তখন আমার ক্লাস 8 , পড়ছি ঢাকার খুব কাছেই একটি শতবষর্ী স্কুলে। শীতলক্ষা নদীর পারে পুরোনো স্কুল বিলডিং।
হাসান নামে আমার এক স হপাঠী ছিল, বয়সে আমার চাইতে বেশ বড়। খুব একটা খাতির না থাকলেও বেশ কথা বাতর্াহতো ওর সাথে মাঝে মধ্যেই।
একদিন হঠাৎ শুনতে পারলাম হাসানকে পুলিশে ধরেছে।অপরাধ, একটি মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা।
হাসান ডেইজি নামের একটা মেয়েকে খুবি পছন্দ করত, কিন্তু মেয়েটা হাসানকে একদমই পাত্তা দিত না। হাসান ছিল গরীব ঘরের সন্তান আর ডেইজি ছিল ধনী।প্রচন্ড শ্রেনী বিভেদ।একদিন হাসানকে ডেইজি প্রচন্ড অপমান করে বসে সবার সামনেই। হাসান কিছুনা বলে চলে আসে সামনে থেকে।সেই রাতেই হাসান এক টিন পেট্রোল জোগাড় করে। রাতে ডেইজি যখন ঘর থেকে বের হয় ঠিক তখনি শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় হাসান।হাসান ধরা পড়ে পরের দিন সকালেই।
আর ডেইজি ? টানা 1 সপ্তাহের যুদ্ধের পর মারা যায়।সে সময় এ ঘটনাটা বেশ আলোরন সৃষ্টি করেছিল।
2 বছর পর হাসানের ফাঁসি হয়ে যায়।হাসান একাই ছিল ডেইজির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেবার সময়। আমার বাবা তখন পুলিশে।সম্ভবত আমার স হপাঠী জানার জন্যই হাসানকে কোনোরকম টচর্ার করা হয়নি।আমি হাসানকে সমর্থন করছি না।
সব সময়ই চেষ্টা করেছি কেনো হাসান যাকে সে ভালোবাসতো সেই ডেইজির শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল সেই রহস্য বের করার জন্য।
সে কি প্রত্যাখান হবার অপমান?
সে কি প্রতিহিংসা ?
নাকি পশুপ্রবৃত্তি?
দোষ কি শুধুই হাসানের ছিল?আজো এ রহস্যের সমাধান করতে পারি নাই।
-------------
গল্পটা সত্য ও জীবন থেকে নেয়া।
২০০৭-০১-৩০ ০৬:৫৫:২৯
Kisu prosner uttor pawa jay na.
উত্তরমুছুন