সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৩

হাবিজাবি ৯

আপডেটঃ একটা ডিএসএলআর কেনা হয়েছে গত জানুয়ারী মাসের শেষের দিকে। আপাতত অটো মোডেই ছবি তোলা হচ্ছে, যা তোলা হচ্ছে তাতেই মুগ্ধ হচ্ছি যদিও ছবিতোলায় নিজের কৃতিত্ব বলতে বাটন টেপা :)
নেকদিন পর শুধু নিজের লিখতে বসলাম। মজার ব্যপার হলো, অনেকদিন পর নিজের সাইটেও ঢুঁ মারলাম !! লিখতে ইচ্ছা হয় না, লেখার অনেক বিষয় থাকলেও কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখবো সেটা ভাবতে ভাবতেই নতুন বিষয় এসে যায়, আর লেখা হয় না। লেখার সময়ও পাই না, আগে পেটের চিন্তা।

পরচর্চা:
অর্ধ যুগ আগের কথা। ব্লগের নাম সবে শুনেছি। বাংলা একটি ব্লগের সাথেও পরিচয় হলো অনেকটা আকস্মিক ভাবেই। অবাক হয়ে দেখি সবাই কি সুন্দর লিখছে। এদিকে আমি লেখাতো দূরের কথা , বাংলা টাইপও করতে পারি না। এক পাতা লিখতে রাত পার হয়ে যায়। একটা নাম বেশ পরিচিত মনে হলো, মনে হলো কোথায় যেনো পড়েছি। দারুন ধারালো লেখা। লেখককে অনুরোধ করলাম কিভাবে লিখতে হয় তা নিয়ে কিছু টিপস দিতে। উত্তরটা মনে আছে " আরো কামেল পাবলিক আছে, ওখানে যান"। কবছর বাদে ভূমিদস্যু ক্ষ্যাত সোবহান 'কালের কন্ঠ' পত্রিকা চালু করে টাকা ছড়াতে শুরু করলেন। ভাত ছিটালে যেমন কাকের অভাব হয় না তেমনি টাকা ছিটালে সাংবাদিকও কেনা যায়। আবেদ খানের মতো সেই ভদ্রলোকও জুটে গেলো সেই পত্রিকায়। এখানে সেখানে সততা - নৈতিকতার বুলি কপচানো সেই লোক কালের কন্ঠ ছেড়েও দিলেন যথা সময়ে। সে দিন শুনলাম উনি নাকি এটিএন এ টক শো করছেন, টাকাও আসলো চেহারাও দেখানো গেলো, বুদ্ধিজীবি হিসেবে নামও কেনা গেলো। মাহফুজকে বয়কট করা নিয়ে সেই লোক ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছে দেখেছি। টাকা একটু বেশী লাগলেও লোকটিকে কেনা যায়।  অর্ধযুগ পরে মনে শান্তি লাগছে যে একজন বু্দ্ধিবেশ্যার কাছে কিছু শিখতে হয়নি। নিজের গুরুকে ঘৃনা করার যাতনা অনেক।

আত্মচর্চাঃ
অনেক দিন ধরে ইচ্ছে ছিলো একটা ডিএসএলআর কিনবো। ছবি তোলার শখ থেকে নয়, প্রয়োজনে। পয়েন্ট এন্ড শ‌্যুট যাকে আমি ধর- মার- কাট ক্যামেরায় বলি তাতে সন্তুস্ট হতে পারছিলাম না। শেষ মেশ কিনেই ফেল্লাম একটা। এদিকে আমি ছবি তোলার কিছুই জানি না। কোনটা এপার্চার, কোনটা ফোকাস লেংথ সেটা এককালে পড়লেও ক্যামেরায় প্রয়োগ কিভাবে করতে হয় সেটা জানি না। শেখার কতো কিছু বাকি।

ভাবনাঃ
বাংলাদেশে দূর্নীতি খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। হাজার বছরে চর্চিত বিষয় এখন খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এক কালে কোনো অফিসে গেলে খোঁজ নিতে হতো কে কে ঘুষ খায়, আর এখন নিতে হয় কে কে খায় না। এক কালে শুধু পুলিশে ঘুষখোর হলেও এখন এমন কোনো সার্ভিস পাওয়া যাবে না যেখানে দূর্নীতি হয় না ! আগে হতো হাজারে -লাখে, এখন সেটা দেখি কোটি কোটি। যাই হোক,পঁচে যাওয়া মানুষগুলোকে নিয়ে কথা বলতে ঘৃনা লাগে। আচ্ছা এই মানুষগুলোর ছেলে- মেয়েরা কি ভাবে ? ! এরাতো জানে পিতা ঘুষখোর - দূর্ণীতিবাজ। এদেরকি একবারো কিছু মনে হয় না ! নাকি পিতা - মাতার মতো এদের ভেতরটাও পঁচে গিয়েছে ? আমার মা সব সময় খুশি হয়ে বলেন, উনার সন্তানরা কেউ সরকারী চাকুরি করে না। করলে নাকি আমরাও চুরি শুরু করতাম। কথা সত্য। হাদিসে আছে, অসৎ পয়সায় চালিত দেহ বেহেশতে যায় না।

আত্মচর্চা আবারো:
বছর হিসেবে ২০১২ আমার জন্য দারুন পয়া ছিলো। ব্যস্ততা থাকলেও সব কিছু মিলিয়ে গত অর্ধ যুগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সময় পার করেছি। আল্লাহর কাছে অসীম শুকরিয়া।  

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।