রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০০৭

ব্লগীয় সালতামামি ২০০৭

কোন মন্তব্য নেই :
এক বছরের বেশী সময় ধরে সামহোয়্যারইনের "বাঁধ ভাঙার আওয়াজ" ব্লগের সদস্য। ঠিক মনে নেই কি ভাবে এ ব্লগের সন্ধান পেয়েছিলাম, খুব সম্ভবত গুগলের সার্চ করতে গিয়েই! ভালোলাগা থেকেই শুরু। লেগে আছি ব্লগেই হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও।

১।

বাংলায় টাইপ করার কোনরকম পূর্ব অভিগ্যতা না থাকায় প্রথম প্রথম প্রচন্ড সমস্যা হতো। ৩ শব্দের এক বাক্য টাইপ করতে সময় লাগতো ৩ মিনিট। হাঁটি হাঁটি পায়ে পায়ে শুরু করলাম লেখা। এ সময় বেশ সাহায্য পেয়েছিলাম ব্লগার এস এম মাহবুব মুর্শেদের কাছ হতে। তার উদ্ভ্রান্ত ইয়াহু থেকে বিশাল এক মেইল পেয়েছিলাম যা অনেক কাজে এসেছিলো। অনেক কৃতগ্যতা মামুর কাছে।
প্রথম পোস্টের প্রথম কমেন্ট ছিলো শাওনের কাছ হতে, যা পরে অতিথি হয়ে গিয়েছিলো সামহোয়্যারইনের ইউনিকোড কারসাজিতে। কৃতগ্যতা শাওনের কাছ হতেই। শাওনের হাত খুলে লিখে যাবার আহবানে সারা দিতে গিয়ে হাত-পা-মুখ খুলে সেই যে লেখা শুরু করলাম, সে লেখা চলছেই। মাঝে সাজে ব্যক্তিগত-পেশাগত-পড়াশোনা-সাংসারিক ব্যস্তাতায় লেখার চেষ্টা কমে গেলেও বন্ধ থাকেনি।

২।

ব্লগের মাধ্যমে অনেকের সাথেই পরিচিত হবার সৌভাগ্য হয়েছে যা ব্লগের না আসলে কখনই সম্ভব হতো না।
জামাল ভাস্কর, মৌসুমের মতো সাহসী ও সাদা মানুষকে পেয়েছিলাম ব্লগের মাধ্যমেই।
প্রত্যুৎপন্নমতিত্য এবং তিমুরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ব্লগের মাধ্যমেই, ব্লগের মাধ্যমেই বন্ধুত্বের সুচনা যা ব্যক্তিগত জীবনেও বন্ধুত্বের সূচনা করেছে।
শুভ ভাইয়ের মমতা-ভাতৃত্ব-ভালোবাসার সন্ধান পেতামই না যদি ব্লগে না আসা হতো।
গুরু আরিফ জেবতিকের স্বেচ্ছা শীষ্যত্ব গ্রহনও ব্লগের মাধ্যমেই।
ঝড়ো হাওয়ার বাসায় গিয়ে মমতা-ভালোবাসার আঘাতে জর্জরিত হবার সৌভাগ্য হতো না ব্লগে না আসলে।
ভাস্করদার বাসায় রাগইমনের সাথে সামনা সামনি দেখা করার সৌভাগ্য-দূর্ভাগ্য দুটোই হয়েছে, মনে হয়েছে ভদ্রমহিলা খোলা মেলা মনের হলেও মাথায় কিন্চিত সমস্যা আছে।
ব্লগ জীবনের প্রথম অংশগুলোতে কৌশিকদার গালা-গালীতে জর্জরিত হতে হলেও সেই মানুষটির হাস্যজ্বল আচরনের সাথে পরিচিত হতে পারতাম না ব্লগে আসলে।
অন্ধকার ভাইয়ের সাথে দেখা হবার সৌভাগ্য ব্লগের মাধ্যমেই। আজিজের অন্তরে উনার সৌজন্যে পেটপূজা বা শর্মা খাবার কথা ভুলো কি ভাবে? ত্রিভুজ ছাগলের সাথে পরিচিত হবার সময় আবিস্কার করলাম দুপেয়ে একজন কিভাবে ব্লগে ছাগলের মতো আচরন ও লেখা লেখি করতে পারে। আস্তমেয়ের সাথে পরিচয় ব্লগে, সামনাসামনি দেখাও হয়েছে। তাকে দেখে অবাক হয়েছি একজন মানুষ কিভাবে ইসলামকে জামাতে ইসলামীর সাথে গুলিয়ে ফেলে এবং কিভাবে বিভ্রান্ত হয়ে যায় !! ছোট বোনের মতো দেখি আস্তকে,যদিও তার রাজনৈতিক চেতনার সাথে আপোষ করার দূর্ভাগ্য কোনোদিনই হবে না।
মাশা, আবু সালেহ, জানতে চাই, মাশিদের সাথে পরিচিত হলেও আলাপ করা হয়নি।
ফয়সাল আরেফিন "অণৃন্যের" সাথে দোস্তালী থাকলেও তার সাথে দেখা করতে পারিনি দোস্তের কোন এক অজানা কারনে।
আড্ডাবাজের সাথে দেখা করার থাকলেও উনার ডিগবাজীতে সেটা সম্ভব হয়নি।
অনেক শখ ও স্বপ্ন ছিলো বিষন্ব মানব নাজমুল আলবাব মামুর সাথে দেখা করার জন্য সিলেট যাবো, সম্ভব হয়নি। মনের টান যখন রয়েছে তখন ইনশাল্লাহ দেখা হবেই মামু ও উনার বাবাইয়ের সাথে।
আর অনেকের সাথেই আলাপ আছে মেসেন্জারে, ঘনিস্ঠতা হয়নি।
অনেকের সাথেই ফোনালাপ হয়েছে , যেমন; জ্বীনের বাদশা, ইরতেজা।

