সোমবার, ২ জুলাই, ২০০৭

সামনে বিয়ে; আমি গিফট ( যৌতুক ) চাই

২০০৭-০২-০২ ২১:৩৮:২২

বিয়ে করতে যাচ্ছি শীঘ্রই।
সব কিছু ঠিকঠাক। শুভ দৃষ্টি বিনিময় টুকুই বাকী।

মেয়ে দেখা নিয়ে সে আরেক কাহিনী। বাবা-মা মেয়ে দেখা নিয়ে কতো কিছু যে করেছেন সেটা লিখলে মহাভারত হয়ে যাবে।

দেখবেনই না কেনো ! বুয়েট থেকে পাস করে ছেলে বড় ইনজিনিয়ার হয়েছে , বি.সি.এস দিয়ে রোডস এন্ড হাইওয়েজ এর এসিসটেন্ট ইনজিনিয়ার,ভালো বেতন সাথে প্রচুর এক্সট্রা ইনকাম। একেবারে সোনার ছেলে যাকে বলে!

মেয়ে ফসর্ানা , শ্যামলা মেয়ে ...চলবে না।
লম্বা আরেকটু বেশী হলে ভালো হতো।
মেয়ের বয়সটা একটু বেশীই মনে হচ্ছে , আমাদের আরেকটু কম বয়সী মেয়ে দরকার।
মেয়ে মাস্টার্সকরা, চলবে না ....আমাদের দরকার এইচ.এস.সি পাস করা কচি মেয়ে। মেয়েকে আমরা নিজের মতো করে তৈরি করব। তাছাড়া আমাদের বউতো বিয়ের পরো পড়াশুনা করতে পারবে।
মেয়ের বাবা সরকারী চাকুরী করেন ও সৎ , চলবে না...বিয়েতে খরচ করতে পারবে না।
সে আরো কত যে কাহিনী।
বাবা-মা তো সংগে আংটি নিয়ে ঘুরতেন, যদি পছন্দ হয়ে যায় তা হলে সংগে সংগে আংটি পড়িয়ে ফেলবেন। কত যে মেয়ে দেখলনে বলার না। মেয়ে দেখতে গিয়ে পোলাও কোরমা খেয়েতো বাবার ওজনই বেড়ে গেলো অনেক।
যাই হোক , অবশেষে মেয়ে পছন্দতো হোলো।সামনের মাসেই বিয়ে।
বিয়েতে কতো খরচ। সরকারী বেতনে কি আর পোষায়? সামনে কিছু টেন্ডার আসছে, কিছু ওয়ার্কওডর্ার ও আছে, বিল ক্লিয়ারেন্স এর রুটিন জবও আছে।ওসব থেকে অনেক কিছুই পাওয়া যাবে।খরচে সমস্যা হবে না। গাড়িটা পালটাতে হবে।

শশুড় বাড়ী থেকে অনেক কিছু দিচ্ছে। মা বড় গলায় বলেছেন আমার ছেলেকে কিন্তু সাজিয়ে দিতে হবে। বাবা বলেছেন আমরা যৌতুক বিরোধী। কোনো রকম যৌতুক আমরা চাই না। সেটাই তো লেখা পড়া শিখে কি আর সেই আদিম যুগে থাকা যায় ?

তারপরো হবুশশুড় সাহেব বলেছেন কিছু গিফট দিবেন, কিন্তু সেটাকে যাতে যৌতুক না বলা হয়। কিছু টাকা দিবেন যাতে আমি একটা ফ্লাট কিনতে পারি।
আসলেই , ওটাতো যৌতুক না, মেয়ের সুখের জন্য গিফট। উনি বলেছেন ফ্লাটটা সাজিয়েও দিবেন।
------------------
সত্যি মদন কি বিচিত্র এ বংগভূমি !
শিক্ষার চেয়ে ডিগ্রির মূল্য বেশী।
মানুষের চেয়ে মূল্য বেশী টাকার।

1 টি মন্তব্য :

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।