মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০০৮

হামিদ আলীর স্বপ্ন

হামিদ আলীর স্বপ্নটা অনেকদিনের। বুকের মধ্যে যত্নে লালন পালন করতে করতে শখ তালগাছের আকৃতি লাভ না করলেও সে শখ কখনও পুরন হবে কিনা সে নিশ্চয়তা না থাকলেও হাবিব আলী স্বপ্ন দেখার হাল ছাড়েনি। স্বপ্ন সে দেখেই যায়। স্বপ্ন পুরনের স্বপ্ন।

ভুরুঙামারীর ধরলার তীরে ছোট্ট একটা বাড়ী করার স্বপ্ন তার অনেক দিন। ৩০ বছর আগে সেপাই হিসাবে চাকরি শুরু করবার দিনটির কথা ভাবতে ভাবতে হাঁটতে হাঁটতে থাকে কোনাবাড়ীর রাস্তায়। রাত ৩ টা। সাথে আরো দুই সেপাই। কাঁধের শটগানটা আজ যেনো একটু বেশী ভারী লাগছে।

মানুষের সকল স্বপ্ন পূরন হয়না। হয়তো হামিদ আলীর টাও পূরন হবে না। কিন্তু হামিদ আলী স্বপ্নের কথা ভুলতে পারে না। যতদিন যায় স্বপ্নটা বাড়তেই থাকে। একটা ছোট্ট টিনের বাড়ী, ধরলার তীরে ছোট্ট একটা বাড়ী, সামনে একটা ছোট্ট পুকুর।

স্বপ্ন যখন ভাঙে তখন হামিদ আলি নিজেকে আবিস্কার করে গাজিপুর হাসপাতালের বিছানায়। গতরাতে একদল মানুষ হঠাৎ করে ঘীরে ধরলো চারদিন থেকে। এর পরে আর কিচ্ছু মনে নাই।

হামিদ আলী সাসপেন্ড, গাজিপুর পুলিশ লাইনে ক্লোজ। সুস্থ্য হবার পর পুলিশ লাইনে রাইফেল ড্রিলের পানিশমেন্ট। ৫৩ বছর বয়সে রাইফেল নিয়ে মাঠের চারপাশে চক্কর চক্কর। একজন সেপাইয়ের জন্য এইতো বেশী। চাকরি যে যায়নি সেটাই তার পরম ভাগ্য। আবারো ঘুমে তলিয়ে যায় হামিদ আলী। স্বপ্নে দেখতে থাকে সেই ছোট্ট টিনের বাড়ী।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো, সে যত তিক্তই হোক না কেনো।
পোস্টে মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব একান্তই মন্তব্যকারীর। মন্তব্য মডারেশন আমি করি না, তবে অগ্রহনযোগ্য ( আমার বিবেচনায় ) কোনো মন্তব্য আসলে তা মুছে দেয়া হবে সহাস্য চিত্তে।