৩।

ব্লগে আসা মুলত বাংলার প্রতি পাগলপরা টান থেকেই। বাংলা লেখা ও পড়া থেকে দূরে থাকার যুগের বেদনা কিছুটা হলেও দূর করেছে বাঁধ ভাঙার আওয়াজ ব্লগ। ব্লগে মুলত লেখেন শখের অপেশাদার লেখকরা (যারা ব্লগার হিসেবেই পরিচিত হতে ভালোবাসেন ) যাদের অনেকেই প্রবাসী। দেশে বসেও অনেকেই লিখছেন। মনের যা আসে তাই লেখার চেষ্টা করেছি। হয়তো আনাড়ী সব লেখা মানোর্ত্তীন্ন হয়নি, তবুও নিজের স্মৃষ্টিতে নিজেই মুগ্ধ হয়েছি।



চার



অণৃন্য, বিপ্লব রহমান, মাসুম ভাইয়ের জীবন্ত সংবাদ প্রবাহ যেমন তাৎক্ষনিক সংবাদ পেতে সাহায্য করে ঠিক তেমনি আরাফাতুলের হেবো গল্প বেশ মজা দেয়।
তবে ব্লগে তথ্যবহুল লেখার প্রচুর অভাব লক্ষ্য করেছি। তারপরো অনেক লেখা পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে যা ব্লগে না আসলে কখনই সম্ভব হতো না।
আরিফ জেবতিক, শুভ ভাইয়ের আষেগময় কিন্তু কঠিন যুক্তিময় লেখাগুলো পড়তে পেরেছি। ভ্যালেরি মুভমেন্টের সময় আরিফ জেবতিকের লেখা ও নেতৃত্ব মনে থাকবে অনেক কাল।
জামাল ভাস্কর সম্ভবত ব্লগের একমাত্র বামপন্থি, ‌উনার অনেক লেখাই মাথার উপর দিয়ে গেলেও ভাবার প্রেরনা যুগিয়েছে প্রতিনিয়ত। রাজনীতি ও সমাজ নিয়ে উনার স্পস্ট অবস্থান ও কথন ভালো লেগেছে। প্রথম অবস্থায় একবার রাপাং খাপু নামে এক ব্লগারের সাথে উনার বিতর্ক উপভোগ করেছি অনেক।
পিয়াল ভাই এবং হাসান মোরশেদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা তথ্যবহুল লেখাগুলো সবসময় নিজের চেতনাকে জাগ্রত করতে সাহায্য করেছে। তবে মতের মিল না থাকায় এদের অনেকই আমাকে জামাতপন্থি বা সন্দেহভাজন বা মোল বলেছেন যা নিজেকে অনেকটুকুই আহত করেছে ( সম্ভবত এ ধারনা উনারা এখনো ধারন করেন !)।
তীরন্দাজ ভাইকে আমার প্রচন্ড সাদা মনের, বাস্তবমুখী , সাহসী ও সচেতন ব্লগার বলে মনে হয়েছে, যা তার ভক্তে পরিনত করেছে।
কৈশরের স্বপ্নের লেখক মাসকাওয়াথ আহসানকে ব্লগে পেয়ে কৈশরকে ফীরে পাই প্রতিনিয়ত।
সাদিকের কিছু লেখা ভালো লাগলেও তার কিছু লেখা তার অপরিপক্কতার প্রমান করেছে।
পাগলা হোসেইনের স্পস্ট বচন মুগ্ধ করে প্রতিনিয়ত। আমি যে তার এক ফ্যান সেটা মনে হয় সে জানে না ! আজ জানালাম।
ফাহমিদ ভাইয়ের পুরাতন লেখাগুলো নতুন করে পড়ার সৌভাগ্য হচ্ছে।
মিরাজ ভাইয়ের লেখা পড়ছি।
ডটেড রাসেলের রাসেলের লেখক ক্ষমতায় মুগ্ধ হই যদিও এই মানুষটি ব্লগ জীবনের প্রথম অংশে নোংড়া গালাগালী করে কস্ট দিয়েছিলো অনেক যা কখনই ক্ষমা করতে পারবো না। ডটেড রাসেলের মাঝে লেখক ক্ষমতায় ইর্ষান্বিত হয়েছি সব সময়ই, তবে এ প্রতিভাকে মনে হয় সে নিজেই ধ্বংশ করে ফেলছেন।
কৌশিকদা বা আড্ডাবাজের লেখা স্বভাবসুলভ মধ্যবিত্ত সুলভ। সময়ে আগুন ঝড়ালেও সেটা সময়মতোই গর্তে লুকিয়েছে। জলপাই শাষনের প্রারম্ভে আরিফ জেবতিক বা জামাল ভাস্করের স্পস্ট অবস্থান দেখা গেলেও আড্ডাবাজ বা কৌশিকের মতো ব্লগারকে চুপ মেরে থাকা অবাক করেনি।
মুখফোরের লেখাগুলো আসলেই মারাত্মক তবে মুখফোরের পেছনের লেখককে কেনো জানি ভালো লাগেনি কখনই।
সুমন চৌধুরি ওরফে সাধক শংকুর রাজনৈতিক লেখার সাথে সাথে বিভিন্ন রসালো রেসিপি আমার মতো খাদ্য প্রেমিককে প্রেমায়িত করেছে। অপবাকের উপন্যাস আকৃতির রাজনৈতিক বিশ্লেষন পড়লেও ভালো লাগেনি, বড্ড একঘেয়ে।
ব্লগের সিরিয়াস ব্লগার রেজওয়ান ভাইয়ের ব্লগ সবময়ই ফলো করেছি ও করবো।
ব্লগার চোরকে দারুন মিস করি। ভালোলাগা-অপছন্দ-ভালোবাসা মেশানো এক ব্লগার। চোরের লেখাম কমেন্ট, কবিতা, তীব্র কিন্তু সরস কমেন্টগুলো ব্লগের সম্পদ হয়ে থাকবে। ‌উনিও ব্লগে ছেড়ে চলে গিয়েছেন তবে অন্য নামে কমেন্ট করেন বলে আমার ধারনা। ব্লগ একটি নেশা !!
আরেক সরস কিন্তু আগুন ব্লগার ধূসর গোধূলীকে মিস করি প্রতিনিয়ত।
আরো অনেকেই ব্লগ থেকে চলে গিয়েছেন, যাদের খুব একটা মিস করি না।

