রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১১

স্মৃতিচারনের সমস্যা

কার কাছে জানি একবার শুনেছিলাম স্মৃতিচারন নাকি বয়স হবার লক্ষন ! বয়স যে থেমে নেই সেটা সত্য। বলা যায় জীবনের আধেকটা সময় পার হয়ে এসে স্মৃতির ভান্ডারে অজস্র স্মৃতি জমা হয়েছে। প্রবাস জীবনের স্বেচ্চা নির্বাসন নিয়ে একটা সিরিজ লেখা শুরু করেছিলাম। এক সময় লক্ষ্য করলাম সেটা বেশ কয়েকটা পর্বে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। হয়তো সময়ে আরো অনেক কিছুই লেখা হবে কিন্তু একটা সময় আবিস্কার করলাম স্মৃতিচারন বেশ বিড়ম্বনার বিষয়।

সময়ে অনেক কিছুই ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। আবার অনেক কিছুই লিখতে চাইলেই লেখা যায় না। অনেক অপ্রিয় সত্য আছে যা মুখ ফসকে থক্কু আঙুল ফসকে লিখে ফেল্লে অনেকেই বেজার হতে পারে। স্মৃতি নামক ধারাবাহিক নাটকের অনেক পাত্র-পাত্রীই এখনো বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে যাদের নিয়ে লিখলে তাদের চটকে যাবার সম্ভাবনা অনেক। আবার অনেক কিছুই আছে যা বল্লে প্রতিপক্ষ লেখককে ঘায়েল করবার মোক্ষম অস্ত্র পেয়ে যেতে পারে। কে চায় বুঝে শুনে অন্যের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে !

তারপরো হয়তো অনেক কিছুই লিখতে হবে। লিখতে হবে নিজের জন্যই। তারপরো অনেক কিছুই লেখা হবে না। মস্তিস্কের এক কোনায় অনেক কিছুই জমা হয়ে থাকবে। মানুষের মস্তিস্ক স্ক্যান করে যদি তার স্মৃতিগুলো বের করা যেতো তবে মন্দ হতো না।

২টি মন্তব্য :

  1. সুমন ভাই,আমি কিন্তু দুএকটা স্মৃতি চারন মুলক লেখা শুরু করেছি। মনে হয় বুড্ডা হয়ে গিয়েছি তাই!

    মোজাম হক

    উত্তরমুছুন
  2. মোজাম ভাই, আপনার কমেন্ট পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার সাইটের ঠিকানা দিন। আপনার লেখা পড়বো।

    উত্তরমুছুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।