বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০০৮

ক্যাঙারুর দেশে একটি বিষন্ন সন্ধ্যা


বিংশ শতাব্দীর প্রথম কোনো এক সন্ধ্যার গল্প বলতে এসেছি আজ। ঘড়ির কাঁটা কোন ঘরে ছিলো সেটাও না হয় এ গল্পে নাইবা আসলো।
ইমিগ্রেশন-কাস্টমস-কোয়্যারেনটাইনের পুল সিরাত পার হয়ে বের হতেই সিগারেটের তীব্র নেশা কাটাতে এক দৌড়ে বের হয়ে একটা সিগারেট ধরাতেই মনে হয়েছিলো পৃথিবীতে জন্মটাই বৃথা হয়ে যেতো যদি সিগারেটের জন্ম না হতো। বিষের কুন্ডুলি টেনে জন্মের স্বার্থকতা প্রমানের আপ্রান এক চেস্টা।
কন্জুস বন্ধুর মোবাইল টেনে নিয়ে মাকে চিৎকার করে বলা আমি ঠিকঠাক পৌঁছেছি, পথে কোনো সমস্যা হয়নি। বলা হয়নি মায়ের দেয়া সব কাবাবের শেষ ঠিকানা হয়েছিলো আবর্জনার ভান্ডারে।
সিডনীর আকাশটা সে সন্ধ্যায় অন্যরকম ঝলমলে ছিলো। কিন্তু মনটা ছিলো আষাঢ়ের মেঘে ঢাকা গুমোট দিনটির মতো, এই বুঝি আকাশ ভেঙে বৃস্টি নামে।
দীর্ঘ বিমান যাত্রায় শরীর যেনো ভেঙে পড়ছিলো, ইচ্ছে হচ্ছিলো, ইস্‌ ! নরম কোনো এক বিছানায় যদি শরীর এলিয়ে দেয়া যেতো। বন্ধুর বন্ধুর বাসায় বসে আড্ডায় মন বসছিলো না একদমই।
প্রচন্ড ক্ষুধায় প্রিয় গরম গরম ভাতের সাথে ঘন মুগের ডালের বদলে পিজা হাটের সস্তা পিজায় পেট পুজো করতেও ভালো লাগার অনুভূতি জাগেনি।
বাহিরে বের হয়ে আবারো একটা সিগারেট। আকাশের দিকে তাকিয়ে তারাদের কানে কানে বলা, "আমি এসে গিয়েছি"। বলা হয়নি এক অদৃশ্য লুপে আটকা পড়েছে জীবনটা। বলা হয়নি ঝলমলে সিডনীতে হয়তো সুখ মিলবে শান্তি মিলবে ব্যস্ত ধুলোয় ঢাকা ঢাকার মাটিতে।
পরের দিন খুব সকালে উঠেই ক্যানবেরার দিকে ড্রাইভ করতে হবে শুনে আনন্দের রেশ, জানা হয়নি আরেকটা যুদ্ধের শুরু হতে যাচ্ছে বুশ ক্যাপিটালে।

1 টি মন্তব্য :

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।