আস্তমেয়ের লেখক ক্ষমতা বা প্রতিভায় মুগ্ধ হলেও তার বিভ্রান্ত ধারনা দেখে অনেকসময় রেগেছি। ইসলামকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে জামাত প্রীতি মানতে পারিনি কোন সময়ই। তার লেখাকে অনেকসময়ই অন্যের দ্বারা লেখা মনে হয়েছে বিশেষ করে রাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে লেখাগুলোকে। মাঝে মাঝে অবাক হই একজন মানুষ এতো প্রমান, এতো যুক্তির পরও কিভাবে অন্ধভাবে জামাতকে সমর্থন করেন। আল্লাহ উনার হেদায়েত করুন।

ত্রিভুজ , আশরাফ হোসেন , বিজলীর খড়ি বা ফজলে ইলাহীর মতো জামাতী ভন্ড, নব্য রাজাকারদের লেখা পড়তে না চাইলেও পড়েছি। ভাঙা কলের গানের মতো মিথ্যাচার পড়তে না চাইলেও শত্রুপক্ষের কথা জানতে সে সব পড়েছি ও কিছু ক্ষন পর পর টয়লেটে গিয়ে থুথু ফেলে এসেছি। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন।

পাঁচ

সাহিত্যের প্রতি অনাগ্রহ মূলত ব্লগের কবিতা-গল্ল-উপন্যাসের প্রতি তেমন একটি আকর্ষন করে না।
তারপরো নজমুল আলবাব, আনোয়ার সাদাত শিমুলের লেখা সবচাইতে বেশী টেনেছে, ব্লগের প্রিয় লেখক উনারা। জানা কিন্তু অজানা কারনে এরা আর লেখেন না এখানে।
অমিত আহমেদের লেখা পড়েছি, কোনটা দারুন, কোনোটা ভালো লেগেছে আবার কোনোটাবা মোটামুটি। অন্যতম পছন্দের লেখক।
মোহাম্মদ জুবায়েরর লেখা পড়েছি, তবে মাঝে মাঝে তা এতো ঝুলে গিয়েছে যে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছি।
হাসান মোরশেদের লেখা তেমন একটা আকর্ষব করেনি, যদিও উনার লেখনির স্টাইল অনুসরন করার চেষ্টা করি আমি।
মাহবুব মোরশেদের লেখা পড়েছি তবে সবগুলো ভালো লাগেনি। পোমো প্রজন্মের লেখা বলেই হয়তো !
পথিকের কবিতা বা রাগ ইমনের পাগলামী উপভোগ করতে পারি নাই।
শেখ জলিল ভাইয়ের সাথে পরিচয় উনার লেখার প্রতি আকৃষ্ট করেছে। অনেক মায়া নিয়ে উনি লেখেন।
ব্রাত্য রাইসুকে ক্ষেপানো খুব সহজ বলে উনাকে ক্ষেপিয়ে মজা পেয়েছি অনেক তবে ‌উনার কবিতা মিস করিনি।
মাশার লেখা দারুন লাগে, তবে আজ কাল উনি আর লেখেন না ব্লগে।‌

