রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

হাবিজাবি ৬

অনেক দিন কিছু লেখা হয়। সত্য বলতে কি কিছু লিখতেও ইচ্ছে হয় না আজকাল। জীবনটা মনে হয় একটা ইনফিনিটি লুপের মাঝে আটকা পরা। সেই একই কলের গান এক ঘেয়ে সুরে বেজেই চলছে।

রোজার মাস চলছে। সংযমের মাস !! যদিও সংযমের চাইতে অসংযমই বেশী দেখা যায় এসময়টিতে। যার জীবনে প্রতিটি মাসই সংযমের, তার কাছে একটি বিশেষ মাসে কিই বা এসে যায়। রোজা রাখা হচ্ছে না, বলতে কি সম্ভব হচ্ছে না। এসি ঘরে বসে আরাম কেদারায় বসে রোজার মাহাত্ন -ফজিলত নিয়ে অনেক বড় বড় বাতচিত করা যায় কিন্তু কাঠা ফাটা গরমে পিচ ঢালা রাস্তায় যে মানুষটি রিকশার প্যাডেল ঠেলছে সেই বুঝতে পারে রোজা রাখা কত্ত কঠিন কাজ।

শীত কুমারের বিদায় শেষে বস্ত কুমারের আগমন ঘটেছে ডাউন আন্ডারে। দিনে বেশ গরম পরলেও রাতে ঠিকই কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমুতে হয়। দেশ থেকে বউ কাঁথা নিয়ে এসেছে, এবারে সেটার উদ্ভোধন করা হবে। ঈদে প্রথম বারের মতো ছেলেকে নিয়ে নামাজ পড়তে যাবো, ফ্লরিয়াডে যাওয়া হবে গতবারের মতোই। হয়তো ২/১ প্রি মানুষের ঘরে বেড়ানোও হবে । গতবারে ঠিক এ সময়টিতে ছিলাম ২ জন এবার ৩ জন। জীবনে একটু কি পরিবর্তন আসেনি ? এসেছে এসেছে।
গত সপ্তাহে ছেলের জন্য ঈদের কাপড় কিনেছি, এক জোড়া ছোট্ট জুতোও কেনা হয়েছে। পান্জাবি পড়ে বাপ ব্যাটা নামাজ পড়তে যাবো। ভাবতেই অন্যরকম ভালো লাগছে। এত্ত পিচ্চি একটা ছেলের সাথে কোলাকুলি করতে হলে আমাকে মাটির সমান্তারালে নামতে হবে।

আজকের মতো এত টুকুই। লেখা লেখির ব্লকটা ভাঙতে আজকের হাবিজাবি।



কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।