রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০০৭

দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি ও সামরিক ছাগলের ম্যাতকার

সারা পৃথিবীতেই নতুন সরকার আসলেই নানা রকম প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রায় ৩৬ বছরে বাংলা মাতো কম দেখেনি।

সরকারের পর সরকার,প্রতিশ্রুতির বন্যা,
একজন মধুর নহর বইয়ে দেন তো আরেকজন দুধের নদী।
আর আমরা সাধারন পাবলিক বসে বসে দেখি আর আঙুল চুষি,
মাঝ মধ্যে হাওয়াই মিঠাই।
আমাদের পিঠে কাঁঠাল ভেঙে তারা প্রাসাদ গড়ে,
আর আমরা সেই প্রাসাদের সামনে "ফটু" তুলি !

বর্তমানের সামরিক সমর্থিত নপুংশক সরকার ও এর ব্যতিক্রম নয়।
নানা রকম প্রতিশ্রুতির বন্যা দিয়ে তার মিডিয়া ভাসিয়ে দিচ্ছে আর সকল সরকারের সময় সুবিধাভোগী "সুশিল (?) সমাজ ছাগলের তৃতীয় বাচ্চার মতো লাফাচ্ছে, দুধের ভাগ যদি একটু পাওয়া যায় !!

দ্রব্যমুল্য যে ম্যালথাসের সুত্রকেও ফেল মেরে দিচ্ছে সে খবর কি আছে ?

উনারা নানা রকম অভিজান শুরু করেছেন।
বিডিআর কে দিয়ে বাজার চালু করেছেন,
আনসারকে দিয়ে ন্যায্য মুল্যের দোকাল চালু করেছেন।
কিন্তু যে শালার যে লাউ সেই কদুই রয়ে গিয়েছে।
ছাগল দিয়ে তো আর হাল চাষ হয় না।

বন্যার পদদ্বনি শোনা যাচ্ছে,
রমজান মাস ' সংযমের মাসে ' মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের দামা বাড়াবার প্রতিযোগীতা আসছে,
আমদানী বন্দি সিন্ডিকেটের হাতে।
সিন্ডিকেট না ভেঙে কিভাবে নিত্যপ্রয়ৌজনীয় দ্রব্যের মুলবৃদ্ধি বন্ধ করা যাবে সে বিকার নেই সরকারের।

" উৎপাদক - ফড়িয়া - পাইকার- আড়তদার - খুচরা বিক্রেতা - ভোক্তা "এ চক্র ভাঙবে কে ?
গ্রামের চাষী যে জিনিস বিক্রি করে ১ কেজি চাল কেনেন সেই একি পন্য ঢাকায় বসে তারই ছেলে ৫ গুন দামে কেনে।
মাঝ খানে লাভের গুড় খেয়ে যায় মধ্যসত্বভোগীরা। দাম কমবে কি ভাবে ?

সড়ক পরিবহন সেক্টর পুরোপুরি বেসরকারীকরন করাতে এক শ্রেনীর পরিবহন ব্যবসায়ীদের কাছে বন্দি সরকার ও উৎপাদক শ্রেনী।
রেল পরিবহনকে যে কাজে লাগানো যায় সেটা কি ভাবছে সরকার ?

আমদানী শুল্ক কমাতে হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের। এ খানে আমদানী শুল্ক না কমিয়ে কমানো হয় বিলাস দ্রব্যের। মাঝে মাঝে মনে হয় আমলাদের বুদ্ধি মাথায় না থেকে থাকে মধ্যপ্রদেশে। আফসোস।

মিষ্টি কথায় চিড়ে ভেজে না। যতোই সিপিডির সাথে বসে বড় বড় লেকচার ঝাড়া হোক না কেনো খেলার মাঠে তার প্রয়োগ না দেখাতে পারলে পাবলিক গ্যালারীতে বসে থাকবে না।

দূর্নীতি দমন অভিজান , সংস্কার ইত্যাদি ইত্যাদি হ্যান তেন যতোই বাতচিত করা হোক না কেনো মানুষের পেটে ভাত না থাকলে সেই সব বাক্য বানি হিব্র ভাষার মতোই অবোধ্য হয়ে যাবে।

অর্থনীতিকে সচল ও সবল না রেখে আর যাই হোক দেশে শান্তি আনা যাবে না।
বাঙলার মানুষ অতীতে এরকম অনেক দেখেছে,
সামরিক বুটের শব্দ থেকে গালভরা ম্যাতকার শুনেছে।
তারপর এক সময় ঠিকই ছাগলকে খোয়াড়ে পাঠিয়েছে।
এবারো তাই হবে।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।