আমি যাদের কথা বলছি তার মুলত প্রথম দিককার লেখক/ব্লগার। নতুন অনেকেই এসেছেন যাদের লেখা পড়ি তবে তাদের কথা আসবে আগামী বছরে।


ছয়
সামহোয়্যারইন ব্লগে ব্লগিং শুরু করার আগে মুলত ব্লগিং করা হতো না। ব্লগস্পটে যা কিছু ছিলো তা মুলত দিনলিপি যা ইংলিশেই লেখতাম। সামহোয়্যার ইনে সন্ধান পাবার প্রথমদিকটায় মুলত পড়া হতো বেশি। ব্লগিং সম্পর্কে ছোট্ট কিন্তু দারুন এক উপকারী কিছু টিপস ছিলো শোহাইল মোতাহির চৌধুরির ব্লগে। সেটা এখনো অনুসরন করি।
সবার লেখাই পড়তাম, এখনো পড়ি। যখন লেখা শুরু করলাম তখন কমেন্ট পেতে খব ভালো লাগতো, এখনো লাগে। তবে ব্লগে কিছু ব্লগারকে দেখতাম সবার ব্লগে কমেন্ট না করতে " গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল জাতীয় নাক ঊঁচু ব্লগার"; এটা এখনো দেখা যায়।
অনেকসময়ই কমেন্টগুলো মুল পোস্টের চাইতেও সমৃদ্ধ হয়ে যায়। পোস্ট - কমেন্ট যোগ করে দারুন একটা ব্যাপার । বাঁধ ভাঙার আওয়াজ ব্লগের মুল আকর্ষনই সম্ভবত কমেন্ট বা মিথোস্ক্রিয়া। সেটা অনেক সময়ই ভব্যতার সীমা ছাড়িয়ে যায় । সেটা অতীতেও ছিলো এখনো আছে। মুলত কমেন্ট - পোস্ট পড়ে একজন ব্লগারের মনন- নীতি- আদর্শের অনেকটুকুই ধারনা পাওয়া যায়। একজন মধ্যবয়স্ক লোক যখন

শর্ষেই মাঝেই যে ভুত

২টি মন্তব্য :
বেশ অনেক বছর আগের কথা। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে , পরেরজন শুশুরবাড়ী ও অন্যরা স্কুলে। ঢাকায় ছোট্ট একটি ভাড়া বাসায় সবাই মিলে মিশে থাকছি। বাবা পেটের তাগিদে বৃহত্তর ফরিদপুরের ছোট্ট এক জেলায়, মা সংসার সামলান।

২ মহিলার একজন ক্ষমতায়।
পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে এলাকায় যাবেন।
বাবা ছিলেন জেলা টিকটিকিদের সর্দার। এলাকায় তুমুল ব্যস্ততা। এসএসএফ,ডিএফআই,এসবি,এনএসআই এর ব্যস্ততা। এলাকা সরগরম। পিজিআর এর সুইপিং শেষ, সব কিছু ঠিকঠাক। সবাই প্রতিক্ষায়।
প্রধানমন্ত্রি আসছেন।

এদিকে চায়ের দোকানের মালিক পুকুরের পানিতে খুঁজে পেলো নিরীহ কিছু তার।
কান টানলে মাথা আসে, তার টানতে আসলো বোমা।
দুবার সুইপিং করেও পিজিআর কিছু পেলোনা !!
এতো এতো ওয়াচারের মাঝেও কিভাবে সম্ভব? তাহলে কি শর্ষের মাঝেই ভুত?

এসএসএফ এর কিছু অফিসারের কোর্ট মার্শাল, জলপাইয়ের প্রবল চাপে তাও প্রহসনে পরিনত।
এদিকে টিকটিকিদের অবস্থা ত্রাহিত্রাহি। হরকতুল জিহাদের মুফতি হান্নানের কারখানা থেকে জংধরা রিভলভার, কিছু তার উদ্ধার। বাবাকে টানা দুবছর টেবিল-চেয়ার ছাড়া ঘুড়তে হোলো, আধা বেতনে। এখনো প্রমানিত হয়নি আসলে কে ছিলো সে ঘটনার আড়ালে। অনেক কিছু বলা গেলেও বলা আর হয়ে উঠে না।

২০০৪ সেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রির উপর গ্রেনেড হামলা, বেঁচে গেলেন। এবারো প্রমান হোলো না কে আছে এসবের পেছনে। তদন্ত চলছেই....পাকিস্তানে বেনজিরকে হত্যাকরা হোলো আত্মঘাতী বোমায়। পেছনের কারা আছে সেটা প্রমানিত হবে না কোনদিনই কিন্তু জানা আছে কারা আছে পেছনে।

সত্যকি অধরাই রয়ে যাবে?
নাকি শর্ষেই মাঝেই যে ভুত?
কতকিছু জানা, জানানো আর হয়ে উঠে না।

