পকেটে ছিলো $৭৫। বাজার শেষ করে যখন চেক আউটে এসেচি তকনো আন্দাজ করতে পারিনি কি অপেক্ষা করচে ভাগ্যে। জিনিস পত্র স্ক্যান করা হচ্চে, মনিটরে দাম উঠচে, উঠতে উঠতে এক সময় দেখি তা $১০২.০৭ এ ঠেকেচে।
চেক আউটের ছোকড়া কে বল্লুম " বাপু, পকেটেতো একুনে ৭৫ ডলার রয়েচে, ১০২।০৭ তো নেই। কি করা যায় বলতো " । ছোকড়া ফোন তুলে কাকে জানি ডাকলো। তাকিয়ে দেখি সে এক ঝাঁকরা চুলের ছোকড়া। সে বল্লো কিছু জিনিস বাদ দেবার চেস্টা করুন।
যেই কতা, সেই কাজ। আমিও বাচতে শুরু করলুম কি কি বাদ দেয়া যায়। গিন্নিকেও বল্লুম হাত লাগাতে। প্রথমেই মুরগী, তার পর ১ লিটার দুধের বোতল। এভাবে বাদ দিতে দিতে একসময় যখন তা ৭৫ ডলারে নাবলো তখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলুম। কি এক বিড়ম্বনা। দুগ্গা দুগ্গা........এজন্যই গুরুজি বলেন 'বাজার একোরডিং টু ইয়োর পকেট'।
বেশ ঠান্ডা পরেচে ক্যানবেরায় (এটা কিন্তু মজা করে বলচি না বাপু, সত্য সত্যই বলচি ) গত কদিন যা বেশ গরমটি ছিলো। ৪০ ছুঁলো বলে ! যে হারে কাপড় খোলা শুরু হয়েছিলো তাতেতো ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলুম। ধম্ম কম্ম বাদ দিয়ে বুঝি বিশ্বকর্মার স্মৃস্টির পুজোয় নাবতে হবে।
একানে আগামী ২৭ তারিখ কোরবানী ঈদ। কোরবানী দোবো না, হবোও না। এ দেশে পশু কোরবানী দিয়ে গোশত খাওয়া ছাড়া কাজের কাজ কিচুই হয় না। ভেতরের পশুটাকে কোরবানী না দিয়ে বাহিরে পশুটাকে মেরে কি ছুক?
সবাইকে ঈদ মোবারক
হু ম ম
উত্তরমুছুন