বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০০৮

মুক্তিযুদ্ধে ঠাকুরগাঁও, পর্ব ১.২ ( একটি কথ্য ইতিহাস- বলরাম গুহঠাকুরতা)

প্র: এই কনফারেন্সটা কোথায় হলো ?
উ: এটা হলো ডি. এন. ঘোষের হেনলী কেবলস্‌-এর যে ফ্যাক্টরি, তারই হলরুমে। প্রেস কনফারেন্সের শুরুতেই আমি বললাম, আমি জানি না আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কি ? যদি আমাদের এই সংগ্রাম ফেল করে তাহলে আমরা দেশে ফিরে যাবো কেমন করে ? আমরা যে এ দেশে আসলাম- without any valid documents, আমরা তো তাহলে দেশের ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চিমিত হবো। আমাদেরকে আইনের আমলে আসতে হবে। শুধু তাই না, আমরা যদি ফিরে নাও যাই, আমাদের পরিবারের যারা বাংলাদেশে আছে- তাদেরকে পাকিস্তানিআর্মিরা মেরে ফেলবে। কনফারেন্স সূত্রে আমাদের নামধাম প্রকাশ করলে আমাদের বা আমাদের পরিবারের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
প্র: প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের কাছে আপনি কি কি বিষয় তুলে ধরলেন ?
উ: পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের উপর যে অত্যাচার, অবিচার, অনিয়ম ও শোষণ চালাচ্ছিলো সেই চিত্রই তুলে ধরলাম ধারাবাহিকভাবে। আমাদের দেশের ৬ দফা এবং ১১ দফায় যে সব দাবি ছিলো সেগুলোও তাদের কাছে তুলে ধরলাম। আমি আরো বললাম, এখন আমরা স্বাধীনতার দিকে যাচ্ছি, আমরা যুদ্ধের দিকে যাচ্ছি এবং এই যুদ্ধটা প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানিসেনা শাসক ২৫ মার্চ আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানিআর্মি নিরপরাধ ও নিরস্ত্র অসংখ্য মানুষকে হত্যা করছে। কত লোককে হত্যা করেছে- আমরা এখনও তা জানি না। আমরা পূর্ব পাকিস্তানে এখন খুব অসহায় অবস্থানেয় আছি। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ জানি না। এই অবস্থানেয় আমরা আপনাদের কাছে এসেছিলাম কিছু হেভি অস্ত্র শস্ত্র নেবার জন্যে। কিন্তুআমরা যেটা বুঝলাম তাহলো আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়া এটা সম্ভব না। তারা এখানে এসে পৌঁছেছেন কিনা সেটাও আমরা জানি না। যাহোক, আমরা তাঁদের নানা প্রশ্নের জবাব দিলাম। প্রেস কনফারেন্স শেষ হবার পর ঠিক হলো যে, আমরা আমাদের দেশে ফিরে যাবো এবং আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ভারত সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। ডি.এন.ঘোষ বললেন, অবশ্যই আমাদের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের ঘটনার উপর দৃষ্টি রাখছেন। এরপর আমরা কলকাতা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে ফিরে আসলাম। ফিরে আসার পথে যখন আমরা ইসলামপুরে, তখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরকে সেখানে দেখলাম। আমরা তাঁর কাছে গেলাম এবং তাঁকে আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ের কথা জানালাম। কর্পূরী ঠাকুর অতো কিছু চিন্তা ভাবনার লোক ছিলেন বলে মনে হলো না। তিনি বলে দিলেন, Don’t worry, আমি দিল্লী যাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তোমাদের বিষয় নিয়ে আলাপ করবো এবং তোমাদের জন্য হেভি অস্ত্র শস্ত্রের ব্যবস্থা করবো। এ কথা বলে তিনি চলে গেলেন। এরপর আর কারো সাথে আমাদের আর যোগাযোগ হয়নি। আমরা ঠাকুরগাঁও ফিরে এলাম।