ঈদ কাহানী

কোন মন্তব্য নেই :
বিবাহপুর্ব - বিবাহ পরবর্তী জীবনের মাঝে আকাশ পাতাল বুঝতে পারছি।
আগে অর্ধ ভুক্ত থাকতাম , এখন পেট পুড়ে খেতে পারি;
জামা কাপড় ইস্ত্রি কাকে বলে সেটা জেনেও জানতাম না, এখন জামা কাপড় ইস্ত্রি করতে হয়;
পি.সির সামনে বসে টেবিলে পা তুলে মহা আনন্দে সিগারেট টানতে পারতাম, এখন বাহিরে গিয়ে টানতে হয়।
মাঝে মাঝে কস্টের আনন্দে গেয়ে উঠি " আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম........ "

বাসে একাকী অনেকগুলো ঈদ করতে বাধ্য হলেও এবারে দুজনে টানা দুবার ঈদ করলাম।
এবারের ঈদ টাও দারুন হোলো। গতবারের মতো তাড়াহুড়ো করতে হয়নি, পান্জাবি-পাজামা তৈড়িই ছিলো।

সকালে উঠেই নামাজ পড়তে গেলাম, একাই। বউ বেচারীকে সার্জারীতে যেতে হয়েছিলো।
নামাজ শেষে সুন্দরী সুন্দরী লেবানিজ -টার্কিশ মেয়েদের দেয়া ইয়াম্মি সব মিস্টি মিস করবে না কোনো বেকুবই। মিস্টির সাথে মেয়ে ফ্রি। ভাগ্যিস সাথে বউ ছিলো না। আমি আবার খেতে দারুন ভালোবাসি। আলহামদুল্লিলাহ, প্রত্যেকটা মিস্টিই ট্রাই করেছি। তবে কোলাকুলির সুযোগ হয়নি। জীবনে আরেকটা আফসোস রয়েই গেলো।

বিকেলে সাউথ কোস্টে গেলাম এক বন্ধুর সাথে। "বেটমেনস বে" বলে ছোট্ট একটি শহড়। টানা ২ ঘন্টার ড্রাইভ। রাস্তা দারুন হলেও অসংখ্য আঁকা বাঁকা ও বিশাল সব পাহাড় টপকানো, সাথে তুমুল বৃষ্টি , কিছু রাস্তা হাড়ানো।
রাস্তার আশে পাশের দৃশ্যগুলো অসাধারন। বিশাল বিশাল র‌্যান্চ , কোনোটা গরু - কোনোটা বা ভেড়া। মাঝে মাঝে ছোট্ট কিছু শহড়। সিনেমায় দেখা ওয়েষ্টার্ন শহড়গুলোর মতোই।

বৃষ্টির জন্য বেটমেনস বে তে বেশীক্ষন থাকা সম্ভব হয়নি, ফেরার তাড়া ছিলো। ৬০০ কিলোমিটার ড্রাইভ করে বাসায় যখন পৌঁছুলাম তখন রাত ১০ টা, চরম ক্লান্ত।
মাঝে এক কান্ট্রি ষ্টেশনে কফি বিরতি।

ঈদের পরেরদিন এক বন্ধুকে দাওয়াত খাওয়ালাম। পোলাও-মুরগির রোস্ট- রুই মাছ ভাজা এবং ছাগলের মাংস। আমার রান্না করা ছাগলের মাংস নাকি দারুন হয়েছিলো !! জনাব, আমার ঢোল আমি পিটাচ্ছি না, এটা জনগণের দেয়া সার্টিফিকেট। ভাবছি; ব্লগের ছাগলগুলো মাংস কিভাবে রান্না করবো !! ভুনা না রেজালা না কাবাব?

ক্যানবেরায় ওপেন হাউস বলে একটি বিষয় চালু আছে। ওয়েব সাইটে ওপেন হাউস লিস্ট দেয়া হয়। সবাই লিস্ট ধরে বাসায় বাসায় ঘুরে বেরায়, পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে। এমনি এক ওপেন হাউসে আজ এক আংকেলের বাসায় বেড়াতে গেলাম স্বস্ত্রীক। অনেকের সাথেই দেখা হোলো, তবে বাসায় ঢুকেও চোখ চলে গেলো যথারীতি খাবারের টেবিলের দিকে। বিশাল আয়োজন। খাবার টেবিলে গিয়ে হামলে পড়লাম, কতটুকু খেয়েছিলাম মনে নেই। বিকেলে বাসায় আসার আগে আংকেল বললেন আমি নাকি কিছুই খাই নি। অনুরোধের ঢেঁকি গিলে আমি আবার তিন প্লেট খেলাম। গুনেছি, সব মিলে ১২ পদ ছিলো। বাসায় এসে দেখি পেট ফুলে ঢোল।

সামনে আরো কিছু দাওয়াত আছে। ব্লগার অমিত আসছেন ক্যানবেরায়, ক্রিসমাস পার্টি, ৩১ এ সিডনী ভ্রমন, সেখানে কিছু দাওয়াত। অনেক দাওয়াত অনেক খাবার।‌

