শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০০৯

বিজয় দেখেছি - বিজয় পাইনি

বিজয়ের মাস চলছে। ৪ দিন পরই ১৬ ডিসেম্বর।
দেখতে দেখতে ৩৮ টি বছর পার হয়ে গেলো,১৯৭১ -২০০৯। সে দিনের কিশোর ছেলেটি আজ বৃদ্ধ, সেদিনের বৃদ্ধরা সব আকাশের তারা। পত্রিকাতে গৎ বাঁধা লেখা পড়া যাচ্ছে। অনেকেই বিশেষ সংখ্যাও বের করবেন। সেখানে অনেকেই কলমবাজই সেরকম আবেগ নিয়ে লিখবেন, ৭১ এ যাদের অনেকেই ছিলো গর্তের অধিবাসী। কথায় আছে 'মায়ের চাইতে মাসির দরদ বেশী'। অথচ যাদের লেখা উচিৎ তারা লেখেন না, লেখতে চান না , লেখার সুযোগ পানও না। পত্রিকাগুলোর মাঝ পাতায় দয়া করে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের কথা লেখা হয় দয়া করে। কে কোথায় না খেয়ে আছে, কে রিকশা চালাচ্ছেন, কার মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে, কে অর্থ কস্টে আত্মহত্যা করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি সব মন খারাপ করা খবর। কিন্তু তাঁদের ভাগ্য বদলে দেবার জন্য, তাঁদের পাশে দাঁড়াবার জন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানে সব আবেগেই দেখানো আবেগ, যেখানে সব কিছুই ফাঁকা আওয়াজ। দেশে এখনো স্বাধীনতা বিরোধী দালাল রাজাকাররা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আওয়ামী সরকার যুদ্ধাপোরাধীদের বিচার করবার প্রতিশ্রূতি দিয়ে ক্ষমতায় আসলেই বিচার কাজ শুরু করবার জন্য কাজের কাজ কিছুই করছে না। জামাত আমির নিজামীর মতো যুদ্ধাপোরাধীও যুদ্ধাপোরাধকে মিমাংসীত বিষয় বলে এটাকে ইসলাম বিরোধী কাজ বলে সরকারকে হুশিয়ার করে দেয়। সরকার দেখে, সুশীল সমাজ দেখে , আমরাও চেয়ে চেয়ে দেখি। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৩৮ বছর হলো পাকিস্তানীদের জায়গায় বাঙালীরা এসেছে। আগে শাষন-শোষন করতো পরদেশীরা, এখন স্বদেশী। দেশ এগুচ্ছে ধীর লয়ে , যেভাবে এগুবার কথা ছিলো সেভাবে এগুতে পারছে না। গরীব গরীবই রয়ে গিয়েছে, মধ্য বিত্তদের মাঝে যারা সুবিধাবাদী তারা উচ্চ মধ্য বিত্ত বা উচ্চ বিত্তে পরিণত হয়েছে। সারা পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে , আমরা এগুতে পারছি না। আর্থিক ভাবে, পররাস্ট্র নীতিতে সবকিছুতেই আমরা স্বাধীন কিন্তু পরাধীন। হতাশ হতে না চাইলেও হতাশ হতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। ধুর, লিখতেই ইচ্ছে হচ্ছে না। লিখতে লিখতেতো রাত পার হয়ে যাবে, লেখা শেষ হবে না।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।