মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০১০

হাবিজাবি ৮

আজকাল ব্লগ লেখার সময় হয় না। দারুন  ‌ব্যস্ততা। সকাল পেড়িয়ে কখন যে সন্ধ্যে হয়ে যায় টেরই পাই না। রাতে ঘুমোনোর আগে পরের দিনের প্রস্তুতি নিতে নিতে মনে হয় কখন যে একটু ফুসরত  মিলবে। একসময় কত্ত কাজ খুঁজেছি হন্যে হয়ে, এর ওর কাছে সামান্য একটা কাজের জন্য অনুরোধ করেও অনেক অনেক বার হতাশ হতে হয়েছে । আর এখন ? কাজ আমায় খুঁজে। মাঝে মাঝে খুব কস্ট হয় তবুও কাজ করে যেতে হয় জীবন বাঁচাতেই। আগামি বছর নতুন চাকরি শুরু হবে। কেমন হবে সেটা ? আরো কস্টের নাকি আরো মজার !?

অনেক ঠান্ডা। তবে বেশির ভাগ সময়ে হিটারের আশে পাশে থাকায় বা কাজে ব্যস্ত থাকায় টের পাওয়া হয় না কখন মাইনাস ৩ হলো বা কখন মাইনাস ২ হলো। দিনের বেলা গরম লাগাতে মনে হচ্ছে  বসন্তকুমার হাঁটি হাঁটি পায়ে এগিয়ে আসছে। অস্ট্রেলিয়ার  বসন্ত দারুন উপভোগ করি। চারিদিকে নতুন জীবনের উচ্ছাস।

ছেলের বয়স দেখতে দেখতে ২ বছর হতে চল্লো। এ দেশে যখন এসেছিলাম তখন ছিলাম একলা, একসময়ে তা দোকলা হয়ে তেকলা হয়ে গেলো। আরেকজন আসছে আগামি বছর ! বাহ, জীবনটা কত্ত সুন্দর। ভাবতেই অপার্থিব শান্তি লাগে।

সেদিন বেশ মজার একটা ঘটনা হয়েছিলো। ছেলেকে নিয়ে কাছের পার্কে। সপ্তাহ শেষের দিন বলে এই ঠান্ডাতেও অনেকে এসেছিলো বাচ্চা কাচ্চা দের নিয়ে। পার্কে নিয়ে যেতেই দিব্যের সে এক দৌড়। এক সময় দেখি এক ছোট্ট মেয়ের সাথে দারুন খাতির। কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। এক সময় দেখি আমার ছেলে ওই ছোট্ট মেয়েটিকে চুমু দিচ্ছে। এটা দেখে সেই মেয়ের মা আর আমার বউ এর সেকি হাসি। বাসায় আসবার পর বউ বলে, ছেলে নাকি বাপের অভ্যাস পেয়েছে। যেমন বাবা তেমন ছেলে। আমি যতই বোঝাই ওর বাবা ওই বয়সে আর যাই করুক পার্কে গিয়ে কোনো মেয়েকে চুমু খায়নি বউ সেটা বিশ্বাসই করতে চায় না ! দারুন সমস্যায় আছি :(

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।