চিন্তায় আছি অনেক। সম্ভবত ভুঁড়ি বাড়ছে।

রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৭

বিজয় দিবসের ডেবিট ক্রেডিট

কোন মন্তব্য নেই :
বছর ঘুরে আরেকটি বিজয় দিবস।প্রতিটি বিজয় দিবসেই হিসেবের খাতা খুলে বসি; কি পেয়েছি ,আর কি পাইনি। হিসেবে খাতায় না পাওয়ার পরিমাণটাই বেশী। লাল সবুজ পতাকা - স্বাধীন দেশ হয়তো অনেক বড় পাওয়া। তারপরো অনেক হিসেব বাকী রয়ে যায়।ফাইনাল একাউন্ট মেলাতে পারি না। ডেবিট-ক্রেডিটের হিসেব মেলানো আর হয়ে উঠে না।

চোখে রঙিন চশমা পরে দেশকে রঙিন দেখতে চাই, ভুলে যাই দেশের সেই সব সাধারন নাগরিকদের কথা যারা দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে স্বাধীনতার ৩৬ বছর পরও। পোশাকে সুগন্ধি ঢেলে দেশের দূর্গন্ধ ঢাকতে চাই, ভুলে যাই বস্তিবাসী সেই সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের কথা যারা একবেলা খাবারের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে একমুঠো ভাতের জন্য জীবন সংগ্রামে ব্যস্ত।

ভন্ডামীর লেবাস ধরে নিজেকে সুখী প্রমানিত করতে চাই, বস্তি উচ্ছেদ করে শহরকে সুন্দর দেখাতে চাই।

মুক্তবুদ্ধি-মুক্তমনার কথা বলে কবিতা লিখি, সমাজ পরিবর্তনের কথা বলে গলা ফাটাই কিন্তু ভুলে যাই সেই সব সাহসী সন্তানদের কথা যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।

সংবর্ধনার নামক প্রহসনে একটি কাগজের টুকরো বা নীলক্ষেত থেকে বানানো ৫০ টাকা মেডেল গলায় পড়িয়ে দিয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভুগি, পরমুহুর্তেই ভুলে যাই কি অবস্থায় আছে সেই সব সন্তান হারা - স্বামী হারা মা-বোনেরা।

রাজনীতি জন্য, মুক্ত বুদ্ধির ব্যবসার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করি। ক্ষমতা যাবার অস্ত্র হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা-মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহারকারী। আজকাল মুক্তিযুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে মুক্তবাজার অর্থনীতির হাতিয়ার হিসেবে।

স্বাধীনতার বিনিফেসিয়ারী হিসেবে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করি। নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সৈনিক হিসেবে দাবী করি। আবার পত্রিকার পাতায় যখন নিউজ আইটেম হিসেবে ৭১ এর কোনো সাহসী সন্তানের জীবন সংগ্রাম বা অনাহারের খবর ছাপা হয় তখন বিবেক এক ঘন্টার জন্য জাগ্রত হয়। লিখে ফেলি কোন কলাম-ব্লগ বা কবিতা। সময়ে সেটাও ভুলে যাই। উহ্ আহ্ করে কস্ট অনুভব করি। কষ্ট বিলাস!

যুদ্ধাপোরাধীর যখন জাতীয় পতাকা লাগানো গাড়ি হাঁকিয়ে যায় চেয়ে চেয়ে দেখি। বিচার দাবী করি যুদ্ধাপোরাধীদের। আবার সুবিধাবাদীর মতো এদের সাথে বসেই আন্দোলনের রুপরেখা তৈড়ি করি, ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপোরাধীদের বিচারের কথা ভুলে যাই। ক্ষমতা হাড়ালে ক্ষমতার লোভে - রাজনীতির চালে দাবী করি বিচারের। সময়ে সেটা আবারো ভুলে যাই। রাজনীতির ঘেরাটোপ থেকে বিবেককে মুক্ত করতে পারি না। একটুও সাহসী হতে পারি না।

প্রতিটি বছর ঘুরে ২৬ শে মার্চ আসে, ১৬ ডিসেম্বর আসে। আমাদের শীত নিদ্রা ভাঙে। আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি কলম যুদ্ধে। কিন্তু পাশে এসে দাঁড়াই না জীবন সংগ্রামে পরাজিত মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে। একজন সাহসী সন্তানের পরাজয় যে আমাদেরই পরাজয় সে ধ্রুব সত্য ভুলে যাবার ভন্ডামী করি।

আজকাল বিজয় দিবস-স্বাধীনতা দিবস যেনো হয়ে গিয়েছে বানরের রুটি ভাগ করার মতো। আওয়ামী লীগের স্বাধিননতার কাহিনী শুধুই বংগবন্ধু কেন্দ্রিক, বিএনপির মেজর জিয়া কেন্দ্রিক। আমরা নিজেদের মতো ইতিহাস রচনা করি। মাঝ খান থেকে ইচ্ছে করেই চেপে যাই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিগুলোর কথা। দুধ কলা দিয়ে সাপ পুষি আমরা। জামাতকে আন্দোলনের সংগী বানাই, সরকারের অংশীদার বানাই। দুধ কলা দিয়ে পোশা সাপ যে আজ পূর্নবয়স্ক সাপ, ছোবল মারা জন্য ফোঁস ফোঁস করছে সেটা দেখেও দেখি না।অবাক হতেও হই না । এটাই নিষ্ঠুর পরিনাম।

