মঙ্গলবার, ৮ জুন, ২০১০

ব্লাডি ফেয়ার ডিংকুম ৩

সিংগাপুর এয়ারলাইন্সের টিকিট কতো পড়েছিলো সেটা মনে নেই। খুব সম্ভবত ১১০০/১২০০ ডলার পড়েছিলো। আমার এক কাজিনের ট্রাভেল এজেন্সি থেকে কেনাতে এই লাভটুকুই হয়েছিলো যে সাধারনত যতটুকু ওজনের লাগেজ নেয়া যায় তার চাইতে ১৫ কেজি নিতে পেরেছিলাম। টিকিট কেনার পর যখন টাকা দেই ওদের তখন ভয়ে ছিলাম এই বুঝি কোনো জাল টাকা ধরা পরে। তখন জাল টাকা এতো ধরা পড়তো যে পারলে পানের দোকানদারও জাল টাকা ধরবার যন্ত্র বসায় টঙে। তখন ১ ডলারে ৪০-৪২ টাকা পাওয়া যেতো এখন যা ৬০-৬৪ এ ওঠা নামা করে।

নিজে নিজে ভিসা প্রসেস করা যায় তবে অনেক সময় ঝামেলা এড়াতে ও সময় বাঁচাতে অনেকেই ভিসা এজেন্টের সাহায্য নেন, যেমনটি আমি নিয়েছিলাম, কারন ওদের কাছ সবকিছু ছেড়ে দিয়ে টেনশন ফ্রি থাকা যায়। অবশ্য অনেকেই পত্রিকায় রঙবেরঙ এর এড দেয়া ও ১০০% "গ্যারান্টি" দেয়া এজেন্সির কাছ যান এবং টাকা- সময় দুটোই খোয়ান। বুঝতে পারি না এই উন্মুক্ত তথ্য যুগে এসেও কেনো অনেকে প্রতারিত হোন। অথচ নেটে বা অন্য ভাবে একটু সময় ব্যয় করে সেই সব এজেন্সি গুলো সম্পর্কে খোঁজ নিলে বা সরাসুরি বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজের সাথে যোগাযোগ করলেই প্রতারিত হবার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়। দরকার শুধু সচেতনতা ও স্বাভাবিক যুক্তি প্রয়োগ। অথচ এসব ক্ষেত্রে যারা প্রতারিত হোন তাদের বেশীরভাগই লেখাপড়া জানা মানুষ। কিছু দিন আগে টিভিতে এরকম একটা রিপোর্ট দেখছিলাম যেখানে ১০/১২ লাখ টাকা খোয়ানো এক পিতার কাঁদছিলেন  যিনি বিশ্বাস করে এক এজেন্টকে টাকা দিয়েছিলেন  নিউজিল্যান্ড এ তার ছেলের ভর্তির ব্যপারে। ভদ্রলোকের কান্নায় মন খারাপ হলেও অবাক হচ্ছিলাম কি যুক্তিতে উনি সে টাকা দিয়েছিলেন !!  অথচ ভালো এজেন্সি দেশে বেশ কটি আছে।





যাই হোক, আমার এজেন্সি ছিলো ঢাকা আইডিপি। ওদের কথা আগে থেকেই জানতাম। আমার পরিচিত এক মেয়ে সেখানে কাউন্সিলর হিসেবে কাজও করতো, হয়তোবা এখনো করে। নাম বলার প্রয়োজন করছি না। ওরা ভর্তি থেকে শুরু করে ভিসা প্রসেস পর্যন্ত করে দিয়েছিলো। আমার কাজ ছিলো শুধু প্রয়োজনীয় কাগজ দেয়া। বাকিটুকু ওরাই করেছিলো। ওরা সার্ভিস চার্জও নিয়েছিলো অন্য সব এজেন্সির চাইতে অনেক অনেক কম। শুনেছি সে সময় নাকি অনেকেই নাকি ২০/২৫ হাজার বা আরো বেশী নিতো !  এখন একটু রিসার্চ করলে নিজে নিজেই ভিসা প্রসেস করা যায়। নিজের ব্যপারে ও অন্যদের ব্যপারে সাহায্য করতে করতে নিজেই মনে হয় একজন বিশেষগ্য হয়ে পড়েছি।

২০০৩ এর শেষের দিককার ঘটনা এগুলো।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।