আমরা ঠাকুগাঁওয়েও পৌঁছে দেখলাম শহর প্রায় জনশূন্য। অবশ্য আমাদের কন্ট্রোল রুমটা আছে। কিন্তু চম্পাতলীতে আমাদের যে ডিফেন্সটা ছিলো সেটা ভেঙে গেছে এবং যে কোনো দিন পাকিস্তানিরা আমাদের ঠাকুরগাঁও শহরে প্রবেশ করতে পারে। এই অবস্থানেয় আমি ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও ছিলাম। ১৫ এপ্রিল সকাল থেকে পাকিস্তানিরা ঠাকুরগাঁওয়ে বোমাবর্ষণ শুরু করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ২/৪ জন লোক নিয়ে সেই রাতেই ঠাকুরগাঁও ত্যাগ করলাম। আমরা মরাগতি দিয়ে প্রথমে ভারতের ইসলামপুর প্রবেশ করলাম। আমি খোঁজ খবর নিতে থাকলাম যে কে কোথায় আছে। এম. পি. এ. ফজলুল করিম সাহেব সেখানে আছেন জানতে পারলাম। তাঁর একটা গাড়ি ছিলো সেটা তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন। আমরাও বেশ কয়েকটা মটর সাইকেল নিয়ে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে এ সব যানবাহন আমাদের খুবই কাজে লেগেছিলো।


প্র: ১৪-১৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও পতনের পূর্ব পর্যন্ত আপনারা কি ইন্ডিয়া থেকে কোনো অস্ত্র শস্ত্র পেয়েছিলেন ?
উ: আমার জানামতে কিছুই পাওয়া যায়নি। আমি সে সময় অবিবাহিত ছিলাম এবং সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেছি, স্বাধীনতা সংগ্রামে ছিলাম সার্বক্ষণিক। এ সময় ভারতের কিছু জনগণ এসেছিলো আমাদের পরিস্হিতি দেখবার জন্যে। তাদের মধ্যে স্থানেনীয় রাজনৈতিক নেতা কর্মীসহ প্রভাবশালী লোকও ছিলো। বি.এস.এফ.-এর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তুতারা কোনো অস্ত্র আমাদের দেয়নি, দেওয়া সম্ভবও ছিলো না। ঠাকুরগাঁও শহরে আমাদের যোদ্ধাদের কাছে যে সাধারণ রাইফেল ছিলো কেবল সেটা দিয়েই যুদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীকালে এ সব রাইফেল অনেক বাজে লোকের হাতেও পড়েছে।