কালসাপকে আঁতুর ঘরেই মেরে ফেলার চিরন্তন সত্য আমরা ভুলে গিয়েছিলাম। রাজাকার-আলবদর-আল শামস-শান্তি কমিটির পান্ডাদের হাতের অস্ত্র উদ্ধার না করে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র নিয়ে নিয়েছিলাম। সংক্ষিপ্ত আদালতের মাধ্যমে বিচার না করে আমরা সেই সব স্বাধীনতা বিরোধীদের সুযোগ করে দিয়েছিলাম দালাল আইনের মতো হাজারো ফাঁকওলা আইনের সাহায্য নেবার। শুধু আইন তৈড়ি করলেই হয় না , সে আইনের শক্ত-দৃড় প্রয়োগ থাকতে হয়। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ - ১৫ অগাস্ট এ সময়টুকুতে আমাদেরই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা সত্বেও স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার কতটুকু করতে পেরেছিলো সেটা ভেবে দেখতেও দেখি না। জেনারেল জিয়া এসেতো শুরু করলেন গনতন্ত্র প্রতিস্থার নামে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুর্নবাসন। একে এক সরকার পরিবর্তন হয়েছে। পূর্নবাসন চলেছে। সেই পুর্নবাসীত কালসাপ আজ প্রতিস্টিত অপশক্তি, ছোবল দেবার জন্য প্রতিক্ষায়। আমরা চেয়ে চেয়ে দেখি।

স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপোরাধী যে কালসাপকে আমরা দুধ-কলা দিয়ে পুষেছি সেই কাল সাপ আজ যৌবন জ্বালায় জ্বলছে। তারা মহাসুখেই আছে। তারা আজ প্রতিষ্ঠিত শক্তি।

মুক্তিযুদ্ধের বিনেফিসিয়ারী হিসেবে আমি বা আমরাও মহাসুখেই আছি। আমাদের খড়ের কুঁটির আজ প্রাসাদ হয়েছে, সাইকেল হয়েছে দামী বিএমডব্লিউ, কেরানী থেকে আমরা সেক্রেটারী হয়েছি।

কিন্তু সুখে নেই ৭১ এর সেই সব সাহসী সৈনিকরা যারা জীবন সংগ্রামে পরাজিত সৈনিক।‌ তাদের ভিক্ষার থলের সামনে দিয়েই সদর্পে মিছিল করে যায় ৭১ এর পরাজিত কালসাপরা, পতাকা উড়িয়ে গাড়ি হাঁকায় আল বদর প্রধান, তারা চেয়ে চেয়ে দেখে, অক্ষম ক্রোধে বিক্ষুব্দ হয়, আবারো ভুলে যায় পেটের আগুন নেভানোর সংগ্রামে। তাদের সন্তানদের হতে হয় আমাদের কারখানার শ্রমিক। তাদের মেয়েদের হতে হয় আমাদের শয্যাসংগীনি। আমাদের সুখের বিনিময়ে তারা বেছে নিয়েছে দূঃখ।

যে জাতি তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান দিতে জানে না সে জাতি একটি ভন্ডা জাতি। আর আমি সেই ভন্ড জাতির ভন্ড নাগরিক।

বস্তির অন্ধকার ঘরে যেই সাহসী যোদ্ধার আগুন চোখ জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকে আরেকটি ৭১ এর প্রতিক্ষায়, আর আমরা বাকার্ডি হাতে চিয়ার্স বলে হেঁকে উঠি বিজয় দিবস উদযাপনে।
জয়বাংলা
--------------------------
আমার এ লেখাটি জীবন সংগ্রামে পরাজিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য নিবেদিত যাদের কথা পত্রিকা ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যায় না।
ক্ষমা চাই হে সাহসী মানব।

শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৭

বুঝিয়া বলিও, বলিয়া বুঝিও না বন্ধু আমার - শত্রু আমার

কোন মন্তব্য নেই :
মোহাম্মদ বিড়াল আর টেডিবিয়ার মোহাম্মদ,
বাংলাদেশ থেকে সুদান। ধর্মানুভূতিতে আঘাত,
ধর্মান্ধদের উম্মাদনা, সাধারন মানুষের কষ্ট , আঁতেলের আঁতলামী, সাইক্লোপের মানবতার বাণী।
চক্রাকারে চলছেই।

এটাকি ঠিক নয় যে, মুসলমানদের কাছে মুহাম্মদ(সাঃ) একজন পরম সম্মানীয় মানুষ। উনাকে নিয়ে যখন কোনো রকম বাজে কমেন্ট করা হয় বা মজা করা হয় সেটাতে হয়তো উনার সম্মান কমে যায় না তবে উনাকে যারা সম্মান করেন ও পছন্দ করেন তাদের মনে কষ্ট লাগে, আবার কারোবা ধর্মানুভুতীতে আঘাত হানে।

আমার লেখার উদ্দেশ্য ধর্মানুভূতীতে আঘাত হানে কি হানে না অথবা এতে উনার সম্মান কমে যায় কি যায় না, সেটা নয়।
লেখার ‌উদ্দেশ্য , যারা বলেন তারা কি ভেবে বলেন না উদ্দেশ্যমুলক ভাবে বলেন !!

