দূর্ঘটনা যদি বলে কয়ে আসতো তবে মনে হয় সবাই জীবনটাই পানসে হয়ে যেতো। মাঝে সাজে মনে হয় বেঁচে আছি, অক্ষত আছি সেটাই বিশাল ব্যপার । ঘটনা আসলে বিশাল কিছু না। গত দু দিন আগে আমার বেবি গলফ 'আতকা মাইরা' আহত হলো। সকালে কাজে যাবার সবার তাড়া থাকে। যদিও আমার তেমন একটা তাড়া ছিলো না।
পার্লামেন্ট সার্কেলে গাড়ি চলছে আর লেডি গাগার 'বিখাউজ' গান শুনছি। সামনে বিশাল এক ফোর হুইল ড্রাইভের পেছনে বিশাল এক ট্টেইলারে একটা বব ক্যাট। হঠাৎ তাকিয়ে দেখি কি যেনো ছিটকে পড়লো ট্রেইলার থেকে। ভাবলাম ওভারটেক করে সামনের গাড়ীকে ইশারা দিয়ে জানাবো সেটার কথা। হঠাৎ দেখি একটা চাকা রাস্তার পাশের কার্ভে ধাক্কা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে আমার গাড়ীর উইন্ডশিল্ডে আঘাত হানলো। সব কিছুই মুহুর্তের মাঝে ঘটলো।
প্রচন্ড শকে আমার মাথা ঠান্ডা থাকে। চারপাশে এতো গাড়ী যে থামানোর উপায় ছিলো না। প্রায় এক কিলোমিটার এভাবে চালানোর পর দেখলাম যে গাড়ী থেকে চাকা পরে গিয়েছিলো সেটা প্রাইম মিনিস্টারের লজের পেছনে বাঁক নিচ্ছে। আমিও পিছু নিলাম। এক সময় দেখি সেটা পিএম লজের পেছনে থেমেও গেলো। আসলে ঘটনা হলো আমার পেছনে যে গাড়ী ছিলো সেটা ঐ গাড়ীর পিছু নিয়ে ইশারা দিয়ে থামিয়েছে। দূর্ঘটনা স্থলের পর আর কোথাও থামানোর জো ছিলো না। আর সেই ফোর হুইল ড্রাইভারও কিছু টের পায়নি। বাড়ী থেকে নেমে আসবার পর বুঝতে পারলাম আসল ঘটনা। ট্টেইলারের পেছনে চারটা চাকার মধ্যে বাম পাশের পেছনের চাকার স্ক্রু খুলে চাকা ছিটকে বের হয়ে গিয়েছিলো। আর সেই চাকাই আমার গাড়ীর বারোটা বাজিয়েছে।
দূর্ঘটনাতো আর বলে কয়ে আসে না। দুজন দুজনার ডেটেইলস বদলা বদলি করলাম। বাসায় এসে পুলিশ রিপোর্ট করলাম নেট এ বসে। ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ফোন করলাম যথারীতি। দূপুর নাগাদ ইন্সিরেন্স কোম্পানী থেকে লোক এসে সব কিছু দেখে শুনে বল্লো সব কিছু ঠিক করতে যা লাগবে তাতে নতুন আরেকটা কেনা যাবে। ওরা গাড়ী ঠিক না করে তার বদলে বাজার দরে দাম দেবার অফার করলো। সচারচর এরা তাই করে থাকে, আমিও সায় দিলাম।
দু দিন থেকে গাড়ী ছাড়া। বাস ছাড়া গতি নেই। গাড়ী কেনার সময় হাজার ডলার লাগলেও ভাঙা গাড়ী শত ডলারেও কেও কিনতে চায় না। এমনও না যে ইচ্ছে হলো রাস্তার পাশে ফেলে রাখলাম আর আল্লাহর মাল বলে কেউ নিয়ে গেলো।
আজ ব্যাংকে গেলাম কার লোন এপ্রুভ করাতে। ঋনের বোঝা বাড়বে আবারো। ভাগ্যিস চাকাটা উইনন্ডশীল্ডের মাঝ বরাবর পরেনি। পরলে এখন আর ব্লগ লেখা হতো না।
