সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০১০

কেরম কেরম

কাল থেইকাই শরীলটা জানি কেরম কেরম কর্তেছিলো। তাও কামে গেলাম। কামের টাইমেও ভাল্লাগতাছিলো না।  বাসায় আইসা মনে হইলো শরীলডা জানি ভাইংগা পড়লো। বিছনায় শুইয়া শুইয়া কুঁকাঁ করি। বুকটায় কেরম জানি ব্যথা। চাইপা চাইপা ধরে। ডর খায়া গেলাম। জটিল কেইছ নাতো ! ফ্যামিলিতে আবার হাটের রোগের হিস্ট্রি আছে।
জিপিরে ফুনাইলাম, তেনায় বিজি আছেন। কাইলও নাকি ফুল্লি বুকড !!

হসপিটালে যাইতে ডরাই। ক্যঙারুর দেশে হালার সবই ভালো ‌তয় ইমারজেন্সিটা খতরনক। লাইন ধইরে বইসা থাকতে থাকতে সন্ধ্যা থেইকা সকাল হয়া যায় তবুও ডাক আসে না। আমার অবস্থা এরম না যে এম্বুলেন্স কল করুম আর আমারে তুইলা নিয়া যাইবো আর সোজা ভিত্রে নিয়া টেসটুস করা শুরু কর্বো।

আফটার আওয়ার ক্লিনিকে কল দিলাম। কইলো সন্ধ্যা ৯:৩০ এ যাইতে। ১০ মিনিট আগে পৌঁছায়া ভাবলাম বেশিক্ষন অপেক্ষা করন লাগবো না। তার পরো ৪০ মিনিট পড়ে ডাকতরের ডাক পাইলাম। বুড়ি ডাকতর এই খান ঐখানে টিপ টুপ দিয়ে, এক গাদা প্রশ্ন কইরা , কিবোর্ড বাজি কইরা কইলো সমস্যার কিছু নাই। দিলে শান্তি পাইলাম অনেক। রিব কেজের মাসল পেইন। দুইটা ওষুধ দিয়া কইলো সপ্তাহ খানেক খাইলে ভালো হয়া যাবে।

বাসায় আসার সময় দেখি রাস্তায় হালায় চুরও নাই। ১০:১৫ এ এরম মরার মতো তব্দা মাইরা যায় ন্যাশন ক্যাপিটাল। স্পিডোমোটারে তাকায়া দেখি আমি স্পিডিং করি। ব্রেকা পা দিয়া ৮০ তে নামায় আনি গাড়ি।

মনডা ভালোই এখন।আমার হালার  হাট ভালোই আছে।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।