শনিবার, ২১ জুলাই, ২০০৭

দিনের শ্লেট

সকালে ওঠার তাড়া ছিলো না। ঘুম যখন ভাঙলো তখন প্রায় ১২ টা বাজে। গরম গরম পরোটা-মুরগির মাংস দিয়ে নাস্তা সেরে ইউনির দিকে ছুট লাগালাম। যেতে ১ ঘন্টা লেগেছিলো। ইউনির পাসওয়ার্ড কাজ করছিলো না। সেটা ঠিক করতে গিয়ে আমার মহামুল্যবান সময় কিছুটা নষ্ট হোলো।

খুব ঠান্ডা । সূর্যের দেখা মিল্লেও ঠান্ডার হাত হতে নিস্তার নেই। সূর্য মামাও মনে হয় রোদ পোহানোর জন্য উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছিলো। পথে যেতে যেতে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে মেঘের দলের আনাগোনা মনটাকে কি রকম জানি উদাস করে দেয়। মনে হয় কবিতা লিখতে পারলে কবিতা লিখে ফেলতাম একখান।

সকালের নাস্তা দুপুরে হওয়ায় বিকেলে এক সময় মনে হোলো পেটে চামচিকে বুকডন দিচ্ছে। বউ সহ লেবানিজ এক রেস্তরান্তে গিয়ে গ্রিল চিকেন, এক গাদা ঘাস লতা-পাতা, চিপস ও কোমল পানীয় দিয়ে পেট পূজো শেষ যখন বেরুলাম তখন উপলব্ধি হোলো যে আমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। আগেতো পুরো একটা মুরগী নিজেই সেটে দিতাম, আজ সেখানে মুরগী আধেকটুকু খেতেই জান বেড়িয়ে যাচ্ছিলো।

সিভিক লাইব্রেরীতে অনেক দিন পদধূলি দেয়া হয় না। ভাবলাম একবার পদধুলি দিয়ে তাকে ধন্য করে আসি। ৩ টা বই নিলাম। একটা আনক্লিনটনের "মাই লাইফ ", গ্রিক হিস্ট্রি ও একটা ওয়েব ডিজাইন করার বই।

বাসা আসতে আসতে আঁধার হয়ে গিয়েছে। বাসায় গিয়ে সোজা হিটারের সামনে। ওম শান্তি।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।