বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০০৭

ভাবনায় মুক্তিযুদ্ধ "জামাত -ই-ইসলামী ও অন্যান্য ধর্মজীবি দল"( উৎসর্গ ঃ হাসান মোরশেদ)

ব্লগে আমার অন্যতম প্রিয় লেখক হাসান মোরশেদ কে উৎসর্গকরে আমার এ পোষ্ট, যার প্রতিটি লেখা আমাকে ভাবতে শেখায় ।
আমার সামপ্রতিক পোষ্টে হাসান ভাইয়ের কমেন্ট আমাকে কিছু লিখতে অনুপ্রানিত করেছে ।

71 এ বাংগালির মুক্তি সংগ্রাম আমি দেখিনি , যা কিছু জেনেছি তা অন্যের মুখ থেকে শোনা বা বই পড়ে । এ ক্ষেত্রে আমার সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে নিচ্ছি প্রথমেই ।

মুক্তিযুদ্ধ এক চিরন্তন সত্য এবং এ সত্যকে অস্বীকার করার ক্ষমতা কারো আছে বলে আমি মনে করি না ।71 এবং 71 পরবর্তিসময়ে জামাত এবং অন্যান্য ধর্মজীবি দলগুলোর ভুমিকা নোতুন করে বলার কিছু নাই । জামাত তাদের স্বাধীনতা বিরোধী ভুমিকার কথা যতই অস্বীকার করুক বা এড়িয়ে যাক না কেনো ইতিহাস কি বলে তা আমরা সবাই জানি ।

এ প্রসংগে ওয়ালির পোষ্ট পড়লে ভালো ধারনা পাওয়া যায় । ওয়ালি তার পোষ্টে চতুরতার সাথে 71 এ জামাতের স্বাধিনতা বিরোধী ভুমিকার কথা এড়িয়ে গেছেন যা লক্ষ্য করার মতো । এরকম আরো অনেক উদাহরন দেয়া যায় যেখানে জামাত এবং তার পাপের দোসররা ধর্মকে ব্য ব হার করেছ পাপ ঢাকার জন্য । ইতিহাস এর স্বাক্ষি ।

হাসান ভাইকে বলতে চাই জামাত যে স্বাধিনতা বিরোধী অপশক্তি এবং ধর্মকে ব্য ব হার করে তাদের পাপ ঢাকতে চায় তা অবশ্যই স্বীকার এবং বিশ্বাস করি । যে খানে বিশ্বাস করি সেখানে স্বীকার ক রার প্রশ্ন কি ভাবে আসছে ? মুক্তিযুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে ছিল না কখনই , ইসলাম রক্ষ্যা করার নামে হত্যা, লুট, ধর্ষনে অংশগ্রহন এবং স হায়তা দান ইসলাম কেই অবমাননা করা হয়। ধর্মকে ব্য ব হার করে জামাতের মিথ্যাচার অতীতে ও ছিল বর্তমানেও চলছে। ভবিষ্যতেও থাকবে যতদিন পর্যন্ত তাদের র্নিমুল করা না যায় । আজ যদি কেউ এসে বলে 71 এ সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল তাই জামাত স্বাধিনতার বিরোধীতা করেছিল বা ওটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তছিল বা পাকিসা্তনের অখন্ডতায় বিশ্বাস করে মুক্তি সংগ্রামের বিরোধীতা করেছিল বা হত্যা , ধর্ষনের সাথে তার জড়িত ছিল না ,আমি তা মেনে নেব না।
জামাতকে জিগ্যেস করতে ইচ্ছে হয় ইসলামে কোথায় হত্যা, ধর্ষনকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
জামাতকে জিগ্যেস করতে ইচ্ছে হয় যুদ্ধোপরাধ কি জিনিস।
এর উত্তর তারা এড়িয়ে যাবেই সব সময়। টেনে আনবে ইসলামকে মিথ্যা রক্ষা কবচ হিসাবে।

হাসান ভাইয়ের আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় , আর প্রতিক্রিয়া যদি জানতে চান তা হলে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের যে প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত সেটাই হবে ।

আমি যুক্তিতে বিশ্বাস করি। ফ্যাক্ট এবং ডকুমেন্টে বিশ্বাস করি , কেউ একজন এসে বল্ল আরে সেটা বিশ্বাস করে ফেলবো সেরকম নাবালক আমি না ।

আমি ধর্মে বিশ্বাস করি কিন্তু ধমর্ান্ধ না ।

আমি মনে করি সত্য ইতিহাস কখনো চেপে রাখা যায় না, পৃথিবীর ইতিহাসের প্রতি লক্ষ্য করলেই তার প্রমান আমরা পাই। অনেকেইতো চেষ্টা করেছে ইতিহাসকে নিজের মতো করে লেখার জন্য , তাই বলে কি সত্য ইতিহাস কে কেউ চেপে রাখতে পেরেছে ? জামাতও পারবে না ।এটাই আমার বিশ্বাস।

আজ এত বছর পর স্বাধিনতা শক্তির পক্ষ্য না বিপক্ষে আমার অবস্তান কোথায় তার পরীক্ষা দিতে কষ্ট লাগছে , কষ্টটা যেনো স্বাধিনতা র 36 বছর পর মুক্তিযোদ্ধা না অমুক্তিযোদ্ধা তার লিস্ট দেবার মতো। তবুও দি চ্ছি ! কারন না দিলে কেউ কেউ কালই আমাকে রাজাকার বলে ডাকা শুরু করবে।

খুব ব্যস্ততার মাঝে লেখা, লেখায় পরিমার্জন বা পরিবর্ধন করা হবে ভবিষ্যতে ।অনেক ভুল রয়ে গিয়েছে বা যা বলতে চেয়েছি তা বলতে পারিনি। আড্ডাবাজ ভাইয়ের অনুমতি ছাড়াই তার ব্লগ থেকে একটা ইমেজ ফাইল ব্যব হার করলাম।
২০০৭-০১-০৪ ০৯:৪৯:৩৯

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।