সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১০

ক্যানবেরার খেরোখাতা স্পেশাল " ওহ ববিতা"

পুরানা প্রেম উথলিয়ে উঠলো। সব দোষ মাসুম ভাইয়ের।
মাসুম ভাইয়ের এই লেখা না পড়লে হয়তো ভুলেই থাকতাম।
ওহ মাই ববিতা।

ইউটিউবে ববিতার সে সময়ের গান একটানা শুনেই যাচ্ছি। এ মুহুর্তে শুনছি

মন দেবো কি দেবো না বার বার শুনছি। আজ মনে হয় ববিতায় ঢুবে থাকবো।

ঝিমাইন্না দিন কাল যাচ্ছে। সব সময়ই কেনো জানি এমনটি হয়। জন্ম মাসে এপ্রিল কোনো জানি সমব সময়ই ধীর লয়ে চলে। কাজের চাপ কম থাকে, হয়তো পরের তুমুল ব্যস্ত মাসগুলোর জন্য প্রস্তুতি। শুয়ে বসে খেতে খেতে ওজন বেড়ে যায় বড্ড।

একটা মাইল স্টোন স্পর্শ করলাম। অস্ট্রেলিয়ায় রক্তদানে ডজন পূরন করলাম। দেশ - বিদেশ মিলিয়ে ৩৬ বার হলো। কোনো এক বৈশাখের গন গনে দূপুরে ধানমন্ডীর আবাহনি মাঠে শুরু, ১৪ এপ্রিলে ক্যানবেরা সেন্টারে ৩৬ তম। কত বিচিত্র কত সুখকর সব স্মৃতি এই রক্তদান নিয়ে। ডেংগি ফিভারের রোগী এক পরমা সুন্দরী তরুনী, ওপেন হার্ট সার্জারীর কুমিল্লার গৌরাঙ্গ স্যার, টিকাটুলীর পানির ট্যাংকের পাশে ঝাপড়া ঘরে বাস করা সেই সাহসী বীর প্রতিক মুক্তিযোদ্ধা। আর কার কার ধমনীতে আমার রক্ত প্রবাহিত হয়েছে জানিই না। পাশের বাসার লিউকেমিয়ায় ভোগা সেই ছোট্ট ছেলেটির মুখ ভসে উঠছে। যে দিন রক্ত দেবার কথা ছিলো সেদিনই মারা গেলো সেই ফুটফুটে ছেলেটি। কস্ট লাগছে মনে পড়ে।

নিজ জন্মদিনে কিছুই করা হলো না, আসলে কখনোই কিছু করা হয় না। তবুও খুবই ভালো লেগেছিলো বউ যখন পোলাও - ঝাল মুরগীর মাংস রেঁধেছিলো, সাথে ঘরে বানানো কেক। আই লাব ইউ মাই ডিয়ারেস্ট লক্ষি বউ ( বাংলিশ করলাম ইচ্ছে করেই ) । কেনো জানি মাঝে মাঝে অর্থ সংকটে পরে যাই, ২২ এপ্রিল জন্মদিনেও এমনটি হয়েছিলো। মাঝে মাঝে এরকম সমস্যায় পড়া উচিৎ। জীবনকে আর ভালোভাবে অনুভব করা যায়।

অনেকগুলো এসএমএস পেয়েছি জন্মদিনে। ফেইসবুকেও অনেক শুভকামনা। সবার ভালোবাসার প্রতিদান এ জনমে কিভাবে দেবো ?

২টি মন্তব্য :

  1. ক্যাম্নে জানি কী কইরা রাখসেন জানি না, তাও এই বোতাম ঐ বোতামে একটু আধটু ক্লিক একদিন করেই ফেলসিলাম, তারপর থেকে আপনি নতুন কিছহু পোস্টাইলেই আমার মেইলে খবর আসে। সত্যি কথাই কই, হাতে সময় কম থাকে বইলা সব পড়া হয় না, মাঝে মাঝে অই মেল থেকেই পড়ে ফেলি, ব্লগে আর ঢুকি না। আজ এই লেখাটা মেলেও পড়লাম, আর কমেন্টানোর জন্যে এখানেও আসলাম।
    শুধু এইটুকু বলার জন্যেই এত্তো ভ্যানতারাঃ-)

    ভালো থাকেন। বিলম্বিত শুভেচ্ছা জাইনেন।

    উত্তরমুছুন
  2. আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করবার জন্য এবং অবশ্যই পড়বার জন্য। মধ্যযুগের কোনো এক লগ্নে আপনি ইমেইলে ফিড সাবস্ক্রাইভ করেছিলেন। সেজন্যই যা কিছু ছাইপাশ লিখি না কেনো সেটা আপনারে ইমেলের ইনবক্সকে ভারাক্রান্ত করে। আপনার ব্লগ কিন্তু আমার পড়া হয়। বিশাল সব পোস্টে হাবুডুবু খেতে ভালো লাগে।
    শুভকামনা।

    উত্তরমুছুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।