বরন করে , তার স্মৃতিতে গড়া মুর্তির সামনে যখনই যাই তখনই বিবেকের দংশনে কষ্ট পাই। চরম অযত্মে নোংরা মুর্তির দেখলে মনে হয় বসুনিয়া তুমি বড়ই বোকা ছিলে। তোমার রক্তে অর্জিত গনতন্ত্র আজ বিক্রিত বহু বছর ধরে, তুমি আসলেই বোকা )

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।