রবিবার, ১০ জুন, ২০০৭

মেয়েদের বিয়ে : যা ঘটছে এবং আমার ভাবনা

বাংলাদেশের "মেয়েদের বিয়ে" নিয়ে কিছু লিখব বলে ভাব িছলাম অনেক দিন থেকেই ।
লেখাটা আমার একান্তব্যক্তিগত মতামত, ভাবনা এবং কোনো গোষ্ঠিকে আক্রমন করে নয় ।ব্যক্তিগত ভাবে না নেবার জন্য অনুরোধ কর িছ ।মতামত কাম্য ।

বাংলাদেশের আইন অনুসারে মেয়েদের বিয়ে দেবার সবনিম্ন বয়স 18, ছেলেদের বেলা তা 21 ।ছেলে এবং মেয়ে দুজনের বেলায় এর কমে বিয়ে দেয়া আইনত দন্ডনীয় , বিয়ে পড়াবার সময় কাজিকে বয়স সম্পকে নিশ্চিত হতে হয় ( অবশ্য বাস্তবে তা খুবি কমই করা হয় ) ।

গ্রামে বাল্য বিয়ের প্রচলন টা অনেক বেশি । মেয়েদের বয়স 15 -16 তে পৌছাবার আগেই বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়, এর পেছনে মূলতো অগ্যতা , সামাজিক অসচেতনতা কাজ করে । অনেক খেত্রেই মনে করা হয় ওটাই বিয়ে দেবায় প্রক্রিস্ট সময় !! ?? ধমীও গোঁড়ামী এবং আগ্যতা এর সহায়ক হয়ে দাড়ায় ।

যৌতুক প্রথার মতো নোংরা জিনিস বাল্য বিয়ের আরেকটি প্রধান কারন বলে ধরা হয় ।এতে সেই নিস্পাপ অবুঝ মে য়েটা , যার সে বয়সে বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাবার কথা , পুতুল নিয়ে খেলার কথা ...সে সময়ে তাকে চলে যেতে হয় স্বামীর ঘরে । শারীরিক এবং মানুষিক ভাবে পুনতা আসার আগেই তাকে বিয়ের িপঁিড়তে বসতে হয় এবং যার মাসুল সেই অসহায় মেয়েটাকে দিতে হয় সারাটা জীবন ।

অনেক সময় সামাজিক নিরাপত্তাহীনতাও মেয়েদের বাল্য বিয়ের অন্যতম কারন হয়ে দাড়ায় ।আজকাল এ অবস্থার কিছহুটা পরিবতন দেখা গেলেও বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত পরিবারে এর কোনো পরিবতন দেখা যায় না । মানুষ সচেতন হচ্ছে , কিন্তু বড়ই ধীরে।

এবার শহরের কথায় আসি ।
আমি মূলত মধ্যবিত্ত পরিবার কে নিয়ে বলতে চাই..মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোতে বাল্য বিয়ের প্রচলন তেমন একটা দেখা য ায় না.. তবে এ খেত্রে মেয়েদের অপ্প বয়সে বিয়ে দেবার একটা প্রবনতা দেখা যা য় । মেয়েরা কলেজে পড়া অবস্থাতেই ছেলে দেখা শুরু হয়ে যায় .. এ সময় ভালো ছেলে ( বাবা/মার অথবা আত্তীয় স্বজন দের মতে ) পেলে বিয়েও হয়ে যা য় । একটা সুন্দর স্বপ্নের সমাপ্তি ঘটে ।এখেত্রে মেয়ের মতামতের তেমন একটা দামও দেয়া হয় না ।

বাংলাদেশের অনেক ছেলেদের মধ্যেও অল্প বয়সি মেয়ে বিয়ে করার একটা প্রবনতা দেখা যায় , এমনও দেখা যায় মেয়ের বয়স 20 ছেলের বয়স 40 ! এতে মানসিক এবং শারীরিক যে ফারাক রয়ে যায় তা কোনোকিছুতেই মানানো যায় না ।পড়াশুনার মাঝে যে সব মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায় তাদের বেলা অন্যরকম সমস্যা দেখা দেয়, বেশিরভাগ খেত্রেই দেখা যায় মেয়েটা আর পড়াশুনা শেষ কার হয় না , শেষ করা হলেও আশানুরূপ রেজালট করা হয় না বা ক্যারিয়ার গরা হয়ে উঠে না ।