প্র: ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর আপনার ভূমিকা কি ছিলো ?
উ: কয়েকদিন পরই আমরা ভারতীয় খবরের কাগজের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, মুজিব নগরে বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়েছে এবং মন্ত্রি পরিষদে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবর্গ রয়েছেন। ফজলুল করিম সাহেবসহ আমরা একদিন কলকাতা গেলাম মন্ত্রি পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। আমরা তাদের সঙ্গে দেখা করলাম। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে কিছুদিনের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ইয়ুথ ক্যাম্প তৈরি শুরু হলো। আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ের অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার এস. আর. মীর্জা জুন মাসের শেষথেকে ইয়ুথ ক্যাম্পের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়লেন। বাংলাদেশ সরকার প্রথমে তাঁকে পরিচালক ও পরে মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দিয়েছিলো। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যে সব রিলিফ ক্যাম্প গড়ে উঠলো সেই সব ক্যাম্প থেকে আমরা মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ করতে শুরু করলাম। ভারতে যাওয়ার পর থেকেই আমরা মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রেখেছিলাম। তরঙ্গপুর থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এই পুরো এলাকা থেকে আমি, ফজলুল করিম সাহেব ও অন্যরা মিলে মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ করেছি এবং ট্রেনিংয়ে পাঠিয়েছি। ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখে এই এলাকায় পঞ্চগড় প্রথম মুক্ত হয়। আমরা ইন্ডিয়ান আর্মির সঙ্গে পঞ্চগড় প্রবেশ করলাম। ঐ এলাকার ইন্ডিয়ান আর্মির কমান্ডিং অফিসার ছিলেন কর্নেল এলাহাবাদ, তিনি মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। ইন্ডিয়ান আর্মির পিছনে পিছনে আমরা ফজলুল করিম সাহেবের ব্যক্তিগত জীপে করে পঞ্চগড় প্রবেশ করি। পঞ্চগড়ে ইন্ডিয়ান আর্মির সঙ্গে কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে আমরা কর্নেল সাহেবকে আমি বললাম যে, আমরা আশা করছি আগামীকাল ঠাকুরগাঁও পৌঁছাবো। তখন তিনি বললেন,Not it will be day after tomorrow.অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর। ৪ ডিসেম্বর আমরা ঠাকুরগাঁও প্রবেশ করলাম। ঠাকুরগাঁও আসার পর মিত্র বাহিনীর কর্নেল এলাহাবাদ ও অন্য অফিসাররা আমাদের বললো যে, আপনারা পাকা রাস্তা ছাড়া কোনো কাঁচা রাস্তায় নামবেন না। কারণ পাকিস্তানআর্মি হয়তো মাইন পুঁতে রেখেছে। ঐ অবস্থানেয় আমরা ঠাকুরগাঁও পৌঁছলাম। তারপরও ঠাকুরগাঁও থেকে ইসলামপুর যাওয়া আসা করছি। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলো। আমাদের সরকার পুনর্গঠিত হলো। শরনার্থীরা ফিরে এলো। কিছুদিন পর বর্ডারে কড়াকড়ি আরোপ হলো। আমাদের ভারতে যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত হলো। আস্তে আস্তে আমাদের মূল্য কমতে লাগলো। মুক্তিযোদ্ধা হিসাবেও আমাদের মূল্য কমতে লাগলো। কমতে কমতে এখন আর আমরা কোনো কর্মকান্ডের সঙ্গেই যুক্ত নই।


প্র: পাকিস্তান আর্মি ঠাকুরগাঁও আক্রমণ শুরু করলো কবে থেকে ?
উ: ১৪ এপ্রিল। ১৪-১৫ এপ্রিল তারা ঠাকুরগাঁও ঢুকে গেলো। পাকিস্তানিরা দূর থেকে গোলা নিক্ষেপ করেছে। কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিলো না। প্রতিরোধ হয়নি। আমাদের কোনো ডিফেন্স ছিলো না। আমাদের লাস্ট ডিফেন্স ছিলো চম্পাতলী। প্রকৃত অর্থে চম্পাতলীর পর আর কোনো ডিফেন্স ছিলো না।


প্র: ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ের নেতৃত্ব কাদের হাতে ছিলো বা কারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ?
উ: সংগ্রাম কমিটি। আওয়ামী লীগ, ন্যাপ ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা মিলে যে সংগ্রাম কমিটি করেছিলেন- সেই কমিটির নেতৃত্বেই কর্মকান্ড চলেছে, একক কোনো নেতৃত্ব ছিলো না।


প্র: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আপনার পরিবারের কেউ শহীদ হয়েছে কি ?
উ: না,আমরা তো আমাদের পরিবারের লোকজনকে ২৬ মার্চেই ঠাকুরগাঁও শহর থেকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তারা ভারত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছিলো। ১৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও ফল করার পর তারা ভারতে চলে যায় এবং শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। ফলে, আমাদের পরিবারের কেউ শহীদ হয়নি।