ভ্যাটিকানের পোপ যখন মুসলমাদের নিয়ে বাজে কমেন্ট করেন (আমার ব্যক্তিগত মতামত) তখন কি মনে হয় কি উনি ভুলে গিয়েছিলেন তার বক্তব্য মুসলমানদের অনুভুতীতে আঘাত হানতে পারে?
ডেনমার্কের কার্টুনিস্ট যখন মুহাম্মদ(সাঃ) কে নিয়ে ব্যাংগ কার্টুন আঁকেন তখন কি জানতেন না এটা মুসলমানদের ধর্মানুভুতীতে আঘাত হানতে পারে ?

যখন বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের নিয়ে বাজে কমেন্ট করা হয় মুক্তবুদ্ধি বা বাক স্বাধীনতার নামে তখন ঠিন একই যুক্তি নিয়ে কি মানবতার বিরুদ্ধে বা অন্য কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে ( যেমনঃ ইহুদি ) কথা বলা যাবে? যদি বলা হয় তবে সেটা হবে এন্টি -সেমেটিক, মানবতা বিরোধী, বর্বর ইত্যাদি ইত্যাদি।

কোনো ধর্ম-জাতি বা বর্নকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করার সময় ভেবে দেখতে হয় সেই মন্তব্য বা ছবি যাতে সেই ধর্ম-জাতি-বর্ণ সংশ্লিস্ট কারো অনুভুতিতে আঘাত না হানে।

কিছু দিন আগে সিডনীতে এক চিত্র প্রদর্শনীতে জেসাসের ছবির সাথে লাদেনের ছবি ব্যবহার করে নিয়ে তুমুল বিতর্ক, ছবিতে লাদেনের সাথে জেসাসকে দেখানোতে জেসাসকে অপমানিত করা হয়েছে ! তুমুল প্রতিবাদের মুখে ছবিটি সরিয়ে নেয়া হয়। লাদেনের ছবির সাথে জেসাসকে ব্যবহার করলে যদি জেসাসের অপমান হয় তবে মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে নোংরা কার্টুন আঁকলে সমস্যা হয় না । আজব সব ভন্ডামী।

আমার লেখা কোনো জাতি-ধর্ম-বর্নকে উদ্দেশ্য করে নয়। উদ্দেশ্য সেই সব লেখক-সাংবাদিক-রাজনৈতিক বা সাধারন মানুষকে উদ্দেশ্য করে যারা বুঝেই হোক আর না বুঝেই হোক বাজে, নোংরা ও উস্কানীমুলক বক্তব্য দেন। সেই সাধারন ব্রিটিশ ভদ্রমহিলা বা প্রথম আলোর কার্টুনিস্ট আরিফ হয়তোবা সরল মনে টেডিবিয়ারকে মোহাম্মদ নামে ডাকার ছাত্রদের আব্দারকে সরল মনে আস্কারা দিয়েছিলেন বা কার্টুন এঁকেছিলো। কিন্তু সবাই কিন্তু সেই ব্রিটিশ মহিলা বা আরিফ না ।

যারা এসব করেন, তারাকি ভুলে যান তাদের এসব মন্তব্য সাধারন ধর্মবিশ্বাষীদের ধর্মানুভুতীতে আঘাত হানতে পারে ?
একটি ধর্মকে অপমানিত করতে পারে ?

এরা জানেন ও জেনে শুনেই এসব করেন। হিংসা-যুদ্ধ তৃষ-ঘৃনা ছড়িয়ে দেবার জন্যই এসব করেন।

বুঝিয়া বলিও, বলিয়া বুঝিও না বন্ধু আমার - শত্রু আমার

রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০০৭

Read These Beautiful Lines Which I Enjoyed

কোন মন্তব্য নেই :
To realize The value of a sister:
Ask someone Who doesn't have one.

To realize The value of ten years: A
sk a newly Divorced couple.

To realize The value of four years:
Ask a graduate.

To realize The value of one year:
Ask a student who Has failed a final exam.

To realize The value of nine months:
Ask a mother who gave birth to a still born.

To realize The value of one month:
Ask a mother who has given birth to A premature baby.

To realize The value of one week:
Ask an editor of a weekly newspaper.

To realize The value of one hour:
Ask the lovers who are waiting to Meet.

To realize The value of one minute:
Ask a person Who has missed the train, bus or plane.

To realize The value of one-second:
Ask a person Who has survived an accident.

To realize The value of one millisecond:
Ask the person who has won a silver medal in the Olympics.

Time waits for no one. Treasure every moment you have. You will treasure it even more when you can share it with someone special.

To realize the value of a friend:
Lose one.

YES, READ THE LAST LINE ONCE MORE........ EXCLUSIVELY FOR U AND U ONLY.......