বুধবার, ১২ মে, ২০১০

ব্লাডি ফেয়ার ডিংকুম ১

শুরুর গল্প

দেখতে দেখতে ৬ বছর হয়ে গেলো এদেশে। অনেক গল্প, অনেক স্মৃতি। । অর্ধযুগ পেড়িয়ে সেই সব ছোট ছোট গল্পকে সূতোয় গাঁথবার জন্য অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম। সময়ের সাথে অনেক স্মৃতিই ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। কিছু গল্প না বলা গল্প হয়ে যাচ্ছে। অনেক ব্যর্থতা , অনেক সফলতা।  হয়তো অনেক কিছুই বলা হবে, হয়তো অনেক কিছুই না বলা রয়ে যাবে। একান্তই ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর কিছু ঘটনা ও বিষয় ছাড়া হয়তো অনেক কিছুই লেখা হবে।


প্রস্তুতিপর্ব

অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে আসবো এরকম একটা ইচ্ছা প্রথম থেকেই ছিলো। পৃথিবীতে আরো দেশ থাকতে অস্ট্রেলিয়াকে কেনো পছন্দ করেছিলাম তা মনে নেই। সে কারনেই মনে হয় অন্য কোনো দেশের জন্য চেস্টাও করা হয়নি।

দেশে আন্ডারগ্র্যাড শেষ করেই ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এখানে সেখানে ভর্তির আবেদন করা। রিসার্চ ওয়ার্কের চাইতে কোর্স ওয়ার্ককে বেছে নিয়েছিলাম প্রথম থেকেই। হয়তো সরাসুরী নিজ পেশাতে ঢুকে যাবার ইচ্ছে থেকেই। অস্ট্রেলিয়ায় বিচিত্র কারনে ইন্টারন্যাশলাল স্টুডেন্টদের জন্য স্কলারশীপ খুব কম। স্কলারশীপ বা গ্র্যান্টের চেস্টা করেও তেমন লাভ হয়নি।  যেগুলো আছে সেগুলোর জন্য চেস্টা করতে সময়ের অভাবও ছিলো। নিজ যোগ্যতা নিয়ে সংশয়ই ভুগেছি বলেই মনে হয় চেস্টাতেও অনেক গাফলতী ছিলো। শেষ মেশ নিজের টাকায় পড়তে চলে আসা।

অস্ট্রেলিার ভিসা পাবার খবর পাই ২৫শে জানুয়ারী ২০০৪। ভিসা নেয়া হয় ১৫ জানুয়ারী। বিমান যখন মাটি ছেড়ে আকাশে উড়বার প্রস্তুতি নেয় সেই দিনটি ছিলো ১৩ই ফেব্রুয়ারী ২০০৪, সময় সকাল ১ টা। অস্ট্রেলিয়া পৌঁছি সন্ধ্যে ৭ টা, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০০৪।

জীবনের আরেকটি অধ্যায় শুরু হলো।

২টি মন্তব্য :

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।