রবিবার, ১৭ জুন, ২০০৭

অস্ট্রেলিয়ায় আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন : ডর্ম 2

ডর্মে ছোট্ট জীবনটা কিন্তু হেবি মজায় কেটেছিলো। বামে লিয়ান... ডানে জেস , মাঝে আমি বেচারা সুমন । জটিলস অবস্থা..........জোস একটা সময় ছিল সেটা।

সিমেস্টারের শুরুর দিকে প্রতি শনিবার রাতে ব্লকের লাউনজে একটা না একটা পার্টি লেগেই থাকতো। ফাটা ফাটি এক অবস্থা। ধুম-ধারাক্যা গান বাজনা এবং সাথে নাচা-নাচি। আশে পাশের ব্লক ও ডর্মের ছেলে-মেয়েরা আসতো কঠিন সব ড্রেস পরে।
আমি এমনিতেই একটু নারী প্রেমিক মানুষ , কি অবস্থা হতো সে আর বলতে ! প্রচুর ড্রিংক করতো সবাই। আমি নিজে ড্রিংক না করলে সবার সাথে যোগ দিতাম।
একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি , আমি যখনি বলতাম ড্রিংক আমি করি না, কেউ চাপা চাপি করতো না। কেউ কেউ অবশ্য কারন জানতে চাইতো , আমি ধমর্ীয় কারনটার কথা বলাতে তার স্বাভাবিক ভাবেই নিতো ।

বাংলাদেশের অনেককে দেখেছি ড্রিংক করাটাকে স্মার্টনেস এর অংশ মনে করে। না খেলে বলে "খ্যাত "। আজিব চিন্তাধারা পাবলিকের !

একবারের কথা বলছি.....
রুমে আমার এক বড়ভাই এসেছে। তার ধারনা ডর্মের পরিবেশ খুবি নিড়িবিলি, পড়াশুনার জন্য খুবি আদর্শ জায়গা। কপাল খারাপ বেচারার। সেই দিন ছিলো পাশের ব্লকের এক মেয়ের জন্মদিনের পার্টি। আমিও ছিলাম পার্টিতে। খানা-পিনা তুমুল ভাবে চলছিল। যাই হোক ভদ্্রলোক আসাতে আমি আমার রুমে আসলাম। দুজন গল্প করছি, হঠাৎ দরজা খুলে এক দংগল মেয়ের অনুপ্রবেশ। বড়ভাই মেয়েদের দেখেই কাইত। উনার আবার একটু আলুর দোষ ছিল। মেয়ে সকল চলে যাবার পর উনি বলেন " রুমে কি মেয়েরা আসে? " আমি একটা হাসি দিলাম , হাসির অর্থ ' না' বা 'হাঁ' যেকোন একটা হতে পারে। এমন সময় হটাৎ বাহিরে গোলমাল। বাহির হয়ে দেখি, পাশের রুমের লিয়ান ড্রিংক করে ঠিক আমার রুমের সামনে চিৎ পটাং হয়ে শুয়ে আছে, বেসমাল পোষাক। এই দেখে বড় ভাইয়ের অবস্থা খারাপ। ওটাই ছিলো আমার রুমে উনার শেষ আগমন।

বাংলাদেশের অনেক কেই যখন বলেছি একি সাথে ছেলে-মেয়ে থাকে। প্রথমেই জিগ্যেস করেছিলো " মামা কিছু কর নাই তো ! " কি ভাবে বোঝাবো একি সাথে একি ছাদের নিচে থাকলেও অনেক কিছু করা যায় না বা করা উচিৎ না। অনেক কিছুই হয় তবে ভালো থাকতে চাইলে থাকা যায়। অন্য কিছু করার জন্য বদ-খাসলতই যথেষ্ট।

আমি সবার সাথেই মিশতাম। ছেলে -মেয়ে হিসেব না করেই। ক্যাজুয়ালি মিশলে অজিদের অনেক কিছুই বোঝা যায়। আমি আমার মতো করে মিশতাম। বিভিন্ন দেশের ছেলে-মেয়েদের সাথে মেশাতে দৃষ্টির অনেক প্রসার ঘটেছিলো।
২০০৭-০৩-০৩ ০৭:২২:৩৭

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।