সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০০৮

ছবি যখন কথা বলে ( উৎসর্গঃ শহীদ নুর হোসেন)

দেখতে দেখতে ২১ টি বছর কেটে গেলো। বেঁচে থাকলে নূর হোসের বয়স হতো ৪৭ বছর। ২৬ বছরের সেই দূরন্ত ছেলেটি বুকে পিঠে " স্বৈরাচার নিপাত যাক, গনতন্ত্র মুক্তি পাক " শ্লোগান সাদা অক্ষরে লিখে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলো অকুতোভয়ে, সেই ছেলেটে কি আজ অন্য এক জগত থেকে তাকিয়ে দেখছে না তার রক্তের প্রতিদান !

গনতন্ত্র আসলেই মুক্তি পেয়েছে (? !)

ছবিই যখন কথা বলে তখন আর বলার বাকিই বা রইলো কি ?

নূর হোসেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে 

নূর হোসেন (১৯৬১ - ১৯৮৭) বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে স্মরণীয় নাম । ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচার এর বিরুদ্ধে সংগঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন নিহত হন।

নূর হোসেন ১৯৬১ সালে ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহন করেন। পিতা মুজিবুর রহমান ছিলেন পেশায় আটো-রিকশা চালক। অথর্নৈতিক অসচ্ছলতার কারনে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনার পর নূর হোসেন পড়াশুনা বন্ধ করে মোটর চালক হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। নূর হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সারা বাংলাদেশে অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে নূর হোসেন ঢাকায় স্বৈরাচার বিরোধী এক মিছিলে অংশ নেন। প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে বুকে পিঠে সাদা রঙে লিখিয়ে নেনঃ ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। মিছিলটি ঢাকা জিপিও-র সামনে জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি আসলে স্বৈরশাসকের মদদপুষ্ট পুলিশবাহিনীর গুলিতে নূর হোসেন নিহত হন। নূর হোসেনের মৃত্যুতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ফলে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আরোও ত্বরান্বিত হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদ পদত্যাগ করেন।

নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার নামে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া তিনি যে স্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত হন, তার নামানুসারে সেই জিরো পয়েন্টের নামকরন করা হয়েছে নূর হোসেন স্কয়ার।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।