বুধবার, ১৩ জুন, ২০০৭

এলোমেলো কথা

দেশে থাকতেও দেখেছি, এ খানে এসেও দেখতে হচ্ছে।মনে হয় আমার মতো সাধারন পরিবার থেকে আসে সব ছেলে মেয়েদেরই এ রকম অভিগ্যতা কম বেশী আছে।

স্কুলে যখন পড়তাম তখন কিছুই বুঝতাম না। না বুঝেই মনে হয় ভালো ছিল। কলেজে পড়ার সময় আস্তে আস্তেবুঝতে শুরু করলাম, আর কষ্টটা তখন থেকেই শুরু ।একি সাথে পড়া -থাকা , কিন্তুজীবন যাপনের কতো পার্থক্য ! এডিডাস বা পিউমা কেডস চেনার আগেই বন্ধুর পায়ে দেখে মুগ্ধ হয়ে বাবার কাছে আবদার করলাম আমারো চাই। বাজারে কিনতে গিয়ে দাম শুনে মনে হয়েছিল সে টাকা দিয়ে তো সারা মাসের বাজার হয়ে যাবে।তার পরো বোকার কতো জেদ ধরেছি কেডস কেনার জন্য। কষ্ট হলেও বাবা কিনে দিয়েছিল। আজ এতো বছর বুঝতে পারি কত কষ্ট করতে হয়েছিল বাবা কে আমার সেই এক জোড়া কেডস কিনে দেবার জন্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে 3 নাম্বার বাসে ঠেলা ঠেলি করে যখন যেতাম ক্লাসে যাবার সময় দেখতাম দামী গাড়ি হাঁকিয়ে যাচ্ছে আমারই কোনো স হ পাঠী।কেমন যেনো কষ্ট লাগতো। সে কি হিংসা ? না সেটা না।যখন দেখতাম ফাস্টফুডের দোকানে বাগর্ার খেতে আমারো যে খেতে ইচ্ছে হতো না সেটা না। ইচ্ছে হতো, কিন্তুসেই এক বাগার্রের টাকা দিয়ে আমার সারা মাসের বাসের ভাড়া হয়ে যেতো।কষ্ট হলেও চুপ করে থাকতাম।দেখতাম দামী জুতো, কাপড়ের গল্প করতে।অংশগ্রহনও করতাম , কিন্তু কেনা আর হোতো না।অনেক কিছইু তো ইচ্ছে হতো ,কিন্তু সেটা আর পূরন হতো না।

বিদেশে এসে দেখলাম আমার মতো আরো সব মধ্যবিত্ত ছেলের অনেক ছেলের মাঝেও সে একি ভূত।কামলা খেটে বাড়ি যাবার জন্য বাসের জন্য স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকার সময় দেখতাম দামী গাড়ি হাঁকিয়ে সোঁ করে চলে যেতে তাদের।কষ্ট লাগতো যখন দেখতাম আমি কাজ করছি আর আমারই কোনো দেশী বন্ধুসংগিনী নিয়ে খেতে বসেছে , আর আমি তাকে সার্ভকরছি।দেশ থেকে তার টাকা আসে আর আমার সে জো নেই।

কাজ করে পড়াশুনা করার যে কি কষ্ট যে না করেছে সে ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারবে না।কাজ না করে পুরোপরি পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে পারলে রেজালটও ভালো হতো অনেক।আজ কেনো জানি এ সব আজে বাজে কথা মনে পড়ছে।
২০০৭-০১-২৪ ০৮:৫৮:৩২

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।