শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০০৮

হাবিজাবি ১

জরুরি কাজ জমে আছে, ধরবো ধরবো বলে ধরা হয়ে উঠে না। কি যে আছে ভাগ্যে। শেষ মুহুর্তে এসে বরাবরের মতো মনে হবে, ইস্‌ আরেকটু সময় যদি হাতে পেতাম ! কি ভালোই না হতো। এবারেও এমনটি ভাব্বো। সামনের সপ্তাহটি দারুন ব্যস্ত যাবে। দারুন ব্যস্ততা।

দিনগুলো মজাতেই কেটে যাচ্ছে। ছেলের হাসি দেখলে সব কস্ট-দূঃখ ভুলে যাই। নতুন কাজ পেয়েছি, ছেলের দেখাশোনা করা। প্রথমে ভেবেছিলাম কাজটা অনেক সহজ কিন্তু এখন বুঝতে পারছি যা ভেবেছিলাম ঠিক ততটুকু সহজ নয় আদৌ। সবচেয়ে বড় ব্যপার হলো , ছেলের দৈহিক ভাষা বুঝতে পারছি। কোন কান্না খিদের কান্না আর কোন কান্না কোলে ওঠবার সেটাও বুঝতে পারছি। গতকাল প্রথম বারের মতো জিপির কাছে নিয়ে গেলাম রুটিন চেকআপের জন্য। ছেলে আমার বড্ড শান্ত, একটুও কাঁদেনি।

আজ মানিক ভাইদের দাওয়াত করলাম। এমনিতে বেছে বেছে মানুষের সাথে মেশাতে খুব কম মানুষের সাথেই মেশার সৌভাগ্য হয়। মানিক ভাই ও উনার পরিবারকে আমার অনেক ভালো লাগে। বয়সের পার্থক্য বেশ হলেও একজন মানুষ যখন বয়সের বাধা পেড়িয়ে সমসবয়সী আচরন করেন তখন মিশতে সহজ হয় , যেটা উনার ক্ষেত্রে হয়েছে। আয়োজন তেমন কিছু নয়। প্রচন্ড গরমে তরমুজের শরবত জমবে বলে তরমুজের শরবত;  সাথেতেহারী, সালাদ, মাছের কাবাব, ডেজার্ট হিসেবে পায়েস আর যথারীতি কোক। চায়ের ব্যবস্থা ছিলো কিন্তু উনাদের ব্যস্ততা ছিলো বলে দেয়া হয়ে উঠেনি।

বিরক্তিকর এক আবহাওয়া এখানে। দিনে গরম - রাতে ঠান্ডা। এসি ছাড়লে মনে হয় জমে যাচ্ছি আর হিটার ছাড়লে সেদ্ধ হবার উপক্রম। এমন পাগলাটে আবহাওয়ায় ছেলে আমার না অসুস্থ্য হয়ে পড়ে, বেশ চিন্তায় আছি।

মাঝে মাঝে পেছনের কথা ভাবি। কি কস্টের দিনটা না পার করেছি। সামনের হয়তো আরো কস্টের দিন আসবে তবে সেই সব কস্ট পেছনের সব কস্টগুলোকের ছাপিয়ে উঠতে পারবে না। দিন এভাবেই এগুতে থাকে, জীবন চলে যায় জীবনের মতো।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।