সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০১১

অভিজ্ঞতা বলে চলমান - ২

জীবনটা একটা শেখার জায়গা। প্রতি মুহুর্তে শিখছি, শেখার চেস্টা করছি আবার শেখা জিনিসও ভুলে সেই ভুল আবারো করছি। এভাবেই অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হচ্ছে আমার জীবন। নিজেকে নিয়েই আমার পৃথিবী। এই পৃথিবী নিজেই সাজাই - নিজেই ভাঙি।

মানুষের কান্র কারখানা আমাকে ভাবায়। মাঝে সাজে কস্ট দিলেও ভেবে চিন্তে মনে হয় এটাই মনে হয় স্বাভাবিক। বিশেষ বিশেষ কারনে অনেক সময়ই ব্যক্তি নাম উল্লেখ করা সম্ভব না হলেও ব্যক্তি চরিত্র নিয়ে লিখতে বেশ ভালো লাগে, মানুষ চেনা যায়।

এমনই এক মানুষ, এমনিতে ভালো - বেশ উপকারী। কিন্তু যেইনা তার সামান্য ঝামেলা শুরু হয় তখন জগৎ সংসার ভুলে স্বার্থপরের মতো নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেন। আশে পাশে কে বাঁচলো আর কে মরলো তাতে তার কিছু এসে যায় না। এই লোকই আবার তার সমস্যায় কাউকে পাশে পান না বলে নিরন্তর অভিযোগ করে যান। এই মানুষটিকে এভাবে ভাবতে চাই " উপকারী কিন্তু নিজের সামান্য সমস্যায় সেই উপকারী ভাবটুকু ভুলে স্বার্থপর হয়ে যান। এই মানুষটি আবার কারও সুসময়ে দারুন উপকারী কিন্তু সেই মানুষটি যখন সামান্য সমস্যা বা ব্যস্ততায় থাকেন তখন অন্য মানুষের দুর্দশার কথা ভাবার সময় পান না। একে কি দুধের মাছি বলা যাবে ! বলা মুশকিল। এতো সহজে স্বীদ্ধান্তে আসা যায় না। তবে এ ধরনের মানুষ সম্পর্কে সাবধান থাকতে হয়।

এক মানুষের সাথে এক সময় বেশ ভালো সম্পর্ক ছিলো বয়স বা আর্থ- সমাজিক ব্যবধান সত্বেও। অনেক দাওয়াত খেয়েছি উনার বাসায় , পাল্টা পাল্টিও চলেছে। একবার টাকা ধার চাইলেন। আমার পক্ষে উনার চাহিদা পুরন করা সম্ভব না হলেও যতটুকু দেয়া সম্ভব ছিলো তা দেবার প্রস্তাব করাতে একরম অপমানজনক ভাবেই তা উড়িয়ে দিলেন। মাঝে সাজে মনে হয় , এরকম টাকার জন্যই মনে হয় আমার সাথে সম্পর্ক রেখেছিলেন। কাজ হাসিল হয়নি তাই সম্পর্ক চালিয়ে যেতেও অনিহা। এ মানুষটির চরি‌ত্রও বিশ্লেষন করতে ইচ্ছে হয়। মানুষ কেনো এরকমটি করে !

যাই হোক, মানুষ এরকমই।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।