মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০০৯

হাবিজাবি ৫

আজ ভরা পূর্নিমা। মধ্য আকাশে চকচকে সিরামিকের থালার মতো একটি বিশাল চাঁদ উঠেছে। সন্ধ্যে বেলা ওটা ছিল দিগন্ত রেখা বরাবর। তখন ওটা আকারে বেশ বড়ও ছিল।

গত কালও ঠিক এমন বড় আকারের চাঁদ ছিল। সপ্তাহের বাজার শেষে বাসায় ফীরে আসার সময় ভেবেছিলাম আজ বুঝি ভরা পূর্নিমা। পূর্নিমায় মানুষ বলে কবি হয়ে উঠে। আমার অবশ্য তা হচ্ছে না। কবিতা আমার উপরে পরেছে। বাহিরে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখছিলাম। হঠাৎ মনে হলো, চাঁদকে ধরে রাখি ক্যামেরায়। বেশ কয়েকটি স্ন্যাপও নিলাম। হাত অবশ্য কয়েকবার কেঁপেও গিয়েছিলো। অপুটু হাতে পয়েন্ট এন্ড শুটের সস্তা ক্যামেরায় তোলা ছবি আর কতটুকুই ভালো হতে পারে ! তারপরেও চাঁদ বলে কথা।  আমরা যারা এইমুহুর্তে এই চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছি, তারা কি বিনি সুতার মালা গাঁথা ?


অনেক ঠান্ডা পরেছে। এ মুহুর্তে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রাতে আরো কমবে। -৩ ডিগ্রীতে নামবে বলে আবহাওয়ার আধিকারীকরা বলছেন। ভাগ্যিস ঘরে হিটার চলছে। অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত ধনী দেশে যখন লাখো মানুষ ঘর হারা, মাথার উপরে ছাদ নেই - এ শীতে তাদের অবস্থা কল্পনা করে যেমন খারাপ লাগছে তেমনি নিজেকে ভাগ্যবানও মনে হচ্ছে। অন্তত এ শীতে কস্ট করতে হচ্ছে না।

বাসায় কোনো ওভেন ছিলো না। কোনো কিছু বেক বা রোস্ট করে খেতে হলে সেই ইচ্ছেকে শিকেয় তুলে রাখতে হতো। সস্তা একটা পোর্টেবল ওভেন কিনে ফেল্লাম। প্রথম দিনেই বানানো হয়েছিলো প্লেইন কেক, গতকাল ও আজ পিৎজা। পিৎজা বানানো যে এতো সহজ জানা ছিলো না।  লুঙি পরে এক বাঙাল ইটালিয়ান পিৎজা বানাচ্ছে এ দৃশ্য যদি কেউ দেখে তবে নিশ্চয়ই তার পক্ষে হাসী চেপে রাখা কস্ট হবে।

দিনকাল আগের মতোই চলছে। ৫ দিন - ৫ রাতের কামলাময় জীবন। পরিশ্রম করি কিন্তু কস্ট মনে হয় না। একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যই তো এত সব কিছু। ব্যস্ততার জন্য অনেকের সাথেই দেখা করা হয় না, ইচ্ছে থাকা সত্বেও অনেকের বাসায় যাওয়া হয় না, যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। অনেকেই মনে হয় এজন্য আমার উপর খাপ্পা। কিছুই করার নেই, দূঃখিত বলা ছাড়া।

চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে, গানটি শুনতে ইচ্ছে করছে ?


চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে.....

1 টি মন্তব্য :

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।