সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০০৮

গাজার প্রতিটি মৃত্যু যখন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়

 
ছবি সত্বঃ বিবিসি
দেশের সংবাদপত্রগুলো যখন নির্বাচন নিয়ে মহাব্যস্ত তখন প্যালেস্টাইনের গনহত্যা অনেকের চোখকে এরিয়ে যাচ্ছে ইচ্ছে করেই, কিন্তু মানুষের বিবেকের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে নোংরা রাজনীতির কাছে মানবতা কতটুকু অসহায়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭৫, যা ক্রমাগত বাড়ছেই। টিভির খবরে নিহত-আহত মানুষ নিয়ে অসহায় ছুটোছুটির ফাঁকে আকাশ থেকে ধেয়ে আসছে মৃত্যুবান। মানবতা সেখানে অসহায় - শান্তির বাণী সেখানে অদৃশ্য -ধর্মের বাণী যেখানে অচ্যুত।

গাজার এই মানুষগুলো কি আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতো শান্তিতে বাঁচতে চায়নি ?
নৈতিকতারর কোন মানদন্ডে এই হত্যাকে সমর্থন করা যায় ?
আইনের কোন দৃস্টিকোনে এ হত্যাযগ্যকে সমর্থন করা যায় ?
এ গনহত্যা কি আসলেই প্রয়োজনীয় ছিলো ?
সীমান্তের এপার-ওপারের সাধারন মানুষ কি এ হত্যা- সন্ত্রাসকে সমর্থন করে ?



এইসব প্রশ্নের উত্তর কখনোই পাওয়া যাবে না, যায় না। নোংরা ক্ষুদ্র রাজনীতি, যুদ্ধকৌশল, নিরাপত্তা ও সীমান্ত প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রনীতি এবং একই সাথে সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিবেচনার উপরে নির্ভর করে এইসব প্রশ্নের উত্তর। তবুও উত্তর মেলে না।





 ছবি সত্বঃ বিবিসি

শান্তির মা আজ মৃত। ইশ্বর আজ বধির-মৌন।

গাজার এই সব মানুষগুলোর জন্য সমবেদনার সাথে সাথে সৌহার্দ পোষন করছি। এ চরম অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাই। প্রতিরোধের সাথে সহমর্মিতা জানাই প্রতিটি মুহুর্তে।

1 টি মন্তব্য :

  1. কি আর বলব? লেখাটা আগেই পড়ে ছিলাম কিন্তু মন্তব্য করি নি। গাজায় গনহত্যার প্রতিবাদ জানাই

    উত্তরমুছুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।