শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০০৮

রাহেলা বোনটি আমার, আমরা কি কিছুই করতে পারি না তোমার জন্য ?

২০০৪ কোনো এক পত্রিকায় শত খবরের মাঝে সেটিও ছিল একটি খবর। " ২২ বছর বয়সী গার্মেন্টস কর্মী রাহেলা আখতার লিমার গহনা ছিনতাই, কতিপয় সন্ত্রাসী কতৃক গণধর্ষন , সর্বশেষ হত্যার উদ্দেশে ছুরিকাহত করে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ফেলে দেয়া। পরবর্তীতে ফিরে সেই মেয়েটির মৃত্যূ নিশ্চিত করতে শরীর এসিডে পুড়িয়ে দেয়া, পুলিশ দ্বারা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা। পরবর্তিতে জেনেছি যে হাসপাতালে অবস্থান কালে রাহেলা আখতার লিমা । ‌ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তাঁর মৃত্যুকালীন জবানবন্দী দেন, সেখানে তিনি ঘাতক লিটনের নাম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি তাঁর মার কাছে লিটনের সহযোগী দেলোয়ার, আকাশ, কবীরের নাম বলেন।" সব কিছুই আবেগহীন ভাবে পড়েছি, ভুলেও গিয়েছি। এসব যে ভুলে যেতে হয় !

একদিন সামহোয়্যারইনের ব্লগের পাতায় মানবীর লেখা পড়লাম, উনি কিছু করতে চাচ্ছেন। আমরা অনেকেই সাড়া দিলাম। ব্লগের পাতা গরম করে ফেল্লাম, ইয়াহু-গুগুল গ্রুপ করলাম, মহা পরিকল্পনা করলাম, যথানিয়মে চুপষেও গেলাম সময় মতো। হুজুগে বাঙালীর যা হয় আর কি।

কিন্তু মানবী চুপ করে থাকলেন না। ফয়সাল আরেফীনও ভুলতে পারেননি রাহেলার কথা। নিরব যোদ্ধার মতো উনারা কাজ করে গেলেন ‌উনাদের মতো করেই। দেশ হতে হাজার মাইল দূরে থেকে আমিও হতাশ হয়ে পড়লাম। ভেবেছি কি আর করা যাবে। কিন্তু একবারো ভেবে দেখিনি মানবীও হাজার মাইল দূর থেকে চেস্টা করে যাচ্ছেন, ফয়সাল নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রথম আলোর ড. জাফর ইকবাল স্যারের লেখা বের হলো, আনিসুল হক ভাইয়ের সাহায্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব বন্ধন হতে যাচ্ছে, ভাস্কর চৌধুরীও শ্রীমংগলে মানব বন্ধন করছেন, ফয়সাল আরেফিন প্রানপনে চেস্টা চালাচ্ছেন হাড়িয়ে যাওয়া আলামত ও নথি উদ্ধারের জন্য।

আমি না হয় হতাশ হয়ে পড়েছি , কিন্তু তাই বলে কি আপনারাও হবেন ?

• আসুন আমরা গনসচেতনতা স্মৃস্টি করি।
• রাহেলা বোনটির জন্য আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বন্ধনে অংশগ্রহন করি।
• লিফলেট ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে।
• সবাইকে বলি পিটিশনে সই করার জন্য।
• আমাদের আত্নীয়-বন্ধুদের মাঝে যদি কেউ প্রশাসনে থাকে তাদের দ্বারা চাপ ও সচেতনতা স্মৃস্টি করি সরকারের কাছে।
• মিডিয়াতে যারা আছি তারা মিডিয়াতে প্রচারে এগিয়ে আসি।
• আমাদের ব্লগারদের মিডিয়াতে বন্ধু থাকলে তাদেরও আহ্বাবান জানাই সাহায্যে এগিয়ে আসতে বলি।

এক কথায়, যার যে রকম সাধ্য আছে তা নিয়েই এগিয়ে আসি।

হাঁ, এখন আমি আর হতাশ নই। আমি জানি এখন আমার পাশে অনেকেই আছেন। আসুন না আরেক বার চেস্টা করে দেখি ! জীবনতো একটাই। এ চেস্টা বাংলা মায়ের সব নির্যাতিতা বোনের জন্য চেস্টা।

একবার ভাবুনতো রাহেলা যদি আপনার মায়ের পেটের বোন হতো, তা হলে কি আপনি বা আমরা চুপ থাকতে পারতাম ?
http://www.youtube.com/watch?v=GoXNL-xijeg

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।