রবিবার, ১০ জুন, ২০০৭

সরকারি কর্মচারি .."নিরপক্ষতা" ..বাস্তবতা , সামান্য পযর্ালচনা

সরকারি কর্মচারি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি , যে নামেই ডাকি না কেনো আমরা "নিরপক্ষতা" নিয়ে কথা উঠেছে।

"নিরপক্ষতা " বলতে আমরা কি বুিঝ ? নিরপক্ষতা হলো কোনো পক্ষাবালমবন না করা।
প্রশ্ন হোলো ! আসলেই কি আমরা নিরপক্ষ ?
বাস্তবে না , চিন্তা করুন আপনি বিচারকের আসনে বসা ! আসামির কাঠগড়ায় আপনারি কোনো প্রিয় মানুষ, সেই পরিস্থিতীতে কি সম্ভব নিরপক্ষ থাকা !? আমার ধারনা সম্ভব না । সে ক্ষেত্রে অবস্য আপনি বিব্রত বোধ করতে পারেন অথবা বিচার কাজ থেকে সরে যেতে পারেন।

নিরপক্ষ আমি তখনি বলতে পারবো যখন আমি যেকোনো অনুরাগ বা বিরাগের বশবতী না হয়ে আইন অনুসারে কোনো স্বীদ্ধান্ত নিতে পারবো।ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ কোনো রাজনৈতিক মতাদশের অনুসারি হতে পারেন এবং এটা তার গনতান্ত্রিক অধিকার ।
ছাত্রাবস্থা য় যে কেউ কোনো রাজনৈতিক মতাদশে র অনুসারী হয়ে ছাত্র সংঘটনের সদস্য হতে পারেন এবং এটা তার গনতান্ত্রিক অধিকার ।এ দুটো জিনিস আমাদের সবসময়ই মনে রাখতে হবে এবং সম্যান করতে হবে।
আমি যা বলতে চাচ্ছি , তা হলো .. সরকারি কর্মচারি দের নিরপক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা।সরকারি কর্মকান্ডে যু ক্ত যে কোনো ব্যক্তি কে "সরকারি কর্মচারি " বলা হয় ( সরকারি বিধি বিধান সংগানুসারে) ।একজন মানুষ যখন সরকারি কর্মকান্ডে যু ক্ত হন তখন সরকারের যেকোনো আদেশ - নিদেশ মানতে বাধ্য থাকেন । যদিও বলা হয়ে থাকে একজন সরকারি কর্মচারি সরকারের অন্যায় আদেশ শুনতে বাধ্য নন, আইন অনুসারে এটা সম্বভ হলেও বাস্তবতা ভিন্ন।একজন সরকারি কর্মচারি সরকারি কর্মকান্ডে যু ক্ত থাকা অবস্থায় কোনো রকম রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যু ক্ত থাকতে পারবেন না। কোনো রকম রাজনৈতিক মতানুসারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না ।এ সবই হলো আইন এবং বিধিবিধানের কথা।
বতমান বাস্তবতা ভিন্ন.. একজন সরকারি কর্মচারি সরকারে কাজ করা অবস্থায় একজন রাজনৈতিক কমীর মতো আচরন করেন এবং রাজনৈতিক দলের লেজরবৃিত্ত করেন । অনেক সময়ই তা সীমা ছাড়িয়ে যায়।
ছাত্ররাও আজ চাকরি পাবার জন্য রাজনৈতি করে এবং চাকরিরত অবস্তায় রাজনৈতিক আচরন করেন , যা কখনি কাম্য নয়।কিন্তু ছাত্রকালীন অবস্থার রাজনৈতিক মতাদশের জন্য একজন ব্য ক্তি কে ও ই দলের ক্যাডার হিসাবে চিনি্নত করা মানে হয় না , এ তে অনেক সময় নিরীহ কর্মচারি কেও ভূক্তভোগী হতে হয়।এত ক্ষন যা বল্লাম তার চেয়ে বাস্তবতা ভিন্ন। আজ সরকারি কর্মচারি রা রাজনৈতিক মতাদশের কারনে বিভক্ত ।এতে সরকারের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তার চেয়েও বেশী ক্ষতি হচ্ছে দেশের এবং সাধারন মানুষের।স হজ ভাবে কি ছু বলার চেসটা করলাম।

রেটিং:০.০/০
৩টি মন্তব্য
১০০বার পঠিত
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১১-০৫ ১২:২৫:৫৩
আগামী বছর বি.সি.এস দিমু। দোয়া রাইখেন।
মাহবুব সুমন বলেছেন :
২০০৬-১১-০৫ ১৭:৪২:৩৫
দোয়া করছি
অতিথি বলেছেন :
২০০৬-১১-০৫ ১৮:০১:৪৪
গঠনমূলক লেখা।নিরপেক্ষতা নয়, আপাতত অন্যের মতাদর্শ বা মন্তব্যের প্রতি সহনশীলতাই কাম্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।