পার্লামেন্ট সার্কেলে গাড়ি চলছে আর লেডি গাগার 'বিখাউজ' গান শুনছি। সামনে বিশাল এক ফোর হুইল ড্রাইভের পেছনে বিশাল এক ট্টেইলারে একটা বব ক্যাট। হঠাৎ তাকিয়ে দেখি কি যেনো ছিটকে পড়লো ট্রেইলার থেকে। ভাবলাম ওভারটেক করে সামনের গাড়ীকে ইশারা দিয়ে জানাবো সেটার কথা। হঠাৎ দেখি একটা চাকা রাস্তার পাশের কার্ভে ধাক্কা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে আমার গাড়ীর উইন্ডশিল্ডে আঘাত হানলো। সব কিছুই মুহুর্তের মাঝে ঘটলো।
প্রচন্ড শকে আমার মাথা ঠান্ডা থাকে। চারপাশে এতো গাড়ী যে থামানোর উপায় ছিলো না। প্রায় এক কিলোমিটার এভাবে চালানোর পর দেখলাম যে গাড়ী থেকে চাকা পরে গিয়েছিলো সেটা প্রাইম মিনিস্টারের লজের পেছনে বাঁক নিচ্ছে। আমিও পিছু নিলাম। এক সময় দেখি সেটা পিএম লজের পেছনে থেমেও গেলো। আসলে ঘটনা হলো আমার পেছনে যে গাড়ী ছিলো সেটা ঐ গাড়ীর পিছু নিয়ে ইশারা দিয়ে থামিয়েছে। দূর্ঘটনা স্থলের পর আর কোথাও থামানোর জো ছিলো না। আর সেই ফোর হুইল ড্রাইভারও কিছু টের পায়নি। বাড়ী থেকে নেমে আসবার পর বুঝতে পারলাম আসল ঘটনা। ট্টেইলারের পেছনে চারটা চাকার মধ্যে বাম পাশের পেছনের চাকার স্ক্রু খুলে চাকা ছিটকে বের হয়ে গিয়েছিলো। আর সেই চাকাই আমার গাড়ীর বারোটা বাজিয়েছে।
দূর্ঘটনাতো আর বলে কয়ে আসে না। দুজন দুজনার ডেটেইলস বদলা বদলি করলাম। বাসায় এসে পুলিশ রিপোর্ট করলাম নেট এ বসে। ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ফোন করলাম যথারীতি। দূপুর নাগাদ ইন্সিরেন্স কোম্পানী থেকে লোক এসে সব কিছু দেখে শুনে বল্লো সব কিছু ঠিক করতে যা লাগবে তাতে নতুন আরেকটা কেনা যাবে। ওরা গাড়ী ঠিক না করে তার বদলে বাজার দরে দাম দেবার অফার করলো। সচারচর এরা তাই করে থাকে, আমিও সায় দিলাম।
দু দিন থেকে গাড়ী ছাড়া। বাস ছাড়া গতি নেই। গাড়ী কেনার সময় হাজার ডলার লাগলেও ভাঙা গাড়ী শত ডলারেও কেও কিনতে চায় না। এমনও না যে ইচ্ছে হলো রাস্তার পাশে ফেলে রাখলাম আর আল্লাহর মাল বলে কেউ নিয়ে গেলো।
আজ ব্যাংকে গেলাম কার লোন এপ্রুভ করাতে। ঋনের বোঝা বাড়বে আবারো। ভাগ্যিস চাকাটা উইনন্ডশীল্ডের মাঝ বরাবর পরেনি। পরলে এখন আর ব্লগ লেখা হতো না।
ফাইনাল ডেস্টিনেশন সিরিজের কথা মনে পড়ে গেল।
উত্তরমুছুনboro bacha beche gesen
উত্তরমুছুনদূর্ঘটনা আসলে এতো দ্রুত ঘটে যায় যে কখন কি হয়ে যায় বোঝার আগেই সব কিছু শেষ হয়ে যায়। তবে বড় বাঁচা বেঁচে গিয়েছি এটা অবশ্যই বলা যায়।
উত্তরমুছুন