প্র: ১৫ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঠাকুরগাঁও দখল করার পর থেকে পাকিস্তানি সেনা এবং তাদের মিত্র অবাঙালিরা ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিলো- এই গণহত্যা সম্পর্কে আপনি কি জানেন ?
উ: সবচেয়ে বড় গণহত্যা হয়েছিলো ঠাররগাঁও শহরের উত্তর পূর্ব কোণে বালিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন জাতিভাঙ্গা নামক স্থানে। স্থানীয় মানুষদের ছাড়াও অন্যান্য এলাকার নিরস্ত্র মানুষ যারা প্রাণে বাঁচার জন্য ঐ এলাকা দিয়ে ভারতে যাচ্ছিলো তাদের উপর রাজাকার বা ঐ ধরনের লোকজনেরা হামলা চালিয়ে সব কিছু লুটে নিয়ে পরে হত্যা করে। যারা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলো তাদের নাম ধাম জানি। কিন্তু আমি এই মুহূর্তে তাদের নাম বলতে চাই না নিরাপত্তার কারণে।
খুনীয়াদীঘি নামে রানীশংকৈলে একটা জায়গা আছে, সেখানেও অনেক লোককে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশগুলোকে ঐ দীঘিতে ফেলে দেয়া হতো বলে ঐ দীঘির নাম খুনীয়াদীঘি হয়েছিলো। স্বাধীনতার পর পরই হাজার হাজার লাশ দেখেছি সেখানে। তারা প্রায় তিন থেকে চার হাজার লোককে এখানে হত্যা করেছিলো। ঠাকুরগাঁও শহরে ঢোকার আগে রামনাথের যে পুকুরটা আছে সেখানে মানুষ মারার জন্যে পাকিস্তানিরা একটা ফাঁদ মতো তৈরি করেছিলো। দু’টা ড্রাম একসাথে বেঁধে তার মধ্যে লোক চড়িয়ে দিয়ে উল্টো দিক থেকে দড়ি দিয়ে ড্রাম দু’টোকে টেনে পুকুরের মাঝখানে নিয়ে আসা হতো এবং তার পরই দূর থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হতো ঐ সব হতভাগ্য বাঙালিদের। এখানেও তারা অনেক লোককে হত্যা করে।


প্র: এ সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত বলবেন কি ?
উ: ঠাকুরগাঁও শহরের উত্তর পশ্চিম কোণে রুহিয়া নামক স্থানে রামনাথ নামে একটা ঘাট আছে। সেখানে বড় একটা পুকুর আছে। সেই পুকুরে তারা দু’টা ড্রাম বেঁধে যাদেরকে হত্যা করবে তাদেরকে ঐ ড্রামের মধ্যে বসাতো এবং দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতো। এরপর ঐ ড্রাম দু’টোকে উল্টো দিক থেকে দড়ি দিয়ে টেনে পুকুরের মাঝখানে নিয়ে যাওয়া হতো এবং তার পরই পারে দাঁড়িয়ে থাকা রাজাকার বা পাক সেনা ঐ হতভাগ্যের কাউকে মাথায়, কাউকে বুকে গুলি করে হত্যা করতো। পাকিস্তানিরা দূরে দাঁড়িয়ে এই মৃত্যু দৃশ্য দেখতো আর উল্লাস প্রকাশ করতো। হত্যার পর তারা কাউকে কাউকে মাটি চাপা দিয়েছে আবার কাউকে দেয়নি। স্বাধীনতার পরপরই আমরা অসংখ্য কঙ্কাল দেখেছি খুনীয়াদীঘিতে এবং রামনাথ ঘাট এলাকায়। এ সব জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চলেছে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত।
যুদ্ধকালে আটোয়ারি থানার কিছু অংশে আমরা একবার গোপনে ঢুকেছিলাম পরিস্হিতি দেখবার জন্যে। সেখানে গিয়ে আমরা দেখি যে, পাকিস্তানিদের যে ক্যাম্প সেই ক্যাম্প থেকে কিছু লোকজন বাইরে যাচ্ছে আবার ক্যাম্পে আসছে। এ সব লোকের কাজ ছিলো মেয়ে মানুষ ধরে আনা, তাদের উপর অত্যাচার করা। আর যাদেরকে তারা মুক্তিযোদ্ধা বলে সন্দেহ করতো তাদের আত্মীয় স্বজনকে তারা হত্যা করতো। সোনা-রূপা, টাকা-পয়সা লুটপাট তো তারা করতোই। এরা পাকিস্তানিবাহিনীর সহযোগী বা রাজাকার ছিলো।
চলবে......

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।