শনিবার, ৫ জুন, ২০১০

মধ্য রাতের ফোনের অপেক্ষায়

বিদেশে আসার পর মাঝ রাতে ঘুমের মাঝে দুটো ফোনকল ভুলতে চাইলেও ভুলতে পারি না। দুটোই মৃত্যু সংবাদ। খুবই কাছের দুজন মানুষ। ফোন দুটো পেয়ে তব্দা লেগে গিয়েছিলো কিছুক্ষনের জন্য। ইচ্ছে হচ্ছিলো ..............
এখন মধ্যরাতে ফোন পেলেই  আতংকে থাকি। এই বুঝি কোনো মৃত্যসংবাদ এলো।


নিমতলী - কায়েৎটুলির মাঝ দিয়ে অনেকবারই  হাঁটা হয়েছে। সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম আলোর সাইট খুলতেই দেখি আগুনের সংবাদ। একে একে মারা যাচ্ছে মানুষ। ১১৭ জন আগুনে পোড়া মানুষ। সংখা বাড়ছে নিশ্চিৎ ভাবে। কবর খোড়া হচ্ছে আজিমপুরে। পত্রিকার পাতায় ছাপা হিউম্যান স্টোরি পড়ে মন এতো খারাপ হয়ে যাচ্ছে যে .......... বেগুনবাড়ীর দালান ধসে ২৫ জনের মৃত্যুর পর এবার ১১৭ জন। এ যেনো মৃত্যুর কাফেলা। 



নিজ স্বজন মারা গেলে শুনেছি শোক ৩ দিন রয়ে যায়। তারপর নাকি আস্তে আস্তে সয়ে যায় সবকিছুই। কায়েৎটুলীর ঘটনায় কোনো স্বজন মারা যায়নি আমার। আত্মকেন্দ্রিক সুমন তাই সেটা ভুলতে পারবে শীঘ্রই।

দূর্ঘটনা নিয়ে যথারীতি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে যার ফলাফল কখনোই আমরা জানতে পারবো না, রিপোর্টের শেষ ঠিকানা হবে কোথায় সেটাও কেউ জানবে না। আজ আমরা শোক দিবস পালন করছি। কাল হয়তো উৎসবে মেতে উঠবো। নগরের দালান গুলো হেলে পড়ছে, দালানে ফাটল ধরছে, আগুনে পুড়ে যাচ্ছে, ডেবে যাচ্ছে নরম মাটিতে, মানুষ নামক প্রাণীগুলো মারাও যাচ্ছে।

একটি বড়সরো ভূমিকম্পের অপেক্ষায় আছি। স্বজনের মৃত্যুর খবরের অপেক্ষায় আছি। প্রিয় ঢাকার ধ্বংস দেখার অপেক্ষায় আছি। লাশের মিছিল দেখার অপেক্ষায় আছি। কখন বাজবে সেই মধ্যরাতের ফোনটি ?

ইশ্বর এখন অন্য নাটকে ব্যস্ত।
খুব কস্ট লাগছে।








1 টি মন্তব্য :

  1. সুমন ভাই, মর্মাহত ঘটে যাওয়া সব ঘটনায়; আর সেই সাথে শংকিত নিকট ভবিষ্যতে আমাদের মত সাধারন মানুষদের কি হবে ভেবে...আল্লাহ রক্ষা করো। :-(

    উত্তরমুছুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।