মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০৯

এটাই নাকি সুবিচার ?


আদালতের বিরুদ্ধে কথা বল্লে নাকি আদালতের অবমাননা হয় ! হায়রে আদালত, যার চোখ বন্ধ, বিবেকও আজ বন্ধ।
"Justice delayed is justice denied " হুহ । যাও বিচার হলো তারও এই পরিনাম ! এটাও নাকি বিচার !!
সরকারি উকিলের উদাসিনতা ! তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়সারা তদন্ত ! স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য দিতে গরিমসি !
শালা সব শুওরের পাল।

এ দুনিয়ায় গরিবের বিচার চাওয়াটাই আজ পাপ। গরিবের আল্লাহ ছাড়া কেউ নাই। আল্লাহও আজ চোখ ফিরিয়ে অন্য কিছুতে ব্যস্ত।

-------------------------
রাহেলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি লিটনের মৃত্যুদন্ড( প্রথম আলো , ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০০৯)
সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক
তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক রাহেলা আক্তার লিমাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোস্তফা দেওয়ান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মৃত্যুদন্ড পাওয়া আসামি হচ্ছে সাভার থানার রেডিও কলোনির আবদুল ওয়াদুদের ছেলে মো. লিটন। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। লিটন পলাতক। সে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণের পর এ রায় কার্যকর হবে।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলো মো. কবির, দেলোয়ার ও ফজলুল হক ওরফে ফজর আলী ওরফে ফজা। তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জঙ্গল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাহেলাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের ২৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মৃত্যুর আগে সে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে রাহেলা বলে, ২০০৪ সালের ২৯ আগস্ট হরতালের দিন রাহেলা তার এক বান্ধবীকে নিয়ে সাভার সেনানিবাসের চিড়িয়াখানা দেখতে যায়। দুপুরে চিড়িয়াখানা দেখা শেষে তার বান্ধবী নিজের বাড়িতে চলে যায়। রাহেলাও হেঁটে নিজের বাড়িতে ফিরছিল। পথে পূর্বপরিচিত লিটনের সঙ্গে দেখা হলে লিটনও সঙ্গে সঙ্গে যায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের কাছে এলে লিটন জোর করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে লিটন রাহেলাকে ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলায় কোপ মেরে ফেলে রেখে চলে যায়। লিটন পরে আবার এসে রাহেলার গলার স্বর্ণের চেইন ও নাকফুল নিয়ে যায়। তিন দিন রাহেলা পড়ে থাকে সেখানে। তার চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। ১ সেপ্টেম্বর সকালে লিটন ও তার সহযোগীরা এসে রাহেলার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে রাহেলার চিৎকার শুনতে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৩ দিন পর রাহেলা মারা যায়।
বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে লিটনের সহযোগী যারা রাহেলার মৃত্যু নিশ্চিত করতে গাঁয়ে আগুন দিয়েছিল, তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

1 টি মন্তব্য :

  1. দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে আর কী বলবেন!
    আমার বাপের বাড়ীতে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি হল। মামলা করা হল, অনেকে ধরা পড়ল। সাহস করে বাসার লোকজন সনাক্তও করে এল। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও হল। দেড় বছর পরের ফলাফল, উচ্চ আদালত থেকে সবাই জামিনে। বিজ্ঞ পিপিসাহেব ডাকাতদের কাছ থেকে মালপানি পেয়ে ডাকাতির ধারা পাল্টে সিঁধেল চুরি করে দিয়েছেন। এখন বাসার সবাই মোটামুটি জানের রিস্কে। দুটো বাচ্চা অবর্ণনীয় মানসিক চাপে থাকে। তাদের খেলাধূলাও ডাকাত-ডাকাত খেলা। গ্রামের সাধারণ মানুষ বা শহরের শ্রমজীবি মানুষের জন্য বিচারব্যবস্থা কদ্দূর কী করতে পারে পুরোপুরি দৈবের উপর নির্ভরশীল।

    উত্তরমুছুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।