রবিবার, ২১ মার্চ, ২০১০

মেয়ে তোমার বয়স কত

জিনিসটা সবার জানে। বাংলাদেশে সবার দুই টা জন্ম বছর থাকে। একটা সার্টিফিকেটে লেখা থাকে, আরেকটা আসল। জন্মদিনও একাধিক থাকতে পারে, যেমন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রি খালেদা জিয়া। উনার ৩ টা জন্মদিন !! যাই হোক আজকের আলোচ্য বিষয় এইটা না।

ছেলেদের জন্মবছর পরিবর্তন করা হয় ভবিষ্যতের (?) দিকে লক্ষ্য রেখে,যাতে কম বয়সে চাকুরিতে ঢুকতে পারে ও বেশী বছর ধরে সেইটা চালায় নিতে পারে। মেয়েদেটা করা হয় বিয়ের বয়সকে লক্ষ্য করে, যাতে বয়স বাড়লেও সংখ্যা না বাড়ে ( পাবলিক কবে মানুষ হবে ?) । এ বিষয়ে পিতা-মাতার সাথে শিক্ষকরাও সরেস ভূমিকা রাখেন।

এক সাথে পড়াশোনা করার সময় দেখতাম সহপাঠীনির বয়সই আমার বা আমাদের চাইতে ২/৩ বছর কম যেনো উনারা ২ বছর বয়সেই ইস্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন !

আমার বাবা এক সময় পুলিশ একাডেমীতে মাস্টারী করতেন। সেটা কোন বছর সেটা মনে নেই। ২১ কি ২২ তম বিসিএস এর প্রবেশনারী এএসপিদের পাসিং আউটের স্যুভিনিরে সবার পরিচিতি দেখে বড্ড মজা লেগেছিলো। ছেলেদের বয়স যেখানে ৩৪-৩৫ এর কোঠায় সেখানে তাদেরই ব্যাচমেট সব মেয়ের বয়স ৩০ পেরুয়নি ! কারো কারো ত আরো কম !!!

এই পোস্টের শানে নজুলঃ
আজকে ফেইসবুকে একজনের ৩০ তম জন্মদিন দেখে হঠাৎই মনে হলো একটা কিছু লিখি। আগামী কাল ১ বছর জুনিয়র সেই মেয়ে ৩০ এ পা দিচ্ছে ( অবশ্য শুভ জন্মদিন জানাই ও নিরন্তর শুভকামনা সেই সুন্দর মানুষটিকে) সেখানে তার সহপাঠীদের বয়স ৩০ পেরিয়ে মধ্য ৩০ এর দিকে হামাগুড়ি দিচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।