শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০১০

১ - ফেসবুক নামা

নতুন যেকোনো কিছুতেই আমার চরম আগ্রহ। সেটা বাজারে আসা নতুন কোনো ইলেকট্টনিক গ্যাজেট হোক আর নতুন বালিকা বন্ধুই হোক ( শেষেরটা হবার সম্ভাবনা আপাতত নাই, বিবাহিত মানুষরা একবারই মারা যায় )। তবে আসক্তি আসে না কোনোটাতেই।

অনেক কাল আগে হাই ফাইভ এ হালকার উপরে ঝাপসা ভাবে ছিলাম। দেশের শম্ভুক গতির ইন্টারনেটে যেখানে একটা সাধারন মেইল চেক করতেই খবর হয়ে যেতো সেখানে হাই ফাইভ ব্যবহার করতে গিয়ে মাঝে সাজে খবর হয়ে যেতো। অনেক সময়তো এমন হতো যে গোসল সেরে এসে দেখি পেজ আধেক খুলেছে।  তখনো বাজারে ফেসবুক আসে নাই।  ক্যাঙারুর দেশে আসবার পর জীবন বাঁচাতেই এতো ব্যস্ত ছিলাম যে কোথায় অর্কুট আর কোথায় মাই স্পেস আর কোথায় বা সেই হাই ফাইভ। নিজে বাঁচলে হাই ফাইভের নাম।

 

মেইল বক্সে ফেসবুকে বন্ধু হবার আমন্ত্রন পাওয়া শুরু করাতেই ফেসবুকের নাম জানা হলো। যোগও দিলাম কোনো এক ফাঁকে। তবে প্রথম থেকেই অচেনা কাউকে বন্ধু হিসেবে যোগ করতে চরম অনীহা ছিলো ও এখনো আছে। যাদের পছন্দ করি না তাদের যোগও করি না। নিজে বন্ধুবৎসল তবে পকেট উজার করা সেই বেকুব প্রেমিকের মতো উজার করা বন্ধুবৎসল নই। এজন্যই মনে হয় বন্ধু সংখ্যা এখনো ২০০ তে উঠা নামা করে। তবে স্কুল-কলেজে-বিশ্ব বিদ্যালয়ের বন্ধুদের চোখ বন্ধ করে যোগ করি। ফেসবুকের কল্যানে ১৫/১৬ বছর পর সব বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। কারো ভূঁড়ি গজিয়েছে, কারো ঝাঁখরা চুলের বদলে টেকো মাথা, কেউ বা ২/৩ টা ছেলে মেয়ের বাপ আবার কেউবা এখনো বিয়েথা না করে  প্রেম করে বেরুচ্ছে। আজ যেমন ফেসবুকে দেখলাম আমার এক বন্ধুর মেয়ে হয়েছে। ফেসবুক না থাকলে হয়তো জানাই হতো না।

ব্লগে লেখালেখি করার সুবাদে অনেক সাথেই পরিচয় হয়েছে, পরিচয় থেকে খাতির। এদের সাথেই অনেকটুকু সময় কাটে ফেসবুকে । ২০০৬ এর শেষ থেকে আমার দ্বিতীয় জীবন হয়ে ওঠে ব্লগ বন্ধুরা। টের পাই - ফেসবুক ভালো লাগতে শুরু করেছে, সবার সাথে যোগাযোগ রাখা যায়, ছবি দেখা যায়, লিংক শেয়ার করা যায়, অন্যের শেয়ার করা লিংক দেখা যায়। স্ট্যাটাসে কার মন খারাপ, কার ছেলে হয়েছে কিংবা ডাল রাঁধতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে করছে সেইসবও দেখি, লিখি মন্তব্য।

কিছু দিন আগে চাচা শশুড়কে ফেসবুকে বন্ধু হবার আমন্ত্রন জানিয়েছিলাম, উনি আমার বন্ধু হবার আগ্রহ প্রকাশ করেননি। আমার শশুড় সাহেব নতুন ইমেইল খুলেছেন। হয়তো শীঘ্রই ফেসবুকেও
যোগ দিবেন। উনি কি আমাকে বন্ধু হিসেবে যোগ করবার আমন্ত্রন জানাবেন ? কে জানে। ঘোর কলিকাল, দু্গ্গা দুগ্গা।

চলবে ?

দেখা যাক .....................

২টি মন্তব্য :

  1. ভাল বলছেন! খোমাখাতায় সবার সাথে আটকে থাকবার যেমন আনন্দ আছে, আছে সেইসাথে ঝামেলাও।

    উত্তরমুছুন
  2. সামাজিকতা রক্ষায় আনন্দ আর বিরম্বনা দুতই আছে।

    উত্তরমুছুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।