সোমবার, ২ জুলাই, ২০০৭

বাংলাদেশী - অস্ট্রেলিয়ান ( পর্ব2)

২০০৭-০২-০৬ ১৪:৩৯:২৯


দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থাকলেও বাংলাদেশী আভিবাসীরা রাজনৈতিক ভাবে মহা সচেতন।
দেশের মতোও তারা আওয়ামী লীগ- বি.এন.পি তে বহু বিভাজীত।

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদশীর সংখ্যা তেমন উল্লেখযোগ্য না হোলেও এখানেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ -অস্ট্রেলিয়া শাখা বা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - অস্ট্রেলিয়া শাখা বিদ্যমান।
এখনেও সভাপতী বা সাধারন সম্পাদক পদ নিয়ে কাদা ছুড়াছুড়ি চলে সমানতালে।
এখানকার রাজনৈতিক দলগুলোর শাখা সাংগঠনিক ভাবে স্বীকৃত না হলেও দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এর গুরত্ব রয়েছে ভালোভাবেই।
সেটা চাঁদা বা গিফটের জন্য ও হতে পারে।
দেশ থেকে কোনো বড় নেতা আসলে তাকে স্বংর্বধনা দেয়া নিয়ে কাড়াকাড়ি পরে যায় বেশ। গ্রপিংয়ের কারনে অনেক সময় একজন নেতাকে একাদিক স্বংর্বধনা দেয়া হয় যা বেশ আনন্দ দান করে সবাইকে।

অস্ট্রেলিয়ার মেইনস্ট্রিম দলগুলোতে বাংলাদেশীরা সদস্য হলেও তেমন গুরুত্ব পায় না ছোট্ট কমিউনিটি হিসেবে। ভোটের অংক এখানেও চলে এবং এখানকার রাজনৈতিক দলগুলো এতে বেশ পারংগম। এ কারনেই ইটালিয়ান, গ্রীক বা লেবানিজ কমিউনিটি যেমন গুরুত্ব পায় তার ধারে কাছে বাংলাদেশীরা থাকতে পারে না।

তবে দেশের মতো এখানেও নেতাদের সাথে ছবি তুলে তা বাঁধিয়ে "উনি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু " এ রকম ভাব অনেক কেই নিতে দেখা যায় , যদিও এতে তেমন ফায়দা হয় না।দেশের মতো একানেও গ্রুপিং বিদ্যমান। ঠিক এ কারনেই দেখা যায় একাধিক কমিটি।

সিডনীর উদাহরন দিলে সেটা বোঝা একটু সহজ হয়। সেখানে বংগবন্ধু পরিষদ রয়েছে দুটি। সহজেই অনুমেয় কি ঘটে সেখানে। ঠিক একি ভাবে অন্যান্য দলগুলোর মধ্যেও একি প্রবনতা দেখা যায়।

দেশের মতো এখানেও আনচলীকতার টানা হেঁচরা রয়েছে। সে কারনেই নোয়াখালী সমিতি বা ঢাকা সমিতির মতো বিভিন্ন জেলা কেন্দিৃক সমিতি দেখা যায় প্রতিটি বড় শহরেই। এ সব সমিতির মধ্যেও রয়েছে বিভিন্ন শাখা প্রশাখা।

অস্ট্রেলিয়ায় কোনো একক বাংলাদেশী - অস্ট্রেলিয়ান এসোসিয়েশন নাই। প্রতিটি শহরেই এক বা একাধিক এসোসিয়েশন দেখতে পাওয়া যায়।এদের নানা কর্মকান্ডের মধ্য নানা দিবস উৎযাপন অন্যতম। কারো মৃত্যুবার্ষিকী বা জন্মবার্ষিকী , বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, পানজাবী পড়ে অমর একুশে পালন অন্যতম। আর স্বংর্বধনা তো আছেই।

নিজের খেয়ে পরের মোষ তাড়ানোর মধ্যে সৎ উদ্দেশ্য থাকলে সমস্যা নাই। কিন্তু এসব পরের মোষ তাড়ানোর লোকদের নিজের পকেটের কথাই ভাবতেই বেশী ব্যাস্ত থাকতে দেখা যায়। বাংলাদেশী বিশেষ করে দেশ থেকে পড়তে আসা নতুন ছাত্র- ছাত্রী দের হাজারো সমস্যাতেও এদের কাছে পাওয়া যায় না। কোনো ভালো কাজে , যেমন ফান্ড রেইজিং এ খুব কষ্ট করে 10,000 ডলার তোলা গেলেও নেতা নেতৃ দের স্বংর্বধনায় 50,000 ডলার খরচ করতেও এদের গায়ে বাঁধে না। পারতপক্ষে ভদ্্র মানুষরা এদের এড়িয়ে চলতেই ভালো বাসে।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।