আবার যে সব মেয়ে রা পড়াশুনা শেষ করে এক জন পুনাংগ মানূষ হিসাবে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখে তাদের আরেক সমস্যা !
একটা মেয়ে মাস্টারস শেষ করলে বলা হয় মে য়ের বয়র বেসি .
মেয়ে যদি চাকরি করে তা হলেও সমস্যা দেখা যায় ..অনেক ছেলেই চাকরি করা মেয়ে পছন্দ করে না ! ( এর পরিবতন দেখা যাচ্ছে , কারন কি স্বামী কে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য ? )
মধ্যবিত্ত পরিবারে আজকাল যৌতুক না বলে গিফট বলা হয় !!!
মেয়ের বাবা টাকা পয়সার দিকে একটু দূবল হলে ( সৎ হলে যা হয় ) তো আরো সমস্যা ।
মেয়ের বাবার বাড়ি থাকতে হবে , এটাও নাকি মেয়ের একটা যোগ্যতা ?
মেয়ের বাবা অবসরপ্রাপ্ত হলে ও সমস্যা ! মেয়ের বাবা মেয়ের বিয়েতে খরচ করতে পারবে না !
আর মেয়ের বয়স 27 এর বেশি হলে বলা হয় মেয়ের বয়স বেশি !!
মেয়েটা যাবে কই ?
বলা হয় মেয়ের বয়স বেশি , নিশ্চ:ই মেয়ের কোনো সমস্যা আছে ? না হলে মেয়ের বিয়ে হলো না কেনো?
আবার বড় বোন রেখে ছোট বোনের বিয়ে দেয়া যাবে না !
কত সমস্যা ..
বিয়ে না হলেই জানি মেয়ের কতো দোষ ..
পড়াশুনা করলে দোষ !!
বয়স একটু বেশি হলে দোষ ( আজ কাল পড়াশুনা শেষ করতে তো বেশ সময় লেগে যায় ) ..
বাবার বাড়ি নাই , এটাও তোমার দোষ !
বাবা অবসর প্রাপ্ত..এটাও তোমার দোষ !
চাকরি করো ...এটাও তোমার দোষ !! বড় বোনের বিয়ে হয়নি . এটাও তোমার দোষ !
মেয়ে তুমি যাবে কোথা য় ?( অসমাপ্ত ) চলবে ...


রেটিং:০.০/০
৭টি মন্তব্য
২০৪বার পঠিত
নাহিদ বলেছেন :
২০০৬-১১-০৪ ১২:৪৭:২০
যাবে আর কোথায়? এই তো আশে পাশের কোন হাসবেন্ড এর বাসায়:)
তিমুর বলেছেন :
২০০৬-১১-০৪ ১৩:৩৫:০৩
এখন আপনি যদি মনে করেন যে মেয়েদের বিয়ে করাটা একান্ত জরুরী কর্তব্য, এবং মেয়েরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হয় তাহলে এরকম ঘটতেই থাকবে । অবশ্যম্ভাবী ।
অমানুষ বলেছেন :
২০০৬-১১-০৪ ১৬:০৫:৫৩
প্রয়োজন একটা পরিবর্তনের .....কিন্তু সমাজের মানুষগুলো যদি তার মূল্যবোধের ব্যাপারে সচেতন না হয় ....তাহলে হাজার ঠেঙ্গানো বা গোঙ্গানোতেও কোনো পরিবর্তন আসবে না
রাগ ইমন বলেছেন :
২০০৬-১১-০৪ ২০:০৯:২৯
সহজ ভাষায় সুন্দর ভাবে সত্যকে তুলে ধরেছেন। পরিবর্তন কি আর একদিনে আসে রে ভাই? হাজার বছর লাগে বায়োলজিকাল মিউটেশনের । সামাজিক মিউটেশন ও তার সমান না হলেও কম সময় নেয় না ! মেয়েদের ব্যাপার যেহেতু , মেয়েদের নিজেদেরকেই পরিবর্তনটা আনতে হচ্ছে। ছেলেদের মাঝে বেশির ভাগই সাহায্য করবে না কারন সে নিজে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে ! বিয়েটা হয়ত খুব প্রয়োজনীয় নয়, যতটা আমরা বলি । তবে উপকারিতা , অপকারিতা , সুবিধা , অসুবিধা সব আচরনের এবং ঐতিহ্যেরই আছে। কিন্তু , তাকে বাধা ধরা নিয়ম এবং কোন ব্যাতিক্রম হতে পারবে না, এভাবে দেখলেই সমস্যা ।আমরা প্রকৃতি এর মাঝে থাকি, কিন্তু এটা শিখি না যে , সে নিজেই কিন্তু অনেক অনেক বৈচিত্রের ধারক । খুব বেশি সীমানা টানতে গেলে সমাজ এক সময় স্থবির হয়ে পড়ে !
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১১-০৫ ০০:৫৯:০৬
একটু অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করি। আপনি কি আমাকে মেইল করেছিলেন বাংলা লেখার সমস্যার জন্য? সমস্যার সমাধান হয়েছে আশা করি।
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১১-০৫ ১২:১৩:২৩
সবার মতামতের জন্য ধন্যবাদ , একটা পরিবতন আসলেই দরকার।
সাইফ ভুইয়া বলেছেন :
২০০৬-১১-০৫ ১২:২৩:৪১
ছেলেদেরও তো বিয়ে করতে গেলে হাজারও সমস্যা রয়েছে। তা নয় কি? তবে মেয়েরই কেন বিয়েটাকে সমস্যা মনে করে আমি বুঝি না।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।